নিজস্ব মতিবেদক
আবারও আলাল কেলেংকারীতে নিজেকে জড়িয়েছে বৃহত্তর জামায়াতে ইসলামীর বিএনপি শাখা।
এবার আলাল কেলেংকারীতে মুখ্য ভুমিকা পালন করেছেন বৃহত্তর জামায়াতে ইসলামীর বিএনপি শাখার নায়েবে খারিজি, বৃহত্তর জামায়াতে ইসলামীর বিএনপি শাখার মহিলা আমীর ও জাতীয়তাবাদী শক্তির মালিক আপোষহীন দেশনেত্রী মাদারে গনতন্ত্র বেগম খালেদা জিয়া জেএসসির বিলায়েত বিষয়ক সাবেক উপদেস্টা সাবেক পর রাস্ট্র সচিব ও মনির পুড়ান আন্দুলনের অন্যতম কর্নধার আল্লামা মেজর (অব.) শমশের মবিন চৌধুরী।
আলাল কেলেংকারীতে গুলশান থানার এসআই গিয়াস উদ্দিন ২০১৪ সালের ৩০ এপ্রিল শমশের মবিন সহ ১২ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেন।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, ২০১০ সালের ২৭ জুন বৃহত্তর জামায়াতের হরতাল চলাকালে মহাখালী ওয়ারলেস গেট এলাকায় তৎকালীন বিএনপি শাখার নায়েবে খারিজি শমশের মবিনসহ দলের শতাধিক কর্মী পুলিশের কাজে বাধা, গাড়ি ভাংচুর ও অগ্নি সংযোগ করে।
হানাহানা কাটাকাটি মারামারির এক ফাকে নিরালায় একলা পেয়ে কাজী আলাল নামে এক পুলিশ কনষ্টেবলের উপর ঝাপিয়ে পড়েন শমশের মবিন চৌধুরী। ধস্তাধস্তির সময় তিনি আলাল কনষ্টেবলকে কঠর আলিংগন করলে তার জিভ বের হয়ে যায়।
এ ঘটনায় গুলশান থানার এসআই মোহাম্মদ আলী নাশকতা ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে একটি মামলা করেন।
আলাল নিপিড়ক শমশের মবিন
এ মামলায় অভিযোগ গঠনের শুনানীতে শমশের মবিনের আইনজীবী জয়নাল আবেদীন মেছবা বলেন, আমার মক্কেল পাকিস্তানের কাকুল একাডেমী হতে গ্রেজুয়েট করা কমান্ডো অফিসার আছিলেন। দুম্বার গুস্ত ও গমের পরটা খাইয়া উনার অভ্যাস। তিনি ঐ ননীর পুতুল আলাল কনষ্টেবলকে আলিংগন করলে আলাল গুড়া গুড়া হইয়া যাইত। আর মারামারি হানাহানি কাটাকাটির সময় আলাল নিরালায় কি করতেছিল? নিশ্চয়ই উহার মনে পাপ আছিল। কিংবা উহার জামা কাপড় ঠিক আছিল না। মোট কথা আমার মক্কেলরে হুদাই দিষ্টাপ দেওয়া হইতেছে। উনি এখন অবসর লইয়া অবসর মবিন চৌধুরী হিসাবে সৎ ও পরিচ্ছন্ন জীবন যাপন করতেছেন, এর মধ্যিখানে কে হায় হৃদয় খুড়ে বেদ্না জাগাতে ভালবাসে?
তিনি হাকিমের সামনে শমশের মবিনের একটি ছবি উপস্থাপন করে বলেন, দেখুন ধর্মাবতার, আমার মক্কেলের ছবিটি দেখুন। উনি বড়জুর আলাল কনষ্টেবলকে চিমটি দিতে পারেন কিংবা বুংগি বাজাইতে পারেন। তাছাড়া এক হাতে কি আলিংগন বাজে? মামলা যদি চালাইতেই হয়, তাহলে সেই দুশ্চরিত্র আলালের বিরুদ্ধেই চালান হক।
এ বেপারে কনষ্টেবল কাজী আলালের সংগে যোগাযোগ করার চেস্টা করা হলে তার মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
গুলশান থানায় কর্তব্যরত এক পুলিশ কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে মতিকণ্ঠকে বলেন, বৈঠকখানায় যে ভদ্রলুক, ময়দানে গিয়া রাজনীতীর জুশে সেই হয়ত ককটেল মারিয়া হাত বেদ্না করে। সামনে আলাল পাইলে বিএনপি শাখার নেতাগুলু পুরা পাগলা হইয়া যায়। কে কি করে তার নাই কুন ঠিক। কনষ্টেবল আলালের উচিত নাম পাল্টাইয়া ফেলা।
শমশের মবিন চৌধুরীর গায়ের জোরের নিন্দা করে কর্মকর্তা বলেন, পাষান একটা।
এর আগে ২০১৩ সালে কারাগারে আরাম দায়ক বিলাস বহুল ডিভিশন কক্ষে কতৃপক্ষ কতৃক নিয়জিত সেবক আলালের সংগে বলপুর্বক সেক্স করে বাংলার রাজনীতীতে আলাল কেলেংকারীর সুচনা করেন বৃহত্তর জামায়াতে ইসলামীর বিএনপি শাখার সমকামী নায়েবে আমীর রাউজানের রসপুটিন সদ্য ফাসি খাওয়া ব্রাদারফাকার সাকা।
এ ছাড়া বিএনপি শাখার নায়েবে আমীর মোয়াজ্জেম হোসেন আলালকে ঘিরেও আলাল কেলেংকারীর কানাঘুষা শুনা গেছে।