Archive for April, 2011

April 27, 2011

ফতোয়া নিয়ে দুই অ্যামিকাস কিউরির দুই রকম মত

নিজস্ব মতিবেদক

ফতোয়া নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ দুই আইনজীবী দুই রকম মত দিয়েছেন। সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল মাহমুদুল ইসলাম ফতোয়ার বিরোধিতা করে বলেছেন, ফতোয়ার কারণে সাধারণ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। গ্রামের মানুষ নির্যাতনের শিকার হচ্ছে। অন্যদিকে সিনিয়র আইনজীবী এম আই ফারুকী ফতোয়াকে বৈধ বলেছেন। তবে একই সঙ্গে তিনি বলেছেন, ফতোয়ার নামে কাউকে শাস্তি দেওয়া হলে সেটা হবে শাস্তিযোগ্য অপরাধ।

সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল মাহমুদুল ইসলাম বলেন, ফতোয়ার ফলে সাধারণ মানুষকে সামাজিক অবস্থান, মৌলিক অধিকার ও ব্যক্তিগত গোপনীয়তা হারাতে হচ্ছে। ফতোয়া দিয়ে সাধারণ মানুষকে কোণঠাসা করে রাখা হয়েছে। ফতোয়ার কারণে সাধারণ মানুষের মৌলিক অধিকার ক্ষণ্ন্ন হচ্ছে। তিনি বলেন, এ দেশে মুফতি বলে কোনো কিছু থাকার কথা নয়। কেননা, মুফতির অর্থ হচ্ছে ‘অফিসার অব কোর্ট’। তিনি বলেন, ‘মুফতি’ ছিল নবাব আমলে। তৎকালীন সময়ে কাজী বা বিচারকরা বিচারিক কাজে মুফতিদের সহযোগিতা নিতেন। তাঁরা যে অভিমত দিতেন, তা ছিল ফতোয়া।

পান খাইয়া ঠোঁট লাল করিলাম বন্ধুর ভাগ্য হইল না

এদিকে সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেলের বক্তব্যে ক্ষুদ্ধ হয়েছেন ইসলামী আইন বাস্তবায়ন কমিটি ও ইসলামী ঐক্যজোটের একাংশের নেতা মুফতি ফজলুল হক আমিনী। “মুফতি” পদবীর অস্তিত্ব বজায় রাখার দাবিতে আগামী শুক্রবার বাদ জুম্মা বায়তুল মোকাররম মসজিদের উত্তর গেটে এক জনসমাবেশের ডাক দিয়েছেন তিনি। সমাবেশ শেষে সদলবলে তিনি হাইকোর্ট অভিমুখে মিছিল করবেন এবং হাইকোর্ট প্রাঙ্গনে সদলবলে উলঙ্গ হবেন বলে জানা গেছে। অ্যাটর্নি জেনারেল মাহমুদুল ইসলামের বক্তব্যকে অনৈসলামিক দাবি করে মুফতি আমিনী মতিকণ্ঠকে বলেন, ‘বলেন দেখি আমি কী বলতে চাই?’

April 27, 2011

বৃটিশ হাইকমিশনারের কাছে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানালেন ঢাবি উপাচার্য

বিশেষ মতিবেদক

ঢাকাস্থ বৃটিশ হাই কমিশনার স্যার রবার্ট ক্লাইভের কাছে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন।

উপাচার্যের কার্যালয়ের সীলমোহর অঙ্কিত ও উপাচার্য কর্তৃক টিপসইকৃত এই প্রতিক্রিয়া বার্তাটি সম্প্রতি উইকিলিকস মারফত মতিকণ্ঠের হাতে এসে পৌঁছেছে।

দুই পৃষ্ঠার এই আবেগঘন পত্রে উপাচার্য আরেফিন বৃটিশ হাই কমিশনারকে অনুরোধ করেছেন, অবিলম্বে যেন যুক্তরাজ্য সরকার অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়কে হালনাগাদ করে।

উপাচার্য ক্ষোভ প্রকাশ করে লেখেন, তিনি লক্ষ্য করেছেন, অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে টেন্ডার নিয়ে কোন মারামারি হয় না। সেখানে ছাত্রলীগ বা ছাত্রদলও নাই। হল দখল নিয়ে খুনাখুনি ও পুটু মারামারিও অক্সফোর্ডে দীর্ঘদিন যাবত স্থগিত।

উপাচার্য বলেন, একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনরূপ হল দখল নাই, মারামারি নাই, সন্ত্রাস নাই, চাদাবাজির বখরা নিয়ে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া নাই, এটি অবিশ্বাস্য। এটি কখনই মেনে নেয়া যায় না।

উপাচার্য লিখেছেন, “আপনি হয়ত অবগত আছেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রাচ্যের অক্সফোর্ড হিসেবে সুবিখ্যাত। তাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনামের দিকে লক্ষ্য রেখে আপনারা অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে কিছু সংস্কৃতিগত পরিবর্তন আনবেন, আমি এমনটিই আশা করি।”

উপাচার্য চিঠিতে বৃটিশ কমিশনারকে হুমকি দিয়ে বলেন, অবিলম্বে অক্সফোর্ডে হলের সিট বরাদ্দ নিয়ে কোন মারামারি না হলে তিনি নিজে ছাত্রলীগ কর্মীদের নিয়ে ঢাকাস্থ বৃটিশ হাই কমিশন ঘেরাও করবেন।

