Posts tagged ‘বিস্ফোরন’

November 30, 2013

সরকার এ দায় এড়াতে পারে না: মতিচুর

নিজস্ব মতিবেদক

ফরিদপুর জেলার চর আদমপুর গ্রামে ককটেল রচনার সময় বিস্ফোরনে জিল্লুর সর্দার নামক জনৈক মানবাধিকার কর্মীর দুই হাতের কব্জি উড়ে যাওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করে প্রভাবশালী এলাকা কারওয়ানবাজারের সর্দার ও ১১০% অরাজনৈতিক সংগঠন ‘হেফাজতে মাহমুদুরের’ প্রতিষ্ঠাতা আমীর মতিচুর রহমান আজমী বলেছেন, জিল্লুরের কব্জি উড়ে যাওয়ার দায় বাকশালী সরকার এড়াইতে পারে না।

আজ কারওয়ানবাজারে আয়জিত এক সংবাদ সম্মেলনে মতিচুর এ ক্ষোভ প্রকাশ করেন।

মতিচুর রহমান বলেন, এ ফেসিবাদী সরকার দাতে কামড়াইয়া গদি আকড়াইয়া ধরে রাখতে চায়। আমাদের গর্বের ধোন তত্তাবধায়ক সরকার বেবস্থা, যে বেবস্থায় আমরা সর্দারেরা কিছু টেকাটুকা কামাই, কিছু জমি দখল, কিছু পারমিট আদায়, কিছু ঋন মকুবের সুযুগ পাইতাম, সে সম্ভাবনাময় বেবস্থাটিকে গলা টিপে মারল। তত্তাবধায়ক বেবস্থা থাকলে আজ আমার কারওয়ানবাজারের বন্ধু আকবর আলী, হোসেন জিল্লুর, মির্জ্জা আজিজুল প্রভৃতি উপদেস্টা হতে পারত। সাভারে ও গাজীপুরে কিছু জমি দখল করার ইচ্ছা ছিল, তা নিরিবিলি সারিয়া লইতে পারতাম। কিন্তু না, হারামজাদা বাকশাল সব প্লেন তছনছ করিয়া দিল।

আবেগঘন কণ্ঠে মতিচুর আজমী বলেন, সরকার গ্রাম বাংলায় মাঠে ঘাটে হিংস্র পুলিশ বাহিনী নিয়গ দিয়া রাখছে। তাই বিদেশ হতে উন্নত মানের তৈরী বোমা আমদানীর পরিবর্তে বৃহত্তর জামায়াতের নিরুপায় অসহায় খানকির পুলা নেতা কর্মীরা কুটিরে বসে কুটির শিল্পের মাধ্যমে দেশী ককটেল রচনা করতেছে। তাই পাংশা উপজেলার জামাল সর্দারের আদরের পুত্র জিল্লুর সর্দারের কব্জি উড়ে যাওয়ার দায় সরকার এড়াইতে পারে না। জিল্লুরের কব্জি উড়ে যাওয়ার অপরাধে বাকশালের মহিলা আমীর শেখের বেটীর উচিত অবিলম্বে নির্দলীয় নিরপেক্ষ আকবর আলী খানের হাতে নির্বাহী ক্ষমতা হস্তান্তর করা।

কারওয়ানবাজারের উপসর্দার ও আইভরী কোষ্ট ফিরত উপন্যাসিক আমিষুল হক পুটুনদা বলেন, শেখের বেটী আর কত নংরা রাজনীতী করবেন? তিনি গদিতে লেটকাইয়া পড়িয়া থাকার কারনে আজ আমাদের দুর্বৃত্ত ভাইদের বাসে টেম্পুতে আগুন দিয়া মানুষ পুড়াইতে হইতেছে। একটা গাড়িতে আগুন দেওয়ার কত কস্ট আপনারা কি জানেন না? কেন দুর্বৃত্তদের এইরুপ খাটনির মুখে ঠেলিয়া দিতেছেন? সরকার এই খাটনির দায় এড়াতে পারে না।

হুহু করে কেদে উঠে পুটুনদা বলেন, পু।

October 24, 2013

লেপটপের পর এইবার কুরআন বিস্ফোরন

নিজস্ব মতিবেদক

চট্টগ্রামে হেফাজতে ইসলামের নায়েবে আমীর মুফতি ইজাহারুল ইসলামের মালিকানাধীন জামেয়াতুল উলুম আল ইসলামিয়া মাদ্রাসায় বিরাট লেপটপ বিস্ফোরনের পর এইবার মিরসরাই উপজেলার জোরারগঞ্জে বৃহত্তর জামায়াতে ইসলামীর মালিকানাধীন কোরআন শিক্ষার প্রতিষ্ঠান তালিমুল কুরআন একাডেমিতে কুরআন বিস্ফোরণ ঘটেছে।

