৫ নম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল আদালতের মহিলা বিচারক তানজিনা ইসমাঈল গৃহকর্মী নির্যাতনের মামলায় ক্রিকেটার শাহাদত হোসেন এবং তার স্ত্রী জেসমিন জাহানের কুনো দুষ খুজে না পেয়ে তাদেরকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন।
বিচার কার্য চলা কালে শাহাদতকে নিচের ছবি দেখালে তিনি বলেন, আমি তার গায়ে হাত তুলি নাই আল্লাহর কসম। শুনেন, আমি জাতীয় দলে খেলা ফাষ্ট বোলার। তাই সে যখন আমরার বাসায় কাজ করতে আসে, তখনই চুক্তি হইছিল, সে বাসায় আমার বোলিং পেকটিসের সময় হেলপ করবে। তারে তো বেটসমেন বানান যায় না, তাই সে হবে বেটসগার্ল। তো এক দিন তারে বোলিং করার সময় বাউন্সার দিছিলাম। সে ঠিক মতন খেলতে পারে নাই। বল গিয়া লাগে তার চুখের পাশে। এখন মাননীয় আদালত, আপনেই বলেন সে যদি হেলমেট না পইরা বেটিং করতে নামে, সেইটা আমার দুষ? আপনেই বলেন বোলারের বল বেটসমেনের গায়ে লাগার কারনে মামলা করা হইছে, এমন ইতিহাস দুনিয়ার কুথাও আছে?
ইতি পুর্বে স্ত্রীকে মারধর ও যৌতুকের মামলায় কারাগারে থাকা কণ্ঠশিল্পী আরফিন রুমির জামিনের রায় দেওয়া এই মহিলা বিচারক তানজিনা ইসমাঈল তখন ফরিয়াদি পক্ষকে পশ্ন করেন, আসামী পক্ষ বলতেছে এক কথা, আর আপনারা দাবি করতেছেন শিশু মেয়েটারে মারা হইছে, গায়ে গাত তোলা হইছে। আপনাদের দাবির সপক্ষে কুনো ভিডু আছে?… নাই? কথা শেষ। মামলা ডিশমিস।
শিশু নির্যাতন মামলায় মহিলা বিচারপতির রায়ে বেকসুর খালাস পাওয়া শাহাদত এর আগে এক সাক্ষাতকারে “মেয়েরা আপনাকে এত পছন্দ করে কেন?” এই প্রশ্নের উত্তরে বলছিলেন, “এটা আমি তো জানি না…হা হা হা। সবচেয়ে বড় কথা স্মার্টনেস। এটা অনেকের মধ্যেই নেই, আমার আছে। স্মার্টনেস জানেন তো? মানে পোশাক-আশাক, চালচলন। হাইটটা অনেক ইম্পর্টেন্ট। সবার স্মার্টনেস হাইটের জন্যই হয়। আমার মতো যাঁরা লম্বা, তাঁরা দেখবেন অনেক সময় গুজা (কুঁজো) হয়ে হাঁটে। এ রকম আমার মধ্যে নেই। স্মার্ট হওয়ার জন্য যা দরকার ওটা আমার মধ্যে আছে।… প্লেয়াররা সবাই বলে দাড়ি থাকলে আমাকে আফ্রিদি আফ্রিদি লাগে। বিদেশে গেলেও দাড়ি থাকলে কেউ বলে না যে আমি বাংলাদেশি। বলে পাকিস্তানি।… আমার হাইটটা অনেক ইম্পরটেন্ট। চেহারাও আল্লাহর রহমতে ভালো।”