Posts tagged ‘নিজামী’

December 3, 2015

নিজামীর সাটিফিকেটে বানান পরীক্ষা নিয়ে বৃহত্তর জামায়াতে আলচনা

নিজস্ব মতিবেদক

সর্বচ্চ আদালতে একাত্তরের আলবদর সর্দার ও বৃহত্তর জামায়াতে ইসলামীর খানকির পোলায়ে আমীর আল্লামা মতিউর রহমান নিজামীর ফাসির রায় নিয়ে বাহাস চলা কালে নিজামীর জাল সাটিফিকেটে বানান পরীক্ষা নিয়ে আলচনায় বসেছে বৃহত্তর জামায়াতে ইসলামী।

আজ এ আলচনায় অংশ নেন বৃহত্তর জামায়াতের বিএনপি শাখার উকিলে আমীর বেরিষ্টার খন্দকার মাহবুব হোসেন ওরফে ‘সাটিফিকেট খন্দকার’ ও বৃহত্তর জামায়াতের খানকির পোলায়ে আমীর ওমরাহ বৃন্দ।

আলচনা শেষে এক সাংবাদিক সম্মেলনে আলচনার বিষয় বস্তু সম্পর্কে উপস্থিত সাংবাদিকদের অবহিত করে সাটিফিকেট খন্দকার বলেন, সামনে নিজামীর মামলায় আপিলের রায় হইবে। যা বুঝতেছি, নিজামীর কুন আশা নাই। সাকার নেয় তারেও জাল সাটিফিকেট দিয়া উদ্ধার করার চেস্টা করার ইচ্ছা আছে। তাই নিজামীর সাটিফিকেটে বানান পরীক্ষা লইয়া বৃহত্তর জামায়াতের খানকির পুলাদের সংগে আলচনা করলুম।

আবেগঘন কণ্ঠে খন্দকার মক্তার বলেন, সুদীর্ঘ পাচ দশকের মক্তারি জীবনে কত রকম ভেজাল সাটিফিকেট দাখিল করিয়া আইলুম, কুন সমস্যা হইল না। সাকার মামলায় কি করিয়া যেন ফেসিবাদী জজের দল সাটিফিকেটে বানানের সমস্যা ধরিয়া ফেলল। দেশে আমার আরও যত মক্কেল আছে, তাহাদের মুঠফুন মারার জ্বালায় আমি হয়রান হইয়া গেলুম। উহারা সকলেই যে যার পাঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয়ের সাটিফিকেট ট্রাংকের তলা হইতে বাইর করিয়া আমার সংগে মুঠফুনে রাগারাগি করতেছে। তাই এইবার নিজামীর সাটিফিকেটটি যত্ন করিয়া বানাইতে দিব। বৃহত্তর জামায়াতের আমীর ওমরাহ দিগের নিকট হতে ইস্পেল চেকার নামে একবিংশ শতাব্দীর চেলেঞ্জ মুকাবেলা করার মত একটি টেকনলজীর কথা জানতে পারলাম। নিজামীর বেলায় উহা প্রয়গ করা নিয়া আলচনা চলতেছে। এক মাসের মধ্যেই এ বেপারে একটি ফয়সলা হইবে।


নিজামীর কুন আশা নাই: সাটিফিকেট খন্দকার

আবেগঘন কণ্ঠে সাটিফিকেট খন্দকার বলেন, নিজামীরে লইয়া কুন আশা দেখি না। খানকির পুলা একাত্তরে যেরুপে আওয়াজ দিয়া খুন খারাবি করিয়াছে, সাটিফিকেট দিয়া উহার গর্দান রক্ষা করা যাইবে না। তাছাড়া উহার দলের পাতি নেতাগুলিও উহাকে এই চামে কুরবানী দিয়া নিজেরা আমীর হইতে বেশী আগ্রহী।

এর কারন জিজ্ঞাসা করলে নাম প্রকাশ না করার শর্তে খন্দকার মক্তার বলেন, বৃহত্তর জামায়াতীরা নিজামীকে প্রকৃত জামায়াতী মনে করে না। উহার বাড়ি পাবনা, সুচিত্রা সেনের বাড়ির নিকটেই। শৈশব হইতেই নিজামী সুচিত্রা সেনের বাড়িতে যাতায়াত করত। সুচিত্রা সেনের মার নিকট গিয়া আবদার করিয়া বলত, মাসিমা মালপো খাপো। এখন আপনারাই বলেন, প্রকৃত জামায়াতী কি কুনদিন মালাউনের বাড়িতে গিয়া মালপো ভক্ষন করতে পারে? এইসব হিন্দুয়ানী চালচলনের কারনে নিজামীর দলের লুকজনই তার উপর বিলা।

