Posts tagged ‘তুষার’

November 21, 2015

পাকা পাইখানার মোহ তেগ করে দেশে ফিরায় খালেদাকে বৃহত্তর জামায়াতী বুদ্ধিজীবিদের অভিনন্দন

নিজস্ব মতিবেদক

চক্ষু চিকিতসার জন্য লনডনে দুই মাস অবস্থানের পর পুনরায় দেশে ফিরে আসায় বৃহত্তর জামায়াতের বিএনপি শাখার মহিলা আমীর ও জাতীয়তাবাদী শক্তির মালিক আপোষহীন দেশনেত্রী মাদারে গনতন্ত্র বেগম খালেদা জিয়া জেএসসিকে অভিনন্দন জানিয়েছেন বৃহত্তর জামায়াতে ইসলামীর বুদ্ধিজীবি শাখার আমীর ওমরাহ বৃন্দ।

আজ এক সংবাদ সম্মেলনে পাকা পাইখানার মোহ তেগ করে দেশে ফিরায় মাদারে গনতন্ত্রর প্রসংশা করে বিশিষ্ঠ দার্শনিক, কবি, হেকিমী চিকিতসক ও সাংবাদিকদের উপর বোমা মারার দার্শনিক প্রবক্তা ফরহাদ মজহার লুংগি বলেন, পাকা পাইখানার মোহে অনেক লুকজন ইদানীং দেশ তেগ করিয়া বিদেশে আশ্রয় লইতেছে। দুই মাস ধরিয়া আমরার মেডাম লনডনে পড়িয়া থাকায় আমরাও ভাবছিলাম, মেডামেরও একই কেস। কিন্তু আজ দেশে ফিরিয়া মেডাম প্রমান করিয়া দিলেন যে পাকা পাইখানার মোহ উনাকে লনডনে আটকাইয়া রাখতে পারবেক লাই।

আবেগঘন কণ্ঠে ফরহাদ মজহার লুংগি বলেন, পাকা হোক তবু ভাই পরের ও বাসা, নিজ হাতে গড়া মোর কাচা ঘর খাসা।

খেতনামা ড্রন বিশেষজ্ঞ, মস্তফা অনুরাগী, কাপড় বেবসায়ী ও ইসলামী বেংকের সমঝদার হরলিকস পাগলা বিতর্ক রাজ ও আত্মস্বিকৃত ‘ফেসবুক গু-বাবা’ আল্লামা আবদুন নুর তুষার হাত তালি দিয়ে মাদারে গনতন্ত্রকে অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, সাম্রাজ্যবাদী শক্তি যুগে যুগে আসিয়া আমরারে দেশজ পন্থায় হালকা হওয়ার রাহে হতে বিচ্যুত করার চেস্টা করছে। এর জন্য দায়ী ফ্রান্স। ফ্রান্সের ছলনায় ভুলিয়া আমরা আবহমান বাংলার ঐতিহ্যবাহী কায়দা ভুলিয়া ইয়াহুদী-নাছাড়ার বিকৃত কুতসিত গদিনশীন কায়দায় মাতিয়া উঠছি। প্রতি শনিবার সকালে যখন আমি হালকা হইতে যাই, আমার কান্না পায়। পাকা পাইখানা আমরার ইহকাল পরকাল সব নস্ট করিয়া দিতেছে।

হুহু করে কেদে ফেলে হরলিকস পাগলা বলেন, এই গুনাহ হতে রক্ষার একটাই উপায়, কাচা পাইখানা। ঘর হতে শুধু দুই পা ফেলিয়া একটি ঘাসের শিশের উপর একটি শিশির বিন্দুর নরম ছোয়া। বদনা ও চুলার ছাইয়ের কুমল পরশ। সাম্রাজ্যবাদী পশ্চিমের পাকা পাইখানার হাতছানি উপেক্ষা করিয়া আমরার মেডাম আমরার কাছে ফিরিয়া আসছেন। এ জয় গনতন্ত্রের জয়, এ জয় ইতিহাসের জয়, এ জয় তমদ্দুনের জয়। বাড়ির ভিতরে এক কুনায় প্রতি শনিবার আটকা পড়িয়া না থাকিয়া সাতান্ন হাজার বর্গমাইলের প্রতিটি বর্গফুটরেই আমরারে আপন করিয়া লইতে হইবে।

