Archive for ‘তারার মেলা’

November 7, 2016

আদালতঃ বোলার শাহাদতের কুনো দুষ নাই

৫ নম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল আদালতের মহিলা বিচারক তানজিনা ইসমাঈল গৃহকর্মী নির্যাতনের মামলায় ক্রিকেটার শাহাদত হোসেন এবং তার স্ত্রী জেসমিন জাহানের কুনো দুষ খুজে না পেয়ে তাদেরকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন।

বিচার কার্য চলা কালে শাহাদতকে নিচের ছবি দেখালে তিনি বলেন, আমি তার গায়ে হাত তুলি নাই আল্লাহর কসম। শুনেন, আমি জাতীয় দলে খেলা ফাষ্ট বোলার। তাই সে যখন আমরার বাসায় কাজ করতে আসে, তখনই চুক্তি হইছিল, সে বাসায় আমার বোলিং পেকটিসের সময় হেলপ করবে। তারে তো বেটসমেন বানান যায় না, তাই সে হবে বেটসগার্ল। তো এক দিন তারে বোলিং করার সময় বাউন্সার দিছিলাম। সে ঠিক মতন খেলতে পারে নাই। বল গিয়া লাগে তার চুখের পাশে। এখন মাননীয় আদালত, আপনেই বলেন সে যদি হেলমেট না পইরা বেটিং করতে নামে, সেইটা আমার দুষ? আপনেই বলেন বোলারের বল বেটসমেনের গায়ে লাগার কারনে মামলা করা হইছে, এমন ইতিহাস দুনিয়ার কুথাও আছে?

shaha

ইতি পুর্বে স্ত্রীকে মারধর ও যৌতুকের মামলায় কারাগারে থাকা কণ্ঠশিল্পী আরফিন রুমির জামিনের রায় দেওয়া এই মহিলা বিচারক তানজিনা ইসমাঈল তখন ফরিয়াদি পক্ষকে পশ্ন করেন, আসামী পক্ষ বলতেছে এক কথা, আর আপনারা দাবি করতেছেন শিশু মেয়েটারে মারা হইছে, গায়ে গাত তোলা হইছে। আপনাদের দাবির সপক্ষে কুনো ভিডু আছে?… নাই? কথা শেষ। মামলা ডিশমিস।

শিশু নির্যাতন মামলায় মহিলা বিচারপতির রায়ে বেকসুর খালাস পাওয়া শাহাদত এর আগে এক সাক্ষাতকারে “মেয়েরা আপনাকে এত পছন্দ করে কেন?” এই প্রশ্নের উত্তরে বলছিলেন, “এটা আমি তো জানি না…হা হা হা। সবচেয়ে বড় কথা স্মার্টনেস। এটা অনেকের মধ্যেই নেই, আমার আছে। স্মার্টনেস জানেন তো? মানে পোশাক-আশাক, চালচলন। হাইটটা অনেক ইম্পর্টেন্ট। সবার স্মার্টনেস হাইটের জন্যই হয়। আমার মতো যাঁরা লম্বা, তাঁরা দেখবেন অনেক সময় গুজা (কুঁজো) হয়ে হাঁটে। এ রকম আমার মধ্যে নেই। স্মার্ট হওয়ার জন্য যা দরকার ওটা আমার মধ্যে আছে।… প্লেয়াররা সবাই বলে দাড়ি থাকলে আমাকে আফ্রিদি আফ্রিদি লাগে। বিদেশে গেলেও দাড়ি থাকলে কেউ বলে না যে আমি বাংলাদেশি। বলে পাকিস্তানি।… আমার হাইটটা অনেক ইম্পরটেন্ট। চেহারাও আল্লাহর রহমতে ভালো।”

September 21, 2016

প্রতিষ্ঠিত হল “এফএফএফ”

