পাকিস্তান মতিনিধি
বৃহত্তর জামায়াতে ইসলামীর বিএনপি শাখার ভাঁড়প্রাপ্ত নায়েবে আমীর মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের কথায় মনে কষ্ট পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন পাকিস্তানী সামরিক বাহিনীর গুপ্তচর সংস্থা আই এস আই এর সাবেক প্রধান লেফটেনেন্ট জেনারেল (অবঃ) আসাদ দুররানী।
আজ লাহোরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে আসাদ দুররানী বলেন, মির্জা ফখরুল সেদিনের রাজনীতিবীদ। তিনি না জেনে অনেক কথা আন্দাজে বলছেন।
এর আগে ঢাকায় এক সংবাদ সম্মেলনে মির্জা ফখরুল বলেন, খালেদা জিয়া একানব্বুই সালে আই এস আই এর কাছ থেকে ৫০ কোটি রুপি পাননি, বরং শহীদ জিয়াউর রহমানের পুত্র সম্ভাবনাময় তরুন নেতা তারেক জিয়া ও খালেদা জিয়ার অপর সন্তান আরাফাত কোকোকে টেন পারসেন্ট করে কমিশন দেয়ার পর ৩০ কোটি রুপি হাতে পান।
আসাদ দুররানী বলেন, আমি নিজের হাতে বেগম খালেদা জিয়ার কাছে চেক হস্তান্তর করি।
আসাদ দুররানী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ৫০ কোটি রুপির টেন পারসেন্ট হয় ৫ কোটি রুপি। তারেক জিয়া ও আরাফাত কোকোকে টেন ও টেন, মোট টুয়েনটি পারসেন্ট দিলে সেখানে বাদ পড়ার কথা ১০ কোটি। বাকি থাকে ৪০ কোটি। অথচ মির্জা ফখরুল বলছেন ৩০ কোটির কথা।

আই এস আইয়ের চেক ঘিরে উল্লসিত বৃহত্তর জামায়াতে ইসলামীর বিএনপি শাখার নেতানেত্রীবৃন্দ
আসাদ দুররানী সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত সাংবাদিকদের একটি ছবি সরবরাহ করে বলেন, আপনারাই দেখে নিন চেকে কত কোটি রুপির কথা লেখা আছে।
মির্জা ফখরুলকে ভবিষ্যতে আই এস আই এর টাকা প্রসংগে আরও সতর্ক মন্তব্য করার আহ্বান জানিয়ে দুররানী বলেন, বেবহারে বংশের পরিচয়।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে দুররানী বলেন, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান একজন লেফটেনেন্ট জেনারেল ছিলেন। আমিও একজন লেফটেনেন্ট জেনারেল ছিলাম। একজন লেফটেনেন্ট জেনারেলের কষ্ট আরেকজন লেফটেনেন্ট জেনারেল বুঝেন। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়া বলেছিলেন, মানি ইজ নট প্রবলেম। কিন্তু তিনি অকালে শাহাদত বরন করায় বেগম খালেদা জিয়ার জন্য মানি একটি প্রবলেম হয়ে দাড়ায়। তাই আমি তাকে পান সুপারি খাওয়ার জন্য কিছু রুপি পাঠাই।
বৃহত্তর জামায়াতে ইসলামীকে অর্থ সাহায্য দিয়ে পাকিস্তানের অর্থনীতি দুর্বল হয়ে পড়ছে, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী রেহমান মালিকের এই অভিযোগ প্রসংগে দুররানী বলেন, পঞ্চাশ কোটি রুপি আই এস আই এর জন্য কোন বড় অর্থ নয়। আমরা পাকিস্তানের প্রতিটি ক্রিকেট মেচে মেচ ফিক্সিং করে বছরে অনেক বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করি।