Posts tagged ‘ছাত্রদল’

October 19, 2014

দির্ঘ প্রতীক্ষার পর শুরু হল বিএনপি শাখার ‘ঈদের পরে আন্দুলন’

নিজস্ব মতিবেদক

দির্ঘ প্রতীক্ষার পর অবশেষে শুরু হয়েছে বৃহত্তর জামায়াতে ইসলামীর বিএনপি শাখার ‘ঈদের পরে আন্দুলন’।

অতীতের মত এবারও এ আন্দুলনের নেতৃত্বে এগিয়ে এসেছে ছাত্ররাই।

নয়া পল্টনে বিএনপি শাখার কার্যালয়কে ঘিরে গত কয়েক দিন ধরে চলছে জোরদার ঈদের পরে আন্দুলন। এ আন্দুলনে নেতৃত্ব দিচ্ছে বিএনপি শাখার ছাত্র উপশাখা ছাত্রদলের পদ বঞ্চিত নেতা কর্মীরা।

কয়েক দিন পুর্বে যোগ্যদের পদ না দিয়ে জংগল হতে কতিপয় বিবাহিত বেক্তি সংগ্রহ করে এনে ছাত্রদলের সভাপতি ও সাধারন সম্পাদক পদে নিয়োগ দেওয়ার প্রতিবাদে এক তাতক্ষনিক সতস্ফুর্ত বিক্ষোভের মাধ্যমে বহুল প্রতীক্ষীত ঈদের পরে আন্দুলন শুরু হয়। আন্দুলনের শুরুতেই বৃহত্তর জামায়াতে ইসলামীর বিএনপি শাখার মহিলা আমীর ও জাতীয়তাবাদী শক্তির মালিক আপোষহীন দেশনেত্রী মাদারে গনতন্ত্র বেগম খালেদা জিয়া জেএসসির গুলশান কার্যালয়ের সামনে পদ বঞ্চিত নেতা কর্মীরা শক্তিশালী হাতবুমার বিস্ফরন ঘটান।


বিএনপি কার্যালয়ে জিয়ার মুর্তিপুজা

আন্দুলনের এক পর্যায়ে ফেসিবাদী বাকশালের বিএনপি শাখার নায়েবে আমীর শহীদুদ্দি এনি ও সালাউদ্দি টুকুর বিরুদ্ধে জাতীয়তাবাদী ছাত্ররা বিক্ষোভে ফেটে পড়ে। বাকশালের দালালীর অভিযোগে এই দুই নেতার তাতক্ষনিক ফাসি দাবী করে নয়া পল্টনের সামনে মিটিং মিছিল ও কুশ পুত্তলিকা পুড়ান হয়। এ সময় এনি ও টুকু নিখিল বাংলাদেশ হোটেল মালিক সমিতির আমীর এডভকেট সাহারা খাতুনের দি নিউ এমপেরিয়াল হোটেল এন্ড গেষ্ট হাউসে আত্মগুপন করে ছিলেন।

আজ বাদ জোহর আন্দুলন আবারও চাংগা হয়ে উঠলে বিক্ষুব্ধ জাতীয়তাবাদী আন্দুলন কারীদের প্রহারে মৃদু আহত হন বিএনপি শাখার ভাঁড়প্রাপ্ত নায়েবে আমীর, জাতীয়তাবাদী শক্তির ‘কমপ্লান বয়’, লনডনে পলাতক চিকিতসাধীন আওলাদে আমীর বড় গুণ্ডে কতৃক ‘হাইড এন্ড সিক’ গালিতে ভুষিত ও ঈদুল কতলের টেলেন্ট হান্ট প্রতিযোগীতায় ‘ফ্লেয়ার এন্ড লাবলি’ খেতাবে সমাদৃত মির্জা বাড়ির বড় গৌরব আল্লামা মির্জা ফখরুল ইসলাম আগুনগীর ওরফে ফখা ইবনে চখা। বিক্ষুব্ধ জাতীয়তাবাদীদের ধাওয়ায় বিএনপি শাখার দুধভাত নায়েব সালাউদ্দি পলায়ন করেন। নব নিযুক্ত ছাত্রদল নেতাদের এ সময় টেবিলের নিচে লুকাতে দেখা যায় বলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক প্রত্যক্ষদর্শী নায়েব মতিকণ্ঠকে জানান।

