Archive for July, 2016

July 26, 2016

কেমনে বুঝব তারা জঙ্গী আছিল: হান্নান

নিজস্ব মতিবেদক

সোমবার দিবাগত রাত্র হতে মঙ্গলবার ভোর পযন্ত ঢাকার কল্যানপুরে চালানা পুলিশী অভিযান “অপারেশন ষ্টম ২৬”-এ নিহত ৯ জংগী প্রকৃত জংগী কিনা, তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করে বৃহত্তর জামায়াতের বিএনপির শাখার স্থায়ী কমিটির সদস্য ও আপদ কালে বিজেপি নেতা অমিত শাহের ডাবল রোল বিগ্রেডিয়ার জেনারেল (অবঃ) আ স ম হান্নান শাহ বলেছেন, কেমনে বুঝব তারা জঙ্গী আছিল?

আজ পুরানা পল্টনে বাংলাদেশ ফট জার্নালিষ্ট এশশিয়েশন মিলনায়তনে এক আলচনা সভায় প্রধান অতিথীর বক্তব্যে বিগ্রেডিয়ার হান্নান বলেন, সকালে ঘুম হতে উঠিয়া মনিং ওয়াক করিয়া বাসায় ফিরিয়া চা নাস্তা খাইয়া টিবিটা খুলিয়াই শুনলাম কল্যানপুরে পুলিশের হাতে ৯ জঙ্গী নিহত। শুনিয়াই বুঝলুম, ডাল মে বহুত কালা হায়। আমি সেনা বাহীনীতে আছিলাম, আমি এগুলি বুঝি।

সন্দেহঘন কণ্ঠে হান্নান শাহ বলেন, গুলশানে আছিল মাত্র পাচখান জংগী। তারা বুমা মারিয়া দুই পিস পুলিশ মারিয়ালাইল। দেশী বিদেশীও মারল বিশ পিস। কিন্তু রেব পুলিশ বিজিবি কুন সালা উহাদের গিয়া কানে ধরিয়া এরেষ্ট করার সাহস পাইল না। চিপায় খাড়াইয়া তারা সারা রাত গুজরান করিয়া দিল। জংগীরা আরামে রেষ্টুরেন্টে বসিয়া পিজ্জা পাস্তা পেটিস দিয়া সেহরী খাইল। আমি তখন মেডামকে মুঠফুন মারিয়া বললাম, মেডাম দেখিয়ে, ইয়ে হায় জংগী জেয়সা জংগী। চার পাচজন অন্দর মে পিজ্জা চাবা করতা, অর চার পাচ শ রেব পুলিশ বিজিবি বাহার মে ডরে কাপতা।

হাসতে হাসতে বিগ্রেডিয়ার হান্নান বলেন, সকালে সেনা বাহীনীর কমান্ডুরা আসিয়া টেংক কামান দিয়া পাচ পিস জংগীরে গুলিতে ঝাঝরা বানাইয়া বাইরে আনিয়া ফালাইল। কাজেই আমরা কি বুঝলাম? আসল জংগীরে পুলিশ দিয়া মারা সম্ভব নহে। উহার জন্য কমান্ডু লাগে। আমি সেনা বাহীনীতে আছিলাম, আমি এগুলি বুঝি।

পুলিশের প্রতি নিন্দাবাদ জানিয়ে হান্নান শাহ বলেন, পুলিশের হাতে এত বড় বড় বন্দুক কেনে? পুলিশের হাতে থাকবে লাঠি, মুখে থাকবে বাশি। তাহারা ছিচকা চোর পাকড়াও করিবে, রিকশাওলার মাজায় বাড়ি দিয়া মাঝে মধ্যে দশ বিশ টেকা ঘুষ খাইবে। হলিউডি বন্দুক হাতে ঘুরে এ কেমন পুলিশ?


