Archive for November, 2015

November 22, 2015

টেনশনে আছি: ঘেঁটুপুত্র কাদেরা

নিজস্ব মতিবেদক

সর্বচ্চ আদালতের রায়ে বৃহত্তর জামায়াতে ইসলামীর বিএনপি শাখার নায়েবে আমীর ‘রাউজানের রসপুটিন’ ব্রাদারফাকার সাকা ও বৃহত্তর জামায়াতের নায়েবে আমীর আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদের ফাসি কার্যকর হওয়ায় দুশ্চিন্তায় পড়ে গেছেন জানিয়ে ঘেঁটুনাগরিক শক্তির আমীর রংগবীর কাদের সিদ্দিকী ওরফে ঘেঁটুপুত্র কাদেরা বলেছেন, টেনশনে আছি।

আজ নিজ বাসভবনে আয়জিত এক সংবাদ সম্মেলনে ঘেঁটুপুত্র কাদেরা বলেন, এই ফেসিবাদী বাকশাল সরকার কাদের-বিদ্দ্যেষী। গত দুই বছরে উহারা দুই জন কাদেরকে ফাসি দিয়া দিল। আন্তর্জাতিক মহলের কুন আপত্তিই তারা কানে লয় নাই। তাই একজন কাদের হিসাবে আমি বলতে চাই, টেনশনে আছি।

আবেগঘন কণ্ঠে ঘেঁটুপুত্র কাদেরা বলেন, ফাসি খাওয়া কাদের দ্বয় উভয়েই সম্ভ্রান্ত বংশের কাদের। একজন মোল্লা বাড়ির কাদের, আরেক জন চৌধুরী বাড়ির কাদের। এ থেকেই প্রমানিত হয়, বাকশাল সরকার সাধারন আবুল ছাবুল কাদেরের পিছে লাগে নাই। উহারা দেশ হতে সকল সম্ভ্রান্ত কাদের দিগেরে লটকাইয়া বিলপ করতে চায়। আর কে না জানে, আমি সিদ্দিকী বাড়ির সম্ভ্রান্ত কাদের।

হুহু করে কেদে উঠে রংগবীর বলেন, সরকার যখন ট্রাইবুনাল গঠনের উদ্যগ লইল, আমি সংগে সংগে দিগন্ত টিভিতে নাম লিখাইয়া ‘এশশিয়েশন অফ ইসলামী মিডিয়া পারসনালিটি’র মেম্বর হইলুম। ইচ্ছা আছিল সংগঠনটির আমীর বনিব। কিন্তু কুথাকার কুন এক মস্তফা সরয়ার ফারুকী আসিয়া বলল, ইসলামী মিডিয়া পারসনালিটি হইতে চাইলে শুদু গলায় গামছা দিলেই চলবে না, মাথায় টুপি ভি দিতে হইবে। আপনার মাথায় টুপি নাই, আমার মাথায় টুপি আছে। অতএব আমিই আমীর।

অশ্রু মুছে ঘেঁটুপুত্র কাদেরা বলেন, অতঃপর সাধারন ইসলামী মিডিয়া পারসনালিটি হইয়াই দিগন্ত টিভিতে বসিয়া সরকারকে প্রতি রাত্রে কথার চাপাতি দিয়া জবেহ দেওয়া শুরু করলাম। এই কামে কামিয়াবও হইয়াছিলুম। কিন্তু এখন পরিস্থিতি খারাপ। এখন আবার মুক্তিযুদ্ধা মুডে খেলিতে হইবে। না হইলে কখন সম্ভ্রান্ত কাদের হিসাবে ট্রাইবুনালে চালান হইয়া যাই কুন ঠিক নাই। তাই ঠিক করছি সামনে কিছুদিন আবার বত্রিশ লাম্বারে বংগবন্ধুর বাড়ি জিয়ারত করব, টুংগীপাড়াতেও যাব, সাভারে শহীদ স্মৃতি সৌধেও আনাগনা বাড়াব।