তারপরও মামলার খাতিরে নিজামীর প্রান ভিক্ষা চাইবেন জানিয়ে সাটিফিকেট খন্দকার বলেন, জামায়াতের খানকির পুলাদের কেস লইয়া মার্কেটে আমার নাম ডুবতেছে। তারপরও বয়সের অজুহাত দিয়া উহার ফাসি থামাইতে আবদার করব। বৃদ্ধ বয়সের কারনে উহাকে যেন ফাসি না দিয়া দৈনিক এক চামুচ অলিভ অয়েল বরাদ্দ করিয়া আমরন আরামদণ্ড দেওয়া হয়, সেই বাবদ দরখাস্ত খসড়া করিয়া ফালাইয়া থুইলুম।

ফাসির বয়স পার হয়ে গেলে নিজামী এখনও কিভাবে বৃহত্তর জামায়াতের খানকির পোলায়ে আমীরের পদ আকড়ে পড়ে আছেন, এ প্রশ্নের সরাসরি উত্তর না দিয়ে হাসতে হাসতে খন্দকার মক্তার বলেন, ফাসি কি পদে দেয়? ফাসি দেয় গর্দানে। যেহেতু মায়ের পেট হতে গর্দান আগে ও পদ পরে বাইর হয়, তাই গর্দানের বয়স পদের বয়স হতে বেশী। তাই নিজামী এই বৃদ্ধ বয়সে পদে থাকলেও গর্দানে ফাসি দেনা নাহি চাহিয়ে।

October 29, 2014

আছিলাম কুকুর হইলাম লেজ: মেডাম

নিজস্ব মতিবেদক

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনাল কতৃক একাত্তরের আলবদর সর্দার ও বৃহত্তর জামায়াতে ইসলামীর খানকির পোলায়ে আমীর আল্লামা মতিউর রহমান নিজামীর ফাসির রায় ঘোষনার পর বৃহত্তর জামায়াতের কেডারদের ডাকা হরতালের চাপে বৃহত্তর জামায়াতের বিএনপি শাখার মহিলা আমীর ও জাতীয়তাবাদী শক্তির মালিক আপোষহীন দেশনেত্রী মাদারে গনতন্ত্র বেগম খালেদা জিয়া জেএসসির জনসভা পিছিয়ে গেছে।

বৃহত্তর জামায়াতের ঠেলায় নিজের জনসভা পিছাতে বাধ্য হয়ে মেডাম বলেছেন, আগেও কুকুর লেজ নাড়াইত, এখনও কুকুর লেজ নাড়ায়। কিন্তু আগে কুকুর আছিলাম আমরা, আর বৃহত্তর জামায়াত আছিল লেজ। কিন্তু ললাটের লিখন না যায় খন্ডন। আজ তারা হইছে কুকুর আর আমরা হইছি লেজ। আছিলাম কুকুর হইলাম লেজ।

আজ বগুড়া সার্কিট হাউসে আয়জিত এক সংবাদ সম্মেলনে কুকুর হতে লেজে পরিনত হওয়া নিয়ে এ আপসস করেন মাদারে গনতন্ত্র।


আগে মেডাম বসতেন নিজামী খাড়াইত, আজ মেডাম খাড়ান নিজামী বসে থাকে

সংবাদ সম্মেলনে মেডাম দুঃখ করে বলেন, নাটরে আমার বক্তিতা দেওয়ার কথা আছিল। আতকা নিজামীর ফাসির রায় দিয়া ফেসিবাদী বাকশালীর দল আমার নাটর বক্তিতায় পানি ঢালিয়া দিল। বৃহত্তর জামায়াত তিন দিনের হরতাল ডাকছে। হরতালে বাইর হইলে কখন যে কি ঘটে কিছুই বলা যায় না। তাই বক্তিতা পিছাইতে বাধ্য হইলাম।

