দুধেল ছাগীর সন্ধানে মকসুদ

নিজস্ব মতিবেদক

সদ্য ইসলাম গ্রহনকারী হলিউডি তারকা আঞ্জুমান আরা জলির চ্যালেঞ্জ গ্রহন করে গান্ধী হওয়ার পথে আরো এক ধাপ অগ্রসর হলেন বিশিষ্ট ইতিহাসবিদ ও কলামিস্ট সৈয়দ আবুল মকসুদ।

আঞ্জুমান আরা জলি গত ২৩শে অক্টোবর এক সংবাদ সম্মেলনে মকসুদের উদ্দেশ্যে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে বলেন, “গান্ধী হতে চাইলে নেংটি পরে পথে নামুন, ছাগল পালুন, ছাগলের দুধ খেয়ে জীবন ধারন করুন।”

তার আহ্বানে সাড়া দিয়ে গতকাল মকসুদ নেংটি পরে পথে নামেন। এই শোডাউনের কারন জানতে চাইলে তিনি বলেন, “সুন্দরী নারীর আহ্বানে আমি আজীবন সাড়া দিয়ে যাব।”

মকসুদের এ বক্তব্যকে যৌন ইঙ্গিতপুর্ন বলে প্রত্যাখ্যান করেন জলি। তিনি এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, “মকসুদের এ বক্তব্য ইসলামসম্মত নয়। তিনি আমার প্রতি ভুরুঙ্গামারির ইঙ্গিত করেছেন। দেশে শরীয়াহ আইন থাকলে মকসুদের খাগড়াছড়িটি কাটা পড়ত।”

মার্কিন রাষ্ট্রদূত, দুধেল ছাগী ও মকসুদ

আজ জলির আহ্বানে আরও এক ধাপ সাড়া দিয়ে একটি দুধেল ছাগীর সন্ধানে নামেন এই প্রবীন ইতিহাসবিদ। মার্কিন রাষ্ট্রদূত মার্কিন দূতাবাসে একটি মার্কিন ছাগী মকসুদের জন্য উপহার হিসেবে প্রদর্শনের আয়োজন করেন।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মকসুদ বলেন, “দুধ না খেলে হবে না ভালো ছেলে।”

“মিডিয়া এখন কুথায় যাবে?”

বিশেষ মতিবেদক

নারায়নগঞ্জ সিটি কর্পরেশন নির্বাচন শেষ হয়ে যাওয়ার পর মিডিয়া এখন গভীর সংকটে নিমজ্জিত। আজ রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত “মিডিয়া এখন কুথায় যাবে” শীর্ষক গোল টেবিল সভায় বক্তারা এ মত দেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক দৈনিক সম্পাদক বলেন, “নারায়নগঞ্জ আমাদের জন্য একটি মাইলফলক ছিল। গত দুই মাস আমরা নারায়নগঞ্জ বেচে খেয়েছি। আর আজ নারায়নগঞ্জ নির্বাচন শেষ। আমরা খবর সংকটে ভুগছি।”

একটি বেসরকারী টিভি চ্যানেলের নির্বাহী সম্পাদক নাম প্রকাশ না করার শর্তে মতিকণ্ঠকে বলেন, “নারায়নগঞ্জ নির্বাচন শেষ বলে আমাদের এখন টংগীতে বাছুর ধর্ষনের ওপর স্টোরি করতে হচ্ছে। এভাবে চলতে পারে না।”

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একটি ইংরেজি দৈনিকের সম্পাদক বলেন, “অবিলম্বে ঢাকা সিটি কর্পরেশনকে চার টুকরা করে তিন মাস পর পর এইসব টুকরায় নির্বাচন দেয়া হোক।”

অনুষ্ঠানে উপস্থিত বিশিষ্ট ইতিহাসবিদ ও কলামিষ্ট সৈয়দ আবুল মকসুদ বলেন, “ভুরুংগামারীকে সিটি কর্পরেশন ঘোষনা করা হোক। এই দাবি আমার একার দাবি নয়, এই দাবি পূর্ববঙ্গের সমগ্র মুসলমানের দাবি।”

মকসুদের কথায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত সম্পাদকবৃন্দ প্রবল সমর্থন দেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একটি সাপ্তাহিকের সম্পাদক মতিকণ্ঠকে বলেন, “ভুরুংগামারী সিটি কর্পরেশন নির্বাচনেও শামীম ওসমান ও তৈমুর খন্দকারকে প্রতিযোগীতা করতে বলা হচ্ছে। কারওয়ানবাজার এ ব্যাপারে তাদের সাথে যোগাযোগ ও দরদাম চালাচ্ছে।”

ইতিহাসবিদ মকসুদের সাথে এ ব্যাপারে মন্তব্য চাইলে তিনি মতিকণ্ঠকে বলেন, “ভুরুংগামারীর মেয়রকে হতে হবে সৎ, সুন্দর। তার দেহে থাকতে হবে লাবণ্য, মনে থাকতে হবে আনন্দ।”

তিনি নিজে মেয়র পদে নির্বাচনে দাড়াবেন কি না জানতে চাইলে মকসুদ স্মিত হেসে বলেন, “তোমাদের পাশে এসে বিপদের সাথী হতে আজকের চেষ্টা আমার।”

জনমতিজরিপ ২৯.১০.১১

কেন্দ্রে ক্যামেরার দাবি তৈমুরের, প্রতিবাদ অরুণ চৌধুরীর

বিশেষ মতিবেদক

নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ১৬৩ কেন্দ্রের ‘সবগুলোই’ ঝুঁকিপূর্ণ দাবি করে সব কেন্দ্রে ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরা বসানো এবং র‌্যাব মোতায়েনের দাবি জানিয়েছেন বিএনপি সমর্থিত মেয়র পদপ্রার্থী তৈমুর আলম খন্দকার।

তৈমুর বলেন, “সব কেন্দ্রে সিসিটিভি বসাতে হবে। নির্বাচনী কেন্দ্রের সিকিউরিটি লই ছুদুরবুদুর ছইলত ন।”

তিনি প্রয়োজনে নির্বাচন কমিশনকে কানিজ আলমাস খানের সহযোগিতা ও পরামর্শ নিতে বলেন।

তৈমুর আলম খন্দকারের এ দাবির প্রতিবাদ করে একটি তাৎক্ষনিক বিবৃতি দেন বিশিষ্ট নাট্যকার অরুণ চৌধুরী। তিনি বিবৃতিতে বলেন, ক্যামেরার সার্কিট ক্লোজ হলেও তা সবকিছু দুনিয়ার সামনে ওপেন করে দেয়। এতে মানী লোকের মান মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়। তাই নাগরিকের সম্ভ্রম রক্ষার্থে কেন্দ্রে ক্যামেরা বসানো থেকে বিরত থাকতে হবে।

এ ব্যাপারে কানিজ আলমাস খানের বক্তব্য জানতে চাইলে তিনি বলেন, “নির্বাচন কমিশন এ ব্যাপারে এখনও আমার সাথে যোগাযোগ করেনি। আমি সিসিটিভির ব্যাপারে ইসিকে সবরকম সহযোগিতা করতে প্রস্তুত।”