পাকিস্তান মতিনিধি
পাকিস্তানের জিও টিভির বিখ্যেত প্রভাতী অনুষ্ঠান ‘উঠ জাগ পাকিস্তান’-এ কাওয়ালী সংগীতের পাশাপাশি নৃত্য পরিবেশনের মাধ্যমে পাকিস্তানের আহলে সুন্নত ওয়াল জামাতের গিলগিট-বালতিস্তান শাখার ভাইস প্রেসিডেন্ট হেমায়েতুল্লাহ খানের ধর্মানুভুতিতে তিব্র আঘাত হানার অপরাধে পাকিস্তানের বিখ্যেত অভিনেত্রী ও কারওয়ানবাজারের হট ফেবারিট ভিনা মালিককে ২৬ বতসরের কারাদণ্ড দিয়েছেন গিলগিটের সন্ত্রাসবিরোধী আদালতের বিচারক রাজা শাহবাজ।
একই সাথে ভিনা মালিকের নেয় একটি পিশাচীনীকে শাদী করার অপরাধে ভিনা মালিকের স্বামী আসাদ মালিক, ভিনা মালিকের কাওয়ালী ও নৃত্য সঞ্চালনা করার অপরাধে উঠ জাগ পাকিস্তানের উপস্থাপিকা শায়েস্তা লদী ও এই অনুষ্ঠান প্রচারের অপরাধে জিও টিভির আমীর মির্জা শাকিলুর রহমান আলমগীরকেও ভিনা মালিকের সংগে কারাগারে একই কক্ষে ২৬ বতসর কারাভোগের দণ্ড দেন গিলগিটের হাকিম রাজা শাহবাজ।
এ রায় ঘোষনার পর ভিনা মালিক ও শায়েস্তা লদী অজ্ঞান হয়ে পড়েন। রায় শোনার পর ভিনা মালিকের মালিক আসাদ মালিক ও জিও টিভির মালিক মির্জা শাকিলুর রহমান আলমগীর পরস্পরের সংগে কোলাকুলি করেন ও নিজেদের মধ্যে এক রুপির একটি কয়েন নিয়ে টস করেন।
ধর্মানুভুতির শত্রু ভিনা মালিক
রায় ঘোষনার পর মামলার বাদী হেমায়েতুল্লাহ খান অসন্তুষ্টি প্রকাশ করে বলেন, আদালত মেরি জখম ধর্মানুভুতির প্রতি কুন সুবিচার নেহি কিয়া। ভিনা মালিকের নেয় একটি গনগনা গরম যুবতীকে ২৬ বতসরের জন্যি কারাগারে ঢুকাই দিলে মির্জা শাকিলুর রহমান আলমগীর বেতীত আর কারও কুন উপকার নেহি হগা।
আবেগঘন কণ্ঠে হেমায়েতুল্লাহ খান বলেন, দিনের পর দিন আমি ফজরের নামাজ আদায় করিয়া টিভি খুলিয়া জিও টিভিতে উঠ জাগ পাকিস্তান অবলোকন কিয়া। সাত সকালে ভিনা মালিকের কার্যকলাপ দেখলে যে কুন পুরুষের পাকিস্তান উঠতে ও জাগতে বাধ্য। আমার পাকিস্তানটিও তার বেতিক্রম নেহি। কিন্তু কাওয়ালীর সংগে এই পিশাচীনীর পাকিস্তান জাগান নৃত্য দেখার পর সেইদিন আমি আমার ধর্মানুভুতিতে চরম আঘাত পাই। এর ক্ষতি পুরন হিসাবে আদালত এই ভিনা মালিককে গনিমতের মাল ঘোষনা করে আমার বাড়িতে পাঠাইতে পারত। কিন্তু ইনসাফ এই দুনিয়া হতে উঠিয়া গেছে।
ধর্মানুভুতির শত্রু শায়েস্তা লদী
