Archive for October, 2012

October 31, 2012

ঘুর্নিঝড় সেন্ডি আল্লাহর গজব: ওবামা

ওয়াশিংটন মতিনিধি

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রলয়ংকরী ঘুর্নিঝড় সেন্ডিকে আল্লাহর গজব হিসেবে স্বিকার করে নিয়েছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রপতি বারাক হোসেন ওবামা।

আজ এক সংবাদ সম্মেলনে ওবামা এ স্বিকারুক্তি করেন।

ওবামা বলেন, মুসলমানদের নবী মুহম্মদকে নিয়ে মিশরের এক বেক্তি একটি চলচিত্র নির্মান করে। সেই চলচিত্র ইউটিউবে আপলোড করা হয়। সারা বিশ্ব থেকে মুসলমানরা প্রতিবাদ জানায়। লিবিয়ার বেনগাজীতে তারা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদুতকে পুটু মেরে হত্যা করে। কিন্তু তারপরও ইউটিউব থেকে সেই চলচিত্র সরান হয় নাই। তারই শাস্তি সরুপ আল্লাহ ঘুর্নিঝড় সেন্ডিকে পাঠিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে পুটু মেরে দিয়েছে।

ওবামা বলেন, ঘুর্নিঝড় সেন্ডি আল্লাহর গজব, এতে কুন সন্দেহ নাই।

আল্লাহকে কলা দেখাচ্ছে ওবামা

ওবামা আবেগঘন কণ্ঠে বলেন, আমি আল্লাহকে হুঁশিয়ার করে দিয়ে বলতে চাই, ভাল হয়ে যাও। ভাল হতে পয়সা লাগে না। পয়সা লাগলে সৌদী আরবকে বল। তাদের অনেক পয়সা। আবার যদি ঘুর্নিঝড় আসে, আমরা আল্লাহর দরবারে গনতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করে দিব।

আল্লাহকে হুঁশিয়ার করে ওবামা বলেন, আমরা মুহম্মদকে নিয়ে আরও চলচিত্র বানাব। পারলে ঠেকা।

October 31, 2012

সারে জাহাঁ সে আচ্ছা হিন্দুস্তান হামারা: খালেদা

দিল্লী মতিনিধি

চীন থেকে ফিরে ভারত সফরে গিয়ে উচ্ছাসে আত্মহারা হয়ে পড়েছেন বৃহত্তর জামায়াতে ইসলামীর বিএনপি শাখার মহিলা আমীর বেগম খালেদা জিয়া।

আজ আজমীর শরীফ জিয়ারত শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে খালেদা জিয়া বলেন, সারে জাহাঁ সে আচ্ছা হিন্দুস্তান হামারা।

খালেদা জিয়া আবেগঘন কণ্ঠে বলেন, এইবার ভারত সফরে এসে আমি অনেক ঘুরাঘুরি অনেক ভ্রমন করেছি। আগ্রার তাজমহল দেখেছি। দিল্লীর কেল্লা দেখেছি। খাজুরাহোতে মন্দিরের গায়ে খোদাই করা দুষ্টু দুষ্টু মুর্তি দেখেছি। ইনডিয়া একটি ভাল দেশ। মি লাইকস দিস।

ভারতের পুটু মেরে জ্বালিয়ে দাও ফাটিয়ে দাও

খালেদা জিয়া বলেন, আমি ভারতের নামে অনেক বদনাম করেছি। ভুল সবই ভুল, এই জীবনের পাতায় পাতায় যা লিখা সে ভুল। আসলে তখন আমার কাঁচা বয়স ছিল। কে যে শত্রু, কে যে বন্ধু, বুঝতাম না। তারপর আমার পরিচয় হল নায়েবে খাস মোসাদ্দেক আলী জি ফালুর সংগে। তারপর আমি ধীরে ধীরে বড় হয়ে উঠি। বুঝতে শিখি কে ভাই কে দুশমন। এইবার ভারত সফরে এসে আমি বুঝেছি, ভারতের মত ভাল দেশ আর নাই। আপনারা আমায় নাগরিকত্ব দিলে আমি ভারতেই থেকে যাব। কিন্তু তার আগে দুর করে যাব বাংলাদেশের যত জঞ্জাল।