এদিকে নিজের আরাম দায়ক বিলাস বহুল বাসভবনে ফিরে যাওয়ার পর মেডামের মিডিয়া নায়েব মারুফ কামাল খান বলেন, মেডামের জাকুজিতে পানি গরম দেওয়া হইছে। এখন বক্তব্য চাহিয়া দিষ্টাপ দিবেন না।

কেন ব্রাদারফাকার সাকা ও আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদের ফাসির লগ্নে বেগম জিয়া জেএসসি দেশে ফিরে এলেন, এ প্রশ্নের জবাবে মারুফ কামাল খান হাসতে হাসতে বলেন, আমরার মেডাম খাইতে আইছেন কুলখানি, সেইটা লইয়াও তুমরার এত চুলকানি?

November 15, 2015

তুষারের গোয়েন্দা ততপরতায় আশংকিত ক্ষমতাধর বৃন্দ

নিজস্ব মতিবেদক

খেতনামা ড্রন বিশেষজ্ঞ, মস্তফা অনুরাগী, কাপড় বেবসায়ী ও ইসলামী বেংকের সমঝদার হরলিকস পাগলা বিতর্ক রাজ ও আত্মস্বিকৃত ‘ফেসবুক গু-বাবা’ আল্লামা আবদুন নুর তুষারের গোয়েন্দা ততপরতায় বিশ্বের ক্ষমতাধর রাস্ট্রের নেতৃ বৃন্দ আশংকিত হয়ে পড়েছেন।

বিগত জুম্মায় ফ্রান্সের রাজধানী পেরিসে জংগী খিলাফত আইসিসের হামলায় শতাধিক মানুষ আহত নিহত হওয়ার পর হরলিকস পাগলা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিশ্বের ক্ষমতাধর রাস্ট্র গুলির গোমর ফাস করে দিয়ে বলেন, ইহা সকলই উহাদের সিরিয়া দখলের পায়তাড়া। এইসব কাচা কাজ করিয়া তুমরা আল্লামা তুষারের চোখকে ফাকি দিতে পারবা না।

বিশ্বে যা কিছু জংগিপনা বটে, সকলই ফ্রান্সের তত্তাবধানে ঘটে জানিয়ে ফেসবুক গু-বাবা বলেন, পশ্চিম ইউরুপে অস্ত্র পাওয়া অত্যান্ত কঠিন। আমি যখন পশ্চিম ইউরুপ সফরে গিয়াছিলাম, তখন সমগ্র পশ্চিম ইউরুপ তন্ন তন্ন করিয়া অস্ত্র খুজাখুজি করছিলাম। যে দুকানেই যাই, তারা আমায় খেদাইয়া দিয়া বলছে, যাও যাও, আমরার এইখানে কুন অস্ত্র নাই। শেষ পযন্ত সুইজারলেন্ডে গিয়া একটি দুকান হতে আমি একটি বাটার নাইফ খরিদ করতে সমর্থ হই। পশ্চিম ইউরুপে অস্ত্র পাওয়া এমনই কঠিন।

আবেগঘন ফন্টে বিতর্ক রাজ বলেন, আমার সুইজারলেন্ড হতে খরিদ করা বাটার নাইফটি পকেটে নিয়া যখন পেলেনে উঠলাম, তার পরই লাগল গন্ডগল। টার্কিতে আসিয়া এয়ারপুটের পুলিশ আমার পকেট হতে বাটার নাইফটি বাইর করিয়া রাখিয়া দিয়া বলল, সুইজারলেন্ড হতে খরিদ করছ নাকি? বাহ বাহ বড় খাসা বস্তু। তুমার রুচি ত খুবই উন্নত। এই নাইফটি নিয়া আমার ছুট পুলারে দিব, সে রুটি বিস্কুটের উপরে বাটার লাগাইয়া খাইবে।

