‘মতিঝিলে আর নহে’: হেফাজত

নিজস্ব মতিবেদক

মতিঝিল এলাকা তেগ করে সাবেক স্বৈরাচার রাস্ট্রপতি ও পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের বাসভবন অভিমুখে বিকালে যাত্রা শুরু করেছেন হেফাজতে ইসলামের নেতা কর্মী বৃন্দ।

হাজার হাজার হেফাজত কর্মী এ সময় নানা হুংকারে চারদিক প্রকম্পিত করে তুলেন।

ঢাকা মেট্রপলটন পুলিশ ও রেবের কয়েকটি দল বিভিন্ন পয়েন্টে তাদের প্রতিরোধ করতে গিয়ে বের্থ হয়। সকল বাধা পায়ে দলে বর্তমানে এরশাদের গুলশানস্থ বাসভবনের দিকে এগিয়ে চলছে হেফাজতের মিছিল।

হোটেল রূপসী বাংলার বিলাস বহুল আরাম দায়ক লাউনজে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে হেফাজতে ইসলামীর নায়েবে আমীর আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী বলেন, আমরা গত সমাবেশে এরশাদ ছাহেবকে হুশিয়ারী জানিয়ে বলেছিলাম, শুধু খানার বেবস্থা করলেই চলবে না, পাইখানার বন্দবস্তও করতে হবে। তিনি আমাদের কথার কুন দামই দেন নাই। আজ আমাদের লাখো মুজাহিদ ময়দানে জেহাদে লিপ্ত। তাদের চারি পাশে পুলিশের বন্দুক কামান গর্জন করছে। বাকশালী নাস্তিক গুন্ডারা বৃস্টির মত ককটেল পাটকেল নিক্ষেপ করছে। হিংস্র নাস্তিক সাংবাদিক গন আগুনের মত গরম ফ্লেশ মারিয়া মুজাহিদদের ছবি তুলার নামে চামড়া পুড়াইয়া দিতেছে। রাস্তার মোড়ে মোড়ে বোরখা পরিধান না করা হুরপরীর নেয় সুন্দরী ললনারা মদির ইশারায় মুজাহিদদের বাতিলের পথে আহোভান জানাইতেছে। এই গেল বাইরের চাপ। তার উপর রয়েছে বৃহত্তর জামায়াতের বিএনপি শাখা কর্তৃক সরবরাহ কৃত নিম্নমানের রুটি কলা খিরাই বিস্কুটের কারনে ভিতরের চাপ। এহেন পরিস্থিতিতে আমরা কিরুপে পাইখানা সারিব?

পল্লীবন্ধুর বাসভবন অভিমুখে হেফাজতের ‘পাইখানা মার্চ’

আবেগঘন কণ্ঠে বাবুনগরী বলেন, বৃহত্তর জামায়াতের নেতা নেত্রীগন সুসজ্জিত বিলাস বহুল পাইখানায় জগজিত সিংহের গজল শুনিতে শুনিতে এই কাজ গুজরান করেন। অথচ হেফাজতের মর্দে মুজাহিদদের গুলি টিয়ার গেসের মাঝখানে জিহাদের ময়দানে এই কর্ম হাছেল করতে বলেন। ইসলাম শান্তির ধর্ম। শান্তিতে দুদন্ড পাইখানা করতে না পারলে এই জংগে আমাদের পরাজয় সুনিশ্চিত। ইসলাম সাম্যের ধর্ম। তাই আমরা সব মুজাহিদ আজ এরশাদ ছাহেবের শৌচাগারে পাইখানা করব।

বাকশালী সরকারের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করে বাবুনগরী বলেন, শাহবাগে নাস্তিকরা রেপ করে, ড্রাগস করে, গাড়িতে পাইখানা করে। আর আমরা মুমিন মুজাহিদরা মতিঝিলের অলিতে গলিতে পায়ে পায়ে হারাবার জায়গা খুজে মরি। পা টিপে এগোতে গেলেই গোটা শহর বাতি জ্বেলে সতর্ক।

এ বেপারে পল্লীবন্ধুর সংগে যোগাযোগ করা হলে তিনি মতিবেদককে মুঠোফোনে বলেন, মতিঝিল হতে গুলশান বহু দুর রাস্তা। কাছেই মগবাজার আছে। অধ্যাপক গোলাম আজমের বাসায় সুবন্দবস্ত রয়েছে। হেফাজত কর্মীদের উচিত মগবাজারে যাওয়া। গুলশান আসতে আসতে তাদের পাইখানার সংগে গোছলের প্রয়োজনীয়তাও দেখা দিতে পারে।

এক পৃথক সংবাদ সম্মেলনে গোলাম আজমের বৈধ পুত্র আবদুল্লাহিল আমান আজমী বলেন, আমি একজন সৈনিক। পদাতিক বাহিনীতে বছরের পর বছর কঠর প্রশিক্ষন নিয়েছি। রোদে পুড়ে বৃস্টিতে ভিজে মহড়া করেছি। জংগলে হারাম সাপ বেং রন্ধন করে পেট চালিয়েছি। ঘরে পাইখানা করার বিলাস আমার নাই। তাই আমার বাড়িতেও কুন পাইখানা নাই। যখন দরকার হয়, কারওয়ানবাজারে মতিচুর রহমানের সংগে দেখা সাক্ষাত করতে যাই, এক কাপ চা আর এক পিছ কেক খাই, আসল কাজও করিয়া আসি।

4 Comments to “‘মতিঝিলে আর নহে’: হেফাজত”

  1. খারা হেপাজতের বাচ্চারা, লাডি লয়া আইতাসি, তরা একুন ভয়ে পেডের ভিতর হাইগা দিলেই হইল। পাইখানার কুন প্র্য়ুজন নাই।

  2. শাহবাগে নাস্তিকরা রেপ করে, ড্রাগস করে, গাড়িতে পাইখানা করে। আর আমরা মুমিন মুজাহিদরা মতিঝিলের অলিতে গলিতে পায়ে পায়ে হারাবার জায়গা খুজে মরি। পা টিপে এগোতে গেলেই গোটা শহর বাতি জ্বেলে সতর্ক।

    Hahahahahaahahahah

  3. *খানার বেবস্থা করলেই চলবে না, পাইখানার বন্দবস্তও করতে হবে
    *গুলশান আসতে আসতে তাদের পাইখানার সংগে গোছলের প্রয়োজনীয়তাও দেখা দিতে পারে

  4. বিইয়াফুক বিনুদুন

Leave a comment