নিজস্ব মতিবেদক
বৃহত্তর জামায়াতে ইসলামীর আসন্ন ‘তীব্র’ কর্মসুচীতে বাধা দেওয়ার কারনে বাকশালের ফেসিবাদী সরকারের প্রতি তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বৃহত্তর জামায়াতে ইসলামীর বিএনপি শাখার নায়েবে দফতর ও বাকশালের মহিলা আমীরের উপদেস্টা গওহর রিজভীর সহোদর আল্লামা রুহুল কবীর রিজভী।
শুক্রবার সন্ধায় আয়জিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ ক্ষোভ প্রকাশ করেন আল্লামা রিজভী।
রিজভী বলেন, গতকাল জাতির কাছে ওয়াদা করেছিলাম, আন্দুলন আরও তীব্র হবে। কর্মসুচী আরও বেগবান হবে। কিন্তু বাকশালী সরকার একটি অভিশাপ। আমাদের ‘তীব্র’ কর্মসুচীর পুটুতে উহারা শুদু অংগুলি ঢুকায়।
আবেগঘন কণ্ঠে রিজভী বলেন, আইএসআইয়ের আবুধাবী শাখার আমীর বিগ্রেডিয়ার জেনারেল হাসনাত বার্কি আমায় মুঠোফুন মেরে বলেছিল, রুহুল ভাই, হাম রুপেয়া ভেজ দেংগে। সোচনা মৎ। আমি তাই দুটি দিন টয়লেটের পর সোচা বন্দ করে বসেছিলাম। কিন্তু বৃহস্পতিবার ভোরে কুটি কুটি রুপিসহ এক পাকিস্তানী নাগরিককে বাকশালী সরকারের তাবেদার বিমানবন্দর শুল্ক বিভাগ আটক করে।
হুহু করে কেদে উঠে রিজভী বলেন, আটক পাকিস্তানী ভাইটির নাম মো. ইমতিয়াজ। সে গতকাল ভুর বেলা সাড়ে চারটার দিকে ইত্তেহাদ এয়ারলাইনসের একটি উড়োজাহাজে করে আবুধাবি থেকে ঢাকায় আসে একটু পর্যটন সুখের জন্য। অতছ বাকশাল উহাকে আটক করিয়া মামলায় ফাসাইয়া দিল। আমাদের তীব্র কর্মসুচীর টেকাটুকাও সব জব্দ হইল। এখন কচি কচি বাচ্চাগুলিরে ককটেল আর পেট্রলের দাম বাবদ কুথা হতে টেকা দিব? বাকশাল ইহাদের রিজিক পন্ড করিল।
ন নিউজ ইজ গুড নিউজ
পাঞ্জাবীর হাতায় অশ্রু মুছে রুহুল কবীর রিজভী বলেন, শুনলাম জনগন রাস্তায় নামিয়া প্রতিরুধ শুরু করছে। তাই বিএনপি শাখার নয়া পল্টন কার্যালয়ে কেচি গেটের উপর সাটার লাগাইছি। জনগন কুন কারনে যদি নয়া পল্টনে আসিয়া প্রতিরুধ শুরু করে, কেচি গেটে কুলাইবে না। দিনকাল ভাল নহে। পেপারে পড়লাম দেশের অবস্থা খারাপ। সাবধানের মাইর নাই, তাই কেচি গেটের উপরে সাটার লাগাই।
কাদতে কাদতে রিজভী বলেন, এই কেচি গেটের টেকাও ইমতিয়াজের পকেট হতেই চুকানর কথা ছিল। এখন হয়ত এ টেকা আমার পকেট হতেই যাবে। রাজনীতী করিয়া পথের ফকির হয়ে গেলাম।
এ বেপারে বাকশালের উপদেস্টা ও রুহুল কবীর রিজভীর বড় ভাই গওহর রিজভীর সংগে যোগাযোগ করা হলে তিনি মতিবেদককে মুঠোফোনে বলেন, রুহুল হারামজাদা মাসের পর মাস ধরিয়া বিএনপি কার্যালয়ে পড়িয়া আছে। বাড়ি ফিরার নাম গন্দ নাই। এদিকে তার বউ আমায় ফুন দিয়া বলে, ভাইজান আপনি উহাকে বুঝান। সে বাড়ি ফিরে না কেন? হুয়াটস দি প্রবলেম?
রাগারাগি করে গওহর রিজভী বলেন, আমার ত সন্দেহ সে গুপনে প্রেম করতেছে।
কার সংগে প্রেম করছেন, এ প্রশ্নের সরাসরি উত্তর না দিয়ে গওহর রিজভী বলেন, রুহুল ও পাপিয়া পাণ্ডে উভয়েই রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে একত্রে লেখাপড়া করত।