হান্নান সেনা বাহীনীতে ছিল, সব বুঝে

স্মৃতিঘন কণ্ঠে হান্নান শাহ বলেন, একাত্তরের রেম্ব জিয়াউর রহমান ও পল্লীবন্ধু এরশাদের আমলে আমি সেনা বাহীনীতে আছিলাম, আমি এগুলি বুঝি। প্রকৃত জংগীরা হয় সবল, সুঠাম, সটান। পুলিশের হাতে গুলি খাইয়া কুন প্রকৃত জংগী ইন্তেকাল ফরমাইতে পারে না। অতএব কল্যানপুরের ৯ মুর্দা জংগী হতে পারে না। হয়ত উহারা পুলিশের উপর গ্রেনেড মারছে। হয়ত উহারা পুলিশের উপর গুলি চালাইছে। হয়ত উহারা জংগী বেনার ও জংগী লেবাস পড়িয়া একশনে গেছে। কিন্তু এইসব করলেই উহাদের জংগী বলিয়া চালাইয়া দিলে আমরা মানব না। জুয়ান বয়সে পুলিশের গায়ে একটু গ্রেনেড একটু গুলি কে না মারে? আমি সেনা বাহীনীতে আছিলাম, আমি এগুলি বুঝি।

পুলিশের প্রতি রাগারাগি করে বিগ্রেডিয়ার হান্নান বলেন, সালারা রাত বিরাতে গিয়া বাড়ির দরজা বাইড়াও কেনে? যে কুন ভদ্রলুকই ত রাত্রকালে পুলিশ আসিয়া দরজা বাইড়াইলে গ্রেনেড মারবে, গুলি চালাইবে। আমার বাড়িতে কুনদিন রাত্রকালে আসিয়া দরজা বাইড়াইলে আমি ষ্টোররুমে মজুদ করা সব কয়টি আর্জেস গ্রেনেড ফিক্কা মারব আগেই বলিয়া রাখলুম।

কল্যানপুরে নিহত ৯ যুবকের সংগে গুলি বিনিময়ের নিন্দা জানিয়ে হান্নান শাহ বলেন, উহারা নাহয় গুলি গ্রেনেড মারল, তাই বলিয়া তুমরাও পাল্টা গুলি চালাইবা কেনে? মাইকে ভলিউম বাড়াইয়া এস আই টুটুলের “ফিরে আয় খোকা” ছাড়লেই ত উহারা সুন্দর নিচে নামিয়া দরজা খুলিয়া দিত। সালা ঘোচুর দল গানের বদলে GUN চালাও কেনে?

July 25, 2016

সরকার বিএনপি শাখাকে যৌন হয়রানী করছে: ফখা

নিজস্ব মতিবেদক

সম্প্রতি হাইকুটের রায়ে টাকা পাচারের মামলায় বৃহত্তর জামায়াতে ইসলামীর বিএনপি শাখার আওলাদে আমীর, জাতীয়তাবাদী শক্তির ভবিষ্যত মালিক ও বর্তমান আমীর এট লার্জ ও শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের যোগ্য উত্তরসুরী পলাতক চিকিতসাধীন তরুন নেতৃত্ব মিষ্টার ফিপটিন পারসেন্ট বড় গনতন্ত্র বড় গুন্ডে লাদেন-এ-লনডন তারেক জিয়ার সাত বছরের জেল ও বিশ কুটি টেকা জরিমানা হওয়ার প্রতিবাদে জাতীয় প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে বৃহত্তর জামায়াতের বিএনপি শাখার ঢাকা মহানগর পাতিশাখা আয়জিত এক এত্রাজ মহাফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপি শাখার ভাঁড়প্রাপ্ত নায়েবে আমীর, জাতীয়তাবাদী শক্তির ‘কমপ্লান বয়’, লনডনে পলাতক চিকিতসাধীন আওলাদে আমীর বড় গুণ্ডে কতৃক ‘হাইড এন্ড সিক’ গালিতে ভুষিত ও ঈদুল কতলের টেলেন্ট হান্ট প্রতিযোগীতায় ‘ফ্লেয়ার এন্ড লাবলি’ খেতাবে সমাদৃত মির্জা বাড়ির বড় গৌরব আল্লামা মির্জা ফখরুল ইসলাম আগুনগীর ওরফে ফখা ইবনে চখা বলেছেন, সরকার বিএনপি শাখারে যৌন হয়রানী করা শুরু করছে।

