নিজস্ব মতিবেদক
বাকশালের নায়েবে আমীর সৈয়দ আশরাফুলের সংগে কথিত বৈঠকের বেপারে মতিকণ্ঠের কাছে অন্তরংগ সাক্ষাতকারে মুখ খুলেছেন বৃহত্তর জামায়াতে ইসলামীর বিএনপি শাখার ভাঁড়প্রাপ্ত নায়েবে আমীর ও জাতীয়তাবাদী শক্তির ‘কমপ্লান বয়’ মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
আজ নিজ বাসভবনে বাদ জোহর অনুষ্ঠিত এক সাক্ষাতকারে মতিবেদকের কাছে মুখ খুলেন তিনি।
মির্জা ফখরুল বলেন, গতকাল শনিবার মতিঝিলে আমার একখানা জলছা আছিল। জলছার কার্যক্রম শেষ করিয়া বাদ আছর আমি লক্ষীপুর-৪ আসনে বিএনপি শাখার সংসদ সদস্য এবিএম আশরাফুদ্দি নিজানের মুঠোফুন কল পাই। কল রিসিব করে আমি বলি, কি রে নিজাইন্যা, আছস কেমন সালা ঘোচু? সে আমায় বলে, ফখাদা বাসায় আসেন, দুই ভায়ে বসে একটু কমপ্লান পান করি।
আবেগঘন কণ্ঠে ফখা ইবনে চখা বলেন, আমি কমপ্লান ভালবাসি। কমপ্লান বৃদ্ধের দেহে আনে যুবকের বল। আমি তখন আমার গাড়ির ড্রাইভারকে বললাম, সামাল সামাল সামাল শামছু ধিরে ধিরে চল রে, উচা নিচা ছাইড়া তুই সিধা পথে চল সওয়ারীর গতর নরম। কিন্তু শামছু একটি অভিশাপ। সে আমার সাধের লেক্সাস খানি নিয়া সান্ধাইয়া দিল মেরুল-বাড্ডা এলাকায় বৃহত্তর জামায়াতের চলমান ভাংচুর জ্বালাও পোড়াওয়ের মধ্যে।
পকেট হতে রুমাল বাহির করে অশ্রু মুছে ফখা বলেন, ঐ অঞ্চলে সংখালঘুদের উপর নিপিড়নের প্রতিবাদে বৃহত্তর জামায়াতের খানকির পুলারা গাড়ি ভাংতেছিল, আমার গাড়িতেও তারা দুইটি বাড়ি দেয়। আমি গাড়ির জানালার কাচ নামাইয়া নিজের পরিচয় দিয়া বললাম, ও গ আমি যে তুমাদের ফখা। তারা তখন আমার গাড়ি ছাড়িয়া একটি দুতলা বাসে আগুন দিল।
বাড়ন্ত শিশুদের জন্য চাই কমপ্লান প্লেটিনাম
ঘাম মুছে মির্জা ফখরুল বলেন, টেলিভিশনে নানা বিদেশী নাটক সিনেমায় দেখিয়াছি, কুথাও গুপনে গমন করিতে হলে নানা ঘুরপথে আকিয়া বাকিয়া যাইতে হয়। শামছু ড্রাইভার অনুরুপ কায়দায় নিজানের বাড়িতে গাড়ি ঢুকাইল সন্ধা ছয়টা চল্লিশ মিনিটে। নিজানের বৈঠকখানায় ঢুকিয়া দেখি, টেবিলে কমপ্লানের বুতল, গ্লাশ, বরফ, কাবাব ও বাদামের ভর্তা থরে থরে সাজান। আমি বললাম, চল নিজান শুরু করি।
আবেগঘন কণ্ঠে ফখা ইবনে চখা বলেন, কিন্তু শনিবার দিনটি আমার জন্য শনিতে পুর্ন আছিল। আমরা কমপ্লানের বুতল হতে গ্লাশে কমপ্লান ঢালিয়া, বরফ মিশাইয়া, কাবাবে কামড়াইয়া ও বাদামের ভর্তা চাবাইয়া শুরু করিতে না করিতেই সন্ধা সাতটা পাচে ভুতের মত নিজানের বাড়িতে আসিয়া হাজির হইল বাকশালের নায়েবে আমীর সৈয়দ আশরাফুল। সে একটি অভিশাপ।
কাদতে কাদতে মির্জা ফখরুল বলেন, সৈয়দ আশরাফুল জবরদস্তি বাড়িতে ঢুকিয়া বলিল, মান না মান মে তেরা মেহমান। আরে তুমরা দেখি কমপ্লান পান করতেছ। আমারেও দেও না একটুখানি? একা একা খেতে চাও দরজা বন্ধ করে খাও। আমি তখন রাগ করিয়া বললাম, দরজা ত বন্ধই আছিল, আপনি বাড়িতে ঢুকিলেন কিরুপে? সৈয়দ আশরাফুল হাসতে হাসতে বলল, কিছু কথা থাক না গুপন?
