Archive for December, 2015

December 10, 2015

আবারও আলাল কেলেংকারীতে বিএনপি শাখা

নিজস্ব মতিবেদক

আবারও আলাল কেলেংকারীতে নিজেকে জড়িয়েছে বৃহত্তর জামায়াতে ইসলামীর বিএনপি শাখা।

এবার আলাল কেলেংকারীতে মুখ্য ভুমিকা পালন করেছেন বৃহত্তর জামায়াতে ইসলামীর বিএনপি শাখার নায়েবে খারিজি, বৃহত্তর জামায়াতে ইসলামীর বিএনপি শাখার মহিলা আমীর ও জাতীয়তাবাদী শক্তির মালিক আপোষহীন দেশনেত্রী মাদারে গনতন্ত্র বেগম খালেদা জিয়া জেএসসির বিলায়েত বিষয়ক সাবেক উপদেস্টা সাবেক পর রাস্ট্র সচিব ও মনির পুড়ান আন্দুলনের অন্যতম কর্নধার আল্লামা মেজর (অব.) শমশের মবিন চৌধুরী।

আলাল কেলেংকারীতে গুলশান থানার এসআই গিয়াস উদ্দিন ২০১৪ সালের ৩০ এপ্রিল শমশের মবিন সহ ১২ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেন।

মামলায় অভিযোগ করা হয়, ২০১০ সালের ২৭ জুন বৃহত্তর জামায়াতের হরতাল চলাকালে মহাখালী ওয়ারলেস গেট এলাকায় তৎকালীন বিএনপি শাখার নায়েবে খারিজি শমশের মবিনসহ দলের শতাধিক কর্মী পুলিশের কাজে বাধা, গাড়ি ভাংচুর ও অগ্নি সংযোগ করে।

হানাহানা কাটাকাটি মারামারির এক ফাকে নিরালায় একলা পেয়ে কাজী আলাল নামে এক পুলিশ কনষ্টেবলের উপর ঝাপিয়ে পড়েন শমশের মবিন চৌধুরী। ধস্তাধস্তির সময় তিনি আলাল কনষ্টেবলকে কঠর আলিংগন করলে তার জিভ বের হয়ে যায়।

এ ঘটনায় গুলশান থানার এসআই মোহাম্মদ আলী নাশকতা ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে একটি মামলা করেন।


আলাল নিপিড়ক শমশের মবিন

এ মামলায় অভিযোগ গঠনের শুনানীতে শমশের মবিনের আইনজীবী জয়নাল আবেদীন মেছবা বলেন, আমার মক্কেল পাকিস্তানের কাকুল একাডেমী হতে গ্রেজুয়েট করা কমান্ডো অফিসার আছিলেন। দুম্বার গুস্ত ও গমের পরটা খাইয়া উনার অভ্যাস। তিনি ঐ ননীর পুতুল আলাল কনষ্টেবলকে আলিংগন করলে আলাল গুড়া গুড়া হইয়া যাইত। আর মারামারি হানাহানি কাটাকাটির সময় আলাল নিরালায় কি করতেছিল? নিশ্চয়ই উহার মনে পাপ আছিল। কিংবা উহার জামা কাপড় ঠিক আছিল না। মোট কথা আমার মক্কেলরে হুদাই দিষ্টাপ দেওয়া হইতেছে। উনি এখন অবসর লইয়া অবসর মবিন চৌধুরী হিসাবে সৎ ও পরিচ্ছন্ন জীবন যাপন করতেছেন, এর মধ্যিখানে কে হায় হৃদয় খুড়ে বেদ্না জাগাতে ভালবাসে?

তিনি হাকিমের সামনে শমশের মবিনের একটি ছবি উপস্থাপন করে বলেন, দেখুন ধর্মাবতার, আমার মক্কেলের ছবিটি দেখুন। উনি বড়জুর আলাল কনষ্টেবলকে চিমটি দিতে পারেন কিংবা বুংগি বাজাইতে পারেন। তাছাড়া এক হাতে কি আলিংগন বাজে? মামলা যদি চালাইতেই হয়, তাহলে সেই দুশ্চরিত্র আলালের বিরুদ্ধেই চালান হক।

এ বেপারে কনষ্টেবল কাজী আলালের সংগে যোগাযোগ করার চেস্টা করা হলে তার মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যায়।

