নিজস্ব মতিবেদক
‘খাদ্যবান্ধব’ কর্মসুচীর আওতায় আগামী ৭ সেপ্টেম্বর হতে দেশের ৫০ লাখ পরিবারকে ১০ টাকা কেজিতে মাসে ৩০ কেজি চাল সরবরাহের ঘোষনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে দেশের সুশীল সমাজ।
আজ ইনজিনিয়ারস ইনস্টিটিউটে আয়জিত এক সংবাদ সম্মেলনে আরও দ্রুত এই কর্মসুচী চালু না করায় সরকারকে তিরস্কার করেছেন সুশীল সমাজের প্রতিনিধি গন।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্যে সুশীল সমাজের প্রতিনিধি ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক আসিফ নজরুল ইঞ্চি বলেন, সরকার আমরার মীর কাশেম ছাহেবকে ফাসি দিল ৩ তারিখ। আর ১০ টেকা কেজির চাল বরাদ্দ শুরু করতিছে ৭ তারিখ হতে। আমরা সুশীলরা, যারা মীর কাশেম ছাহেবের মৃত্যুর পর ইয়াতীম হয়ে গেনু, তারা ৪, ৫ ও ৬ তারিখে কি খাব?
বক্তব্যে মীর কাশেমের পতৃকা নয়া দিগন্তের নিয়মিত লেখক প্রবীন অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী মীর কাশেমের ফাসির ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, আমরা যারা মীর কাশেমের পেপারে দুটু কলম লিখে খাইতুম, তাদের বিকল্প কর্ম সংস্থানের কুন রকম বন্দবস্ত না করিয়াই ফেসিবাদী বাকশাল কাশেম ছাহেবকে ফাসি দিয়া ফেলল। এতে সামাজিক নিরাপত্তা মারাত্মক রুপে বিঘ্ন হইতিছে। এতেই প্রমান হয় যে দেশে গনতন্ত্র নাই।
বিশিষ্ঠ কবি, হেকিমী চিকিতসক ও বোমারু দার্শনিক আল্লামা ফরহাদ মজহার লুংগি বলেন, ভারতীয় হিন্দু হাতি বংগ বাহাদুরকে পযন্ত এই নাস্তেক সরকার আখ ও কলাগাছ সরবরাহ করিয়াছে। অতছ আমরা কয়েক ঘর মুসলমান বুদ্ধিজীবী ৩ সেপ্টেম্বর কাল রাত্রিতে মীর কাশেম ছাহেবের ফাসির পর হতে যে বেকার হইয়া গেলুম, অনাহারে অর্ধাহারে দিন গুজরান করিলুম, উহার দিকে সরকারের কুন খেয়াল নাই। দুর্যগ ও ত্রান মন্ত্রী মায়ার মধ্যে কুন মায়াদয়া নাই। থাকলে সে আমাদের বাড়িতে কাটারিভগ চাউল, মুগ ডাইল, ঘি ও খাসির মাংস পাঠাইত। এমনকি আখ ও কলাগাছ পাঠাইলেও বুঝতাম যে তাহারা আমাদের কথা ভাবে। কিন্তু বিকাল পযন্ত আমরার বাড়িতে কিছুই যায় নাই।
বাংলাদেশের সংবিধানের প্রনেতা দলের অন্যতম সদস্য, খেতনামা আইনজীবী ও দেশের একমাত্র নির্ভরযোগ্য সাংবাদিক ডেভিড বাগমেনের বৈধ শশুড় গন ফোরামের প্রতিষ্টাতা আমীর এবং হাজার রাজনৈতিক জোটের পাটনার বেক্তিত্ব বাংলার সংবিধানের পিতা আতাসংবিধান ড. কামাল হোসেন ওরফে আইনের ময়দানে কিংবদন্তী ফুটবলার কামালহো বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে আপসস করে বলেন, ১০ টেকা কেজির চাউল নিয়া আপসস করি না। কিন্তু মীর কাশেমের ফাসির পর আমার বিলাতি জামাতা ডেভিডরে লইয়া টেনশনে আছি। পুনরায় যদি উহার হাতখরচ আমায় যুগাইতে হয়, মালাই লামার নেয় বেংক লুট করা ছাড়া আমার আর কুন উপায় থাকবে না।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে হুহু করে কেদে উঠে কামালহো বলেন, ডেভিডরে ১০ টেকা কেজির চাউলের জন্য রেশন কাড করাইয়া দিব ঠিক করছিলুম, কিন্তু সালা ঘোচু শুদু পাস্তা পিজ্জার জন্যি কান্নাকাটি করে।
উপস্থিত সুশীলদের সান্তনা দিয়ে জাহাংগীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতীর অধ্যাপক ও তেল গেস খনিজ বন্দর বিদ্যুত রাজাকার বাচাও আন্দুলনের আমীর ‘আওলাদে মাও’ আল্লামা আনু মুহাম্মদ বলেন, আপনারা আমার সংগে নিকটস্থ চরে চলেন। কাটারিভগ চাউলের ভাতের বন্দবস্ত হবে। তবে বিনিময়ে বন্দুক চালনা ও তাইকেন্দু শিখতে হবে।