নিজস্ব মতিবেদক
সম্প্রতি হাইকুটের রায়ে টাকা পাচারের মামলায় বৃহত্তর জামায়াতে ইসলামীর বিএনপি শাখার আওলাদে আমীর, জাতীয়তাবাদী শক্তির ভবিষ্যত মালিক ও বর্তমান আমীর এট লার্জ ও শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের যোগ্য উত্তরসুরী পলাতক চিকিতসাধীন তরুন নেতৃত্ব মিষ্টার ফিপটিন পারসেন্ট বড় গনতন্ত্র বড় গুন্ডে লাদেন-এ-লনডন তারেক জিয়ার সাত বছরের জেল ও বিশ কুটি টেকা জরিমানা হওয়ার প্রতিবাদে জাতীয় প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে বৃহত্তর জামায়াতের বিএনপি শাখার ঢাকা মহানগর পাতিশাখা আয়জিত এক এত্রাজ মহাফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপি শাখার ভাঁড়প্রাপ্ত নায়েবে আমীর, জাতীয়তাবাদী শক্তির ‘কমপ্লান বয়’, লনডনে পলাতক চিকিতসাধীন আওলাদে আমীর বড় গুণ্ডে কতৃক ‘হাইড এন্ড সিক’ গালিতে ভুষিত ও ঈদুল কতলের টেলেন্ট হান্ট প্রতিযোগীতায় ‘ফ্লেয়ার এন্ড লাবলি’ খেতাবে সমাদৃত মির্জা বাড়ির বড় গৌরব আল্লামা মির্জা ফখরুল ইসলাম আগুনগীর ওরফে ফখা ইবনে চখা বলেছেন, সরকার বিএনপি শাখারে যৌন হয়রানী করা শুরু করছে।
বক্তব্যের মঞ্চে উঠে আগুন ঝরা বক্তিতায় আগুনগীর বলেন, হাইকুটের এই রায় প্রমান করে, সরকার বিএনপির বুকে হাত দিছে। ইতিপুর্বে তারা বেংককে পলাতক ছুট গনতন্ত্র আল্লামা আরাফাত কোকোরেও সাত বতসরের জেল আর উনিশ কুটি টেকা জরিমানা করছিল। সেই রায়ের হয়রানীতে আমরার ছটে মালিক তিলে তিলে কাহিল হয়ে একদিন ইনতেকাল ফরমাইতে বাধ্য হন। আমি তখন বলছিলাম, ফেসিবাদী বাকশাল সরকার বিএনপির বাম বুকে হাত দিল।
হুহু করে কেদে উঠে কমপ্লান বয় বলেন, ছুট গনতন্ত্র বেংককে পলাতক থাকায় তার সাজা লইয়া কুন উচ্চবাচ্চ হয় নাই। ইন ফেক্ট উনি দেশে থাকলেও হইত না। রাজনীতীর ময়দানে উনি আছিলেন দুদভাত। কিন্তু সরকার দুদভাতে হাত দেওনের পরেও আমরা উপযুক্ত পরিমানে মনির পুড়াইতে কামিয়াব হই নাই। আর এতে করিয়া বখাটে বাকশালের সাহস আরও বাড়িয়া গেছে। তার নমুনা আপনারা এখন দেখতেছেন, কেমনে হাইকুট বড়ে মালিকরেও সাত বতসরের জেল আর বিশ কুটি টেকা জরিমানা করিয়া দিল। আমি এখন বলতেছি, ফেসিবাদী বাকশাল সরকার এখন বিএনপির ডান বুকেও বুংগী বাজাইয়া দিল।
ফুটন্ত ফখরুল
অশ্রু মুছে পুনরায় আগুন ঝরা বক্তব্যে ফ্লেয়ার এন্ড লাবলি বলেন, হাইকুটের এই রায়ে প্রমান হইছে, সরকারের চোখে বিএনপির দুই বুকের মধ্যে পার্থক্য মাত্র এক কুটি টেকার। অতছ আমরা জানি, বিএনপি শাখার দুই বুক কখনই সমান নহে। বাম বুক আরাফাত কোকো রাজনীতীর ময়দানে কেইরা নাইটলি, আর ডান বুক তারেক জিয়া কিম কারদাশিয়ান। কিন্তু কথা সেটা নহে। কথা হচ্ছে সরকার বিএনপির বুকে হাত দিয়া দিছে। অতছ আমরা কি করতেছি? হাম লগ ত চীনা বাদাম চাবা রাহা হু। ১৯৫২ সালেও হাম লগ চীনা বাদাম চাবা করতা থা, ১৯৭১ সালে ভি। এখন পযন্ত আমরা চীনা বাদাম চাবাকে চলতা হু। এইভাবে চলবে না ভাইলগ। বুকের রক্ত দিয়া অধিকার আদায় করতে হবে।
এ সময় মিলনায়তনে গুঞ্জন উঠলে হাইড এন্ড সিক নিজেকে সংশোধন করে বলেন, এই বুক বিএনপির বুক নহে, নিজের বুক। রক্ত দিলে নিজের বুকের রক্তই দিতে হবে, বিএনপির বুক ওরফে বড় গনতন্ত্রের রক্ত আপাতত এভিলেবিল নহে। এই বিষয়ে সংশয়ের কুন অবকাশই নাহি মিলেংগে।
সামনে কঠিন দিনের প্রতি ইংগিত করে ফখা ইবনে চখা বলেন, ডান বুক বাম বুক দুই বুকেই সরকার হাত দিয়া দিল। সামনে মহিলা আমীরের ইয়াতীমের টেকা মারার কেসেও রায় হবে, মনির পুড়ানির মামলায় আমরা যারা নায়েবরা আছি তাদেরও রায় হবে। সরকার বিএনপির অবশিস্ট বুকগুলুরেও হাতাফাই করিবে। যে করিয়াই হউক উহা ঠেকাইতে হবে। তা না হলে এনি বুলু টুকু ফালু প্রভৃতি নাবালকদের হাতে বিএনপি শাখার মালিকানা চলে যাবে।
বিএনপির বুকের সংখ্যা দুই এর অধিক কেন, মিলনায়তনে এ প্রশ্ন গুঞ্জন আকারে ছড়িয়ে পড়লে রাগারাগি করে আগুনগীর বলেন, ফেক্ট দিয়া আমার সুন্দর থিউরিটারে বরবাদ করতে চাও কেনে? চুপ করিয়া সীটে বসিয়া যা বলি শুন।
অবিলম্বে এ যৌন হয়রানীর বিরুদ্ধে তিব্র আন্দলন গড়ে তুলার আহোভান জানিয়ে ফখা বলেন, সরকার যা করছে, কুন ইসলামী কানটৃতে তাহা করলে সরকাররে মাজা পযন্ত মাটিতে গাড়িয়া পাত্থর মারা হইত। কিংবা সরকাররে একশত দররা মারা হইত। দিনকাল যা পড়ছে, তাতে সরকাররে কিসাস করলেও কেহ আপত্তি করত না। কিন্তু আমরার দেশে সালা নাছারাদিগের প্রবর্তিত গনতন্ত্র চলে, তাই উহার আলকে আমার ফয়সালা একটিই।
আবেগঘন কণ্ঠে ফখা ইবনে চখা বলেন, সরকারকে বিএনপি শাখার সংগে বিবাহ দিয়া দিতে হবে।