গুলশান থানায় কর্তব্যরত এক পুলিশ কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে মতিকণ্ঠকে বলেন, বৈঠকখানায় যে ভদ্রলুক, ময়দানে গিয়া রাজনীতীর জুশে সেই হয়ত ককটেল মারিয়া হাত বেদ্না করে। সামনে আলাল পাইলে বিএনপি শাখার নেতাগুলু পুরা পাগলা হইয়া যায়। কে কি করে তার নাই কুন ঠিক। কনষ্টেবল আলালের উচিত নাম পাল্টাইয়া ফেলা।

শমশের মবিন চৌধুরীর গায়ের জোরের নিন্দা করে কর্মকর্তা বলেন, পাষান একটা।

এর আগে ২০১৩ সালে কারাগারে আরাম দায়ক বিলাস বহুল ডিভিশন কক্ষে কতৃপক্ষ কতৃক নিয়জিত সেবক আলালের সংগে বলপুর্বক সেক্স করে বাংলার রাজনীতীতে আলাল কেলেংকারীর সুচনা করেন বৃহত্তর জামায়াতে ইসলামীর বিএনপি শাখার সমকামী নায়েবে আমীর রাউজানের রসপুটিন সদ্য ফাসি খাওয়া ব্রাদারফাকার সাকা।

এ ছাড়া বিএনপি শাখার নায়েবে আমীর মোয়াজ্জেম হোসেন আলালকে ঘিরেও আলাল কেলেংকারীর কানাঘুষা শুনা গেছে

December 9, 2015

কাঁদলেন এরশাদ ও খালেদা

নিজস্ব মতিবেদক

সম্প্রতি কেঁদেছেন সাবেক স্বৈরাচার রাস্ট্রপতি ও পল্লীবন্ধু ফাদারে কৃকেট শায়েরে আজম আলহাজ্জ হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ পেয়ারাদা ও বৃহত্তর জামায়াতের বিএনপি শাখার মহিলা আমীর ও জাতীয়তাবাদী শক্তির মালিক আপোষহীন দেশনেত্রী মাদারে গনতন্ত্র বেগম খালেদা জিয়া জেএসসি।

গত ৬ ডিসেম্বর এরশাদের গদিচ্যুতি দিবস উপলক্ষে আয়জিত এক স্মরন সভায় কাঁদেন ফাদারে কৃকেট।

নিজের গদির কথা স্মরন করে পল্লীবন্ধু বলেন, দেশটা কত সুন্দর চলতেছিল। কুন মারামারি কাটাকাটি হানাহানি আছিল না। আছিল গদি। আছিল জিনাত মশাররফ। আছিল নাশীদ কামাল। আছিল শাকিলা জাফর। এমন কি কাজী জাফরও তখন আছিল। চারপাশে শান্তি শান্তি ভাব। বন্যায় হাপপেন্ট পিন্দিয়া পানিতে ঝাপাইয়া রিলিপ দিতাম। হেলিকপ্টারে চড়িয়া পীরের আস্তানায় নামাজ পড়িতে যাইতাম। এশীয় কবিতা উতসবে খাড়াইয়া ডাইরী হতে কবিতা পাঠ করিয়া বলতাম, শুন রে যত শালা, কনক প্রদীপ জ্বালা।

হুহু করে কেদে উঠে শায়েরে আজম বলেন, আতকা কুথা হতে কি হইল, দেশে গনতন্ত্রর জন্যি শুরু হইল মারামারি কাটাকাটি হানাহানি। নুর হোসেন নামে এক যুবক বুকে পিঠে চিকা মারিয়া কেমনে কেমনে জানি শহীদ হইল। মিলন ডাক্তারকে কে না কে আসিয়া দিল কতল করিয়া। পাবলিক খালি আমায় দুষে। যতই তাদের বুঝাইতে যাই যে আমার বন্দুক অন্য রকম, উহা দিয়া আমি শুদু জিনাত নাশীদ শাকিলাদের গুলি করি, তারা ততই হরতাল করে।

অশ্রু মুছে সাবেক স্বৈরাচার পেয়ারাদা বলেন, যেসব বানচুদ জেনারেলগুলির ভরসায় আছিলুম, উহাদের ডাকিয়া কইলুম, যা যাকে গুলি সে উড়া দে উন কামিনা ক। উহারা হাসতে হাসতে আমায় বলল, এয়সা আর নেহি চলেগি। বাধ্য হইয়া তখন ক্ষমতা ছাড়িয়া দিলুম জজ শাহাবুদ্দির হাতে।

আবারও কান্নায় ভেংগে পড়ে পল্লীবন্ধু বলেন, কিন্তু যে গনতন্ত্রর জন্যি গদি তেগ করলুম, সে গনতন্ত্র আজ কুথায়? দেশে কুন গনতন্ত্র নাই। বিজয় টেবলেট দিয়া আজ অনলাইনে যাইতে হয়। শুনলাম সানি লিওনি বাংলাদেশে আসবে, কিন্তু সেও এল না। আমরা কি এই বাংলাদেশ চেয়েছিলাম?