আবেগঘন কণ্ঠে মেডাম বলেন, শুনলাম বৃহত্তর জামায়াতের জংগী শাখা জেএমবি আমারে ও শেখের বেটীরে কতলের কোশেশ করতেছে। পচ্চিম বংগে তারা ঘরে ঘরে বুমার দুর্গ বানাইয়ালাইছে। কাজেই বৃহত্তর জামায়াত হরতাল ডাকলে সে হরতাল উজাইয়া বক্তিতা দিতে গেলে কখন যে কুন চিপা হইতে গায়ের উপর বুমা কিংবা আর্জেস গ্রেনেড আসিয়া পড়ে কুন ঠিক নাই। তাই আমার ঐতিহাসিক নাটর বক্তিতা পিছাইয়া দিলাম।

নিজামীর মুক্তির দাবীতে মেডামের বক্তিতা

বৃহত্তর জামায়াতের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করে মেডাম বলেন, নিজের সম্মান বিসর্জন দিয়া এই নিজামী গোলাম আজম কাদের মোল্লা মেশিন সাঈদীর মুক্তি চাইয়া বক্তিতা দিছি। আর আজ কিনা তাদের হরতালেই আমার বক্তিতা পিছাইতে হয়। আছিলাম কুকুর হইলাম লেজ।

সোনালী অতীতের কথা স্মরন করে মেডাম বলেন, যখন গদি ছিল আমার, হাতজুড় করি আসি খাড়াইত নিজামী চামার। আজ আমার গদি আর নাই, নিজামীর হরতালে বক্তিতার তারিখ পিছাই।

একাত্তর ও পচাত্তরের রেম্ব জেনারেল জিয়ার কথা স্মরন করে মাদারে গনতন্ত্র বলেন, জিয়া এ জন্যই বলছিল, ধর্ম ভিত্তিক কুন দল হতে পারে না। সালা ঘোচুর দলরে লাই দিলেই কান্ধে উঠে।

October 29, 2014

গোলাম আজমের নেয় এত সহজে হাল ছাড়তাম না: নিজামী

নিজস্ব মতিবেদক

ট্রাইবুনালের রায়ে গোলাম আজমের নেয় ৯০ বতসর আরামদণ্ড দিলে পুর্ন মেয়াদ খেটে দৈনিক ২১ পদের খানা ভক্ষন করে বাংলাদেশ সরকারের তহবিল ফাক করার অংগীকার জানিয়ে একাত্তরের আলবদর সর্দার ও বৃহত্তর জামায়াতে ইসলামীর খানকির পোলায়ে আমীর আল্লামা মতিউর রহমান নিজামী বলেছেন, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনাল কতৃক ৯০ বতসরের আরামদন্ড প্রাপ্ত যুদ্ধাপরাধী ও বৃহত্তর জামায়াতে ইসলামীর সাবেক খানকির পোলায়ে আমীর ভাষা সৈনিক অধ্যাপক গোলাম আজমের নেয় দুবলা আমি নহি। এত সহজে হাল ছাড়তাম না। ৯০ বতসর আরামদণ্ড দিলে কাটায় কাটায় ৯০ বতসরই মেয়াদ খাটব। ব্রিঙ্গ ইট অন বেবী।

রায়ের আগের দিবাগত সন্ধায় কাশিমপুর কারাগারে ফাসির আসামীর জন্য বরাদ্দ কনডম সেলে আয়জিত এক খবর মহাফিলে এ অংগীকার করেন আলবদর সর্দার নিজামী।

খবর মহাফিলে বৃহত্তর জামায়াতের খানকির পোলায়ে আমীর বলেন, গোলাম আজম সারা জীবন ডাল ভাত লাল শাক ছুট মাছ দিয়া মুটা চাউলের ভাত খাইল। কিন্তু ফেসিবাদী বাকশালী সরকার তারে জেলে ঢুকানর পর সে সিদ্ধান্ত লইল, মরার আগে ইহাদের তহবিল সে ফাক করিবে। তখন সে দৈনিক ২১ পদের খাওনের জন্যি অনশন শুরু করল। তার আন্দুলনের ঠেলায় কারাগার কতৃপক্ষ তাহাকে মগল বাদশাদিগের খানা সরবরাহ শুরু করল। সকালের নাস্তা হিসেবে তাকে দেওয়া হতো লাল আটার তৈরি চার-পাঁচটি পাতলা রুটি, ডিম ভাজি, আলু ছাড়া সব্জি ভাজি, ভুনা মুরগির মাংস, মিষ্টি, এনসিউর কোম্পানির দুধ ও কলা। দুপুরের খাবার হিসেবে দেওয়া হতো, চিকন চালের ভাত, করলা ভাজি, টাকি অথবা চিংড়ি মাছের ভর্তা, বেগুন ভাজি অথবা ভর্তা, ছোট চিংড়ি ও ছোট মাছ ভুনা, সালাদ, লেবু, মাল্টা, বরই ও নাশপাতি। সন্ধ্যার নাশতা হিসেবে দেওয়া হতো- লাড্ডু, নিমকি বিস্কুট, হরলিকস কিংবা স্যুপ। রাতের খাবার হিসেবে দেওয়া হতো চিকন চালের ভাত, করলা ভাজি, বেগুন ভাজি অথবা ভর্তা, ঢেঁড়শ, মিষ্টিকুমড়া ও পেঁপে ভাজি, গরু অথবা খাসির ভুনা মাংস, সালাদ ও লেবু, কমলা, মাল্টা, নাশপাতি, আঙ্গুর ও বরই। সম্রাট শাজাহান যখন ফেসিবাদী আওরংগজেবের হাতে তাজমহলে বন্দী হইছিল, উহাকে শুধু বুট মুড়ি ও কলা খাইতে দেওয়া হইত। আর ঈদের দিন এক বাটি সেমাই। গোলাম আজম মগল বাদশাদিগেরেও হালকাইয়া খাইছে।