এক গ্লাশ ঠান্ডা পানি পান করে ফখা কিছু ক্ষন স্মৃতি চারন করে বলেন, এরপর একটি ঘন্টা বিভিষিকার মধ্য দিয়া গেল। সৈয়দ আশরাফুল একাই অর্ধেক বুতল কমপ্লান ও প্রায় সমস্ত কাবাব সাবাড় করিয়া বলল, আমি সৈয়দ, তুমি মির্জা। মির্জা হতে সৈয়দ বড়, তাহলে কেন এত পটপট কর? আমি কুনমতে এক গ্লাশ কমপ্লান ভাগে আদায় করিতে সক্ষম হইছিলাম, বাদাম ভর্তা সহযোগে উহা সেবন করিয়া বললাম, সৈয়দ হতে মির্জা বড়, সময় থাকতে গদি ছাড়। কিন্তু আশরাফুল একটি অভিশাপ। সে হাসতে হাসতে বলে কি, আমি আশার ফুল আশরাফুল ফুল নায়েবে আমীর, আর তুমি ফখা ইবনে চখা এক নম্বর বখা ভাঁড়প্রাপ্ত নায়েবে আমীর। এতেই প্রমানিত হয় যে মির্জা হতে সৈয়দ বড়। আমি তখন চিতকার দিয়ে বললাম, মির্জা মির্জা মির্জা বড়। আশরাফুল ঘোচুটি আরও জুরে চিতকার দিয়ে বলল সৈয়দ সৈয়দ সৈয়দ বড়। তখন আমি এবিএম আশরাফুদ্দি নিজানকে বললাম, নিজান তুমি আমাদিগের তুলনায় পাগল ও শিশু, অতএব নির্দলীয় ও নিরপেক্ষ। তুমিই বল, মির্জা বড় না সৈয়দ বড়? তখন নিজান হারামজাদা কোত কোত করিয়া গ্লাশ ভর্তি কমপ্লান পান করিয়া বলে কি, মির্জা ও সৈয়দ অপেক্ষা এবিএম বড়। তখন আমি আশরাফুলকে বলিলাম, সৈয়দ ভাই আসেন এক টেবিলে বসি। আশরাফুল বলিল, চল মির্জা এক টেবিলে বসি। তখন দুই ভায়ে ভায়ে এক টেবিলে বসিয়া নিজান হারামজাদাকে দিলাম কয়েক দফা জুতার বাড়ি। সালা ঘোচু, বলে কিনা মির্জা ও সৈয়দ হতে এবিএম বড়?
সুখ স্মৃতি রোমন্থন করে মির্জা ফখরুল বলেন, এরপর আমাদের কমপ্লানের মৌতাত কাটিয়া গেলে আটটা সাত মিনিটে আশরাফুল ভাই নিজানের বাড়ি তেগ করেন। আমি বুতলে তলানি হিসাবে অবশিষ্ঠ কমপ্লান অবশিষ্ঠ কাবাব বাদাম সহযোগে চাটিয়া পুটিয়া খতম করিয়া আটটা বিশে নিজান হারামজাদার বাড়ি তেগ করিলাম। যেহেতু আমি ও আশরাফুল দুইজন দুই দলে, তাই আমরা দুইজন দুই পথে প্রস্থান করলাম।
এ বৈঠকের মধ্য দিয়ে নির্বাচন নিয়ে অচলাবস্থার অবসান হবে কিনা, এ প্রশ্নের সরাসরি উত্তর না দিয়ে ফখা ইবনে চখা বলেন, নিজানের চামড়া তুলে লব আমরা।