বক্তব্যের মঞ্চে উঠে আগুন ঝরা বক্তিতায় আগুনগীর বলেন, হাইকুটের এই রায় প্রমান করে, সরকার বিএনপির বুকে হাত দিছে। ইতিপুর্বে তারা বেংককে পলাতক ছুট গনতন্ত্র আল্লামা আরাফাত কোকোরেও সাত বতসরের জেল আর উনিশ কুটি টেকা জরিমানা করছিল। সেই রায়ের হয়রানীতে আমরার ছটে মালিক তিলে তিলে কাহিল হয়ে একদিন ইনতেকাল ফরমাইতে বাধ্য হন। আমি তখন বলছিলাম, ফেসিবাদী বাকশাল সরকার বিএনপির বাম বুকে হাত দিল।

হুহু করে কেদে উঠে কমপ্লান বয় বলেন, ছুট গনতন্ত্র বেংককে পলাতক থাকায় তার সাজা লইয়া কুন উচ্চবাচ্চ হয় নাই। ইন ফেক্ট উনি দেশে থাকলেও হইত না। রাজনীতীর ময়দানে উনি আছিলেন দুদভাত। কিন্তু সরকার দুদভাতে হাত দেওনের পরেও আমরা উপযুক্ত পরিমানে মনির পুড়াইতে কামিয়াব হই নাই। আর এতে করিয়া বখাটে বাকশালের সাহস আরও বাড়িয়া গেছে। তার নমুনা আপনারা এখন দেখতেছেন, কেমনে হাইকুট বড়ে মালিকরেও সাত বতসরের জেল আর বিশ কুটি টেকা জরিমানা করিয়া দিল। আমি এখন বলতেছি, ফেসিবাদী বাকশাল সরকার এখন বিএনপির ডান বুকেও বুংগী বাজাইয়া দিল।


ফুটন্ত ফখরুল

অশ্রু মুছে পুনরায় আগুন ঝরা বক্তব্যে ফ্লেয়ার এন্ড লাবলি বলেন, হাইকুটের এই রায়ে প্রমান হইছে, সরকারের চোখে বিএনপির দুই বুকের মধ্যে পার্থক্য মাত্র এক কুটি টেকার। অতছ আমরা জানি, বিএনপি শাখার দুই বুক কখনই সমান নহে। বাম বুক আরাফাত কোকো রাজনীতীর ময়দানে কেইরা নাইটলি, আর ডান বুক তারেক জিয়া কিম কারদাশিয়ান। কিন্তু কথা সেটা নহে। কথা হচ্ছে সরকার বিএনপির বুকে হাত দিয়া দিছে। অতছ আমরা কি করতেছি? হাম লগ ত চীনা বাদাম চাবা রাহা হু। ১৯৫২ সালেও হাম লগ চীনা বাদাম চাবা করতা থা, ১৯৭১ সালে ভি। এখন পযন্ত আমরা চীনা বাদাম চাবাকে চলতা হু। এইভাবে চলবে না ভাইলগ। বুকের রক্ত দিয়া অধিকার আদায় করতে হবে।

এ সময় মিলনায়তনে গুঞ্জন উঠলে হাইড এন্ড সিক নিজেকে সংশোধন করে বলেন, এই বুক বিএনপির বুক নহে, নিজের বুক। রক্ত দিলে নিজের বুকের রক্তই দিতে হবে, বিএনপির বুক ওরফে বড় গনতন্ত্রের রক্ত আপাতত এভিলেবিল নহে। এই বিষয়ে সংশয়ের কুন অবকাশই নাহি মিলেংগে।