ঘেঁটুপুত্র কাদেরাকে সতর্ক করে দিলেন ওবায়দুল কাদের

বাকশাল সরকারের যোগাযোগ মন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের প্রতি ইংগিত করে ঘেঁটুপুত্র কাদেরা বলেন, ওবায়দুল কাদের বাংলার অন্যতম সম্ভ্রান্ত ওবায়দুল বংশের সন্তান। ওবায়দুল বংশের কাছে সিদ্দীকী মির্জা খান সৈয়দ সবই তুচ্ছ। তাই যদি ফাসিতে ঝুলাইতে হয়, ওবায়দুল কাদেররে ঝুলান। আমি নিতান্ত ছুটমুট সিদ্দীকী বংশের কাদের। মুঝে ছোড় দ।

এদিকে এক পৃথক সংবাদ সম্মেলনে ওবায়দুল কাদের ঘেঁটুপুত্র কাদেরাকে তিরষ্কার করে বলেন, টাংগাইল ডিশটিকে শত শত সেতুর টেকা মারিয়া পলাইছ, সেই কথা ভুলি নাই। গামছা ত গলায় ঝুলাইয়াই রাখছ, তাই আমায় আর কস্ট করিয়া বাসা হইতে গামছা আনতে হইবে না। তুমার গলায় গামছা দিয়া সকল সেতুর টেকা আদায় না করছি ত আমি ওবায়দুল বাড়ির পুলাই নহি।

November 21, 2015

পাকা পাইখানার মোহ তেগ করে দেশে ফিরায় খালেদাকে বৃহত্তর জামায়াতী বুদ্ধিজীবিদের অভিনন্দন

নিজস্ব মতিবেদক

চক্ষু চিকিতসার জন্য লনডনে দুই মাস অবস্থানের পর পুনরায় দেশে ফিরে আসায় বৃহত্তর জামায়াতের বিএনপি শাখার মহিলা আমীর ও জাতীয়তাবাদী শক্তির মালিক আপোষহীন দেশনেত্রী মাদারে গনতন্ত্র বেগম খালেদা জিয়া জেএসসিকে অভিনন্দন জানিয়েছেন বৃহত্তর জামায়াতে ইসলামীর বুদ্ধিজীবি শাখার আমীর ওমরাহ বৃন্দ।

আজ এক সংবাদ সম্মেলনে পাকা পাইখানার মোহ তেগ করে দেশে ফিরায় মাদারে গনতন্ত্রর প্রসংশা করে বিশিষ্ঠ দার্শনিক, কবি, হেকিমী চিকিতসক ও সাংবাদিকদের উপর বোমা মারার দার্শনিক প্রবক্তা ফরহাদ মজহার লুংগি বলেন, পাকা পাইখানার মোহে অনেক লুকজন ইদানীং দেশ তেগ করিয়া বিদেশে আশ্রয় লইতেছে। দুই মাস ধরিয়া আমরার মেডাম লনডনে পড়িয়া থাকায় আমরাও ভাবছিলাম, মেডামেরও একই কেস। কিন্তু আজ দেশে ফিরিয়া মেডাম প্রমান করিয়া দিলেন যে পাকা পাইখানার মোহ উনাকে লনডনে আটকাইয়া রাখতে পারবেক লাই।

আবেগঘন কণ্ঠে ফরহাদ মজহার লুংগি বলেন, পাকা হোক তবু ভাই পরের ও বাসা, নিজ হাতে গড়া মোর কাচা ঘর খাসা।

খেতনামা ড্রন বিশেষজ্ঞ, মস্তফা অনুরাগী, কাপড় বেবসায়ী ও ইসলামী বেংকের সমঝদার হরলিকস পাগলা বিতর্ক রাজ ও আত্মস্বিকৃত ‘ফেসবুক গু-বাবা’ আল্লামা আবদুন নুর তুষার হাত তালি দিয়ে মাদারে গনতন্ত্রকে অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, সাম্রাজ্যবাদী শক্তি যুগে যুগে আসিয়া আমরারে দেশজ পন্থায় হালকা হওয়ার রাহে হতে বিচ্যুত করার চেস্টা করছে। এর জন্য দায়ী ফ্রান্স। ফ্রান্সের ছলনায় ভুলিয়া আমরা আবহমান বাংলার ঐতিহ্যবাহী কায়দা ভুলিয়া ইয়াহুদী-নাছাড়ার বিকৃত কুতসিত গদিনশীন কায়দায় মাতিয়া উঠছি। প্রতি শনিবার সকালে যখন আমি হালকা হইতে যাই, আমার কান্না পায়। পাকা পাইখানা আমরার ইহকাল পরকাল সব নস্ট করিয়া দিতেছে।