হাসতে হাসতে নিজামী বলেন, ৯২ বতসর বয়সে এত এত খাইয়া গোলাম আজম সাহেব বদহজমে এন্তেকাল করলেন। শুনিয়াছি ডেলি ডেলি উনার এক চামুচ করিয়া অলিভ অয়েল লাগত, উহা ছাড়া হাগা হইত না।


আরামদণ্ডের জন্য প্রস্তুত নিজামী

৯০ বতসরের আরামদণ্ডের জন্য নিজেকে সম্পুর্ন প্রস্তুত ঘোষনা করে নিজামী বলেন, গোলামদা সংযমের অভাবে ৯০ বতসরের মেয়াদের দেড় বতসর কাটাইতে না কাটাইতেই আযাব খাইতে কবরে চলিয়া গেল। কিন্তু আমি এত সহজে হাল ছাড়ব না। আমায় বরইয়ের পরিবর্তে হজমী সরবরাহ করলেই আমি হাসিয়া খেলিয়া ৯০ বতসর কাটাইয়া দিব। আর অলিভ অয়েল ত আছেই।

এ সময় নিজামী হাসতে হাসতে ‘আই এম পপাই দি সেইলর মেন’ গানটি গুনগুন করে গেয়ে উঠেন।

বাংগালী জাতিকে মধ্যমা প্রদর্শন করে বৃহত্তর জামায়াতের খানকির পোলায়ে আমীর বলেন, কত মুক্তিযুদ্ধা আদাড়ে বাদাড়ে ধুকিয়া মরল। উহারা জীবনে মাল্টা চুখেও দেখছে কিনা সন্দেহ। কিন্তু উহাদের রক্তে খরিদ করা স্বাধীন বাংলায় উহাদের বালবাচ্চার টেকশের টেকায় আমার জন্য মাল্টা খরিদ করা হবে। মুক্তিযুদ্ধ করিয়া তারা পাইল বালটা, আর আমি পাব মাল্টা। ভিভা লা রেভলুশিওন, হে মাকারেনা।

আদালতের মনের ভুলে দুর্ঘটনা বশত ফাসি হয়ে গেলে শ্রদ্ধা জানানর জন্য লাশ রায়েরবাজার বধ্যভুমি ও শহীদ মিনারে নিয়ে যাওয়ার খায়েশ প্রকাশ করে আলবদর সর্দার নিজামী বলেন, আমার অবৈধ পুত্র আসিফ নজরুল ইঞ্চি পুলাটা খুব খাটতেছে। উহাকে কি সরকার এক ডজন মাল্টা খরিদ করিয়া দিবে না?