নিজস্ব মতিবেদক

সমাজ, সংসার ও সরকারের নীপীড়ন নীর্যাতনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের নতুন প্লাটফর্ম হিসেবে রাজনীতীর মঞ্চে প্রবেশ করেছে নতুন সংঘটন “ফিউরিয়াস ফখা ফ্রেটারনিটি” ওরফে “এফএফএফ”।

মংগলবার সন্ধ্যায় প্রেস ক্লাবে আয়জিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ সংঘটনের আত্ম প্রকাশের কথা তুলে ধরেন এফএফএফের প্রতিষ্ঠাতা আমীর ও বৃহত্তর জামায়াতের বিএনপি শাখার ভাঁড়মুক্ত মহানায়েব, জাতীয়তাবাদী শক্তির ‘কমপ্লান বয়’, লনডনে পলাতক চিকিতসাধীন আওলাদে আমীর বড় গুণ্ডে কতৃক ‘হাইড এন্ড সিক’ গালিতে ভুষিত ও ঈদুল কতলের টেলেন্ট হান্ট প্রতিযোগীতায় ‘ফ্লেয়ার এন্ড লাবলি’ খেতাবে সমাদৃত মির্জা বাড়ির বড় গৌরব আল্লামা মির্জা ফখরুল ইসলাম আগুনগীর ওরফে ফখা ইবনে চখা।


কাদলেন ফখরুল

সংবাদ সম্মেলনে আগুনগীর বলেন, আজ বাংলার রাজনীতীর আকাশে কাল মেঘের ঘনঘটা। কুথা হতে কি ঘটতেছে, বুঝা মুশকিল। চারিদিকে হয় জংগীর হামলা, নয় পুলিশের মামলা। তার উপরে যদি আপনার নাম ফখ দিয়া শুরু হয়, আপনার জীবন শেষ।

হুহু করে কেদে উঠে ফখা ইবনে চখা বলেন, নিজের কথা ভাবি না। বিএনপি শাখার মহানায়েব আমি, সমস্ত অন্যায় মামলা হামলা ঝামলা আমার উপর দিয়া যাবে। উহার জন্যই আমায় মহানায়েব বানান হইছে। কিন্তু অন্য ফখরুলদের দুঃখে আমার রাত্রকালে ঘুম আসে না।

অশ্রু মুছে রাগারাগি করে মির্জা বাড়ির বড় গৌরব বলেন, কিছুদিন আগে বেরিষ্টার ফখরুলরে ব্রাদারফাকার সাকার মামলায় ট্রায়বুনালের রায় চুরির দায়ে দশ বছরের জেল দিয়া দিল। আপনারাই বলেন উহা কেমন বিচার? ট্রায়বুনালের রায় কেন, ঐশ্যরিয়া রায়রে চুরি করলেও ত দশ বছরের জেল দেওন উচিত না। কাঠগড়ায় তুলিয়া দুটু বকা দিয়া দিলেই ত চলত। কিংবা কানে হেডফুন বান্ধিয়া এস আই টুটুলের “আয় খোকা আয়” একশ বার শুনাইয়া দিলেই হইত। তা না করিয়া উহারে দিল হাজতে পাঠাইয়া। কেনে? কারন তার নাম ফখরুল। সে যদি বেরিষ্টার বদরুল, বেরিষ্টার সদরুল, বেরিষ্টার নজরুল, বেরিষ্টার ফজলুল, বেরিষ্টার কামরুল, বেরিষ্টার জামরুল ইত্যাদি হত, কুন সাজাই তার হত না। শুদু মাত্র ফখরুল হওয়ার কারনে তারে এইরুপ হেনস্তা করা হইল। কই, ব্রাদারফাকার সাকার বিবি আওলাদের ত কুন সাজা হল না। পাপ করল সবাই, জেল হইল ফখরুলের। ইয়ে কেয়সা অবিচার?