হুহু করে কান্নার ইমটিকন দিয়ে আল্লামা তুষার বলেন, আমার অস্ত্র এয়ারপুটে রাখিয়া দেওয়া হইলে, আইসিস কেমনে অস্ত্র নিয়া পেরিস গেল? এই কথা ত সবাই জানে যে জংগিরা তাদের বড় বড় কামান বন্দুক সকলই মুজার ভিতরে করিয়া নিয়া পেলেনে যাতায়াত করে। পেরিসের এয়ারপুটে কেন উহাদিগকে ধরা হইল না? কেন উহাদের বাটার নাইফ জব্দ করা হইল না? আর উহারা অস্ত্র নিয়া রাস্তাঘাটে চলাচল করলই বা কিরুপে? সিসি টিভি কই? চেকপষ্ট কই? কুথায় উহাদের রেব পুলিশ বিজিবি? আর পেরিসের লুকজনই বা এত রাত্রে কনসাটে গেল কেন? কেন ফুটবল গেলারীতে নারী পুরুষের এই অবাধ মিলামিশা, রেস্তরায় পান ভোজনের উদ্দাম লীলাখেলা? আমি যদি পেরিসে থাকতাম আর আমার সংগে যদি আমার বাটার নাইফ খানি থাকত, আমি নিজেই এইসব ইসলাম বিরুধী কাজে জড়িতদের জবেহ দিতাম।

হাসতে হাসতে হরলিকস পাগলা বলেন, ইহাতেই প্রমানিত হয় যে এই হামলা সকলই ফ্রান্সের ষড়যন্ত্র। উহারা নিজেরাই নিজেদিগের মারিয়া কাটিয়া নিরিহ নিস্পাপ আইসিসের গায়ে কলংক লাগাইতে চায়। এখন উহারা গিয়া সিরিয়ারে বুমা মারার উছিলা পাইল। কিন্তু হরলিকস পাগলার কাছে এই সব জারিজুরি চলবেক লাই। সব বুঝিয়ালাইছি।


তুষারের ধমক খেয়ে মাথা নিচু করলেন ডেমক্রেট নেতৃ বৃন্দ

এদিকে তুষারের ধমক খেয়ে সারা বিশ্বের ক্ষমতাধর নেতৃ বৃন্দ আশংকিত হয়ে পড়েছেন বলে জানা গেছে।

ওয়াশিংটন মতিনিধি জানান, তুষার সব কিছু বুঝে ফেলায় মার্কিন যুক্তরাস্ট্রের ডেমক্রেট নেতৃ বৃন্দ লজ্জায় মাথা নিচু করে ফেলেছেন।

পেরিসের সকল অনুস্ঠান মুলতবী ঘোষনা করে ফ্রান্সের রাস্ট্রপতি ফ্রেংকয়েস হলেন্ড নিজের দেশের নেতাদের নিয়ে রুদ্ধদার বৈঠক করে তুষারের বেপারে সবাইকে সাবধান করে দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন পেরিস মতিনিধি।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে ঐ বৈঠকে উপস্থিত এক নেতা জানান, ঘটনা ঘটানর আগে হরলিকসের বেপারটি হিসাবে না নেওয়া বিশ্বের অন্যান্য নেতৃ বৃন্দের সমালচনা করেছেন হলেন্ড। বৈঠকের এক পর্যায়ে তিনি রাগারাগি করে নিজের মাথার চুল ছিড়ে বলেন, আল্লামা তুষার যে সব বুঝিয়া ফেলবে, তা তুমরা আগে বিবেচনা কর নাই কেন? এখন ত সব কিচ্ছা ফাস হইয়া গেল।

এক টুইটার বার্তায় যুক্ত রাজ্যের প্রধান মন্ত্রী ডেভিড কেমেরন আল্লামা তুষারের প্রসংশা করে বলেন, তুষার আংকেল সব জানে।

অবিলম্বে তিনি হরলিকস পাগলাকে লন্ডন ভ্রমনের আমন্ত্রন জানিয়ে বলেন, এত বুদ্ধি লইয়া বাংলাদেশে পড়িয়া থাকলে চলবে না আংকেল। আপনি অবিলম্বে ডাউনিং ষ্টৃট চলিয়া আসেন, কিছু বুদ্ধি পরামিশ দিয়া যান। আপনি যদি থাকেন সংগী, ভয় করি না কুন জংগী।

রাশিয়ার রাস্ট্রপতি লৌহ মানব ভ্লাদিমির পুতিন তুষারের ভুয়সী গুনগান করে বলেন, ডুড, ইউ আর ঠু গুড।