সামনে কঠিন দিনের প্রতি ইংগিত করে ফখা ইবনে চখা বলেন, ডান বুক বাম বুক দুই বুকেই সরকার হাত দিয়া দিল। সামনে মহিলা আমীরের ইয়াতীমের টেকা মারার কেসেও রায় হবে, মনির পুড়ানির মামলায় আমরা যারা নায়েবরা আছি তাদেরও রায় হবে। সরকার বিএনপির অবশিস্ট বুকগুলুরেও হাতাফাই করিবে। যে করিয়াই হউক উহা ঠেকাইতে হবে। তা না হলে এনি বুলু টুকু ফালু প্রভৃতি নাবালকদের হাতে বিএনপি শাখার মালিকানা চলে যাবে।

বিএনপির বুকের সংখ্যা দুই এর অধিক কেন, মিলনায়তনে এ প্রশ্ন গুঞ্জন আকারে ছড়িয়ে পড়লে রাগারাগি করে আগুনগীর বলেন, ফেক্ট দিয়া আমার সুন্দর থিউরিটারে বরবাদ করতে চাও কেনে? চুপ করিয়া সীটে বসিয়া যা বলি শুন।

অবিলম্বে এ যৌন হয়রানীর বিরুদ্ধে তিব্র আন্দলন গড়ে তুলার আহোভান জানিয়ে ফখা বলেন, সরকার যা করছে, কুন ইসলামী কানটৃতে তাহা করলে সরকাররে মাজা পযন্ত মাটিতে গাড়িয়া পাত্থর মারা হইত। কিংবা সরকাররে একশত দররা মারা হইত। দিনকাল যা পড়ছে, তাতে সরকাররে কিসাস করলেও কেহ আপত্তি করত না। কিন্তু আমরার দেশে সালা নাছারাদিগের প্রবর্তিত গনতন্ত্র চলে, তাই উহার আলকে আমার ফয়সালা একটিই।

আবেগঘন কণ্ঠে ফখা ইবনে চখা বলেন, সরকারকে বিএনপি শাখার সংগে বিবাহ দিয়া দিতে হবে।

July 24, 2016

আয় খোকা আয়: জঙ্গী সঙ্গীত

খোকা:
কাটে না সময় যখন আর কিছুতে
NSU-র লেকচারে মন বসে না
হাদিস-কোরানে আমি ঢোকাই মাথা
মনে হয় আইসিস ডাকছে আমায়
আয় খোকা আয়
আয় খোকা আয়

আইসিস:
আয় রে আমার সাথে ফান করে যা
নতুন নতুন হুর নে বেছে নে
কিছুই যখন ভালো লাগবে না তোর
সেক্স-জিহাদিকে তুই লাগাবি রে
আয় খোকা আয়
আয় খোকা আয়

খোকা:
জিহাদ যখন মনে আগুন ধরায়
দুনিয়ার মজা সব জুড়িয়ে যায়
কুফরি কিতাবগুলো ছুঁড়ে ফেলি
মনে হয় আইসিস ডাকছে আমায়
আয় খোকা আয়
আয় খোকা আয়

আইসিস:
আয়রে আমার সাথে আয় এখনি
পরিচিত নিজ ঘর শহর ছেড়ে
যদি না পারিস দেশ ছাড়তে তুই
দেশে থেকে হবি তুই জিহাদি রে
আয় খোকা আয়
আয় খোকা আয়

খোকা:
যখনই সাজি আমি খাস লেবাসে
সুন্নতী দাড়ি মোর নূরানি বাড়ায়
জিহাদের দাওয়া আসে আকাশ থেকে
মনে হয় আইসিস ডাকছে আমায়
আয় খোকা আয়
আয় খোকা আয়

আইসিস:
আয় রে আমার কাছে আয় এখনি
জিহাদের রাহে আমি নিবো তোকে
দেখি কেমন দাড়ি রেখেছিস তুই
কেমন সুরমা দিলি কালো চোখে
আয় খোকা আয়
আয় খোকা আয়