আবারও কেদে ফেলে ফ্লেয়ার এন্ড লাবলি বলেন, তার পর দুই দিন পার হইয়া সারল না, বিশিষ্ঠ অভিনেতা ফখরুল হাসান বৈরাগীরে ফেসিবাদী বাকশালী সরকার গুমখুন করল। যদিও সে জেন্ত ফিরত আসিয়া বলতেছে যে সরকার উহাকে গুম করে নাই, খুনও করে নাই, সে গালফেন্ডের অত্যাচারের ঠেলায় আপন পুত্রের বাসায় গিয়া উঠছিল, কিন্তু বাকশালী সরকারের চাপে নীপীড়ীত বেক্তিরা কত কথাই ত বলতে বাধ্য হয়। আসল ঘটনা হইতেছে, শুদু নেতা ফখরুলরে অত্যাচার করিয়াই বাকশালের পেট ভরে নাই, তাই তারা অভিনেতা ফখরুলের পিছেও লাগছে। কুন প্রকার ফখরুলরেই উহারা জুলুম না করিয়া থাকতে পারে না।

তত্তাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেস্টা ফখরুদ্দির কথা উল্লেখ করে আবেগঘন কণ্ঠে আগুনগীর বলেন, কত উপদেস্টাই ত আইল গেল। কিন্তু শুদু মাত্র নামখানা ফখ দিয়া শুরু হওয়ার কারনে আজ সে লুকটি দেশছাড়া। দেশে আসলেই হয়ত দিবে জেলে ঢুকাইয়া, কিংবা গুম করিয়া। যদি সে বকরুদ্দি, সদরুদ্দি, কামরুদ্দি, জামরুদ্দি হইত, কুন সমস্যাই তার হত না।

অবিলম্বে জাতি ধর্ম বর্ন লিংগ নির্বিশেষ সকল প্রকার ফখার উপর সকল প্রকার জুলুমবাজী বন্ধের আহোভান জানিয়ে ফখা ইবনে চখা বলেন, ফিউরিয়াস ফখা ফ্রেটারনিটি সকল মজলুম ফখার পাশে আছে। নেতা হন কিংবা অভিনেতা, উকিল হন কিংবা আসামী, পুলিশ হন কিংবা চুর, নাম ফখ দিয়া শুরু হইলে এফএফএফ আপনার পাশে থাকবে।

অধুনা নিস্ক্রিয় ফেন্টাষ্টিক ফাইভের প্রসংশা করে আগুনগীর বলেন, তারা ছিল ডাবুল এফ। মাত্র পাচটি পাণ্ডে একত্র হইয়া রাজপথ কাপাইয়া দিছিল। আমরা ট্রিপুল এফ। আমরা কি পারব না?

বৃস্টিপাত কমার পর প্রেস ক্লাবের সামনে একটি ফখাবন্ধনের ডাক দিয়ে কমপ্লান বয় বলেন, ফেলুদায় আছিল সুপারমেন প্রখর রুদ্র। আমরা হব উহার ইসলামী কাউন্টারপাট ফখর রুদ্র। ফখারা মাইর শুরু করলে কুন বাকশালী কান্দিয়া কুল পাবি না হুশিয়ার কয়ে দিলুম।

August 27, 2016

কেমনে বুঝব উহা তামিম আছিল: হান্নান

নিজস্ব মতিবেদক

নারায়নগঞ্জের পাইকপাড়ায় বন্দুকযুদ্ধে আইন শৃংখলা রক্ষা বাহীনীর হাতে নিহত জংগী নেতা তামিম চৌধুরীর নিহত হওয়ার সংবাদের প্রতি সন্দেহ জ্ঞাপন করে বৃহত্তর জামায়াতে ইসলামীর বিএনপি শাখার নায়েবে আমীর বিগ্রেডিয়ার জেনারেল (অবঃ) হান্নান শাহ বলেছেন, ফেসিবাদী বাকশালী সরকারের হাতে আরও তিনটি তাজা জংগী প্রান ঝড়ে গেল। পুলিশ বলতিছে তিনজনের মধ্যে একজন তামিম চৌধুরী। কিন্তু আমরা কি করিয়া বুঝব উহা সহীহ তামিম চৌধুরী আছিল?

