নিজস্ব মতিবেদক
দির্ঘ প্রতীক্ষার পর অবশেষে শুরু হয়েছে বৃহত্তর জামায়াতে ইসলামীর বিএনপি শাখার ‘ঈদের পরে আন্দুলন’।
অতীতের মত এবারও এ আন্দুলনের নেতৃত্বে এগিয়ে এসেছে ছাত্ররাই।
নয়া পল্টনে বিএনপি শাখার কার্যালয়কে ঘিরে গত কয়েক দিন ধরে চলছে জোরদার ঈদের পরে আন্দুলন। এ আন্দুলনে নেতৃত্ব দিচ্ছে বিএনপি শাখার ছাত্র উপশাখা ছাত্রদলের পদ বঞ্চিত নেতা কর্মীরা।
কয়েক দিন পুর্বে যোগ্যদের পদ না দিয়ে জংগল হতে কতিপয় বিবাহিত বেক্তি সংগ্রহ করে এনে ছাত্রদলের সভাপতি ও সাধারন সম্পাদক পদে নিয়োগ দেওয়ার প্রতিবাদে এক তাতক্ষনিক সতস্ফুর্ত বিক্ষোভের মাধ্যমে বহুল প্রতীক্ষীত ঈদের পরে আন্দুলন শুরু হয়। আন্দুলনের শুরুতেই বৃহত্তর জামায়াতে ইসলামীর বিএনপি শাখার মহিলা আমীর ও জাতীয়তাবাদী শক্তির মালিক আপোষহীন দেশনেত্রী মাদারে গনতন্ত্র বেগম খালেদা জিয়া জেএসসির গুলশান কার্যালয়ের সামনে পদ বঞ্চিত নেতা কর্মীরা শক্তিশালী হাতবুমার বিস্ফরন ঘটান।
বিএনপি কার্যালয়ে জিয়ার মুর্তিপুজা
আন্দুলনের এক পর্যায়ে ফেসিবাদী বাকশালের বিএনপি শাখার নায়েবে আমীর শহীদুদ্দি এনি ও সালাউদ্দি টুকুর বিরুদ্ধে জাতীয়তাবাদী ছাত্ররা বিক্ষোভে ফেটে পড়ে। বাকশালের দালালীর অভিযোগে এই দুই নেতার তাতক্ষনিক ফাসি দাবী করে নয়া পল্টনের সামনে মিটিং মিছিল ও কুশ পুত্তলিকা পুড়ান হয়। এ সময় এনি ও টুকু নিখিল বাংলাদেশ হোটেল মালিক সমিতির আমীর এডভকেট সাহারা খাতুনের দি নিউ এমপেরিয়াল হোটেল এন্ড গেষ্ট হাউসে আত্মগুপন করে ছিলেন।
আজ বাদ জোহর আন্দুলন আবারও চাংগা হয়ে উঠলে বিক্ষুব্ধ জাতীয়তাবাদী আন্দুলন কারীদের প্রহারে মৃদু আহত হন বিএনপি শাখার ভাঁড়প্রাপ্ত নায়েবে আমীর, জাতীয়তাবাদী শক্তির ‘কমপ্লান বয়’, লনডনে পলাতক চিকিতসাধীন আওলাদে আমীর বড় গুণ্ডে কতৃক ‘হাইড এন্ড সিক’ গালিতে ভুষিত ও ঈদুল কতলের টেলেন্ট হান্ট প্রতিযোগীতায় ‘ফ্লেয়ার এন্ড লাবলি’ খেতাবে সমাদৃত মির্জা বাড়ির বড় গৌরব আল্লামা মির্জা ফখরুল ইসলাম আগুনগীর ওরফে ফখা ইবনে চখা। বিক্ষুব্ধ জাতীয়তাবাদীদের ধাওয়ায় বিএনপি শাখার দুধভাত নায়েব সালাউদ্দি পলায়ন করেন। নব নিযুক্ত ছাত্রদল নেতাদের এ সময় টেবিলের নিচে লুকাতে দেখা যায় বলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক প্রত্যক্ষদর্শী নায়েব মতিকণ্ঠকে জানান।
আন্দুলন কারীগন বিএনপির নয়া পল্টন কার্যালয়ে একাত্তরের রেম্ব ও পচাত্তরের টার্মিনেটর জেনারেল জিয়ার মুর্তি ভাংচুর করেন। এ বেপারে জানতে চাইলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক জাতীয়তাবাদী বলেন, কার্যালয়ে জিয়ার মুর্তি রাখলে এখানে নামাজ কবুল হবে না। একজন প্রকৃত মুসলিম কখনও এইসব মুর্তিপুজাকে মেনে নিতে পারে না। তাই আর মন্দির পেগডায় হামলা নয়, সবার আগে নয়া পল্টন কার্যালয় হতে জিয়ার মুর্তি সরাইতে হবে।
এ বেপারে বিস্তারিত জানতে ফখা ইবনে চখার সংগে যোগাযোগ করা হলে তিনি মুঠোফোনে কাদতে কাদতে বলেন, আমি রাজনীতী জগতের মেরাডনা। সবাই আমায় শুদু মারে।
নব নিযুক্ত কমিটির পৃষ্ঠপোষক শহীদুদ্দি এনি ও সালাউদ্দি টুকুর সংগে যোগাযোগ করা হলে তারা বলেন, আন্দুলন কার বিরুদ্ধে হচ্ছে তা বড় কথা নহে। ঈদের পরে আন্দুলন শুরু করতে পারছি, ইহাই বড় কথা। একবারে আপনারে চিনতে পারলে যাবে অচিনারে চিনা। চেরিটি বিগিনস এট হম।
শহীদুদ্দি এনি ও সালাউদ্দি টুকু নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, পচ্চিম বংগ হতে মমতা বেনারজির পাঠান ভাল ভাল হাতবুমা গুলু নয়া পল্টনের আশেপাশে ফুটাইয়া শেষ করিয়া ফেললে পরে নিম্নমানের লুকাল হাতবুমা দিয়া বাকশালের সংগে যুদ্ধ করতে হবে। আপনারা সাংবাদিকরা একটু আন্দুলনকারীদের বুঝাইয়া বলেন।