খোকা:
ছেলেখেলার দিন ফেলে এসে
যখন জঙ্গী হতে কাজ করে যাই
তখনই মাথামোটা আবাল বেকুব
পুলিশের পিছুডাক শুনতে যে পাই
আয় খোকা আয়
আয় খোকা আয়

পুলিশ:
আয় রে খোকা, ফিরে আয় এখনি
সরকারী পুলিশী প্রটেকশনেই,
আরো পাবি দশ লাখ – ইনাম স্বরূপ
আখিরাতে হুর – সে তো পাবি এমনেই
আয় খোকা আয়
আয় খোকা আয়

July 24, 2016

জঙ্গীবাদের পথ থেকে ফিরে আসার ঘোষনা দিলেন জাফরুল্লা

নিজস্ব মতিবেদক

জঙ্গীবাদের পথ থেকে ফিরে আসার ঘোষনা দিয়ে রাজনীতীর ময়দানে চাঞ্চল্যের সৃস্টি করেছেন জাতীয়তাবাদী শক্তির বেড বয় ও জামদানীর সমঝদার ডাক্তার জাফরুল্লা।

শনিবার দিবাগত রাত্রে নিজ বাসভবনে আয়জিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ চাঞ্চল্যকর ঘোষনা দেন ডাক্তার জাফরুল্লা।

সংবাদ সম্মেলনে জাতীয়তাবাদী শক্তির বেড বয় বলেন, জঙ্গীবাদ এক ধরনের প্রতিবাদ। ফেসিবাদী বাকশাল সরকারের নিষ্ঠুর পুলিশের অত্যাচারে দিশাহারা নিপীড়ীত মজলুম জনতার পুলাপানই জঙ্গীবাদের মাধ্যমে প্রতিবাদ জানাইতেছে। আর আপনারা জানেন, আমিও একজন চির প্রতিবাদী। তাই এই জালেম সরকারের বিরুদ্ধে আমিও জঙ্গীবাদের পথে রওনা দিয়াছিলুম। কিন্তু আজ আমি সেই পথ হতে ফিরত আসার ঘোষনা দিলুম।

উপস্থিত সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে আবেগঘন কণ্ঠে জাফরুল্লা বলেন, জঙ্গীবাদ যে প্রতিবাদ, এই থিউরি দিলে তুমাদের এত পুটু জ্বলে কেনে? জঙ্গী নিরবাস, জঙ্গী রোহান, জঙ্গী মবাশ্বেরের পিতাদের কুনদিন পুলিশ পিটায় নাই, এই ফেক্ট দিয়া তুমরা আমার সুন্দর থিউরিতে মুতার জন্য এত বেচেইন কেনে? আর তুমরা কেমনে জান কারা তাদের আসল পিতা? হয়ত গুপনে গুপনে জাতীয়তাবাদী শক্তির জাতির পিতা জয়নাল আবেদীন ফারুকই তাদের আসল পিতা। আর কে না জানে যে জয়নাল আবেদীন ফারুকরে হারুন এসপি অতীতে পিটাইয়া পাউডার বানাইয়াছিল?

জঙ্গীবাদের পথ হতে ফিরে এলে রেব কতৃক দশ লক্ষ টাকা পুরস্কারের ঘোষনা তাকে কোন প্রকারে এ সিদ্ধান্ত নিতে অনুপ্রেরনা দিয়েছে কিনা জানতে চাইলে প্রতিবাদঘন কণ্ঠে বেড বয় বলেন, রিজিক আল্লাহর হাতে। পিয়াস করিম হাগু, ফরহাদ মজহার লুংগি ও আসিফ নজরুল ইঞ্চি আমায় পাচ লক্ষ টেকার প্রলভন দেখাইয়া জঙ্গীবাদের রাস্তায় টানিয়া লইয়া গিয়াছিল। অতছ আজ জঙ্গীবাদের রাস্তায় উল্টাদিকে হাটা ধরায় রেব আমায় দশ লক্ষ টেকা দিবে। তবে এই টেকার সাথে আমার সিদ্ধান্তের কুন সম্পর্ক নাই।