নিজ বাসভবনে আয়জিত এক সংবাদ সম্মেলনে তামিমের নিহত হওয়ার ঘটনা নিয়ে গভীর সন্দেহ প্রকাশ করে হান্নান শাহ বলেন, পতৃকায় প্রকাশিত ছবি দেখিয়া পরিস্কার বুঝা যায় যে উহা তামিম চৌধুরী নহে, বরং কুমার বিশ্বজিত।

সংবাদ সম্মেলনে বিগ্রেডিয়ার হান্নান আবেগঘন কণ্ঠে বলেন, যে যুবক কেনাডার ওয়াসওয়াসায় আচ্ছন্ন জীবনের মায়া তেগ করিয়া এই ভরা যৌবনে বাংলাদেশের নেয় নিরানন্দ ফুর্তি বঞ্চিত দেশে আসিয়া খেলাফতের খেলায় ফতে হইল, যার নেতৃত্বে এত এত কাফের মোশরেকরে কিসাস করা হইল, পুলিশ কুটনীতীর নাকের আগায় বসিয়া যে গুলশানে বিশ পিস বিদেশী ও দুই পিস পুলিশ হত্যার সফল মিশন পরিচালনা করল, শোলাকিয়ায় যে যুবক বেয়াড়া আলেম আল্লামা মাসউদকে হত্যার লক্ষে মুজাহিদ পাঠাইয়া আপামর মুসলিমের ঈদের আনন্দে পানি ঢালিয়া দিল, সে কি এত সহজে নিরিহ বাছুরের নেয় গোয়ালে পুলিশের গুলি গোয়ায় বিদ্ধ করিয়া মৃত্যু বরন করতে পারে?

হাসতে হাসতে হান্নান বলেন, এতেই ত প্রমানিত হয় যে ঐ বেক্তি তামিম নহে। বরং ছবিতে প্রকাশিত দাড়ির নকশা দেখিয়া পরিস্কার বুঝা যায় যে উহা বখাটে শিল্পি কুমার বিশ্বজিত। বাকশাল জংগী মারার নাম করিয়া বাংলাদেশের কৌমার্য হরন করল। ইসকা বিচার করেংগা কউন?


কুমার বিশ্বজিত ও তামিম চৌধুরীর দাড়ি একই মডেলের

এ বেপারে পুলিশের সংগে যোগাযোগ করা হলে নাম প্রকাশ না করার শর্তে পুলিশের এক উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তা মতিকণ্ঠকে বলেন, গত কয়েকটি দিন ধরিয়া আমরার কন্ট্রল রুমে একটি বয়স্ক বান্দর প্রকৃতির লুক ফুন মারিয়া বহুত তেক্ত করতিছে। তার দেওয়া তথ্যে আমরা তামিম চৌধুরীরে ধরতে ঢাকা ও চট্টগ্রামের কয়েকটি হটেল ও বারে অভিযান চালাইয়া প্রত্যেক বার কুমার বিশ্বজিতরে পাইছি।

ক্ষোভ প্রকাশ করে পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, প্রত্যেক বারই আমরা কুমার বিশ্বজিতের নিকট হইতে ডিএনএ সংগ্রহের জন্যি ১০০ সিসি করিয়া রক্ত সংগ্রহ করছি। আমরার ফ্রিজ এখন সেই সব বুতল দ্বারা ভর্তি। সেই মিথ্যাবাদী বয়স্ক বানচুদ পুনরায় ফুন করিয়া আবার আমরারে হয়রান করতে লইছিল, আমরা উহাকে কঠর তিরস্কার করছি। তখন সে হাসতে হাসতে আমাদের বলল, চন্দনা গ রাগ কর না অভিমান করে বল আর কি হবে।

