রেংগুন মতিনিধি
আসন্ন ঈদুল ফিতরের আগে আগে বেবসা বানিজ্য সম্প্রসারনের উদ্দেশ্যে বার্মা সফরে গিয়ে বার্মার শান্তিতে নোবেল বিজয়ী আপোষহীন বিরোধী দলীয় নেত্রী ও নেশনাল লীগ ডেমক্রেসির মহিলা আমীর অং সান সু চির ক্ষোভের শিকার হয়েছেন সদ্য গঠিত রাজনৈতিক দল বাবুনাগরিক শক্তির আমীর, বাংলাদেশের একমাত্র নোবেল বিজয়ী অর্থনীতীবীদ ও গ্রামীন বেংকের বিতাড়িত মালিক ‘অর্থনীতীর সানি লিওনি’ কায়েদে নোবেল ড. মুহম্মদ ইউনূস বাবুনগরী।
আজ এক সংবাদ সম্মেলনে বাবুনগরীর প্রতি ক্ষোভের কথা বেক্ত করেন বার্মার লীগ নেত্রী সু চি।
সংবাদ সম্মেলনে সু চি বলেন, এখন রমজান মাস চলতেছে। দুইদিন পরে ঈদুল ফিতর। এর মধ্যে রোহিংগা রাজ ইউনূস বাবুনগরী আসিয়া হাজির। সে আমায় বার্মায় গ্রামীন বেংকের বেবসা বানিজ্য সম্প্রসারনের প্রস্তাব দিয়া বলল, হাম ভি নোবেল তুম ভি নোবেল। চল একত্রে দারিদ্র দুর করে দুটু আয় রুজগার করি। লেটস পেয়ার আপ এন্ড ডু সাম বিজনেশ টুগেদার। আমি তাকে বললাম, বাবুদা ধীরে চল না, পেয়ার মে জারা সমহলনা। হাঁ বড়ে ধোকে হায়, বড়ে ধোকে হায় ইস রাহা মে। বিজনেশ যে করবা, আমার জন্য কুন গিফট আনছনি?
আবেগঘন কণ্ঠে সু চি বলেন, অর্থনীতীর সানি লিওনি তখন তার গ্রামীন চেকের পাঞ্জাবীর পকেট হতে একটি পলিথিনের পেকেট বাহির করিয়া আমার হস্তে দিয়া বলল, তোফা তোফা তোফা হাঁ আ আ লায়া লায়া লায়া। পেকেট খুলিয়া আমি দেখি সে আমার জন্য একটি বেবি ডল ড্রেস খরিদ করিয়া আনছে।
হুহু কান্নায় ভেংগে পড়ে সু চি বলেন, কায়েদে নোবেলের বিবেচনা দেখিয়া আমি হতবাক। এখন সবখানে চলতেছে পাখী ড্রেস, আর সে কিনা আমায় বেবি ডল ড্রেস গছাইতে চায়। এই ভাবে কি শান্তি হয়, নাকি বিজনেশ হয়? রোহিংগা রাজের নোবেল আছে, কিন্তু মন বলতে কিছু নাই।
অশ্রু মুছে সু চি বলেন, বাংলাদেশের লীগের মহিলা আমীর শেখের বেটী বাবুদাকে ঘেটী ধরিয়া গদি হতে বিতাড়ন করিয়াছে। কিন্তু বার্মার লীগের মহিলা আমীর এই আমি এত নিষ্ঠুর নহি। বাবুদাকে চা বিস্কুট খাইতে দিয়া বললাম, আনছইন যখন রাখিয়া যাইন। কিন্তু এই ড্রেস আমি পরবাম না। লুংগি পরিয়াই এইবারের ঈদ করবাম।
এ বেপারে বাবুনগরীর সংগে যোগাযোগ করা হলে নাম প্রকাশ না করার শর্তে তিনি বলেন, রমনীর মন, সহস্র বর্ষের সখা সাধনার ধন। আমার তাই এখনও নয়শত ছাব্বিশটি বসন্ত সাধনা বাকি। মগ মহারানী সু চি বেশী বেশী দাবী করে। বেবি ডল ড্রেসটি কুন দিক দিয়াই খারাপ নহে। আমি ত তবুও তারে গিফট দিলাম। সে কি আমায় একটি চুড়িদার পাইজামা কিনিয়া দিতে পারত না? অতছ সে আমায় দিল এক পেকেট বার্মিজ আচার। তার আচার-আচরনে আমি ক্ষুব্ধ।
সু চির প্রতি পাল্টা ক্ষোভ প্রকাশ করে ইউনূস বলেন, লীগ করা নারী, বড় অত্যাচারী। বাংলাদেশ বার্মা দুই জায়গার লীগই অভিশাপ।