নিজস্ব মতিবেদক
পুরান ঢাকার ওয়ারী এলাকার একটি হোটেলে গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে অভিযান চালায় পুলিশ। এ সময় সামাজিক কার্যকলাপের অভিযোগে সন্দেহভাজন ৭২ জনকে আটক করা হয়।
পুলিশ জানায়, আটক হওয়া বেক্তিদের নেতৃত্বে ছিলেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) এর শিক্ষক মো. আলী নাঈম।
ওয়ারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তপন চন্দ্র সাহা বলেন, গোপন সুত্রে খবর পাইয়া আমরা ঠাটারি বাজারের ষ্টার হোটেলে অভিযান চালিয়ে সামাজিক কার্যকলাপে লিপ্ত ৭২ জনকে আটক করেন। তাদের ৬১ জন বুয়েটের প্রথম বর্ষের ছাত্র। অন্যরা নর্থ-সাউথ, ব্রেক, ষ্টেমফর্ড, সার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজসহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। আর এদের নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন আলী নাঈম।
তপন চন্দ্র সাহা বলেন, আটক বেক্তিদের চেহারা ছবি সুবিধার নহে। হালকা হালকা দাড়ি, হাতে মওদুদীর বই, বেগের মধ্যে জেহাদী প্রচার পত্র। ষ্টার হোটেলে তারা যেরুপ খানা অডার দিয়াছিল, তাতে যে কেউই বুঝতে পারবে, ঐখানে জেহাদের পুর্বে শেষ খানা চলতেছে। তাই আমরা জলদি জলদি গিয়া তাদের আটক করি। তাছাড়া তারা ফুল বিরিয়ানীতে ডিম নাই কেন এই লইয়া চিল্লাপাল্লা করতেছিল। আমি গিয়া বললাম, ওয়ারী থানায় নিয়া ডিম দেওয়া হবে, ডন্ট ওয়ারী।
বুয়েটের রেজিষ্ট্রার ডা. এ কে এম মাসুদ বলেন, আলী নাঈম কম্পিউটার বিজ্ঞানের শিক্ষক। কিন্তু তার বন্ধুরা এখনও বুয়েট প্রথম বর্ষের ছাত্র। শিক্ষক হিসাবে নিয়গ পাইয়া সে ষ্টারে খানাপিনা করতে গিয়াছিল। ৭২টি হুর সে মেনেজ করতে না পারিয়া ৭২টি গেলমান সংগে লইয়া গিয়াছিল। খানার ফাকে ফাকে ইসলামী বই পাঠ করে আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করাই ছিল তার লক্ষ। কিন্তু বাকশালী সরকারের ফেসিবাদী ওয়ারী থানা পুলিশ সেই বেহেস্তি আমেজ নস্ট করিয়া তাদের আটক করে। শুনিয়াছি তারা ফুল বিরিয়ানীর সংগে ডিমও ঠিকমত বুঝিয়া পায় নাই। ষ্টার হোটেল দিনকে দিন বখিয়া যাইতেছে। আমরা যখন ছাত্রাবস্থায় আফগান মুল্লুকে জেহাদের আলাপ করিতে ষ্টারে যাইতাম, তখন হোটেল কতৃপক্ষ আমাদের গেঠিশ হিসাবে একটি আস্ত অতিরিক্ত ডিম বিরিয়ানীর সংগে সরবরাহ করতেন। সেই ইয়াজিদও নাই সেই কারবালাও নাই।
ঢাকা মেট্রপলটন পুলিশের ওয়ারী অঞ্চলের উপ কমিশনার ইলিয়াছ কোবরা শরীফ বলেন, আটক বেক্তিরা সকলেই দেখিতে সন্দেহজনক। মুখে ঝাপসা দাড়ি, চুখে ঝাপসা দৃস্টি, কথাবাত্রা ঝাপসা। আমরা বুয়েটে মুঠোফোন মারিয়া বললাম, সার আপনারা একটু আসেন ঘটনা বুঝাইয়া বলেন। বুয়েটের সারেরা আমাদের পাঠান গাড়িতে চড়িয়া আসিলেন। আসিয়া বলিলেন, আপনাদের গাড়িতে এসি নাই কেন। ছামী ইউছুপের সিডি নাই কেন। ষ্টার হোটেল লইয়া আলাপই যদি করবেন ত এক বুতল করিয়া বুরহানী নাই কেন।
আবেগঘন কণ্ঠে ইলিয়াছ কোবরা শরীফ বলেন, দাড়ির রকম দেখিয়া ৭২ জনকে আটক করলাম, কিন্তু বুয়েটের সারেরা আসিবার পর আমরা বুকা বনিয়া গেলাম। তাদের সকলেই ডাম্বলডর ও গেনডাল্ফ দি গ্রে এর নেয় দাড়িওয়াল্লা। একজন সারের টিশার্টে লেখা ‘ওসামা আমার মামা’। আমরা তখন চুপচাপ ৫১ জনকে তাদের হাওয়ালে তুলিয়া থানা খালি করলাম।
এক বোতল মাম পান করে ইলিয়াছ কোবরা শরীফ বলেন, বুয়েট অদ্ভুদ।