এ বেপারে কুমার বিশ্বজিতের সংগে যোগাযোগ করা হলে তিনি রাগারাগি করে মতিকণ্ঠকে বলেন, পুলিশ দুই দিন পর পর হটেল-বারে আমায় পাকড়াও করিয়া সুই ফুটাইয়া রক্ত টানিয়া লইতেছে। জানি না কুন ভেম্পায়ার উহাদিগকে এই বুদ্ধি দিয়াছে। যতই তাদের বলি আমি তামিম চৌধুরী নহি, তারা ততই আমার দাড়ি টানিয়া পরীক্ষা নীরীক্ষা করে।

হুহু করে কেদে উঠে কুমার বিশ্বজিত বলেন, ফ্রেন্স কাট দাড়ি রাখা কি অপরাধ?

July 24, 2016

জঙ্গীবাদের পথ থেকে ফিরে আসার ঘোষনা দিলেন জাফরুল্লা

নিজস্ব মতিবেদক

জঙ্গীবাদের পথ থেকে ফিরে আসার ঘোষনা দিয়ে রাজনীতীর ময়দানে চাঞ্চল্যের সৃস্টি করেছেন জাতীয়তাবাদী শক্তির বেড বয় ও জামদানীর সমঝদার ডাক্তার জাফরুল্লা।

শনিবার দিবাগত রাত্রে নিজ বাসভবনে আয়জিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ চাঞ্চল্যকর ঘোষনা দেন ডাক্তার জাফরুল্লা।

সংবাদ সম্মেলনে জাতীয়তাবাদী শক্তির বেড বয় বলেন, জঙ্গীবাদ এক ধরনের প্রতিবাদ। ফেসিবাদী বাকশাল সরকারের নিষ্ঠুর পুলিশের অত্যাচারে দিশাহারা নিপীড়ীত মজলুম জনতার পুলাপানই জঙ্গীবাদের মাধ্যমে প্রতিবাদ জানাইতেছে। আর আপনারা জানেন, আমিও একজন চির প্রতিবাদী। তাই এই জালেম সরকারের বিরুদ্ধে আমিও জঙ্গীবাদের পথে রওনা দিয়াছিলুম। কিন্তু আজ আমি সেই পথ হতে ফিরত আসার ঘোষনা দিলুম।

উপস্থিত সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে আবেগঘন কণ্ঠে জাফরুল্লা বলেন, জঙ্গীবাদ যে প্রতিবাদ, এই থিউরি দিলে তুমাদের এত পুটু জ্বলে কেনে? জঙ্গী নিরবাস, জঙ্গী রোহান, জঙ্গী মবাশ্বেরের পিতাদের কুনদিন পুলিশ পিটায় নাই, এই ফেক্ট দিয়া তুমরা আমার সুন্দর থিউরিতে মুতার জন্য এত বেচেইন কেনে? আর তুমরা কেমনে জান কারা তাদের আসল পিতা? হয়ত গুপনে গুপনে জাতীয়তাবাদী শক্তির জাতির পিতা জয়নাল আবেদীন ফারুকই তাদের আসল পিতা। আর কে না জানে যে জয়নাল আবেদীন ফারুকরে হারুন এসপি অতীতে পিটাইয়া পাউডার বানাইয়াছিল?

জঙ্গীবাদের পথ হতে ফিরে এলে রেব কতৃক দশ লক্ষ টাকা পুরস্কারের ঘোষনা তাকে কোন প্রকারে এ সিদ্ধান্ত নিতে অনুপ্রেরনা দিয়েছে কিনা জানতে চাইলে প্রতিবাদঘন কণ্ঠে বেড বয় বলেন, রিজিক আল্লাহর হাতে। পিয়াস করিম হাগু, ফরহাদ মজহার লুংগি ও আসিফ নজরুল ইঞ্চি আমায় পাচ লক্ষ টেকার প্রলভন দেখাইয়া জঙ্গীবাদের রাস্তায় টানিয়া লইয়া গিয়াছিল। অতছ আজ জঙ্গীবাদের রাস্তায় উল্টাদিকে হাটা ধরায় রেব আমায় দশ লক্ষ টেকা দিবে। তবে এই টেকার সাথে আমার সিদ্ধান্তের কুন সম্পর্ক নাই।


