নিজস্ব মতিবেদক
সর্বচ্চ আদালতের রায়ে বৃহত্তর জামায়াতে ইসলামীর বিএনপি শাখার নায়েবে আমীর ‘রাউজানের রসপুটিন’ ব্রাদারফাকার সাকা ও বৃহত্তর জামায়াতের নায়েবে আমীর আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদের ফাসি কার্যকর হওয়ায় দুশ্চিন্তায় পড়ে গেছেন জানিয়ে ঘেঁটুনাগরিক শক্তির আমীর রংগবীর কাদের সিদ্দিকী ওরফে ঘেঁটুপুত্র কাদেরা বলেছেন, টেনশনে আছি।
আজ নিজ বাসভবনে আয়জিত এক সংবাদ সম্মেলনে ঘেঁটুপুত্র কাদেরা বলেন, এই ফেসিবাদী বাকশাল সরকার কাদের-বিদ্দ্যেষী। গত দুই বছরে উহারা দুই জন কাদেরকে ফাসি দিয়া দিল। আন্তর্জাতিক মহলের কুন আপত্তিই তারা কানে লয় নাই। তাই একজন কাদের হিসাবে আমি বলতে চাই, টেনশনে আছি।
আবেগঘন কণ্ঠে ঘেঁটুপুত্র কাদেরা বলেন, ফাসি খাওয়া কাদের দ্বয় উভয়েই সম্ভ্রান্ত বংশের কাদের। একজন মোল্লা বাড়ির কাদের, আরেক জন চৌধুরী বাড়ির কাদের। এ থেকেই প্রমানিত হয়, বাকশাল সরকার সাধারন আবুল ছাবুল কাদেরের পিছে লাগে নাই। উহারা দেশ হতে সকল সম্ভ্রান্ত কাদের দিগেরে লটকাইয়া বিলপ করতে চায়। আর কে না জানে, আমি সিদ্দিকী বাড়ির সম্ভ্রান্ত কাদের।
হুহু করে কেদে উঠে রংগবীর বলেন, সরকার যখন ট্রাইবুনাল গঠনের উদ্যগ লইল, আমি সংগে সংগে দিগন্ত টিভিতে নাম লিখাইয়া ‘এশশিয়েশন অফ ইসলামী মিডিয়া পারসনালিটি’র মেম্বর হইলুম। ইচ্ছা আছিল সংগঠনটির আমীর বনিব। কিন্তু কুথাকার কুন এক মস্তফা সরয়ার ফারুকী আসিয়া বলল, ইসলামী মিডিয়া পারসনালিটি হইতে চাইলে শুদু গলায় গামছা দিলেই চলবে না, মাথায় টুপি ভি দিতে হইবে। আপনার মাথায় টুপি নাই, আমার মাথায় টুপি আছে। অতএব আমিই আমীর।
অশ্রু মুছে ঘেঁটুপুত্র কাদেরা বলেন, অতঃপর সাধারন ইসলামী মিডিয়া পারসনালিটি হইয়াই দিগন্ত টিভিতে বসিয়া সরকারকে প্রতি রাত্রে কথার চাপাতি দিয়া জবেহ দেওয়া শুরু করলাম। এই কামে কামিয়াবও হইয়াছিলুম। কিন্তু এখন পরিস্থিতি খারাপ। এখন আবার মুক্তিযুদ্ধা মুডে খেলিতে হইবে। না হইলে কখন সম্ভ্রান্ত কাদের হিসাবে ট্রাইবুনালে চালান হইয়া যাই কুন ঠিক নাই। তাই ঠিক করছি সামনে কিছুদিন আবার বত্রিশ লাম্বারে বংগবন্ধুর বাড়ি জিয়ারত করব, টুংগীপাড়াতেও যাব, সাভারে শহীদ স্মৃতি সৌধেও আনাগনা বাড়াব।
ঘেঁটুপুত্র কাদেরাকে সতর্ক করে দিলেন ওবায়দুল কাদের
বাকশাল সরকারের যোগাযোগ মন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের প্রতি ইংগিত করে ঘেঁটুপুত্র কাদেরা বলেন, ওবায়দুল কাদের বাংলার অন্যতম সম্ভ্রান্ত ওবায়দুল বংশের সন্তান। ওবায়দুল বংশের কাছে সিদ্দীকী মির্জা খান সৈয়দ সবই তুচ্ছ। তাই যদি ফাসিতে ঝুলাইতে হয়, ওবায়দুল কাদেররে ঝুলান। আমি নিতান্ত ছুটমুট সিদ্দীকী বংশের কাদের। মুঝে ছোড় দ।
এদিকে এক পৃথক সংবাদ সম্মেলনে ওবায়দুল কাদের ঘেঁটুপুত্র কাদেরাকে তিরষ্কার করে বলেন, টাংগাইল ডিশটিকে শত শত সেতুর টেকা মারিয়া পলাইছ, সেই কথা ভুলি নাই। গামছা ত গলায় ঝুলাইয়াই রাখছ, তাই আমায় আর কস্ট করিয়া বাসা হইতে গামছা আনতে হইবে না। তুমার গলায় গামছা দিয়া সকল সেতুর টেকা আদায় না করছি ত আমি ওবায়দুল বাড়ির পুলাই নহি।