পরানের হরলিকস রে, বুড়ু হইলাম তর কারনে: তুষার

নিজস্ব মতিবেদক

পরিক্ষাগারে পরিক্ষা নিরিক্ষা করে জুনিয়র হরলিক্সে সাস্থ্য গঠনের অন্যতম উপাদান ডিএইচএ বা ডেকোসাহেক্সানয়িক এসিড পায়নি বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষনা পরিষদ (বিসিএসআইআর)।

আর এ ফলাফলের কথা প্রকাশ পাওয়ার পর কান্নায় ভেংগে পড়েছেন খেতনামা ড্রন বিশেষজ্ঞ, মস্তফা অনুরাগী, কাপড় বেবসায়ী ও ইসলামী বেংকের সমঝদার বিতর্ক রাজ আল্লামা আবদুন নুর তুষার।

বিসিএসআইআরের ‘স্ট্রেংথেনিং এনালাইটিকাল এন্ড মাইক্রোবিয়াল লেবরেটরিজ’ প্রকল্পের পরিচালক রেজাউল করিম মতিকণ্ঠকে বলেন, ডিএইচএ একটি ওমেগা-৩ প্রাইমারি এমিনো এসিড। এটি মানুষের মস্তিস্ক, ত্বক এবং চোখের রেটিনা গঠনের অন্যতম উপাদান।

কিন্তু জুনিয়র হরলিকসে এ উপাদান পাওয়া যায়নি।

এক তাতক্ষনিক সংবাদ সম্মেলনে প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বিতর্ক রাজ তুষার বলেন, পরানের হরলিকস রে, বুড়ু হইলাম তর কারনে।


যে প্রশ্নের উত্তর আজও মিলেনি

কান্নায় ভেংগে পড়ে মস্তফা অনুরাগী তুষার বলেন, বিগত এক দশক ধরে নানা খেপ মারতেছি। কখনও কবি, কখনও গায়ক, কখনও নর্তক, কখনও উপস্থাপক হয়ে বাংলার মানুষের মনরঞ্জন করতেছি। সবাই নগদ টেকা দিতে পারে না। কেউ দেয় পাচ কেজি চাউল, কেউ দেয় দশ কেজি আটা। আমি বলি, চাউল আটা না দিয়া কয়েক বয়াম হরলিকস দিয়েন। এতে আছে ডিএইচএ। ডিএইচএ খাইলে দেহে থাকে লাবন্য, মনে থাকে আনন্দ। তারপর হতে আমি হরলিকসের বিনিময়েই খেপ চালাই।

কাদতে কাদতে আবদুন নুর তুষার বলেন, গত বছর যে বিতর্কিত ইসলামী বেংক অনুষ্ঠানে ইষ্টেজের পিছন হতে লুকিছুপ্পি উপস্থাপনা করছি, সে খেপেও মজুরী পাইছিলাম তিন বয়াম হরলিকস। কিন্তু বিসিএসআইআর সব বরবাদ কর দিয়া। আব মে কেয়া খাউংগা?

অশ্রু মুছে আবেগঘন কণ্ঠে তুষার বলেন, তাই ত বলি, আমি গত কয়েক বছর কেন ভুদাইয়ের নেয় আচরন করতেছি? কেন উল্লুকের নেয় কথাবার্তা কইতেছি? সব দুষ জুনিয়র হরলিকসের। উহাতে ডিএইচএ নাই। ডিএইচএ এর অভাবে আমার মস্তিষ্কের গঠন ঠিকমত হয় নাই। রাজার হস্ত করে সমস্ত কাংগালের ড্রন চুরি। লেকিন কিউ?

সিনিয়র নাগরিক হয়েও কেন তিনি জুনিয়র হরলিকস খাচ্ছিলেন, সাংবাদিকদের এ প্রশ্নের কোন সরাসরি উত্তর না দিয়ে তুষার বলেন, বুঝেনই ত।

এ বেপারে প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে হরলিকস উৎপাদনকারী বহুজাতিক প্রতিষ্ঠান গ্লাক্সোস্মিথক্লাইন (জিএসকে)-এর মান নিয়ন্ত্রন ব্যবস্থাপক (কুয়ালিটি মেনেজার) লোকমান হোসেন হাসতে হাসতে বলেন, আল্লামা তুষারকে ডিএইচএর গামলায় চুবাইয়া রাখলেও তার মস্তিষ্কের গঠন ঠিক হবে না। ছুটকালে সে খায় নাই আয়ুডিন, বুড়ু বয়সে ডিএইচএর জন্য কান্দাকাটি করিয়া কি লাভ?

One Comment to “পরানের হরলিকস রে, বুড়ু হইলাম তর কারনে: তুষার”

  1. Stories on Tushar getting a bit boring now … what happened to the good ol’ Motikontho?

Leave a comment