এবারে মুসলিম ওয়াশের প্রস্তুতী

নিজস্ব মতিনিধি

পাবনার সাঁথিয়া উপজেলায় হিন্দুদের মাত্র গোটা চারেক মন্দির আর গোটা চল্লিশেক বাড়ি ভাংচুর ও পুড়ায়ে দেওয়ার ঘটনায় এত চিল্লা হল্লা শুরু হওয়ায় বিস্ময় প্রকাশ করেছে স্থানীয় তৌহীদী জনতা। তারা বলেছে, আরে, এইটা তো প্রিতি মেচ। দুধ ভাত। আসল মেচ তো শুরু হয়ই নাই।

গুজবের উপর ভিত্তি করে সংখ্যালঘুদের আক্রমন করা উচিৎ কিনা, এই প্রশ্নের জবাবে একজন বলেন, জিবরাইল ফেরেশতা আমাদের নবিজীরে ওহি আইনা দিসে, সেইটার কুন প্রমান আছে? নাই। পুরাটাই শুনা কথা। আমরা সেই শুনা কথায় বিশ্বাস করে অভ্যস্থ। তাই কুন গুজব যদি মালাউনগোরে এটাক করার সুযুগ কইরা দেয়, আমরা সেই গুজবেও বিশ্বাস করি। আর ভাংচুরের কথা বলতেসেন? ধর্ম-ভাং খেয়ে চুর থাকলে ভাংচুর করতে সুবিধা, বুজেনই ত।

ভাং-চুর কন্ঠে আরেক জন বলেন, আমরা বেশরীয়তী কাজ করি নাই। হিন্দুপুন্দন আমাদের ধর্মিয় অধীকার। ইসলামি খুৎবা, জলসা, ওয়াজ বা ইছালে ছওয়াবে মালাউনদের ধর্ম আর দেব দেবি নিয়া রঙ্গ রস মশকরা করলে বা গাইল দিলে কুন অপরাধ নাই। কারন অমুসলিমগুলারে পুন্দান ইসলামে যায়েজ। অনেক সুরায় তা উল্যেখও আছে। যেমন সুরা আল আনফালে আল্লাহপাক ষ্পস্ট নির্দেশ দিয়েছেন, ‘আমি কাফেরদের মনে ভীতির সঞ্চার করে দেব। কাজেই গর্দানের উপর আঘাত হান এবং তাদেরকে কাট জোড়ায় জোড়ায়।’ আল্লাহর কথন না যায় খন্ডন।

তৌহীদী জনতার এক প্রতিনিধি আশাঘন কন্ঠে বলেন, তাই আল্লাহ চাহে ত অচীরেই তার নির্দেশ পালন করার সুযগ আসবে, যেদিন সংখ্যা লঘুদের গুরু পুন্দন দেওয়া হবে। শুরু হবে আন্ত ধর্ম কৃকেট মেচ। সেইটার নাম – মুসলিম ওয়াশ। কুন মুসলিমের এই সময় উচিৎ হবে না নন-ষ্ট্রাইকার থাকা। তখন আমরা মালাউনদের আউট ফিল্ড দখল করব, আমাদের সকলের জন্যে থাকবে ফ্রি হিটের বেবস্থা, ষ্ট্রাইক রেট হবে রেকর্ড পরিমান, ষ্টাম্প ভাঙা হবে, উইকেট পড়বে দমাদ্দম, তাদের বাড়ি-মন্দির হবে এশেজ। কুন মেইডেন অর্থাত গনিমতের মাল পেলে আমরা আমাদের থার্ড লেগ ইনসুইং করে ফুল লেংথ পুশ করিয়ে আউট করব ইনশাল্লা। মুসলিম ওয়াশ, জিন্দাবাদ!

75 Comments to “এবারে মুসলিম ওয়াশের প্রস্তুতী”

  1. Surat Al-‘Anfāl (The Spoils of War) – سورة الأنفال

    8:12 [Remember] when your Lord inspired to the angels, “I am with you, so strengthen those who have believed. I will cast terror into the hearts of those who disbelieved, so strike [them] upon the necks and strike from them every fingertip.”

  2. খাইছে…………………..তোর পুসি চাইবোরে এহন,মতি …………………………….হেহে

  3. এক্কেরে ডায়রেক্ট ধর্মরে পুন্দানি দিয়া দিলেন যে? হঠাৎ এত চেতলেন কেন ভাই?

  4. এপিক! একদম মাস্টারপিস হইছে! 😀

  5. “ধর্ম-ভাং খেয়ে চুর থাকলে ভাংচুর করতে সুবিধা, বুজেনই ত।” মতিকন্ঠের সেরা বাণী !!! 😀

  6. shalara sob bejonmar bacha ………..fukistani dala r ovoido jarojgula

  7. It is not prudent to Attack Islam for misdeeds of miscreats. Think Again.

    • উইকেট কিপার, ফিল্ডার, বোলার সবাই স্ট্যাম্প ভাঙে। স্ট্যাম্প ভাঙা যদি দোষের হয় তাহলে দোষটা কী তাদের না কী ক্রিকেট নামের খেলাটির যার আইনকানুনেই আছে যে সুযোগ পেলেই স্ট্যাম্প ভাঙতে হবে? দোষ কার?