খালেদা জিয়া উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, আওয়ামী লীগ ভারতের শত্রু। তারা উলফার শেলক লতিফুর রহমানের সংগে চা-নাস্তা খায়। পৃথিবীর যে দেশে আওয়ামী লীগ আছে, সে দেশ ধ্বংস হয়ে গেছে।

মনমোহন সিংহকে উদ্দেশ করে খালেদা জিয়া বলেন, সিং নেই তবু নাম তার সিংহ। মনমোহন সিংহ একজন ভাল মানুষ। মি লাইকস দিস।

আগামী নির্বাচনে বৃহত্তর জামায়াতে ইসলামীকে মদদ যোগানর আহ্বান জানিয়ে খালেদা বলেন, আমরা আর সন্ত্রাস করব না। এইবার নির্বাচিত হলে ভারত যা চায় তাই দিব। টাটাকে গেস দিব, মিত্তালকে দিব কয়লা। করিডর দিব, ট্রানজিট দিব। ধান কুটলে কুড়ো দিব মাছ কুটলে মুড়ো দিব।

ভারত সফরে এসে অবসরে কি করবেন, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে খালেদা বলেন, ঘুমেংগে ফিরেংগে নাচেংগে গায়েংগে আয়েশ করেংগে অর কেয়া?

October 30, 2012

সমঝোতায় এলেন শাজাহান ও তৈমুর

নিজস্ব মতিবেদক

পরস্পর সমঝোতায় এসেছেন আওয়ামী লীগের নেতা ও নৌ পরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান ও বৃহত্তর জামায়াতে ইসলামীর বিএনপি শাখার নেতা তৈমুর আলম খন্দকার।

আজ এক অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানে পারস্পরিক সমঝোতা পত্র সাক্ষর করেন এই দুই নেতা।

সমঝোতা সাক্ষর শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে তৈমুর আলম খন্দকার বলেন, শাজাহান খান নিজেকে স্বাস্থবান পালোয়ান মনে করেন। কিন্তু বাস্তবে তার গতর শুয়ারের মত। কিন্তু তার গায়ে অনেক জোর। তাই তিনি চিকনা পাতলা বেরিষ্টার রফিকুলের সংগে মস্তানী করতে পেরেছেন। তিনি রফিকুলের চোখ তুলে ফেলার হুমকি দিয়েছেন।

আবেগঘন কণ্ঠে তৈমুর বলেন, বৃহত্তর জামায়াতে ইসলামীর মস্তানে আমীর পাপিয়া পাণ্ডের গায়ে অনেক জোর থাকলেও শাজাহান খানের সংগে কুস্তিতে তিনি পারবেন না। তাই শাজাহান পাপিয়া পাণ্ডের মোচ তুলে ফেলার হুমকি দিয়েছেন।

নিজের বাইসেপ প্রদর্শন করে তৈমুর বলেন, বিএনপি শাখায় শাজাহানের সাথে পাল্টি নেওয়ার মত বেক্তি খুব বেশী নাই। কিন্তু আমি এখনও প্রতিদিন সকালে দাত দিয়ে ছুলে গেন্ডারী খাই। গরুর মাংস দিয়ে এক ডজন নান রুটি খাই। তাই আমি শাজাহানের জিহ্বা কেটে নেওয়ার পাল্টা হুমকি দিলাম।

শাজাহান খান বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন, আমি রফিকুলের চোখ ও পাপিয়ার মোচ তুলার হুমকি দিয়েছি বলে তৈমুর আমার জিহ্বা কাটার হুমকি দিয়েছে। রাজনীতিতে চোখ তুলাতুলি, মোচ তুলাতুলি ও জিহ্বা কাটাকাটির হুমকি দেওয়া জায়েজ। কিন্তু আজ আমরা এই ঐতিহাসিক সমঝোতা পত্রে সাক্ষর করে একমত হয়েছি যে, আমরা কেউ কারও নুনু কাটব না। জিহ্বা কাটব গলা কাটব নুনু কাটব না।