আন্দুলন কারীগন বিএনপির নয়া পল্টন কার্যালয়ে একাত্তরের রেম্ব ও পচাত্তরের টার্মিনেটর জেনারেল জিয়ার মুর্তি ভাংচুর করেন। এ বেপারে জানতে চাইলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক জাতীয়তাবাদী বলেন, কার্যালয়ে জিয়ার মুর্তি রাখলে এখানে নামাজ কবুল হবে না। একজন প্রকৃত মুসলিম কখনও এইসব মুর্তিপুজাকে মেনে নিতে পারে না। তাই আর মন্দির পেগডায় হামলা নয়, সবার আগে নয়া পল্টন কার্যালয় হতে জিয়ার মুর্তি সরাইতে হবে।

এ বেপারে বিস্তারিত জানতে ফখা ইবনে চখার সংগে যোগাযোগ করা হলে তিনি মুঠোফোনে কাদতে কাদতে বলেন, আমি রাজনীতী জগতের মেরাডনা। সবাই আমায় শুদু মারে।

নব নিযুক্ত কমিটির পৃষ্ঠপোষক শহীদুদ্দি এনি ও সালাউদ্দি টুকুর সংগে যোগাযোগ করা হলে তারা বলেন, আন্দুলন কার বিরুদ্ধে হচ্ছে তা বড় কথা নহে। ঈদের পরে আন্দুলন শুরু করতে পারছি, ইহাই বড় কথা। একবারে আপনারে চিনতে পারলে যাবে অচিনারে চিনা। চেরিটি বিগিনস এট হম।

শহীদুদ্দি এনি ও সালাউদ্দি টুকু নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, পচ্চিম বংগ হতে মমতা বেনারজির পাঠান ভাল ভাল হাতবুমা গুলু নয়া পল্টনের আশেপাশে ফুটাইয়া শেষ করিয়া ফেললে পরে নিম্নমানের লুকাল হাতবুমা দিয়া বাকশালের সংগে যুদ্ধ করতে হবে। আপনারা সাংবাদিকরা একটু আন্দুলনকারীদের বুঝাইয়া বলেন।

November 20, 2013

ধ্বংস করা গাড়ির সংখ্যা নিয়ে ফখরুলের ক্ষোভ

নিজস্ব মতিবেদক

বৃহত্তর জামায়াতে ইসলামীর বিএনপি শাখার আওলাদে আমীর, জাতীয়তবাদী শক্তির ভবিষ্যত মালিক ও শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের যোগ্য উত্তরসুরী তরুন নেতৃত্ব বড় গনতন্ত্র মিষ্টার ফিপটিন পারসেন্ট পলাতক চিকিতসাধীন তারেক জিয়ার পবিত্র ৪৯তম জন্মদিনে বিএনপি শাখার ছাত্র সংগঠন জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল আয়জিত অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে রাগারাগি করেছেন বিএনপি শাখার ভাঁড়প্রাপ্ত নায়েবে আমীর ও জাতীয়তাবাদী শক্তির ‘কমপ্লান বয়’ মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

৪৯ পাউন্ড কেক কেটে অনুষ্ঠানে বক্তিতা দিতে উঠে ছাত্রদলের সদস্যদের আচরন নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন মির্জা বাড়ির গৌরব।

ফখা ইবনে চখা বলেন, ২০ দিন পর আজ বিএনপি শাখার কার্যালয়ে গেলুম। গিয়া দেখি বিলের পর বিল। বিলের পাহাড় জমিয়া আছে। বাসে আগুন দেওয়া বাবদ সত্তর হাজার টেকা, প্রাইভেট গাড়িতে আগুন দেওয়া বাবদ ৫০ হাজার টেকা, মনির পুড়ান বাবদ ১ লক্ষ টেকা, ককটেল ফুটান বাবদ ৫০০ টেকা। এতগুনো বিলের মধ্যে ছাত্রদলের কুন বিল নাই। সব টুকাই আর ছাত্র শিবিরের বিল। বিএনপি শাখার সকল টেকাটুকা ইহাদের পকেটে চলিয়া যাইতেছে।


এ জীবন পুন্য কর দহন দানে

ফখরুলের এ কথা শুনে ছাত্রদলের সদস্যরা হাততালি দিলে তিনি আরও রাগারাগি করেন।

ফখা চিতকার করে বলেন, আরে তুরা সালা ঘোচুর দল বক্তিতার বেজায়গায় হাততালি দেস কেনে? যখন বৃহত্তর জামায়াতের খানকির পুলায়ে আমীর ওমরাহদিগের মুক্তির দাবী তুলি, তখন কুন হাততালি নাই। আর যখন হাবিবুর রহমান হাবিবের মুক্তির দাবী তুলি, তখন তুদের হাততালির আওয়াজে মাথা ঘুরে। এইসব কেমন আচরন? খালি নিজেদের লোকের জন্য হাততালি দিলে আন্দুলন হবে কেমনে?

