নিজস্ব মতিবেদক
ফতোয়া নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ দুই আইনজীবী দুই রকম মত দিয়েছেন। সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল মাহমুদুল ইসলাম ফতোয়ার বিরোধিতা করে বলেছেন, ফতোয়ার কারণে সাধারণ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। গ্রামের মানুষ নির্যাতনের শিকার হচ্ছে। অন্যদিকে সিনিয়র আইনজীবী এম আই ফারুকী ফতোয়াকে বৈধ বলেছেন। তবে একই সঙ্গে তিনি বলেছেন, ফতোয়ার নামে কাউকে শাস্তি দেওয়া হলে সেটা হবে শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল মাহমুদুল ইসলাম বলেন, ফতোয়ার ফলে সাধারণ মানুষকে সামাজিক অবস্থান, মৌলিক অধিকার ও ব্যক্তিগত গোপনীয়তা হারাতে হচ্ছে। ফতোয়া দিয়ে সাধারণ মানুষকে কোণঠাসা করে রাখা হয়েছে। ফতোয়ার কারণে সাধারণ মানুষের মৌলিক অধিকার ক্ষণ্ন্ন হচ্ছে। তিনি বলেন, এ দেশে মুফতি বলে কোনো কিছু থাকার কথা নয়। কেননা, মুফতির অর্থ হচ্ছে ‘অফিসার অব কোর্ট’। তিনি বলেন, ‘মুফতি’ ছিল নবাব আমলে। তৎকালীন সময়ে কাজী বা বিচারকরা বিচারিক কাজে মুফতিদের সহযোগিতা নিতেন। তাঁরা যে অভিমত দিতেন, তা ছিল ফতোয়া।
এদিকে সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেলের বক্তব্যে ক্ষুদ্ধ হয়েছেন ইসলামী আইন বাস্তবায়ন কমিটি ও ইসলামী ঐক্যজোটের একাংশের নেতা মুফতি ফজলুল হক আমিনী। “মুফতি” পদবীর অস্তিত্ব বজায় রাখার দাবিতে আগামী শুক্রবার বাদ জুম্মা বায়তুল মোকাররম মসজিদের উত্তর গেটে এক জনসমাবেশের ডাক দিয়েছেন তিনি। সমাবেশ শেষে সদলবলে তিনি হাইকোর্ট অভিমুখে মিছিল করবেন এবং হাইকোর্ট প্রাঙ্গনে সদলবলে উলঙ্গ হবেন বলে জানা গেছে। অ্যাটর্নি জেনারেল মাহমুদুল ইসলামের বক্তব্যকে অনৈসলামিক দাবি করে মুফতি আমিনী মতিকণ্ঠকে বলেন, ‘বলেন দেখি আমি কী বলতে চাই?’