Tags:
April 27, 2011

সমাবেশে আমিনী: আন্দোলন ব্যর্থ হলে ভারতের অঙ্গরাজ্য হবে বাংলাদেশ

নিজস্ব মতিবেদক | তারিখ: ২৭-০৪-২০১১

নারীনীতি-বিরোধী আন্দোলনকে ‘শেষ আন্দোলন’ আখ্যা দিয়ে ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান মুফতি ফজলুল হক আমিনী বলেছেন, এ আন্দোলন বিফল হলে বাংলাদেশ ভারতের অঙ্গরাজ্যে পরিণত হবে। তবে নির্দিষ্ট কোনো অঙ্গের কথা উল্লেখ না করলেও তিনি বলেন, আমাদের আন্দোলন হবে বাংলাদেশকে পাকিস্তানের অঙ্গরাজ্যে পরিণত করা এবং অঙ্গটি হবে … (ছাপার অযোগ্য)।

গতকাল মঙ্গলবার নারী উন্নয়ন নীতিমালা, শিক্ষানীতি ২০১০ এবং হাইকোর্টের ফতোয়াবিরোধী রায় বাতিলের দাবিতে জাতীয় প্রেসক্লাব চত্বরে ইসলামী ঐক্যজোট ঢাকা মহানগর আয়োজিত সমাবেশে আমিনী এ কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা এইচ টি ইমামের সঙ্গে যেসব আলেম নারীনীতি নিয়ে বৈঠক করেছেন, তাঁদের অনেককে ভয়ভীতি দেখিয়ে আলোচনায় নেওয়া হয়েছিল বলে দাবি করেন আমিনী। তবে যারা আল্লাহ ছাড়া অন্য কাউকে ভয় পায় না, তারা কেন প্রধানমন্ত্রীর হুমকিতে ভীত হবে, সে প্রশ্ন করা হলে তিনি খয়েররঞ্জিত নূরানী হাসি দিয়ে বলেন, আমি কী উত্তর দিবো, মতিকণ্ঠের পাঠকরা তা জানেন।

শেখ হাসিনা পাশ্চাত্য ও ভারতের সহায়তায় ক্ষমতায় টিকে থাকতে চান—এ দাবি করে আমিনী বলেন, এতে শেষ রক্ষা হবে না। মতিকণ্ঠের পক্ষ থেকে তাকে প্রশ্ন করা হয়, “আপনারা ক্ষমতায় এলে কি পাকিস্তান ও সৌদি আরব আপনাদের সহায়তা দেবে?” এর উত্তরে তিনি ইঙ্গিতময়, রহস্যমণ্ডিত ও খয়েররঞ্জিত হাসি হেসে যা বলেন, মতিকণ্ঠের পাঠকদের কাছে তা অজানা নয়।

April 25, 2011

চট্টগ্রাম মেডিকেলের শিক্ষার্থীদের আবার সড়ক অবরোধ

নিজস্ব মতিবেদক, চট্টগ্রাম | তারিখ: ২৫-০৪-২০১১

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের ছাত্ররা গতকাল রোববার সকালে আবার কলেজের সামনের সড়ক অবরোধ করেন। এ সময় তাঁরা রাস্তায় টায়ারে আগুন ধরিয়ে যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেন। প্রায় দুই ঘণ্টা তাঁরা সড়ক অবরোধ করে রাখেন। গত শনিবার রাতে রোগনির্ণয় কেন্দ্র শেভরনের ঘটনাকে কেন্দ্র করে গতকাল সকালে শিক্ষার্থীরা সড়ক অবরোধ করেন।

মেডিকেল কলেজের কয়েকজন ছাত্র গত শনিবার রাতে রিপোর্ট গ্রহণের জন্য লাইনে না দাঁড়ানোয় শেভরনের কয়েকজন কর্মচারীর সঙ্গে তাঁদের বাগিবতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে কর্মচারীরা দুই ছাত্রকে বেঁধে মারধর করেন। এ খবর জানাজানি হলে মেডিকেল কলেজ ছাত্রাবাস থেকে ছাত্ররা গিয়ে শেভরনে ব্যাপক তাণ্ডব চালান। পরে ছাত্ররা কলেজের সামনের সড়ক তিন ঘণ্টা অবরোধ করে রাখেন। শেভরনের তিন কর্মীকে আটকের পর পুলিশের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত হয়।

ভুক্তভোগী ছাত্ররা দাবি করেছেন, চট্টগ্রাম এলাকায় আগুপিছু করে লাইনে দাঁড়ালে পিছনের জন সামনের জনের পুটু মারবেই। পুটু মারা চট্টগ্রামের মানুষের বদ খাসলত। তাই তারা রিপোর্ট নেওয়ার জন্য লাইনে দাঁড়াতে আপত্তি জানিয়েছিলেন।

শেভরন কর্তৃপক্ষ শনিবারের ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করে একটি বিবৃতি দিয়েছে। এতে বলা হয়, ‘কলেজের ছাত্ররা ছাত্রলীগ, ছাত্রদল ও ছাত্রশিবিরে বিভক্ত হয়ে প্রতিনিয়ত নিজেদের মধ্যে পুটু মারামারি করে। আমরা বুঝতে পারিনি যে বাইরের লোকেরা তাদের পুটু মারতে চাইলে তারা ক্ষিপ্ত হবে। এই অনাকাঙ্খিত ঘটনায় আমরা গভীর দুঃখ প্রকাশ করছি।

জানা গেছে, শনিবার রাত একটা পর্যন্ত সড়ক অবরোধের পর রোববার সকাল ১০টায় ছাত্ররা আবার সড়ক অবরোধ করেন। এ সময় হাসপাতাল সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন বিক্ষুদ্ধ ছাত্ররা ‘চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের পুটু লই চুদুরবুদুর চইলত ন’ শ্লোগান দিচ্ছিলেন।