ফখরুলের সংগে তরিকুলের মনমালিন্য তুংগে

নিজস্ব মতিবেদক

বৃহত্তর জামায়াতে ইসলামীর বিএনপি শাখার ভাঁড়প্রাপ্ত নায়েবে আমীর মির্জা ফখরুল ইসলাম পুলিশের হাতে গ্রেফতার হওয়ার পর বৃহত্তর জামায়াতে ইসলামীর বিএনপি শাখার নতুন ভাঁড়প্রাপ্তের দায়িত্ব নিয়ে মির্জা ফখরুলের সংগে বিবাদে জড়িয়ে পড়েছেন তরিকুল ইসলাম।

আজ মতিবেদকের সংগে এক অন্তরংগ সাক্ষাতকারে নিজের ক্ষোভের কথা তুলে ধরেন তরিকুল।

তরিকুল ইসলাম বলেন, যশোরে আমার কত কাজ। কত চালান আটকাইয়া আছে। বেবসা করি কতগুলি বেয়াদ্দপের সাথে। পুলিশ রেব ঝামেলা করে, বিএসএফ বিজিবি ঝামেলা করে। এর মধ্যে ফখরুল সাহেব পুলিশের হাতে ধরা দিল।

আবেগঘন কণ্ঠে তরিকুল বলেন, আমি এখন ভাঁড়প্রাপ্ত ফখা। দলে সবাই আমায় ফখা নাম্বার টু বলে ডাকে। আমার বউ সেদিন আমায় রাত্র কালে ঠেলা দিয়ে বলে, ফখা নাম্বার টু ঘুমাইতেছ?

কান্নাবিজড়িত কণ্ঠে তরিকুল ইসলাম বলেন, বৃহত্তর জামায়াতে ইসলামীর বিএনপি শাখার ভাঁড়প্রাপ্ত ফখার জীবন বেদনার। প্রতিদিন সুবহে সাদিকের সময় একশ একটা পত্রিকা থেকে সাংবাদিকের বাচ্চারা এসএমএস করে। সারা দিন মবাইল বাজতে থাকে। পুলিশ রেব গোয়েন্দা সংস্থার লোকজন এসে বলে সার নাস্তা খাওয়ার টেকা দেন। সম্পাদকের বাচ্চারা মদের বোতল কিনে দেওয়ার জন্য হুমকি দেয়।

মির্জা ফখরুলের প্রতি বিষোদগার করে তরিকুল বলেন, তিনি দুই আংগুল উচায়ে জেলে চলে গেলেন। জেলে তিনি ডিভিশন পেয়েছেন, টেলিভিশনে নাটক সিনেমা দেখেন, পত্রিকায় বিনোদন পাতা পড়েন, বাড়ির ভাত তরকারি খান। এমপেরিয়াল হোটেল এন্ড গেষ্ট হাউসেও এত ভাল আরামের বন্দবস্ত নাই। আর এইদিকে আমার জান শেষ।

তরিকুল এক পর্যায়ে কেদে ফেলেন। তিনি বলেন, আমি আর বিএনপি করব না। এলডিপিতে যোগ দিব। আগে ত ছিলাম ভাল, আজ আমার কি যে হল, এ বেথা সইতে পারি না, না না, এ বেথা সইতে পারি না।

এ বেপারে কারাগারে মির্জা ফখরুলের মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি হাসতে হাসতে বলেন, আমি বন্দী কারাগারে। বৃহত্তর জামায়াতে ইসলামীর বিএনপি শাখা নিয়ে কুন আলাপ থাকলে তরিকুলকে মুঠোফোনে কল করেন। আমি এখন আর এইসবের মধ্যে নাই।

Leave a comment