গনতন্ত্রের জন্য এরশাদের কান্না

এদিকে এরশাদের গদিচ্যুতি দিবস উপলক্ষে আয়জিত এক পৃথক স্মরন সভায়ে মাদারে গনতন্ত্র বেগম জিয়া বলেন, পচিশ বতসর পুর্বে এই দিনে এরশাদ বাটপাররে কানে ধরিয়া নামাইছিলুম। ভাবছিলুম দেশে গনতন্ত্র প্রতিস্ঠা করতে পারছি। কিন্তু গনতন্ত্র আজ লনডনে। দেশে আসিলেই মামলায় মামলায় তাকে ফকির হইতে হইবে। গ্রেনেড মামলায় ফাসিও হইতে পারে।

হুহু করে কেদে উঠে বেগম জিয়া জেএসসি বলেন, ফেসিবাদী বাকশাল সরকার আজ মুক্তিযুদ্ধের চেতনারে ধংস করিয়ালাইছে। মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম চেতনা আছিল সামাজিক নেয়বিচার অর্থে সমাজতন্ত্র। আজ সমাজে কুন নেয়বিচার নাই। আমার দুটু মন্ত্রীরে বাকশাল ফাসি দিয়ালাইল। পদ্মা সেতু রামপাল বিদ্যুত পায়রা বন্দর সহ লক্ষ কুটি টেকার কারবার চলতে আছে অতছ দুটু পারসেন্টিজ খাইতে পারি না। সৌদি বাদশার ফিতরা দিয়া কুনমতে চলি।

মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সরকার ভুলুণ্ঠিত করছে দাবী করে অশ্রু মুছে মহিলা আমীর বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনার জন্যি আমি আরও কান্নাকাটি করতে চাই। কিন্তু দলে আজকাল যে সকল গুড়াগাড়া জাতীয়তাবাদী ঢুকছে, উহারা চেতনার কথা কইলেই গালি দিয়া উঠে। ভয়ে তাই মুক্তিযুদ্ধের চেতনা নিয়া বেশী কথা বলতে চাই না।


মুক্তিযুদ্ধের চেতনার জন্য খালেদার কান্না

এদিকে মিরপুর চিড়িয়াখানা কতৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করলে নাম প্রকাশ না করার শর্তে চিড়িয়াখানার প্রধান প্রানীবিদ আনোয়ার উদ্দিন মৃধা মতিকণ্ঠকে বলেন, চিড়িয়াখানার কুমীরগুলু ভাল নাই। উহাদের মুরগী খাইতে দেওয়া হয়। মুরগী খাইয়া উহারা মুরগীর জন্যি কান্নাকাটি করে।


মুরগীর জন্য কুমিরের কান্না (প্রতিকি ছবি)

December 3, 2015

নিজামীর সাটিফিকেটে বানান পরীক্ষা নিয়ে বৃহত্তর জামায়াতে আলচনা

নিজস্ব মতিবেদক

সর্বচ্চ আদালতে একাত্তরের আলবদর সর্দার ও বৃহত্তর জামায়াতে ইসলামীর খানকির পোলায়ে আমীর আল্লামা মতিউর রহমান নিজামীর ফাসির রায় নিয়ে বাহাস চলা কালে নিজামীর জাল সাটিফিকেটে বানান পরীক্ষা নিয়ে আলচনায় বসেছে বৃহত্তর জামায়াতে ইসলামী।

আজ এ আলচনায় অংশ নেন বৃহত্তর জামায়াতের বিএনপি শাখার উকিলে আমীর বেরিষ্টার খন্দকার মাহবুব হোসেন ওরফে ‘সাটিফিকেট খন্দকার’ ও বৃহত্তর জামায়াতের খানকির পোলায়ে আমীর ওমরাহ বৃন্দ।

আলচনা শেষে এক সাংবাদিক সম্মেলনে আলচনার বিষয় বস্তু সম্পর্কে উপস্থিত সাংবাদিকদের অবহিত করে সাটিফিকেট খন্দকার বলেন, সামনে নিজামীর মামলায় আপিলের রায় হইবে। যা বুঝতেছি, নিজামীর কুন আশা নাই। সাকার নেয় তারেও জাল সাটিফিকেট দিয়া উদ্ধার করার চেস্টা করার ইচ্ছা আছে। তাই নিজামীর সাটিফিকেটে বানান পরীক্ষা লইয়া বৃহত্তর জামায়াতের খানকির পুলাদের সংগে আলচনা করলুম।

