সামনে লংমার্চ বা রোডমার্চ কর্মসূচি আসতে পারে

নিজস্ব মতিবেদক

তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতি বাতিলসহ সংবিধানের বিভিন্ন ধারা সংশোধনের উদ্যোগের প্রতিবাদে ৩৬ ঘণ্টার হরতালের পর দুই দিনের বিক্ষোভ কর্মসূচি দিয়েছে বিএনপি ও জামায়াত। তবে দমন-পীড়নের মাত্রা বাড়ায় লংমার্চ বা রোডমার্চের মতো কর্মসূচি দেওয়া হতে পারে।

গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় হরতাল শেষে পৃথক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি ও জামায়াত নেতারা বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘোষণা করেন। বিএনপির ভাঁড়প্রাপ্ত মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর হরতাল সফল করার জন্য দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার পক্ষ থেকে দলীয় নেতা-কর্মী, শরিক দল জামায়াতে ইসলামী ও বিএনপি সমর্থকদের অভিনন্দন জানান।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘হরতালে মানুষের দুর্ভোগ হয় এ কথা সত্যি। নিজেদের অসুবিধা হলেও বিএনপির স্বার্থে যে কোন কর্মসূচি তারা সমর্থন করে।’ তিনি দাবি করেন, হরতালের শেষ দিনে ঢাকায় শতাধিক এবং ঢাকার বাইরে তিন শতাধিক নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শেষ দিনে ঢাকায় আহতের সংখ্যা শতাধিক। গত ৩৬ ঘণ্টায় সহস্রাধিক নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ ছাড়া ভ্রাম্যমাণ আদালত সাজা দিয়েছেন তিন শতাধিক নেতা-কর্মীকে।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘হরতাল মানুষের মৌলিক গণতান্ত্রিক অধিকার। ৩৬ ঘন্টা হরতালে বিএনপির নেতাকর্মীদের রাস্তায় নামতে দেয়া হয়নি। মানুষের মৌলিক গণতান্ত্রিক অধিকার খর্ব করার মাধ্যমে সরকার দেশে স্বৈরতন্ত্র কায়েম করেছে। তাই আমরা প্রতিবাদে সরব হয়েছি।’ তিনি বলেন, বাংলার জনগণকে নির্যাতন-নিপীড়নের মাধ্যমে দমন করা সম্ভব নয়।

হরতাল চলাকালীন পুলিশ-র‍্যাবের নির্যাতনের প্রতিবাদে বিএনপি ও শরিক দলগুলো রোডমার্চ ও লংমার্চ কর্মসূচি দেবার চিন্তা ভাবনা করছে। এ প্রসঙ্গে বিএনপির স্থায়ী কমিটির এক সদস্য মতিকণ্ঠকে বলেন,  দলের সর্বশেষ স্থায়ী কমিটির বৈঠকে ৩৬ ঘন্টা হরতালের পর লংমার্চ বা রোডমার্চ কর্মসূচি দেওয়ার ব্যাপারে আলোচনা হয়েছিল। তাতে বলা হয়েছিল, বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়া এই কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে ঢাকা থেকে পায়ে হেঁটে নোয়াখালি সফর করবেন। রোডমার্চ বা লংমার্চ কর্মসূচি সফল করতে এক দৌড় প্রতিযোগিতার আয়োজন করার চিন্তাভাবনা চলছে। প্রতিযোগিতায় অংশ নেবেন বিরোধীদলীয় নেতা বেগম খালেদা জিয়া, মওদুদ আহমদ ও ব্যারিষ্টার নাজমুল হুদা ও মোসাদ্দেক আলি ফালু। দৌড় প্রতিযোগিতা জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে থেকে শুরু হয়ে মতিঝিল শাপলা চত্ত্বরে গিয়ে শেষ হবে বলে জানা গেছে।

তিনি আরো বলেন, তবে সরকারের দমন-নিপীড়নের কারণে যে পরিস্থিতি সৃষ্টি হচ্ছে তাতে যদি রোডমার্চ বা লংমার্চ দেয়া সম্ভব না হয় তাহলে আমরা নদীতে সাঁতার কেটে রিভারমার্চের কর্মসূচি গ্রহণ করবো। সরকার নদীতে বাঁধ দিয়ে রিভারমার্চ কর্মসূচি পালনে বাধা দিলে আমরা বাংলাদেশ ব্যাংকের ছাদ থেকে পিঠে প্যারাসুট বেঁধে ঝাঁপিয়ে পড়ে স্কাইমার্চ কর্মসূচি পালন করবো।

Leave a comment