এদিকে কারওয়ানবাজারে ভিনা মালিকের কারাদণ্ডের খবর এসে পৌছালে সেখানে এক হৃদয় বিদারক পরিস্থিতির সৃস্টি হয়। কারওয়ানবাজারের সর্দার ও ১১০% অরাজনৈতিক সংগঠন ‘হেফাজতে মাহমুদুর’-এর প্রতিষ্ঠাতা আমীর আল্লামা মতিচুর রহমান আজমী এ সংবাদ শুনে কান্নায় ভেংগে পড়েন। এক পর্যায়ে তিনি ফৃজে সংরক্ষিত শফী হুগুরের পানিপড়ার বোতল এক ঢোকে সম্পুর্ন পান করে আত্মহত্যার চেস্টা করেন। এ সময় কারওয়ানবাজারের ছুটা কর্মীরা তাকে ধরাধরি করে স্কয়ার হাসপাতালে নিয়ে যায়।
স্কয়ার হাসপাতালের গেস্ট্র এন্টেরলজি বিভাগের প্রধান ডাঃ রফিকুল ইসলাম জোয়ারদার মতিকণ্ঠকে নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, বর্তমানে মতিচুরকে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে রাখা হয়েছে। ৭২ ঘণ্টা পার না হলে কিছুই নিশ্চিত ভাবে বলা যাচ্ছে না।
মতিচুরের অনুপস্থিতিতে কারওয়ানবাজারের উপসর্দার ও আইভরী কোষ্ট ফিরত উপন্যাসিক মা’র্কেজে কারওয়ানবাজার কুফামাষ্টার আমিষুল হক পুটুনদা জানিয়েছেন, ধর্মানুভুতিতে আঘাতের বানিজ্যে লতিফ সিদ্দিকীর পরিবর্তে প্রান প্রিয় ভিনা মালিক কারাদণ্ড হওয়ায় কারওয়ানবাজার সর্দার একটি বিশেষ অনুভুতিতে আঘাত পেয়েছেন। আগামী ২৬ বতসর ভিনা মালিকের নতুন কোন ছবি ও ভিডিও দেখতে না পাওয়ার বেদনায় তিনি উচ্চ শক্তির পানিপড়া পান করে আত্মহত্যার চেস্টা করেন।
হুহু করে কেদে উঠে আমিষুল বলেন, মাসের পর মাস সংগ্রামের পর লতিফ সিদ্দিকীরে জেলে ঢুকাইলাম। অতছ চিপা দিয়া আমরার ভিনা মালিকরে কারাদণ্ড দিয়া দিল। এখন আমি সকাল বেলা আমার পাকিস্তানকে উঠাব কেমন করিয়া, জাগাবই বা কেমন করিয়া? সারাদিন ঝুলন্ত পাকিস্তান নিয়া কি উপসর্দারের জীবন যাপন করা সম্ভব?
এদিকে ধর্মানুভুতিতে আঘাতের দায়ে চাচাত ভাই মির্জা শাকিলুর রহমান আলমগীরের কারাদণ্ড হওয়ায় বৃহত্তর জামায়াতে ইসলামীর বিএনপি শাখার ভাঁড়প্রাপ্ত নায়েবে আমীর, জাতীয়তাবাদী শক্তির ‘কমপ্লান বয়’, লনডনে পলাতক চিকিতসাধীন আওলাদে আমীর বড় গুণ্ডে কতৃক ‘হাইড এন্ড সিক’ গালিতে ভুষিত ও ঈদুল কতলের টেলেন্ট হান্ট প্রতিযোগীতায় ‘ফ্লেয়ার এন্ড লাবলি’ খেতাবে সমাদৃত মির্জা বাড়ির বড় গৌরব আল্লামা মির্জা ফখরুল ইসলাম আগুনগীর ওরফে ফখা ইবনে চখা বিব্রত পরিস্থিতিতে পড়েছেন বলে দলীয় সুত্রে জানা যায়। এ বেপারে তার মুঠফুনে যোগাযোগ করা হলে ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।