জার্মানীর চেন্সেলর এনজেলা মার্কেল আল্লামা তুষারের জ্ঞানের সংগে হিটলারের জ্ঞানের তুলনা দিয়ে বলেন, হিটলার ন নাথিং স্ন।

তুরস্কের প্রধান মন্ত্রী এরদগান আল্লামা তুষারের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করে তার বাটার নাইফ ফিরিয়ে দেওয়ার অংগীকার করে বলেন, গুস্তাকী মাফ করিয়া দিতে জনাবের মর্জি হয়।

November 5, 2015

নিহত কনষ্টেবলকেই দুষলেন সুশীল সমাজ

নিজস্ব মতিবেদক

আশুলিয়ায় পুলিশ চেক পোষ্টে দায়িত্ব রত অবস্থায় বৃহত্তর জামায়াতের মুজাহিদ গনের চাপাতি আক্রমনে নিহত কনষ্টেবল মুকুল হোসেনকেই দুষলেন বাংলাদেশের সুশীল সমাজ।

বুধবার গভীর রাত্রে এই প্রতিবেদন লিখার সময় পযন্ত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নানা প্রতিকৃয়ায় মুকুল হোসেনের প্রতি নানা অভিযোগ তুলে ধরেন দেশের বরেন্য বেক্তিত্ব বৃন্দ।

নিহত কনষ্টেবল মুকুল হোসেনকে তিরস্কার জানিয়ে খেতনামা ড্রন বিশেষজ্ঞ, মস্তফা অনুরাগী, কাপড় বেবসায়ী ও ইসলামী বেংকের সমঝদার হরলিকস পাগলা বিতর্ক রাজ ও আত্মস্বিকৃত ‘ফেসবুক গু-বাবা’ আল্লামা আবদুন নুর তুষার বলেন, পুলিশ অতিরিক্ত বাড়াবাড়ি শুরু করছে। কনষ্টেবল মুকুল হোসেনের ইন্তেকালের জন্য সে নিজেই দায়ী।

আবেগঘন ফন্টে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আল্লামা তুষার বলেন, ইসলামে চেকপষ্ট বলিয়া কুন বিষয় নাই। জেহাদী ভাইরা মটর সাইকেলে করিয়া এক আস্তানা হতে অন্য আস্তানায় হিযরত করিয়া থাকেন। জনে জনে ত আর মটর সাইকেল দেওন যায় না। প্রত্যেক জেহাদীকে একটি করিয়া মটর সাইকেল দিতে গেলে ইসলামী বেংকের পরবর্তী মহাফিলে উপস্থাপক হিসাবে আমার হরলিকসের টেকাটুকায় টান পড়িয়া যাইবে। এক মটর সাইকেলে তাই তিন জন করিয়া জেহাদী ভাইকে চাপাচাপি করিয়া চলাফিরা করতে হয়।

হুহু করে কেদে ফেলার ইমটিকন দিয়ে হরলিকস পাগলা বলেন, কনষ্টেবল মুকুলের এত বড় সাহস, সে এমতাবস্থায় মটর সাইকেল থামাইয়া জেহাদী ভাইদিগকে চেক করতে গেছিল। ইসলামের কুথাও মটর সাইকেল থামাইয়া চেক করার কথা বলা নাই। এই কাম করিয়া সে শুধু জেহাদী ভাইদের ধর্মানুভুতিতেই আঘাত করে নাই, দেশের আপামর আল্লাহপ্রেমী মুসলিম বান্দার মনেও চরম আঘাত দিছে। তাই জেহাদী ভাইয়েরা উহাকে মৃদু আট দশটি কুপ কুপাইয়া আবার জেহাদের রাস্তায় চলিয়া গেছেন। এইখানে দুষ কার? আর কারও নহে, কনষ্টেবল মুকুলেরই।