আবেগঘন কণ্ঠে ভুপেন হাজারিকার গান থেকে এক কলি পরিবেশন করে ফখরুল বলেন, মানুষ মানুষের জন্যে, জামাত জামাতের জন্যে, একটু সহানুভুতি কি জামাত পেতে পারে না?

হরতালে ধ্বংস করা গাড়ির সংখ্যা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে ফখরুল বলেন, দুই চারখান গাড়ি পুড়ালে আন্দুলন হয় না। হাজার হাজার গাড়ি পুড়াতে হবে। আমরা হরতাল ডাক দিলে রাস্তায় জাম লাগিয়া যায়। এভাবে আর চলতে পারে না। তারেক জিয়ার জন্মদিনে আরও আরও গাড়ি পুড়াতে হবে। এয় মেরে ছাত্রদল কা বানচুদোঁ, ইস দেশ কো গাড়ি কা শমশান বানাকে রাখ দে।

উর্দু বুঝতে না পেরে ছাত্রদলের সদস্যরা এ নিয়ে প্রশ্ন তুললে মির্জা ফখরুল রাগারাগি করে ২ পাউন্ড কেকসহ অনুষ্ঠান তেগ করেন।

ছাত্রদলের জনৈক নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ফখরুল সার নিজে দি এমপেরিয়াল হোটেল এন্ড গেষ্ট হাউসে আত্মগুপন করিয়া আমাদিগকে রাস্তায় মনির পুড়াইতে বলেন। আর আজ কিনা ৪৯ পাউন্ড কেকের গন্ধে গন্ধে তিনি আমাদিগের অনুষ্ঠানে আসিয়া হাজির।

October 25, 2013

আবার শিবিরের প্রহারে রক্তাক্ত ছাত্রদল

নিজস্ব মতিবেদক

বাংলাদেশের আধ্যাতিক রাজধানী সিলেটে বৃহত্তর জামায়াতে ইসলামীর ছাত্র শাখা ছাত্র শিবিরের খানকির পোলায়ে আমীর ওমরাহদের হাতে প্রহারে রক্তাক্ত হওয়ার পর আজ বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায় ঐতিহাসিক সরোয়ার্দি উদ্যানে পুনরায় ছাত্র শিবিরের নেতা কর্মীদের ধোলাইয়ে রক্তাক্ত হয়েছে বৃহত্তর জামায়াতের বিএনপি শাখার ছাত্র উপশাখা ছাত্রদলের কতিপয় নেতা কর্মী।

মঞ্চের সামনে বসে বৃহত্তর জামায়াতের সমাবেশের অন্যতম আকর্ষন মহিলা আমীর আপোষহীন দেশনেত্রী মাদারে গনতন্ত্র বেগম খালেদা জিয়াকে নিকট হতে অবলোকনের সুযুগ নিয়ে ছাত্র শিবির ও ছাত্রদলের মধ্যে সংঘাতের সৃস্টি হয়।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, সকাল নয়টা হতেই ছাত্র শিবিরের কেডার বৃন্দ মঞ্চের সামনে অবস্থান নেয়। বেলা একটার সময় ডেমরা পাতিশাখা বিএনপি এসে মঞ্চের সামনে উক্ত অবস্থান দখলের চেস্টা করলে উপস্থিত ছাত্র শিবির গন ডেমরা পাতিশাখা ছাত্রদলের সদস্যদের উপর নির্মম প্রহার চালায়। এ সময় শিবিরের আক্রমনে লাঞ্ছিত হয়ে ডেমরা শাখা ছাত্রদল দিক বিদিক ছুটাছুটি শুরু করে।

পরে ছাত্র শিবিরের কতিপয় নেতা এসে ডেমরা শাখা ছাত্রদলকে সমাবেশের টয়লেটের পাশে কয়েকটি সীট বরাদ্দ করে দিলে পরিস্থিতি শান্ত হয়।

