নিজস্ব মতিবেদক | তারিখ: ১৩-০৫-২০১১
ধর্মীয় বিষয়ে ফতোয়া দেওয়া যেতে পারে। যথাযথ শিক্ষিত ব্যক্তিরা ফতোয়া দিতে পারেন। তবে তা মানতে বাধ্য করা যাবে না। শারীরিক ও মানসিক কোন ধরনের শাস্তিও দেওয়া যাবে না। প্রধান বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হকরে নেতৃত্বে ছয় বিচারপতির পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ সংখ্যাগরিষ্ঠতার ভিত্তিতে গতকাল বৃহস্পতিবার এ রায় দেন।
১০ বছর আগে হাইকোর্ট ফতোয়া অবৈধ ঘোষণা করে রায় দেন। ওই রায়ের বিরুদ্ধে করা আপিল আংশিক মঞ্জুর করে কয়েক দফা পর্যবেক্ষণ দিয়ে আপিল বিভাগ এ রায় দেন। রায়ে বলা হয়, হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে করা দুটি আপিল সংখ্যাগরিষ্ঠ মতামতের ভিত্তিতে আংশিকভাবে মঞ্জুর করা হলো। শুধু যথাযথ শিক্ষিত ব্যক্তিরা ধর্মীয় বিষয়ে ফতোয়া দিতে পারবেন। এটা ব্যক্তির স্বেচ্ছায় গ্রহণের ওপর নির্ভরশীল। এ ক্ষেত্রে কোনো ধরনের প্রভাব বা বল প্রয়োগ করা যাবে না। রাষ্ট্রের প্রচলিত আইনে ব্যক্তির সাংবিধানিক অধিকার ও মর্যাদা ক্ষুণ্ন করে, এমন কোনো ধরনের ফতোয়া দেওয়া যাবে না। যে ফতোয়ার ঘটনাটি অবৈধ বলে হাইকোর্ট রায় দিয়েছিলেন, তা সঠিক।
২০০১ সালে হাইকোর্টের দেওয়া ফতোয়াবিরোধী রায়ের বিরুদ্ধে আপিলের ওপর চলতি বছরের ১ মার্চ শুনানি শুরু হয়। নয় কার্যদিবস শুনানি শেষে ৪ এপ্রিল আদালত বিষয়টি রায়ের জন্য অপেক্ষমাণ (সিএভি) রাখেন। এরপর গতকাল রায় দেওয়া হয়। সকাল সাড়ে নয়টার দিকে এজলাসে আসেন বিচারপতিরা। এরপর কয়েক মিনিটে রায়ের সংক্ষিপ্ত আদেশ অংশ পড়েন প্রধান বিচারপতি।
হাইকোর্টের এ রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন ইসলামী শাসন বাস্তবায়ন ও ইসলামী ঐক্যজোটের একাংশের নেতা মুফতি ফজলুল হক আমিনী। যথাযথ শিক্ষিত ব্যক্তি কারা তা জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমনে মুফতির মানে বুজেন?
এদিকে হাইকোর্টের রায়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন সদ্য ইসলাম গ্রহণকারী হলিউড তারকা আঞ্জুমান আরা জলি। তিনি বলেন, মুফতি হান্নান বোমাবাজির কারণে কারাগারে থাকায় মুফতি আমিনী একাই ফতোয়ার ফাঁকা মাঠ দখলের মতলব করছেন। তিনি মুমিনদের মুফতি আমিনীর বিরুদ্ধে লাঠি ও কোরান হাতে আন্দোলনে নামার ডাক দেন। আন্দোলন সফল করার জন্য তিনি উলঙ্গ হতে পারেন বলে জানা গেছে।
আঞ্জুমান আরা জলির উলঙ্গ হবার খবরে মুফতি আমিনী বলেছেন, জলি একটি বেপর্দা নারী। ইন্টারনেট ভর্তি তার উলঙ্গ ছবি। জলির দেয়া ফতোয়া ইসলামসম্মত হবে না বলে ঘোষনা করেন তিনি।