জোরারগঞ্জ থানার ওসি মতিকণ্ঠকে জানান, তালিমুল কুরআন একাডেমির মালিক ফারুক বৃহত্তর জামায়াতের চট্টগ্রাম শাখার মিরসরাই উপশাখার জোরারগঞ্জ পাতিশাখার খানকির পোলায়ে আমীর।

পুলিশ জানায়, ঘটনাস্থল থেকে দুই জোড়া সেন্ডেল, বোমা তৈরির বিভিন্ন সরঞ্জাম ও আলামত উদ্ধার করা হয়েছে।

এ বেপারে এক বিবৃতিতে নিখিল বাংলাদেশ হোটেল মালিক সমিতির সভাপতি এডভকেট সাহারা খাতুনের মালিকানাধীন দি এমপেরিয়াল হোটেল এন্ড গেষ্ট হাউসে আত্মগুপনরত বৃহত্তর জামায়াতের ভাঁড়প্রাপ্ত খানকির পোলায়ে নায়েব রফিকুল ইসলাম খান বলেন, মুফতি ইজাহারের মাদ্রাসায় যেমন লেপটপ বিস্ফোরন ঘটেছিল, তালিমুল কুরআন একাডেমিতেও তেমনি কুরআন বিস্ফোরন হয়েছে। এর সংগে ২৫ অক্টবরে বৃহত্তর জামায়াতের হানাহানি বোমাবাজির কুন সম্পর্ক নাই।

আবেগঘন ফন্টে রফিকুল বলেন, কখন কি বিস্ফোরিত হয়, কে বলিতে পারে? সবই আল্লাহ পাকের ইচ্ছা। তার ইচ্ছা ছাড়া গাছের পাতাটিও নড়ে না। তিনি চাইলে লেপটপ কুরআন সবই বিস্ফোরিত হইতে পারে।

October 8, 2013

ফেরারী পাখীরা কুলায় ফিরে না: মুফতি ইজাহার

নিজস্ব মতিবেদক

আইন শৃংখলা রক্ষা বাহিনীর প্রতি বৃদ্ধাংগুষ্ঠী প্রদর্শন করে নেজামে ইসলামীর আমীর মুফতি ইজাহারুল ইসলাম বলেছেন, পুলিশের নাকের সামনে দিয়া বাইর হইয়া পলায়ন করিলাম, আর এখন পুলিশ আমায় আদাড়ে বাদাড়ে সন্ধান করিয়া মরে। এইসব খেলা বাদ দেও। ফেরারী পাখীরা কুলায় ফিরে না।

আজ নিখিল বাংলাদেশ হোটেল মালিক সমিতির সভাপতি ও ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী এডভকেট সাহারা খাতুনের মালিকানাধীন দি এমপেরিয়াল হোটেল এন্ড গেষ্ট হাউসের কক্ষে আয়জিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন মুফতি ইজাহার।

মুফতি ইজাহার বলেন, মাদ্রাসার ঘর বাষ্ট করেছে ইহাই বড় কথা। গ্রেনেড ফুটিয়া বাষ্ট করল নাকি লেপটপ ফাটিয়া বাষ্ট করল, তাহা কুন বড় বিষয় নহে। কিন্তু রেব পুলিশের আচরন দেখিলে মনে হয়, উহারা জীবনে কখন গ্রেনেড বাষ্ট করিতে দেখে নাই। আবার মামলা দিয়াছে আমার ও আমার মাসুম মুজাহিদ পুত্র হারুনের নামে। মাদ্রাসার গরিব পুলাপান থাকতে আমরা গ্রেনেড বান্ধিব কুন দুঃখে?

আবেগঘন কণ্ঠে মুফতি ইজাহার বলেন, গতকাল সাংবাদিকদের সংগে কথাবার্তা বিনিয়ম করতেছিলাম। কিন্তুক পুলিশের আচরন দেখিয়া মনে হল উহারা আমায় গ্রেফতার করিলেও করিতে পারে। আমি তখন বিষ্ফোরনে ছিটকাইয়া পড়া একটি মার্বেল টুকাইয়া এস্তেনজা করিতে গেলাম। তাহার পর মার্বেলটিকে কুলুখ আকারে বেবহার করিয়া বাইর হইলাম। দায়িত্ব রত পুলিশটিকে বলিলাম, আমায় এখন চল্লিশ কদম হাটিতে হইবেক। বাধা দিলে আমার ধর্মীয় অনুভুতিতে আঘাত লাগিবেক। তাহারা তখন আমায় হাটিতে দিল। মাশা আল্লাহ, আটতিরিশ কদম হাটিতেই একটি রিকশা পাইয়া গেলাম। তার পর পলাইয়া আসিয়া উঠিলাম এমপেরিয়ালে, আলহামদুলিল্লাহ।


সুখের লাগিয়া গ্রেনেড বাধিনু, অনলে পুড়িয়া গেল

 