ছাত্র শিবিরের জনৈক নেতা মতিকণ্ঠকে বলেন, সকল খাটাখাটনি ও টেকাটুকা আমরা যুগাই। অতএব মঞ্চের নিকটে বসে মেডাম ও বেবী গাণ্ডেকে অবলোকনের সুযুগ আমাদেরই পাওয়া উচিত। ইহাই ইনসাফ।

ছাত্র শিবিরের প্রহারে আহত ডেমরা পাতিশাখা ছাত্রদলের আমীর ইমরান হোসেন মতিকণ্ঠকে নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ছাত্র শিবিরের খানকির পুলা নেতা কর্মী বৃন্দ মেডাম বা বেবী গাণ্ডে নহে, বৃহত্তর জামায়াতের বিজেপি শাখার আমীর সুদর্শন আন্দালিব পার্থকে নিকটে বসিয়া অবলোকন করতে বেশী বেকুল।

সমাবেশের শুরুতে পরিস্থিতি শান্ত করতে জনৈক বিএনপি নেতা মঞ্চে উঠে ‘আজ আমরা ভাই ভাই’ বলে বক্তব্য দিতে গেলে উপস্থিত ছাত্র শিবির নেতা কর্মীরা হাসতে হাসতে বলেন, ছাত্রদল আমাদের ভাই, তবে সাধারন ভাই নয়। তারা আমাদের বিশেষ এক প্রকার ভাই।

October 5, 2013

শিবিরের বেনারই বেশি সুন্দর: খালেদা

নিজস্ব মতিবেদক

সিলেটে বৃহত্তর জামায়াতে ইসলামীর ছাত্র শাখা শিবিরের দুর্গ আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে আয়জিত জনসভায় বৃহত্তর জামায়াতের বিএনপি শাখার মহিলা আমীর ও জাতীয়তাবাদী শক্তির মালিক আপোষহীন জননেত্রী মাদারে গনতন্ত্র বেগম খালেদা জিয়া বলেছেন, শিবিরের বেনারই বেশি সুন্দর।

আজ জনসভায় ছাত্র শিবিরের খানকির পোলা নেতা কর্মী বৃন্দ জাতীয়তাবাদী ছাত্র দলের দুর্বল নেতা কর্মীদের প্রহারে প্রহারে রক্তাক্ত করার পর পরিস্থিতি শান্ত করার জন্য বেগম জিয়া এ কথা বলেন।

বক্তৃতায় বেগম জিয়া বলেন, খুলনার জনসভায় বেবী গাণ্ডে যাহা বলেছিল, তাহাই ঠিক। শিবিরের বেনার প্লেকাড ফেষ্টুনই বেশি সুন্দর। ছাত্র দলের বেনার প্লেকাড ফেষ্টুন দেখলে মনে হয় তাহারা ঘরের মশারী দিয়া বেনার বানাইয়াছে। তাই আমি আজ সেরা বেনারের পুরস্কার শিবিরকেই দিব। শিবিরের সংগ্রামী নেতা কর্মীরা, এইবার থাম। ছাত্র দলকে আর মারিও না।

এ সময় জাতীয়তাবাদী ছাত্র দলের নেতা কর্মীরা মাঠের বাইরে থেকে চিতকার করে কেদে উঠেন।


তুমাদের পাশে এসে বিপদের সাথী হতে আজকের চেস্টা আমার

 

আবেগঘন কণ্ঠে মাদারে গনতন্ত্র বলেন, নিজেরা নিজেরা কেন মারামারি করিতেছ? কখনও কি শুনছ যে একাত্তর সালে পাকবাহিনীর সংগে আলবদরের মারামারি হইছে? কিংবা আল-বদরের সংগে আল-শামসের মারামারি হইছে? আমরা একই বৃন্তে দুটি ফল, শিবির এবং ছাত্র দল। এক ফল আরেক ফলরে মার কেন?

অবিলম্বে বৃহত্তর জামায়াতের বিচারাধীন খানকির পোলায়ে আমীর ওমরাহদিগের মুক্তি দাবী করে খালেদা বলেন, লাথি মার ভাঙ্গ রে তালা যত সব বন্দী সালা ঘোচুর দলে মুক্তি দে দে দেতেই হবে।

ইলিয়াস আলীর মুক্তি চেয়ে দুই তিনজন ছাত্র দল স্লোগান দিলে বেগম জিয়া বলেন, মুক্ত ইলিয়াস অপেক্ষা গায়েব ইলিয়াস অধিক কামের। আপাতত নিজামী মুজাহিদের মুক্তি বেশী জরুরী।