হাসির ইমটিকন দিয়ে ফেসবুক গু-বাবা বলেন, কতিপয় কাফের মশরেক ইয়াহুদীদের টেকা খাইয়া কনষ্টেবল মুকুলকে হিরু বানাইতে চায়। উহাদের মকাবিলার জন্যি আমি আজ হতে পুর্ন উদ্যমে মাঠে নামলাম। এতদিন আছিলাম ভাল তুষার। আজ হতে আমি চাপাতুষার। যখন দরকার চাপা চালাইব, যখন দরকার চাপাতি চালাইব। দিন রাত্র চব্বিশ ঘন্টা সপ্তায় সাতদিন আমি কল রেডী। পথে ঘাটে ঘরে বাইরে কুথাও চাপাতির কুপ খাইয়া কেউ মরলে আমায় কল দিও। চুলচিরা তর্ক করিয়া প্রমান করিয়া দিব যে সকল দুষ যে মরছে তারই।

আমিও এখন কল রেডী: চাপাতুষার

এদিকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বাংলার সেরা বিজ্ঞাপন নির্মাতা ও টেলিভিশনে ইসলামী অনুষ্ঠান উপস্থাপকদের প্রভাবশালী সংগঠন ‘এশশিয়েশন অফ ইসলামী মিডিয়া পারসনালিটি’র বর্তমান আমীর বাংলার ডেভিড ধাওয়ান আল্লামা মস্তফা সরয়ার ফারুকী বলেন, নাস্তিক পুলিশ এইভাবে ইসলামের আর কত অপমান করবে? দিনে দুপুরে উহারা মজাহিদ ভাইদিগের মটর সাইকেল থামায়। জেহাদের বাহনের সংগে তারা মুক্তমনাপনা করে। আজ কনষ্টেবল মুকুল হোসেন চেকপষ্টে চেক করে, কাল হয়ত কুন এসআই কুন আলেমের ফেসবুক পাসওয়াড লুণ্ঠন করিবেক। পরশু কি হয় আল্লাহ মাবুদ জানেন। তাই পরিস্কার ফয়সালা করিয়া বলি, দুষ কনষ্টেবল মুকুলেরই। চেকপষ্ট খুলিয়া বসা বাংলাদেশের পুলিশ লইয়া আমরা কি করিব?

আবেগঘন ফন্টে আল্লামা ফারুকী বলেন, শুনলাম আবদুন নুর তুষার এখন জেহাদের ঠেলায় পড়িয়া চাপাতুষার হইছে। সারাটি জীবন সেকুলার ঘোচুদের সংগে লড়াই করিয়া বৃদ্ধ বয়সে ‘এশশিয়েশন অফ ইসলামী মিডিয়া পারসনালিটি’র আমীর হইলাম আমি, আর চাপাতি নামটি লইল কিনা তুষার। শুন হরলিকস পাগলা, আজ হতে আমি মস্তফা তলয়ার ফারুকী। তুমি চাপাতি চালাইলে আমি তলয়ার চালাইব। আর কে না জানে, চাপাতি হতে তলয়ার বড়।

নিজের অতীতকে কবর দেওয়ার ঘোষনা দিয়ে তলয়ার ফারুকী বলেন, ইরানের শিয়া জাহান্নামী আব্বাস কিয়ারুস্তমী আর মাজেদ মাজেদীর ওয়াসওয়াসায় ভুলিয়া আমি কিছু চলচিত্র বানাইয়াছিলুম। ভুল সবই ভুল। আমার পরবর্তী চলচিত্রে আমি শুরুতেই মুরতাদ কিয়ারুস্তমী ও মাজেদীর উপর বদদুয়া দিয়া লব। আছিলাম সরয়ার ফারুকী, হইলাম তলয়ার ফারুকী।

পুলিশ বাহিনীর প্রধান আইজিপি আলহাজ শহীদুল হক বলেন, পুলিশদের সীমা লংঘন করা ঠিক নহে। চেকপষ্ট খুলছ ভাল কথা, ভিতরে বসিয়া দুটু পান বিড়ি খাও। আবার মটর সাইকেল থামাইয়া ধর্মানুভুতিতে আঘাত দেও কেনে?