হুহু করে কেদে ফেলে হরলিকস পাগলা বলেন, এই গুনাহ হতে রক্ষার একটাই উপায়, কাচা পাইখানা। ঘর হতে শুধু দুই পা ফেলিয়া একটি ঘাসের শিশের উপর একটি শিশির বিন্দুর নরম ছোয়া। বদনা ও চুলার ছাইয়ের কুমল পরশ। সাম্রাজ্যবাদী পশ্চিমের পাকা পাইখানার হাতছানি উপেক্ষা করিয়া আমরার মেডাম আমরার কাছে ফিরিয়া আসছেন। এ জয় গনতন্ত্রের জয়, এ জয় ইতিহাসের জয়, এ জয় তমদ্দুনের জয়। বাড়ির ভিতরে এক কুনায় প্রতি শনিবার আটকা পড়িয়া না থাকিয়া সাতান্ন হাজার বর্গমাইলের প্রতিটি বর্গফুটরেই আমরারে আপন করিয়া লইতে হইবে।

এদিকে নিজের আরাম দায়ক বিলাস বহুল বাসভবনে ফিরে যাওয়ার পর মেডামের মিডিয়া নায়েব মারুফ কামাল খান বলেন, মেডামের জাকুজিতে পানি গরম দেওয়া হইছে। এখন বক্তব্য চাহিয়া দিষ্টাপ দিবেন না।

কেন ব্রাদারফাকার সাকা ও আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদের ফাসির লগ্নে বেগম জিয়া জেএসসি দেশে ফিরে এলেন, এ প্রশ্নের জবাবে মারুফ কামাল খান হাসতে হাসতে বলেন, আমরার মেডাম খাইতে আইছেন কুলখানি, সেইটা লইয়াও তুমরার এত চুলকানি?

November 19, 2015

তিনি ছিলেন সালাই লামা: বিএনপি

নিজস্ব মতিবেদক

সর্বচ্চ আদালতের রায়ে বৃহত্তর জামায়াতে ইসলামীর বিএনপি শাখার নায়েবে আমীর ‘রাউজানের রসপুটিন’ ব্রাদারফাকার সাকার ফাসির রায়ের রিভিউ আবেদন খারিজ হয়ে যাওয়ার পর মৃত্যু দন্ড বহাল থাকার সিদ্ধান্তের প্রতিকৃয়ায় বৃহত্তর জামায়াতের বিএনপি শাখার তরজুমানে আমীর আল্লামা ড. আছাদুজ্জামান রিপন বলেছেন, সর্বচ্চ আদালত ইয়ে বিলকুল ভুল কিয়া। একাত্তর সালে আমরার সাকা ভাই আছিলেন শান্তির পায়রা।

আবেগঘন কণ্ঠে আছাদুজ্জামান রিপন বলেন, একাত্তর সালে উনার নাম সালাউদ্দি হইলেও পাঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয় কেম্পাসে সবাই উনাকে ডাকত সালাই লামা। উনি আছিলেন এমনই শান্তির পারাবদ।

হুহু করে কেদে উঠে তরজুমানে আমীর বলেন, বৃহত্তর জামায়াত করার অপরাধে সালাই লামার ফাসি হইতেছে। একাত্তর সালে উনি ত দেশেই আছিলেন না। পাঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয়ে উনি তখন শান্তির বানী প্রচারে বেস্ত আছিলেন। তবে কেন এই ঝুলাঝুলি?

অশ্রু মুছে আছাদুজ্জামান রিপন বলেন, আমরার উকিলে আমীর খন্দকার মাহাবুব ওরফে সাটিফিকেট খন্দকার নিজ হাতে নীলক্ষেত হতে একটি পাঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয়ের সাটিফিকেট ছাপাইয়া লইয়া সর্বচ্চ আদালতে জমা দিলেন। তারপরও উনারা খুশী না। সাটিফিকেটে নাকি বানান ভুল আছে। উহাতে নাকি ১৯ আকারে বড় আর ৭১ আকারে ছুট। সই মহরেও নাকি ঘাপলা আছে। এইসব সমস্যা কুথায় না থাকে? গুলাপেও আছে কাটা, চাদেও আছে কলংক। এই সাটিফিকেট পছন্দ না হইলে বলেন, আরেকটা সাটিফিকেট ছাপাইয়া দিতাম। তাই বলিয়া ফাসি দিয়া দিলাইন?