হাসতে হাসতে মুফতি ইজাহার বলেন, আপাতত আত্মগুপনে আছি। গ্রেনেড বান্ধিতে গিয়া যাহারা আহত হইয়াছে, তাদের উত্তম রুপে চিকিতসা করিয়া সুস্থ করার দায়িত্ব সরকারের। সরকারের টেকায় তাহাদের চিকিতসা হইবার পর উহাদের জামিন করাইবার দায়িত্ব বৃহত্তর জামায়াতের উকিলে আমীর বেরিষ্টার রাজ্জাকের। এইসব গ্রেফতার টেফতার আমাদের লাইনে দুদভাত। আমারেও ত গ্রেফতার করছিল। তাতে কি লাভ হইছে? আবার ত জামিন লইয়া বাইর হইয়া উন্নতমানের গ্রেনেড উতপাদন করিতেছি। আগার ফেরদৌস বরোয়ে জমিন আস্ত, জামিন আস্ত, জামিন আস্ত, জামিন আস্ত।

অবিলম্বে ১৮ দলীয় জোটকে ক্ষমতা গ্রহনের আহ্বান জানিয়ে মুফতি ইজাহার বলেন, চার দলীয় জোটের সময় সিংগারা সমুছার নেয় আর্জেস গ্রেনেড মিলত। এখন কিনা নিজের গ্রেনেড নিজেরেই বানাইয়া লইতে হয়। আমরা কি এই বাংলাদেশ চেয়েছিলাম?

October 7, 2013

মুফতি ইজাহারের মাদ্রাসায় বিস্ফোরন

নিজস্ব মতিবেদক

চট্টগ্রামে হেফাজতে ইসলামের নায়েবে আমীর মুফতি ইজাহারুল ইসলামের মালিকানাধীন জামেয়াতুল উলুম আল ইসলামিয়া মাদ্রাসায় বিরাট বিস্ফোরন ঘটেছে।

এই বিস্ফোরনে মাদ্রাসার ৫ জন মর্দে মুজাহিদ আহত হন।

মুফতি ইজাহার মতিবেদককে মুঠোফোনে বলেন, বিজ্ঞান আমাদের দিয়াছে বেগ, আর কেড়ে নিয়াছে আবেগ। মাদ্রাসার কতিপয় মুজাহিদ নিজেদের কক্ষে লেপটপ স্থাপন করিয়া ইসলামী ব্লগিং করিত। ইসলামী ব্লগিং এর ফাকে ফাকে তাহারা নাস্তিক শাহাবাগীদের চরিত্র নিয়া গবেষনার উদ্দেশ্যে কিছু শিক্ষা মুলক উলংগ ইয়াহুদী নাছাড়া ওয়েব সাইটে প্রবেশ করে। সেই ওয়েব সাইট ভর্তি ছিল পুনম পাণ্ডে ও সানি লিওনির ছবি। গবেষনার উদ্দেশ্যে তাহারা সেই সব ছবি ডাউনলড করিয়া লেপটপে জমা করিয়া রাখছিল।

আবেগঘন কণ্ঠে মুফতি ইজাহার বলেন, সেই সব ছবি এত হট যে আজ গবেষনার উদ্দেশ্যে জমা কৃত সকল ছবি লেপটপের তাপমাত্রা মারাত্মক পরিমানে বৃদ্ধি করে, এবং এক পর্যায়ে লেপটপ ও ইউপিএস এক সংগে বাষ্ট করে। এই বিস্ফোরনের জন্য দায়ী বিজ্ঞান, সানি লিওনি, পুনম পাণ্ডে ও ইন্টারনেট।

লেপটপ বিস্ফোরনের জন্য কারওয়ানবাজারের সর্দার ও ১১০% অরাজনৈতিক সংগঠন ‘হেফাজতে মাহমুদুর’ এর প্রতিষ্ঠাতা আমীর মতিচুর রহমান আজমীর নিকট ১ কুটি টাকা ক্ষতিপুরন দাবী করে মুফতি ইজাহার বলেন, সরল মতি মাদ্রাসা ছাত্রদের মনে পুনম সানির বীজ রোপন করেছে কারওয়ানবাজারের সর্দার মতিচুর। এই বিস্ফোরনের ক্ষয়ক্ষতির জন্য তাহাকেই টেকাটুকা দিতে হবে।

মুফতি ইজাহারের অভিযোগের কোন সরাসরি উত্তর না দিয়ে মতিকণ্ঠকে দেওয়া এক প্রতিক্রিয়ায় কারওয়ানবাজার সর্দার মতিচুর রহমান আজমী বলেন, ঘরে এসি না থাকলে পুনম সানির ছবি ভিডিও না দেখাই ভাল।

ভবিষ্যতে মাদ্রাসা ছাত্রদের ফ্রিজে লেপটপ সংরক্ষনের পরামর্শ দিয়ে মতিচুর রহমান আজমী বলেন, ঠাণ্ডা ঠাণ্ডা কুল কুল।