আবেগঘন কণ্ঠে খন্দকার মক্তার বলেন, সুদীর্ঘ পাচ দশকের মক্তারি জীবনে কত রকম ভেজাল সাটিফিকেট দাখিল করিয়া আইলুম, কুন সমস্যা হইল না। সাকার মামলায় কি করিয়া যেন ফেসিবাদী জজের দল সাটিফিকেটে বানানের সমস্যা ধরিয়া ফেলল। দেশে আমার আরও যত মক্কেল আছে, তাহাদের মুঠফুন মারার জ্বালায় আমি হয়রান হইয়া গেলুম। উহারা সকলেই যে যার পাঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয়ের সাটিফিকেট ট্রাংকের তলা হইতে বাইর করিয়া আমার সংগে মুঠফুনে রাগারাগি করতেছে। তাই এইবার নিজামীর সাটিফিকেটটি যত্ন করিয়া বানাইতে দিব। বৃহত্তর জামায়াতের আমীর ওমরাহ দিগের নিকট হতে ইস্পেল চেকার নামে একবিংশ শতাব্দীর চেলেঞ্জ মুকাবেলা করার মত একটি টেকনলজীর কথা জানতে পারলাম। নিজামীর বেলায় উহা প্রয়গ করা নিয়া আলচনা চলতেছে। এক মাসের মধ্যেই এ বেপারে একটি ফয়সলা হইবে।


নিজামীর কুন আশা নাই: সাটিফিকেট খন্দকার

আবেগঘন কণ্ঠে সাটিফিকেট খন্দকার বলেন, নিজামীরে লইয়া কুন আশা দেখি না। খানকির পুলা একাত্তরে যেরুপে আওয়াজ দিয়া খুন খারাবি করিয়াছে, সাটিফিকেট দিয়া উহার গর্দান রক্ষা করা যাইবে না। তাছাড়া উহার দলের পাতি নেতাগুলিও উহাকে এই চামে কুরবানী দিয়া নিজেরা আমীর হইতে বেশী আগ্রহী।

এর কারন জিজ্ঞাসা করলে নাম প্রকাশ না করার শর্তে খন্দকার মক্তার বলেন, বৃহত্তর জামায়াতীরা নিজামীকে প্রকৃত জামায়াতী মনে করে না। উহার বাড়ি পাবনা, সুচিত্রা সেনের বাড়ির নিকটেই। শৈশব হইতেই নিজামী সুচিত্রা সেনের বাড়িতে যাতায়াত করত। সুচিত্রা সেনের মার নিকট গিয়া আবদার করিয়া বলত, মাসিমা মালপো খাপো। এখন আপনারাই বলেন, প্রকৃত জামায়াতী কি কুনদিন মালাউনের বাড়িতে গিয়া মালপো ভক্ষন করতে পারে? এইসব হিন্দুয়ানী চালচলনের কারনে নিজামীর দলের লুকজনই তার উপর বিলা।

তারপরও মামলার খাতিরে নিজামীর প্রান ভিক্ষা চাইবেন জানিয়ে সাটিফিকেট খন্দকার বলেন, জামায়াতের খানকির পুলাদের কেস লইয়া মার্কেটে আমার নাম ডুবতেছে। তারপরও বয়সের অজুহাত দিয়া উহার ফাসি থামাইতে আবদার করব। বৃদ্ধ বয়সের কারনে উহাকে যেন ফাসি না দিয়া দৈনিক এক চামুচ অলিভ অয়েল বরাদ্দ করিয়া আমরন আরামদণ্ড দেওয়া হয়, সেই বাবদ দরখাস্ত খসড়া করিয়া ফালাইয়া থুইলুম।

ফাসির বয়স পার হয়ে গেলে নিজামী এখনও কিভাবে বৃহত্তর জামায়াতের খানকির পোলায়ে আমীরের পদ আকড়ে পড়ে আছেন, এ প্রশ্নের সরাসরি উত্তর না দিয়ে হাসতে হাসতে খন্দকার মক্তার বলেন, ফাসি কি পদে দেয়? ফাসি দেয় গর্দানে। যেহেতু মায়ের পেট হতে গর্দান আগে ও পদ পরে বাইর হয়, তাই গর্দানের বয়স পদের বয়স হতে বেশী। তাই নিজামী এই বৃদ্ধ বয়সে পদে থাকলেও গর্দানে ফাসি দেনা নাহি চাহিয়ে।