নিজস্ব মতিবেদক
বৃহত্তর জামায়াতে ইসলামীর বিএনপি শাখা ও ভারতের মধ্যে বিদ্যমান সম্পর্ক লৌহ দন্ডের নেয় শক্ত হবে বলে আশাবাদ বেক্ত করেছেন বৃহত্তর জামায়াতে ইসলামীর বিএনপি শাখার মহিলা আমীর বেগম খালেদা জিয়া।
আজ সপ্তাহ বেপী ভারত সফর সমাপ্ত করে দেশে ফিরে তিনি এ আশাবাদ বেক্ত করেন।
বেগম খালেদা জিয়া বলেন, বিএনপির সংগে ভারতের সম্পর্ক আগে খারাপ ছিল। এ সম্পর্কের আগার দিকে ছিল টাটাকে বিনা মুল্যে গেস প্রদান, বাংলাদেশের বাজার ভারতের কাছে উন্মুক্ত করন ও অন্যান্য সুযোগ সুবিধা। কিন্তু এ সম্পর্কের গোড়ার দিকে ছিল হিন্দু-মুসলিম উত্তেজনা, লতিফুর রহমানের দুলাভাই উলফাকে বাংলাদেশের ভুখন্ডে জামাই আদর প্রভৃতি। অর্থাত এ সম্পর্কের আগা মোটা হলেও গোড়া ছিল চিকন।
আবেগঘন কণ্ঠে বেগম জিয়া বলেন, আমার ৭ দিনের ভারত সফরে আমি এই সম্পর্ক জোরদার করার বেবস্থা করে এসেছি। এখন এ সম্পর্ক হবে লৌহ দন্ডের নেয় শক্ত।
দিল্লী থেকে ভারতের রাষ্ট্রপতি প্রনব মুখার্জি বলেন, আমাদের সংগে উনাদের এখন একটা সম্পর্ক হয়েছে। আপনারা দুয়া করবেন।
ভারতের কংগ্রেস নেত্রী সোনিয়া গান্ধীর বদনাম করে খালেদা জিয়া বলেন, সোনিয়া গান্ধী আমায় সাক্ষাত দিল না। বেটীর ফুটানি দেখে বাচি না। এই রকম আচরন করে দেখেই আমি দশ ট্রাক অস্ত্র পাঠিয়েছিলাম। কিন্তু বেয়াদব সোনিয়া গান্ধী অতীত থেকে শিক্ষা গ্রহন করেনি। সে একটি অভিশাপ।
প্রনব মুখার্জি প্রশংসা করে খালেদা জিয়া বলেন, প্রনব মুখার্জি আমায় দাওয়াত দিয়েছে বলেই আমি একটা সম্পর্ক করলাম। নাহলে আমি ইনডিয়া যেতাম না। ভদ্রলোকে ইনডিয়া যায় না।
ভারত সফর সফল হয়েছে উল্লেখ করে খালেদা জিয়া বলেন, আগ্রায় তাজমহল, দিল্লীর লাল কেল্লা, জয়পুরে আজমীর শরীফ দেখেছি। দশ সেট লেহেংগা, বিশটা জামদানী, বিশটা কাতান আর পাচটা কাঞ্জীভরম শাড়ি খরিদ করেছি। ডায়মন্ডের দুইটি নেকলেস আর তিনটি মাইসুরি টিকলি কিনেছি। ময়ুরের মাংস দিয়ে পরটা খাওয়ার শখ ছিল, খেয়ে এসেছি। ভারত সফর একদম ১১০% সাকসেস। মি লাইকস দিস।
বৃহত্তর জামায়াতে ইসলামীর বিএনপি শাখা ও ভারতের সম্পর্ক নিয়ে মহিলা আমীরের নায়েবে খাস মোসাদ্দেক আলী জি ফালুর মত জানতে চাইলে তিনি কান্নাবিজড়িত কণ্ঠে বলেন, কেউ পায় কেউ বা হারায় তাতে নায়েবের কি আসে যায়।