ফিরে এল খোকা

সাংবাদিকরা সিদ্ধান্তের পিছনে আসল কারন জানতে চাপাচাপি করলে এক পর্যায়ে হুহু করে কেদে উঠে জাফরুল্লা বলেন, এস আই টুটুলের গান “ফিরে আয় খোকা” শুনিয়া আমি জঙ্গীবাদের রাস্তা হতে ফিরিয়া আসার ডিশিশনটা লইছি। এইভাবে ডাকলে কুন জঙ্গী না ফিরিয়া পারে? যদিও আমি খোকা নহি, কিন্তু আমি বোকাও নহি। এখন রেব পুলিশ বিজিবি মাইর শুরু করছে। এই মাইরের সিজনে জঙ্গীবাদ দিয়া প্রতিবাদ করে কাচ্চে খিলাড়িরা। আমি কাচ্চে নহি, পাক্কে।

কিন্তু উপস্থিত সাংবাদিকদের আরেক প্রশ্নের জবাবে এক পর্যায়ে জাফরুল্লা নতি স্বিকার করে বলেন, শাকিলা জাফরের কারনেই আমি জংগী হইয়াছিলুম।

শাকিলা জাফর কি করেছিলেন জানতে চাইলে অভিমানঘন কণ্ঠে জাফরুল্লা বলেন, কাজী জাফরের ইন্তেকালের পর যখন আমি নিপীড়ীত জাফর ঐক্যের আমীরের দায়িত্ব লইলাম, তখন একদিন গভীর রাত্রে শাকিলা জাফররে মুঠফুন মারিয়া কইলুম, কি গ শাকিলা জাফর কাইফা হালুকা? চল একদিন লিরিবিলি অন্তাকশরী খেলি। সে তখন আমায় বকাবকি করিয়া বলল, মিনসে আমি আর জাফর নাই, শর্মা হইয়া গিয়াছি। জাফরদের সংগে আমি এখন আর কথা বলি না। নাম পাল্টাইয়া শর্মাউল্লা হইতে পারিস যদি, তবেই কেবল রাত্রকালে মুবিলে কল দিস।

হুহু করে কেদে উঠে বেড বয় বলেন, অতছ আমি সেই এরশাদের আমল হতে তক্কে তক্কে আছিলুম। আমি মিথুন রাশির ছেলে, আর সে তুলা রাশির মেয়ে। কিন্তু পিশাচীনী শাকিলা কুন এক শর্মা হাউসের মালিকরে বিবাহ করিয়া শর্মা হইয়া গেল। তাই রাগে দুঃখে আমি ঠিক করলুম, এর প্রতিবাদে আমি জঙ্গী হইয়া যাব।

জঙ্গী জীবনে নিজের নাম পাল্টানোর কথা জানিয়ে জাফরুল্লা বলেন, আমার জঙ্গী নাম আছিল “আবু গনতন্ত্র।” এই নাম লইয়াই শাকিলারে জঙ্গী চুম্বন চুমাইয়া আইএসের ঘাড়ে দায় ফালানর পরিকল্পনা লইছিলুম। কিন্তু আজ সিদ্ধান্ত লইলুম, বহুত হুয়া, জঙ্গীবাদের পথে আর নহে। জাফর নামেই শাকিলারে যা করার করব। পিশাচীনী তুলা রাশি শাকিলার শর্মানুভুতি আমি তুলাধুনা করিয়া ছাড়ব।

এত নাম রেখে কেন “আবু গনতন্ত্র” নাম নিলেন, এ প্রশ্নের সরাসরি উত্তর না দিয়ে লজ্জায় দুহাতে মুখ ঢেকে রহস্য করে বেড বয় বলেন, জামদানীতে মেডামকে যা সুন্দর লাগে না!