June 25, 2014

জেলে খাই বেহেস্তি খানা, ট্রাইবুনালে যাওয়া মানা: নিজামী

কারাগার মতিবেদক

ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্ত বৃহত্তর জামায়াতে ইসলামীর খানকির পোলায়ে আমীর ও একাত্তরে আল বদরের কমান্ডার মতিউর রহমান নিজামী বলেছেন, জেলে খাই বেহেস্তি খানা, ট্রাইবুনালে তাই যাওয়া মানা।

মংগলবার সন্ধায় কেন্দ্রীয় কারাগারে আয়জিত এক সংবাদ সম্মেলনে আল বদর কমান্ডার নিজামী এ কথা বলেন।

এ সময় তাকে হাস্যজ্জল দেখাচ্ছিল।

সংবাদ সম্মেলনে নিজামী বলেন, আমাদের কারাগারগুলিতে খানাপিনার বেবস্থা মাশাল্লাহ ফাশ কিলাশ। কাশিমপুর কারাগারে সকালের নাশতায় আমায় দেওয়া হত লাল আটার পাঁচটি রুটি, সঙ্গে ডিম ভাজি, আলু ছাড়া সবজি ভাজি, মুরগির মাংস, মিষ্টি, এনসিওর দুধ ও কলা। নাশতা খাইয়া হজম করিয়া সারতারি না, তার আগেই চলিয়া আসিত দুপুরের খাবারের চিকন চালের ভাত, করলা ভাজি, টাকি বা চিংড়ি মাছ ভর্তা, বেগুন ভাজি বা ভর্তা, ছোট মাছ বা চিংড়ি মাছ ভুনা, সালাদ ও লেবু, মাল্টা বা বরই বা নাশপাতি। তারপর পেট ভরিয়া খানাদানার পর দিতাম ঘুম। ঘুম ভাংগিয়া সন্ধ্যার খাবারে খাইতাম লাড্ডু, নিমকি-বিস্কুট ও হরলিকস বা স্যুপ। তারপর কারাগারে কুন কচি মোজাহিদের সংগে নিবিড় বেয়াম করতাম কিছুক্ষন। রাতের খাবারে আসিত চিকন চালের ভাত, করলা ভাজি, বেগুন ভাজি বা ভর্তা, ঢেড়শ বা মিষ্টিকুমড়া বা পেঁপে ভাজি, গরু বা খাসির মাংস ভুনা, সালাদ ও লেবু এবং কমলা, মাল্টা, নাশপাতি, আঙুর বা বরই।

আবেগঘন কণ্ঠে নিজামী বলেন, আমি জানি বেহেস্তে যাওয়ার কুন সুযুগ আমার নাই। আমার বিপদ ফাঁসির পর কবরে আযাব দিয়া শুরু হবে, দোজখের আগুনে জ্বলিয়া পুড়িয়া আখেরাতে গিয়া শেষ হবে। এই সুদির্ঘ জীবনে কারাগারে কাটান বতসরগুলু আমার জীবনের শ্রেষ্ঠ সময়। এ যেন দুনিয়ার বুকেই এক টুকরু শাদ্দাদের বেহেস্ত। খাওয়া শোওয়ার অপুর্ব বন্দবস্ত।

হাসতে হাসতে নিজামী বলেন, এইরুপ খানাপিনা করলে রক্তচাপ বৃদ্দি পাওয়াই স্বাভাবিক। তাই আজ সকালে ডাক্তারকে ডাকিয়া বললাম, ডাক্তার ডাক্তার শুন না, এত বেশী ভাত খাওয়া ভাল না। ডাক্তার আসিয়া আমায় কিছুক্ষন টিপিয়া টুপিয়া চলিয়া গেল। কারাগারের নায়েবে আমীর ফরমান আলী ছার আসিয়া আমায় বললেন, নিজামী সাব আজকের দিনটা রেষ্টে থাকেন। ট্রাইবুনালে গিয়া কাম নাই।

অশ্রু মুছে নিজামী বলেন, কারাগারের নায়েব ফরমান আলী ছারের মত ভাল বেক্তি ইদানীং আর দেখা যায় না। একাত্তর সালে আরেক ফরমান আলীর আন্ডারে কিছুদিন কাম করার অভিজ্ঞতা হইছিল। সেই ফরমান আলীর পর চারটি দশক কাটিয়া গেল, তারপর পাইলাম এই ফরমান আলীরে। তার নাম শুনিয়াই আমার রক্তচাপ দেড় পেসকেল কমিয়া গিয়াছে।

অচিরেই সুস্থ হয়ে ট্রাইবুনালের রায় শ্রবনের ইচ্ছা বেক্ত করে নিজামী বলেন, শুনিলাম ইসলামী ছাত্র সংস্থার ২৪টি যুবতী ফিপটি শেডস অফ গ্রে সহ ধরা পড়িয়াছে। উহাদের আমার কারাকক্ষে পাঠান হইলে শাদ্দাদের বেহেস্ত দেখা ষুল আনা পুরন হইত।