নিজস্ব মতিবেদক
জাতীয় প্রেস ক্লাবে অনুষ্ঠিত একটি গোল টেবিল আলোচনায় সাবেক স্বৈরাচার রাস্ট্রপতি ও পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের আমলে নিহত ইব্রাহীম সেলিম ও কাজী দেলোয়ার হোসেনের পরিবারের জন্য ছাগল দাবী করেছেন বৃহত্তর জামায়াতে ইসলামীর ঢাবি শাখার খানকির পোলায়ে আমীর ড. আসিফ নজরুল।
আসিফ নজরুল বলেন, এরশাদের আমলে দেশে শিল্প সাহিত্যের জোয়ার উঠেছিল। এরশাদ নিজেও শিল্প সাহিত্য করতেন। তার আমলে দেশের অনেক উন্নয়ন ঘটেছিল। তাছাড়া তার শরীল ছিল দড়ির নেয় পাকান। মধ্য বয়স্ক নারীরা তার সংগে চুদাচুদির জন্য পাগল হয়ে থাকতেন। আমার খালাও তার ভক্ত ছিলেন।
তবে এরশাদের আমলে সড়ক যোগাযোগের অনেক উন্নয়ন ঘটলেও দুর্ঘটনার সমালোচনা করে আসিফ নজরুল বলেন, এরশাদের আমলে একটি ট্রাক দুর্ঘটনা ঘটেছিল।
আসিফ নজরুল বলেন, হায়াত মউত আল্লাহর হাতে। ট্রাক দুর্ঘটনায় নিহত ছাত্র লীগ নেতা ইব্রাহীম সেলিম ও কাজী দেলোয়ার আজ বেচে থাকলে মন্ত্রী হতেন, নয়ত টেন্ডারবাজি করতেন। তারা এরশাদের পুলিশের ট্রাকের নিচে চাপা পড়ায় দেশ ও জাতি আজ দুটি জালেমের হাত থেকে রক্ষা পেয়েছে।
আবেগঘন কণ্ঠে আসিফ নজরুল বললেন, কিন্তু সেলিম ও দেলোয়ারের মৃত্যুতে ক্ষতি পুরন হিসেবে ছাগল না দিয়ে এরশাদ সার অন্যায় করেছেন। আমি মনে করি ছাগল দেওয়া উচিত ছিল।
আটাশ বৎসরে ক্ষতি পুরনের একটি ছাগল এখন সুদে আসলে বেড়ে প্রায় একশত ছাগলের সমান হয়েছে বলে মত দেন ড. নজরুল। তিনি বলেন, ছাগল প্রতি বছর ভাদ্র মাসের দিকে পাঁঠা দিয়ে চুদাতে পারলে বছর বছর দুই তিনটি করে বাচ্চা দেয়। কাজেই এরশাদ সাহেবের উচিত সেলিম ও দেলোয়ারের পরিবারের হাতে মাথাপিছু একশত ছাগল তুলে দেওয়া।
গোল টেবিলে উপস্থিত উপমহাদেশের প্রখ্যাত ইতিহাসবীদ, কলামিষ্ট ও গান্ধীবাদী আন্দোলনের মুরুব্বী সৈয়দ আবুল মকসুদ বলেন, প্রতি বছর শত শত ট্রাক দুর্ঘটনা ঘটছে। কেউ কিছু বলে না। আর এরশাদ সারের ট্রাকের নিচে দুইটা ছাত্র লীগ মরলেই দুষ।
ছাগল দেওয়ার দাবীতে আসিফ নজরুলকে সমর্থন করে মকসুদ বলেন, ছাগল একটি অপরূপ প্রানী। আমার পোষা ছাগল পুটুকে নিয়ে আমি সুখেই আছি। রোজ তার দুদ খাই।
মতিকণ্ঠে চলমান মতিজরিপে নিজের ঝালকাঠি নিয়ে জরিপে সকল পাঠককে “৩ ইঞ্চি”তে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে ড. আসিফ নজরুল বলেন, এখন বিজয় টেবলেটের যুগ। ১ ইঞ্চি ২ ইঞ্চির দিন শেষ।