নিজস্ব মতিবেদক
বৃহত্তর জামায়াতে ইসলামীর বিএনপি শাখার মহিলা আমীর ও জাতীয়তাবাদী শক্তির মালিক আপোষহীন দেশনেত্রী মাদারে গনতন্ত্র বেগম খালেদা জিয়া জেএসসি বলেছেন, মমবাত্তির দাম বাড়াইতে ফেসিবাদী বাকশালী সরকার গত পহেলা নভেম্বর স্মরন কালের সর্বাপেক্ষা নেক্কারজনক বিদ্যুত সংকট তৈয়ার করছে।
মংগলবার মাদারে গনতন্ত্রর গুলশান কার্যালয়ে আয়জিত এক সংবাদ সম্মেলনে মেডাম এ কথা বলেন।
বিদ্যুত সংকটের কারনে পহেলা নভেম্বর ঐতিহাসিক নাটর বক্তিতায় মেডামের বক্তব্য দেশবাসীর কাছে সম্প্রচার করা সম্ভব না হওয়ায় মংগলবার মেডাম আলাদা সংবাদ সম্মেলন করে নাটর বক্তিতার ভিডিও সাংবাদিকদের কাছে তুলে ধরেন।
সংবাদ সম্মেলনে বেগম জিয়া জেএসসি বলেন, সরকার মমবাত্তির দাম কৃত্তিমভাবে বাড়ানর জন্যি সারা দেশের কারেন অপ করিয়া দিছে।
আবেগঘন কণ্ঠে মেডাম বলেন, আমরা বৃহত্তর জামায়াত যখন গদিতে আছিলাম, সেই সুনালী দিনগুলিতে দেশে এক ঘণ্টা পর পর কারেন যাইত। তাই তালপাতার পাংখা আর মমবাত্তির দেশী শিল্প বেগবান হইছিল। যে কুন দুকানে দুই টেকা দিলেই এই সকল দেশী পন্য খরিদ করা যাইত। কিন্তু আজ গদিতে ফেসিবাদী বাকশালী সরকারের মহিলা আমীর শেখের বেটী। দেশে এখন লটশেডিঙ্গ নাই বললেই চলে। তালপাতার পাংখা আর মমবাত্তি কি জিনিস, অবধ শিশুরা তা ভুলতে বসিয়াছে। মমবাত্তি ইন্ডাষ্টৃ এখন বাকশালের লুটেরাদের দখলে চলিয়া গেছে। আর সারা দেশে বিদ্যুত সংকট সৃস্টি করিয়া এই মমবাত্তির দাম বাড়ানর জন্যিই মালাউন ভারতের সংগে ষড়যন্ত্র করিয়া পহেলা নভেম্বর কুখ্যেত বাকশালী ব্লেক আউট ঘটান হইছিল।
আত্মঘাতী বুমার জেকেটসহ জেএমবি জংগী সর্দার আবদুন নুর (প্রতিকি ছবি)
বাকশালের প্রতি তিব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে মাদারে গনতন্ত্র বলেন, ঐদিন ১টি মমবাত্তির দাম ৩০ টেকা পযন্ত উঠিয়াছিল। গুলশান মার্কেটে আমার নায়েবে খাছ ফালুরে ৫ টেকা দিয়া দুইটা মমবাত্তি কিনতে পাঠাইছিলাম। সে আসিয়া বিল করিল ৬০ টেকা। আমি তারে বললাম, বাকি ৫৫ টেকা ক্ষমতায় গিয়া পরিশুধ করিব। বাকশালের অত্যাচারে দেশের আজ কি ভয়াবহ তাহা আপনারাই চিন্তা করিয়া দেখইন।
হুহু করে কেদে উঠে খালেদা বলেন, বাংলাদেশের অভ্যন্তরে স্বাধিন রাস্ট্র হাটাহাজারিস্তানের খলিফা ও উপমহাদেশের সর্বাপেক্ষা ডেশিং ইসলামী বেক্তিত্ব আল্লামা রাজ শাহ আহমদ শফী ছাহেব গত বতসর ১৩ দফা আন্দুলনের সময় মমবাত্তি প্রজ্জলনের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করছিলেন। ১৩ দফার অন্যতম এই দফাকে ছুট করার জন্যই বাকশালী সরকার পহেলা নভেম্বর সারা দেশে সকলকে মমবাত্তি প্রজ্জলনে বাধ্য করছে। ঐদিন হাটহাজারিস্তানে আল্লামা শফী ছাহেব পযন্ত মমবাত্তি প্রজ্জলনে বাধ্য হইছেন। এ সব কিসের আলামত?
অশ্রু মুছে মেডাম বলেন, প্রতিবাদ যে করব তার কুন উপায় রাখে নাই। জনগনকে সংগে নিয়া দুই চারটা মনির পুড়াব, তার কুন রাস্তাই ফেসিবাদীরা খুলা রাখে নাই। নাটর বক্তিতায় সারা দেশে পুনরায় মনির পুড়ানর ঘোষনা দিব ভাবছিলাম, কিন্তু তার আগের দিন নায়েবে খাছ ফালুর আস্তানা আমার দেশ কার্যালয়ের গুদামে আগুন লাগিয়া ভিতরের সকল উন্নত মানের গান পাউডার পুড়িয়া নস্ট হইল। দেশের দুই চার জায়গায় বমা ফুটানর জন্য যারে মেনেজ করছিলাম, বৃহত্তর জামায়াতের জংগী শাখা জেএমবির সেই মুজাহিদ আবদুন নুরকে ফেসিবাদী পুলিশ সিরাজগঞ্জ হতে গ্রেফতার করল।
মন খারাপ করে মাদারে গনতন্ত্র বলেন, প্রতিবাদ করিয়া যে একটু ইস্কাডুশ বলিব, তাহার উপায়ও শেখের বেটী রাখে নাই।
বৃহত্তর জামায়াতের খানকির পুলায়ে নায়েব ফাসির আসামী কামারুজ্জামানকে সান্তনা দিয়ে মেডাম বলেন, কামারুজ্জামানের অবস্থা রবী ঠাকুরের কাবুলিওয়ালা নাটকের মিনির নেয়। মিনির বিবাহ হইছিল, কিন্তু সে বিবাহে মিনির পিতা ইলেকটিক বাতি জালাইতে পারে নাই, গড়ের বাদ্যও বাজে নাই। কারন বাতি বাদ্যর টেকা রহমত নামক এক কাবুলিওয়ালাকে দিয়া দিতে হইছিল। কামারুজ্জামানেরও ফাসি হইতেছে, কিন্তু কুন বুমা ফুটান বা মনির পুড়ান যাইতেছে না, কারন এইসবের টেকা লনডনে টবি কেডমেনকে দিয়া দিতে হইছে।
রবী ঠাকুরের কাবুলিওয়ালা নাটকে মিনির বিবাহে ইলেকটিক বাতি না জালানর পিছনে ততকালীন বাকশালের কোন হাত আছে কিনা, তা সাংবাদিকদের গবেষনা করে দেখার আহোভান জানিয়ে খালেদা জিয়া জেএসসি বলেন, রবী ঠাকুরের আমলেও খালি কারেন যাইত। কিন্তু বাকশাল শুদু আমরারে দুষ দেয়। আরে ঐ আমলে কি খাম্বার বিজনেশ আছিল না?
Leave a Reply