নিজস্ব মতিবেদক
সোমবার দিবাগত রাত্র হতে মঙ্গলবার ভোর পযন্ত ঢাকার কল্যানপুরে চালানা পুলিশী অভিযান “অপারেশন ষ্টম ২৬”-এ নিহত ৯ জংগী প্রকৃত জংগী কিনা, তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করে বৃহত্তর জামায়াতের বিএনপির শাখার স্থায়ী কমিটির সদস্য ও আপদ কালে বিজেপি নেতা অমিত শাহের ডাবল রোল বিগ্রেডিয়ার জেনারেল (অবঃ) আ স ম হান্নান শাহ বলেছেন, কেমনে বুঝব তারা জঙ্গী আছিল?
আজ পুরানা পল্টনে বাংলাদেশ ফট জার্নালিষ্ট এশশিয়েশন মিলনায়তনে এক আলচনা সভায় প্রধান অতিথীর বক্তব্যে বিগ্রেডিয়ার হান্নান বলেন, সকালে ঘুম হতে উঠিয়া মনিং ওয়াক করিয়া বাসায় ফিরিয়া চা নাস্তা খাইয়া টিবিটা খুলিয়াই শুনলাম কল্যানপুরে পুলিশের হাতে ৯ জঙ্গী নিহত। শুনিয়াই বুঝলুম, ডাল মে বহুত কালা হায়। আমি সেনা বাহীনীতে আছিলাম, আমি এগুলি বুঝি।
সন্দেহঘন কণ্ঠে হান্নান শাহ বলেন, গুলশানে আছিল মাত্র পাচখান জংগী। তারা বুমা মারিয়া দুই পিস পুলিশ মারিয়ালাইল। দেশী বিদেশীও মারল বিশ পিস। কিন্তু রেব পুলিশ বিজিবি কুন সালা উহাদের গিয়া কানে ধরিয়া এরেষ্ট করার সাহস পাইল না। চিপায় খাড়াইয়া তারা সারা রাত গুজরান করিয়া দিল। জংগীরা আরামে রেষ্টুরেন্টে বসিয়া পিজ্জা পাস্তা পেটিস দিয়া সেহরী খাইল। আমি তখন মেডামকে মুঠফুন মারিয়া বললাম, মেডাম দেখিয়ে, ইয়ে হায় জংগী জেয়সা জংগী। চার পাচজন অন্দর মে পিজ্জা চাবা করতা, অর চার পাচ শ রেব পুলিশ বিজিবি বাহার মে ডরে কাপতা।
হাসতে হাসতে বিগ্রেডিয়ার হান্নান বলেন, সকালে সেনা বাহীনীর কমান্ডুরা আসিয়া টেংক কামান দিয়া পাচ পিস জংগীরে গুলিতে ঝাঝরা বানাইয়া বাইরে আনিয়া ফালাইল। কাজেই আমরা কি বুঝলাম? আসল জংগীরে পুলিশ দিয়া মারা সম্ভব নহে। উহার জন্য কমান্ডু লাগে। আমি সেনা বাহীনীতে আছিলাম, আমি এগুলি বুঝি।
পুলিশের প্রতি নিন্দাবাদ জানিয়ে হান্নান শাহ বলেন, পুলিশের হাতে এত বড় বড় বন্দুক কেনে? পুলিশের হাতে থাকবে লাঠি, মুখে থাকবে বাশি। তাহারা ছিচকা চোর পাকড়াও করিবে, রিকশাওলার মাজায় বাড়ি দিয়া মাঝে মধ্যে দশ বিশ টেকা ঘুষ খাইবে। হলিউডি বন্দুক হাতে ঘুরে এ কেমন পুলিশ?
হান্নান সেনা বাহীনীতে ছিল, সব বুঝে
স্মৃতিঘন কণ্ঠে হান্নান শাহ বলেন, একাত্তরের রেম্ব জিয়াউর রহমান ও পল্লীবন্ধু এরশাদের আমলে আমি সেনা বাহীনীতে আছিলাম, আমি এগুলি বুঝি। প্রকৃত জংগীরা হয় সবল, সুঠাম, সটান। পুলিশের হাতে গুলি খাইয়া কুন প্রকৃত জংগী ইন্তেকাল ফরমাইতে পারে না। অতএব কল্যানপুরের ৯ মুর্দা জংগী হতে পারে না। হয়ত উহারা পুলিশের উপর গ্রেনেড মারছে। হয়ত উহারা পুলিশের উপর গুলি চালাইছে। হয়ত উহারা জংগী বেনার ও জংগী লেবাস পড়িয়া একশনে গেছে। কিন্তু এইসব করলেই উহাদের জংগী বলিয়া চালাইয়া দিলে আমরা মানব না। জুয়ান বয়সে পুলিশের গায়ে একটু গ্রেনেড একটু গুলি কে না মারে? আমি সেনা বাহীনীতে আছিলাম, আমি এগুলি বুঝি।
পুলিশের প্রতি রাগারাগি করে বিগ্রেডিয়ার হান্নান বলেন, সালারা রাত বিরাতে গিয়া বাড়ির দরজা বাইড়াও কেনে? যে কুন ভদ্রলুকই ত রাত্রকালে পুলিশ আসিয়া দরজা বাইড়াইলে গ্রেনেড মারবে, গুলি চালাইবে। আমার বাড়িতে কুনদিন রাত্রকালে আসিয়া দরজা বাইড়াইলে আমি ষ্টোররুমে মজুদ করা সব কয়টি আর্জেস গ্রেনেড ফিক্কা মারব আগেই বলিয়া রাখলুম।
কল্যানপুরে নিহত ৯ যুবকের সংগে গুলি বিনিময়ের নিন্দা জানিয়ে হান্নান শাহ বলেন, উহারা নাহয় গুলি গ্রেনেড মারল, তাই বলিয়া তুমরাও পাল্টা গুলি চালাইবা কেনে? মাইকে ভলিউম বাড়াইয়া এস আই টুটুলের “ফিরে আয় খোকা” ছাড়লেই ত উহারা সুন্দর নিচে নামিয়া দরজা খুলিয়া দিত। সালা ঘোচুর দল গানের বদলে GUN চালাও কেনে?