ফিরে এল খোকা

সাংবাদিকরা সিদ্ধান্তের পিছনে আসল কারন জানতে চাপাচাপি করলে এক পর্যায়ে হুহু করে কেদে উঠে জাফরুল্লা বলেন, এস আই টুটুলের গান “ফিরে আয় খোকা” শুনিয়া আমি জঙ্গীবাদের রাস্তা হতে ফিরিয়া আসার ডিশিশনটা লইছি। এইভাবে ডাকলে কুন জঙ্গী না ফিরিয়া পারে? যদিও আমি খোকা নহি, কিন্তু আমি বোকাও নহি। এখন রেব পুলিশ বিজিবি মাইর শুরু করছে। এই মাইরের সিজনে জঙ্গীবাদ দিয়া প্রতিবাদ করে কাচ্চে খিলাড়িরা। আমি কাচ্চে নহি, পাক্কে।

কিন্তু উপস্থিত সাংবাদিকদের আরেক প্রশ্নের জবাবে এক পর্যায়ে জাফরুল্লা নতি স্বিকার করে বলেন, শাকিলা জাফরের কারনেই আমি জংগী হইয়াছিলুম।

শাকিলা জাফর কি করেছিলেন জানতে চাইলে অভিমানঘন কণ্ঠে জাফরুল্লা বলেন, কাজী জাফরের ইন্তেকালের পর যখন আমি নিপীড়ীত জাফর ঐক্যের আমীরের দায়িত্ব লইলাম, তখন একদিন গভীর রাত্রে শাকিলা জাফররে মুঠফুন মারিয়া কইলুম, কি গ শাকিলা জাফর কাইফা হালুকা? চল একদিন লিরিবিলি অন্তাকশরী খেলি। সে তখন আমায় বকাবকি করিয়া বলল, মিনসে আমি আর জাফর নাই, শর্মা হইয়া গিয়াছি। জাফরদের সংগে আমি এখন আর কথা বলি না। নাম পাল্টাইয়া শর্মাউল্লা হইতে পারিস যদি, তবেই কেবল রাত্রকালে মুবিলে কল দিস।

হুহু করে কেদে উঠে বেড বয় বলেন, অতছ আমি সেই এরশাদের আমল হতে তক্কে তক্কে আছিলুম। আমি মিথুন রাশির ছেলে, আর সে তুলা রাশির মেয়ে। কিন্তু পিশাচীনী শাকিলা কুন এক শর্মা হাউসের মালিকরে বিবাহ করিয়া শর্মা হইয়া গেল। তাই রাগে দুঃখে আমি ঠিক করলুম, এর প্রতিবাদে আমি জঙ্গী হইয়া যাব।

জঙ্গী জীবনে নিজের নাম পাল্টানোর কথা জানিয়ে জাফরুল্লা বলেন, আমার জঙ্গী নাম আছিল “আবু গনতন্ত্র।” এই নাম লইয়াই শাকিলারে জঙ্গী চুম্বন চুমাইয়া আইএসের ঘাড়ে দায় ফালানর পরিকল্পনা লইছিলুম। কিন্তু আজ সিদ্ধান্ত লইলুম, বহুত হুয়া, জঙ্গীবাদের পথে আর নহে। জাফর নামেই শাকিলারে যা করার করব। পিশাচীনী তুলা রাশি শাকিলার শর্মানুভুতি আমি তুলাধুনা করিয়া ছাড়ব।

এত নাম রেখে কেন “আবু গনতন্ত্র” নাম নিলেন, এ প্রশ্নের সরাসরি উত্তর না দিয়ে লজ্জায় দুহাতে মুখ ঢেকে রহস্য করে বেড বয় বলেন, জামদানীতে মেডামকে যা সুন্দর লাগে না!