তৈমুর আলম খন্দকার বলেন, আমাদের কাটাকাটি নুনু থেকে কমপক্ষে এক ফুট উপরে গিয়ে সমাপ্ত হবে।

উচ্ছসিত কণ্ঠে তৈমুর বলেন, নুনু কাটার রাজনীতি চলবে না বেবি।

October 29, 2012

চার্য নাই যার, সেই আচার্য: ইউনূস

স্কটলেন্ড মতিনিধি

বাংলাদেশের নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবীদ ও গ্রামীন বেংকের বিতাড়িত মালিক ড. মুহম্মদ ইউনূস স্কটলেন্ডের গ্লাসগো কেলেডনিয়ান ইউনিভার্সিটির আচার্য পদে অভিষিক্ত হয়েছেন।

আজ স্কটলেন্ডের গ্লাসগো শহরে এই অভিষেক অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়।

অনুষ্ঠানে ড. ইউনূস বলেন, আমাদের দেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য হন রাষ্ট্রপতি। তিনি নামেও আচার্য, কামেও আচার্য। বাংলাদেশের ইতিহাসে সর্বাপেক্ষা মহান স্বৈরাচার সাবেক রাষ্ট্রপতি পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ ছিলেন রাষ্ট্রপতির মত রাষ্ট্রপতি। আপনারা জানেন, তিনিই আমায় গ্রামীন বেংকের মালিক বানিয়েছিলেন। তার আমলে বাঘের স্ত্রীর সংগে গরু এক ঘাটে পানি খেতে যেত। তারা পানি খেত, পরস্পরের সংগে গল্প গুজব করত, হাসি তামাশা করত। এমনই ছিল পল্লীবন্ধুর দাপট। কিন্তু বর্তমান রাষ্ট্রপতিরা সকলেই চার্য বিহীন মুঠোফোনের মত। তারা দেখতে সুন্দর চকচকা, কিন্তু কুন কামের না। আপনারা জানেন, চকচক করলেই সোনা হয় না। তার জন্য চাই বিজয় টেবলেট। চার্য নাই বলেই আজকাল রাষ্ট্রপতিগুনো আচার্য হয়। আজ আপনারাও আমায় আচার্য বানিয়ে দিলেন।

ইউনূস

আবেগঘন কণ্ঠে ইউনূস বলেন, আমি আচার্য হয়ে প্রথমেই এই ধজভংগ বিশ্ববিদ্যালয়ের চার্য ফিরিয়ে আনতে চাই। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের টিউশন ফিয়ের জন্য ক্ষুদ্র ঋন দিতে চাই। এ জন্য আমি ৩৫-৪০% সুদ চার্য করব। বিশ্ববিদ্যালয়কে রিচার্য করতে গেলে এই সুদ নিতে হবে। আমরা আর পিছিয়ে থাকব না। এখন উন্নয়নের সময়।

বাংলাদেশের নাম উল্লেখ না করে ইউনূস বলেন, একটি দেশে মাঝে মধ্যে সেনা শাসন চলে। তখন মন মত রাষ্ট্রপতি পাওয়া কঠিন। আপনাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে আচার্য হিসাবে দায়িত্ব পালনের প্রেকটিস থাকলে ভবিষ্যতে ঐ দেশে রাষ্ট্রপতি পদে দায়িত্ব পালনেও আমার সুবিধা হবে।

অভিষেক অনুষ্ঠানে ড. ইউনূসের কন্যা ও অপেরা গায়িকা মনিকা ইউনূস মরমী সংগীত শিল্পী মমতাজের ‘মরার কুকিলে’ গানটি পরিবেশন করেন।