লাজুক হেসে তরজুমানে আমীর বলেন, ব্রাদারফাকার সাকাদারে লইয়া কত মদুর মদুর স্মৃতি। বিস্তারিত বলিয়া লজ্জায় পড়তে চাই না। ছয় বার উনি এমপি নির্বাচিত হইয়াছিলেন। সত, পরিচ্ছন্ন বেক্তি উনি। আলিংগনের সময় উনার বক্ষে মুখ গুজিলেই লাক্স সাবানের গন্ধ পাওয়া যাইত। আদর করিয়া তিনি আমায় পাছাদুজ্জামান বলিয়া ডাকতেন। সেই সাকাদারে ফেসিবাদী বাকশাল লটকাইয়া দিতেছে, ভাবতেই জলে চুখ ভিজে যায়।


ব্রাদারফাকার সাকার কমিটমেন্টের আকার দেখাচ্ছেন আছাদুজ্জামান রিপন

বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে ব্রাদারফাকার সাকার কমিটমেন্ট ছিল উল্লেখ করে আছাদুজ্জামান রিপন বলেন, পাঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয়ে বসিয়া বসিয়া উনি বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে বিরাট কমিটমেন্ট চাষ করিয়াছিলেন। পাকিস্তানী খান সেনাদের পুত্র কন্যারা তখন পাঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়িত লিখিত। উহাদের নিকট উহাদের পিতাগনের কান্ড কারখানা শুনিয়া সালাই লামা কেম্পাসের দেয়াল পতৃকায় একটি প্রবন্ধ লিখিয়া বলছিলেন, মিয়া মিয়ার জায়গায় আছি আব জারা সোনা কাটিয়া লাল বানা দে।

এ সময় আছাদুজ্জামান রিপনের পাশে উপবিষ্ট বৃহত্তর জামায়াতের বিএনপি শাখার অন্যান্য আমীর ওমরাহ বৃন্দ হুহু করে কেদে উঠেন।

নিজের রুমালে অন্যের অশ্রু মুছিয়ে দিয়ে তরজুমানে আমীর বলেন, আজ সালাই লামার এক পদ কবরে, আরেক পদ বিএনপি শাখার স্থায়ী কমিটিতে। এইভাবে যদি একাত্তরের সকল শান্তির পায়রাগুলিরে লটকাইয়া দেওয়া হয়, বিএনপি শাখায় হায়ার করিয়া নেতা আনতে হইবে।

ব্রাদারফাকার সাকাকে সংসদ ভবন প্রাংগনে কবর দেওয়ার আহোভান জানিয়ে আছাদুজ্জামান রিপন বলেন, অতীতে বড় বড় রাজাকার গুলুরে ঐখানেই পুতা হইছে। সালাই লামাই বা বাদ যাইবেন কেনে?

November 19, 2015

সাটিফিকেট চাহিয়া দিষ্টাপ দিবেন না: খন্দকার মাহবুব

নিজস্ব মতিবেদক

সর্বচ্চ আদালতে পাকিস্তানের পাঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয়ের জাল সনদ পত্র দাখিল করে বৃহত্তর জামায়াতে ইসলামীর বিএনপি শাখার নায়েবে আমীর রাউজানের রসপুটিন ব্রাদারফাকার সাকার গর্দান রক্ষা করার চেস্টা করতে গিয়ে দেশ ও বিদেশের নানা খেতিমান বেক্তিত্বের নিকট হতে সাটিফিকেট মেনেজ করার অনুরধের চাপে অস্থির হয়ে বৃহত্তর জামায়াতে ইসলামীর বিএনপি শাখার উকিলে আমীর বেরিষ্টার খন্দকার মাহবুব হোসেন ওরফে ‘সাটিফিকেট খন্দকার’ বলেছেন, সাটিফিকেট চাহিয়া দিষ্টাপ দিবেন না।

আজ সর্বচ্চ আদালতে ব্রাদারফাকার সাকা ও বৃহত্তর জামায়াতে ইসলামীর খানকির পোলায়ে নায়েব ও আলবদর কমান্ডার আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদের ফাসির রায় বহাল থাকার ঘোষনার পর এক সংবাদ সম্মেলনে সাটিফিকেট খন্দকার এ কথা বলেন।