এদিকে স্বরাস্ট্র মন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল কনষ্টেবল মুকুল হোসেনের উপর হামলার খবর পেয়ে সাভারের এনাম মেডিকেলে উপস্থিত হয়ে বলেন, দেশের পরিস্থিতি ভাল আছে। কুপাইয়া পুলিশ খুন বিচ্ছিন্ন ঘটনা মাত্র। আর পুলিশেরও উচিত আরও সংযত হওয়া। দেশের মটর সাইকেল আরহীদের ধর্মানুভুতিতে আঘাত দেয়, এমন চেকপষ্ট উহাদের চালনা করা ঠিক নহে।

বক্তব্যের পর কামাল মন্ত্রী পকেট হতে নিরাপত্তার চাদর বের করে আশুলিয়া এলাকা ঢেকে দেন।

December 1, 2014

রিকশার বিরুদ্ধে জেহাদে নামলেন তুষার

নিজস্ব মতিবেদক

সমাজের নানা বিষয় নিয়ে রাগারাগির পর এবার রিকশার বিরুদ্ধে রাগারাগি শুরু করেছেন খেতনামা ড্রন বিশেষজ্ঞ, মস্তফা অনুরাগী, কাপড় বেবসায়ী ও ইসলামী বেংকের সমঝদার হরলিকস পাগলা বিতর্ক রাজ ও আত্মস্বিকৃত ‘ফেসবুক গু-বাবা’ আল্লামা আবদুন নুর তুষার।

সোমবার নিজ বাসভবনে আয়জিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি রিকশার প্রতি রাগারাগি করে জেহাদ ঘোষনা করেন।

সংবাদ সম্মেলনে বিতর্ক রাজ বলেন, গেল জুম্মাবার আমি মিরপুরে গিয়াছিলুম একটি কাজে। একটি দুকানের সামনে আমার আরাম দায়ক বিলাস বহুল লেক্সাস গাড়িটি রাখিয়া বান্ধুবীর বাড়ির দরজায় বেল টিপা মাত্রই কুথা হতে এক দল রিকশা চালক আসিয়া আমার সাধের গাড়িতে তাদের ময়লা হাতে থাপ্পড় মারিতে মারিতে বলল, রাস্তার উপর গাড়ি রাখা ছইলত ন ছইলত ন। এই গাড়ি কুন বেআইনী ঘোচুর? আমি তখন বান্ধুবীর বাড়িতে না ঢুকিয়া উহাদের নিকট গিয়া নিজের পরিচয় দিয়া বললাম, জানছ আমি কে? কি আমার পরিচয়? আমায় যে টিভিতে দেখায়, জানছ তরা? কুন সাহসে আমার সাদা গাড়িতে ময়লা হাত লাগাছ? তখন উহারা নিজেদের মধ্যে পরামিশ করিয়া সকলে মিলিয়া আমায় কিলঘুষি মারতে মারতে বলল, সালা ঘোচু তুমায় ফেসবুকে এড রিকয়েষ্ট পাঠাই একছেপ কর না কেনে?


রিকশার দুশমন ফেসবুক গু-বাবা

আবেগঘন কণ্ঠে হরলিকস পাগলা বলেন, বান্ধুবী সেদিন আসিয়া উদ্ধার না করলে রিকশা চালকদের প্রহারে আমার মৃত্যু ঘটিতে পারত। এই সুন্দর শহরটায় লেক্সাস লইয়া চলাফিরা করার কুন উপায় সালারা রাখে নাই। দুই মিনিট পর পর উহারা গাড়িতে রিকশার মাডগাড ঘষা লাগাইয়া দেয়। গাড়ির বডিতে ঘষার দাগ গেরেজে লইয়া দুর করা যায়, কিন্তু আমার বডিতে যে রিকশা চালকের দল কিল ঘুষির দাগ বহাইয়া দিল, উহা দুর করব কি উপায়ে?

হুহু করে কেদে উঠে তুষার বলেন, যোগাযোগ মন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরকে ফেসবুকে মেসেজ করিয়া বললাম, দুলাভাই ঢাকা হতে রিকশা উঠাইয়া দেও। সে আমায় বকা দিয়া বলল, ইউ ন নাথিং আবদুন স্নো।

সিংগাপুরের মস্তফা মার্কেট হতে খরিদ করা একটি বেটমেন সুট প্রদর্শন করে ফেসবুক গু-বাবা বলেন, সরকার যদি রিকশা না উঠায়, আমি আইন নিজের হাতে তুলিয়া লব। লেক্সাস গাড়িটিকে গেরাজে লইয়া বেটমবিল বানান কুন বেপারই নহে। আর যদি একটাও রিকশা চলে, রাত্রকালে বেটমেন হইয়া রিকশার গেরেজে আগুন লাগাইয়া দিব।