নিজস্ব মতিবেদক
সমাজ, সংসার ও সরকারের নীপীড়ন নীর্যাতনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের নতুন প্লাটফর্ম হিসেবে রাজনীতীর মঞ্চে প্রবেশ করেছে নতুন সংঘটন “ফিউরিয়াস ফখা ফ্রেটারনিটি” ওরফে “এফএফএফ”।
মংগলবার সন্ধ্যায় প্রেস ক্লাবে আয়জিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ সংঘটনের আত্ম প্রকাশের কথা তুলে ধরেন এফএফএফের প্রতিষ্ঠাতা আমীর ও বৃহত্তর জামায়াতের বিএনপি শাখার ভাঁড়মুক্ত মহানায়েব, জাতীয়তাবাদী শক্তির ‘কমপ্লান বয়’, লনডনে পলাতক চিকিতসাধীন আওলাদে আমীর বড় গুণ্ডে কতৃক ‘হাইড এন্ড সিক’ গালিতে ভুষিত ও ঈদুল কতলের টেলেন্ট হান্ট প্রতিযোগীতায় ‘ফ্লেয়ার এন্ড লাবলি’ খেতাবে সমাদৃত মির্জা বাড়ির বড় গৌরব আল্লামা মির্জা ফখরুল ইসলাম আগুনগীর ওরফে ফখা ইবনে চখা।
কাদলেন ফখরুল
সংবাদ সম্মেলনে আগুনগীর বলেন, আজ বাংলার রাজনীতীর আকাশে কাল মেঘের ঘনঘটা। কুথা হতে কি ঘটতেছে, বুঝা মুশকিল। চারিদিকে হয় জংগীর হামলা, নয় পুলিশের মামলা। তার উপরে যদি আপনার নাম ফখ দিয়া শুরু হয়, আপনার জীবন শেষ।
হুহু করে কেদে উঠে ফখা ইবনে চখা বলেন, নিজের কথা ভাবি না। বিএনপি শাখার মহানায়েব আমি, সমস্ত অন্যায় মামলা হামলা ঝামলা আমার উপর দিয়া যাবে। উহার জন্যই আমায় মহানায়েব বানান হইছে। কিন্তু অন্য ফখরুলদের দুঃখে আমার রাত্রকালে ঘুম আসে না।
অশ্রু মুছে রাগারাগি করে মির্জা বাড়ির বড় গৌরব বলেন, কিছুদিন আগে বেরিষ্টার ফখরুলরে ব্রাদারফাকার সাকার মামলায় ট্রায়বুনালের রায় চুরির দায়ে দশ বছরের জেল দিয়া দিল। আপনারাই বলেন উহা কেমন বিচার? ট্রায়বুনালের রায় কেন, ঐশ্যরিয়া রায়রে চুরি করলেও ত দশ বছরের জেল দেওন উচিত না। কাঠগড়ায় তুলিয়া দুটু বকা দিয়া দিলেই ত চলত। কিংবা কানে হেডফুন বান্ধিয়া এস আই টুটুলের “আয় খোকা আয়” একশ বার শুনাইয়া দিলেই হইত। তা না করিয়া উহারে দিল হাজতে পাঠাইয়া। কেনে? কারন তার নাম ফখরুল। সে যদি বেরিষ্টার বদরুল, বেরিষ্টার সদরুল, বেরিষ্টার নজরুল, বেরিষ্টার ফজলুল, বেরিষ্টার কামরুল, বেরিষ্টার জামরুল ইত্যাদি হত, কুন সাজাই তার হত না। শুদু মাত্র ফখরুল হওয়ার কারনে তারে এইরুপ হেনস্তা করা হইল। কই, ব্রাদারফাকার সাকার বিবি আওলাদের ত কুন সাজা হল না। পাপ করল সবাই, জেল হইল ফখরুলের। ইয়ে কেয়সা অবিচার?
আবারও কেদে ফেলে ফ্লেয়ার এন্ড লাবলি বলেন, তার পর দুই দিন পার হইয়া সারল না, বিশিষ্ঠ অভিনেতা ফখরুল হাসান বৈরাগীরে ফেসিবাদী বাকশালী সরকার গুমখুন করল। যদিও সে জেন্ত ফিরত আসিয়া বলতেছে যে সরকার উহাকে গুম করে নাই, খুনও করে নাই, সে গালফেন্ডের অত্যাচারের ঠেলায় আপন পুত্রের বাসায় গিয়া উঠছিল, কিন্তু বাকশালী সরকারের চাপে নীপীড়ীত বেক্তিরা কত কথাই ত বলতে বাধ্য হয়। আসল ঘটনা হইতেছে, শুদু নেতা ফখরুলরে অত্যাচার করিয়াই বাকশালের পেট ভরে নাই, তাই তারা অভিনেতা ফখরুলের পিছেও লাগছে। কুন প্রকার ফখরুলরেই উহারা জুলুম না করিয়া থাকতে পারে না।
তত্তাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেস্টা ফখরুদ্দির কথা উল্লেখ করে আবেগঘন কণ্ঠে আগুনগীর বলেন, কত উপদেস্টাই ত আইল গেল। কিন্তু শুদু মাত্র নামখানা ফখ দিয়া শুরু হওয়ার কারনে আজ সে লুকটি দেশছাড়া। দেশে আসলেই হয়ত দিবে জেলে ঢুকাইয়া, কিংবা গুম করিয়া। যদি সে বকরুদ্দি, সদরুদ্দি, কামরুদ্দি, জামরুদ্দি হইত, কুন সমস্যাই তার হত না।
অবিলম্বে জাতি ধর্ম বর্ন লিংগ নির্বিশেষ সকল প্রকার ফখার উপর সকল প্রকার জুলুমবাজী বন্ধের আহোভান জানিয়ে ফখা ইবনে চখা বলেন, ফিউরিয়াস ফখা ফ্রেটারনিটি সকল মজলুম ফখার পাশে আছে। নেতা হন কিংবা অভিনেতা, উকিল হন কিংবা আসামী, পুলিশ হন কিংবা চুর, নাম ফখ দিয়া শুরু হইলে এফএফএফ আপনার পাশে থাকবে।
অধুনা নিস্ক্রিয় ফেন্টাষ্টিক ফাইভের প্রসংশা করে আগুনগীর বলেন, তারা ছিল ডাবুল এফ। মাত্র পাচটি পাণ্ডে একত্র হইয়া রাজপথ কাপাইয়া দিছিল। আমরা ট্রিপুল এফ। আমরা কি পারব না?
বৃস্টিপাত কমার পর প্রেস ক্লাবের সামনে একটি ফখাবন্ধনের ডাক দিয়ে কমপ্লান বয় বলেন, ফেলুদায় আছিল সুপারমেন প্রখর রুদ্র। আমরা হব উহার ইসলামী কাউন্টারপাট ফখর রুদ্র। ফখারা মাইর শুরু করলে কুন বাকশালী কান্দিয়া কুল পাবি না হুশিয়ার কয়ে দিলুম।