সংবাদ সম্মেলনে খন্দকার মাহবুব বলেন, সর্বচ্চ আদালতরে বুকা ভাবছিলাম, কিন্তু তলে তলে উহাদের পেটে পেটে যে এত বুদ্ধির পেচ তা আগে বুঝি নাই। এত যত্ন করিয়া নীলক্ষেত হইতে ব্রাদারফাকার সাকার নামে পাঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয়ের সাটিফিকেট বানাইয়া দিলাম, সর্বচ্চ আদালত ধরিয়া ফেলল। উহারা এমনই ফেসিবাদী।

আবেগঘন কণ্ঠে সাটিফিকেট খন্দকার বলেন, জাল সাটিফিকেট ধরছেন, ভাল কথা। তাই বলিয়া ভরা মহাফিলে এই কথা ফাস করিয়া দিবেন? এখন দেশ বিদেশ হতে কত খেতনামা বেক্তিত্ব পাঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয়ের সাটিফিকেট চাহিয়া আমায় জারেজার করতেছে।


সাটিফিকেট চাহিয়া দিষ্টাপ দিবেন না

হুহু করে কেদে উঠে খন্দকার মাহবুব বলেন, সব কথা কি খুলিয়া কওন যায় রে আলফাজ? রায় ঘোষনার কয়েক মিনিট পরেই লন্ডন হতে একজন অত্যান্ত বদরাগী মহিলা আমায় মুঠফুন মারিয়া বললেন, শুন খন্দকার, আমার জন্যি পাঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয়ের একখানা এমএ পাশ সাটিফিকেট যুগাড় লাগাও। দেখিও আবার বানান ভুল করিও না। আমি উনাকে বললাম, মেডাম কুন বিষয়ে এমএ পাশ করতে চান? উনি বললেন, সব বিষয়েই এমএ পাশ করতে চাই। কুন বিষয় যেন বাদ না থাকে। অর্থনীতী ভুগুল অংক ইতিহাস সব সাটিফিকেটে ঢুকাইয়া দেও। সবগুলুতেই এ প্লাস দিবা। আমি উনাকে পড়ালিখার বেপারটা যখন বুঝাইয়া বলতে গেলাম, উনি তখন রাগারাগি করিয়া বললেন, আমি ক্লাশ নাইনের কাছে অংক শিখেছি, আমায় আর লসাগুর ভয় দেখিয়ে কুন লাভ নেই। এই বলিয়া সেই রাগী মহিলা ফুন কাটিয়া লাল করিয়া দিলেন।

আবেগঘন কণ্ঠে সাটিফিকেট খন্দকার বলেন, ফুন পকেটে ভরিয়া সারতারি নাই, একে একে হাজী সেলিম, মির্জা আব্বাস, শাজাহান খান, মস্তফা সরয়ার ফারুকী সকলেই পাঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয়ের সাটিফিকেট মাংগিয়া আমায় ফুন মারিয়া অস্থির করিয়ালাইল। যতই উহাদিগকে খরচের ভয় দেখাই, উহারা ততই হাসিয়া বলে, মানি ইজ ন পবলেম।

হাসতে হাসতে খন্দকার মাহবুব বলেন, বিজ্ঞান আমরারে দিছে বেগ আর কাড়িয়া লইছে আবেগ। বিশ্বায়নের এ যুগে কুন কিছুই লুকাল থাকে না, সবই গ্লুবাল। পাকিস্তান হতে নওয়াজ শরীফ ও ইমরান খানও আমায় মুঠফুন মারিয়া পাঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয়ের সাটিফিকেট চায়।

মন খারাপ করে সাটিফিকেট খন্দকার বলেন, পাঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আমায় একটু আগে এসএমএস পাঠাইয়া বলছে, উহাকে ১০% করিয়া সাটিফিকেট পিছু বখরা না দিলে সে ঘাপলা করিবে। এইভাবে যদি আয় রুজগার সব বখরা দিয়াই শেষ হইয়া যায়, না থাকবে বাশ না বাজবে বাশরী।

আপাতত কিছুদিন সাটিফিকেটের আবদার না করার অনুরধ জানিয়ে উকিলে আমীর বলেন, আমার পৃন্টারে কালি শেষ। আপাতত সাটিফিকেট চাহিয়া দিষ্টাপ দিবেন না।