  8. ভাই আপনেরা এত ভালো লেখেন, হুদাই ধর্মের মত একটা সেনসিটিভ ব্যাপার নিয়া উল্টাপাল্টা লেখার কোন দরকার আছে?? এইসব পোস্টের কারণে আপনারা জনপ্রিয় হইতে পারতেছেন না… নাম কামাইতাছেন, আবার নিজেরাই সেই নাম নস্ট করতাছেন… আপনাদের পোস্টের শেয়ার সংখ্যা তো নিজেরাই দেখেন, নাকি?? দিন দিন বাড়তাছে। এখনকার পোস্টগুলা এভারেজ ৩৫০+ শেয়ার পায়, গুজব হিসাবে ছড়াইলে তো ১০০০+। আমরা নরমাল পুলাপান আপনাদের পোস্ট/লাইন কোট করি, আপনাদের পোস্টগুলা পিওর বিনুদুন, এগুলা নিয়া মজা করি। কিন্তু চাইনা মতিকন্ঠের কথা তুললে মজার বদলে বিতর্ক সৃষ্টি হোক/ অযথা ট্যাগিং শুরু হোক।

    আর কোন ধর্মই বিতর্কের উরধে না। ১৬ কোটি মুসলিমের দেশে ইসলামকে ব্যাঙ্গ করাটা অনেকটা “বাঁশ তুমি ঝাড়ে কেন, পোদে আসো” টাইপের ব্যাপার। নিজেদের অযথা বিতর্কিত করা আদৌ কতটুকু বুদ্ধিমানের কাজ ভেবে দেখবেন আশা করি।

    • “আমরা নরমাল পুলাপান আপনাদের পোস্ট/লাইন কোট করি, আপনাদের পোস্টগুলা পিওর বিনুদুন, এগুলা নিয়া মজা করি।“ – যদি মতিপাঠের পাশাপাশি ধর্মপাঠ করতেন তাহলে শুরু থেকেই জানতেন যে মতিকন্ঠ যা করে তা ইসলাম সম্মত নয়। ধর্মের তরফদারি করেন অথচ এটা জানেন না যে এতদিন যেসব “পিওর বিনুদুন” নিয়ে হাসাহাসি করেছেন সেগুলো সবই ধর্মবিরুদ্ধ। কারো নাম বিকৃত করা, বানিয়ে বানিয়ে হাস্যরস করা এসবই ইসলামে নিষিদ্ধ। যদি মতিপাঠ করে বেশী পিওর বিনুদুনে আট্টহাস্য করে থাকেন তাহলে সেটাও সুন্নাহ অনুযায়ী ঠিক হয়নি। ধর্মবিরোধী মতিপাঠ বাদ দিয়ে ধর্মপাঠ শুরু করুন।

      “আর কোন ধর্মই বিতর্কের উরধে না।“ – তাহলে তো আর কথাই নেই। আপনার বক্তব্যেই আপনি স্বীকার করে নিচ্ছেন যে হিন্দু, খৃষ্টানের মত ইসলামও বিতর্কের উর্ধ্বে নয়!!!
      “১৬ কোটি মুসলিমের দেশে ইসলামকে ব্যাঙ্গ করাটা অনেকটা “বাঁশ তুমি ঝাড়ে কেন, পোদে আসো” টাইপের ব্যাপার।“ – তাহলে কী ধরে নেয়া যায় যে মেজরিটি হিন্দুর দেশ ভারতে মূর্তি পূজাকে নাজায়েজ বলে প্রচারকারী মুসলমানদের পোদে বাঁশ খেতে হবে? মেজরিটি খৃষ্টানের আমেরিকাতে মুসলমানদের পোঁদে বাঁশ দেয়াটা কী আপনি সমর্থন করেন? মেজরিটি অমুসলিমের এই পৃথিবীতে পোঁদে বাঁশ খাওয়াটাই কী তাহলে মুসলমানদের নিয়তি হওয়া উচিত?
      “তাহলে নিজেদের অযথা বিতর্কিত করা আদৌ কতটুকু বুদ্ধিমানের কাজ ভেবে দেখবেন আশা করি।“ – আপনি নিজে কতটুকু বিতর্কিত হয়েছেন পরোক্ষভাবে ইসলামকে “বিতর্কের উর্ধ্বে নয়” বলে সেটা ভাবুন।

      আপনার জন্য উপযুক্ত বাক্য দিয়েই শেষ করছি- মতিপাঠ বাদ দিয়ে ধর্মপাঠ করুন। দোজাহানের অশেষ বাঁশ পোঁদে হাসেল করুন (এই জাহানে মাদ্রাসার বড় হুজুরের বাঁশ আর ঐ জাহানে গেলেমান হয়ে বেহেস্তবাসীর বাঁশ)।

  9. Motikontho give us lot of fun, but the admin should be careful of making fun with Quran / Hadith reference. Plz don’t agitate hefazot or other fundamentalist & don’t give them chance to make any kind of political or social unrest. Thanks.

  10. @Pavel, really !!!! Have you read the first post from KB? Is it then islam or miscreants?

  11. সুরা আনফালে কি আছে সেটা সম্মন্ধে দেখি মৌলবাদী আর মতিকন্ঠ একমত। দুই দলের বুদ্ধিশুদ্ধি কি দিন দিন সমান হয়ে যাচ্ছে? কোরান এভাবে পড়া যায় না ভাই। যুদ্ধ সংক্রান্ত ইসলামিক জুরিস্প্রুডেন্স একটু ভালোভাবে পড়ে আসেন, কাফির দেখামাত্র কতল করার নির্দেশ কোরানে নাই। আপ্নেরাও যদি শিবির/হুজি স্টাইলে ইসলামের ব্যাখ্যা দেয়া শুরু করেন, তাদের মত আপনারাও পাবলিকের ঘৃণাভাজন হবেন। মতিকন্ঠ কি পাকিবাদীদের বিরোধী, না কি সমস্ত মুসলিমেরই বিরোধী? – এই প্রশ্নের উত্তরটা নিয়ে একটু ভাবেন।

    • একমত ভাই

      • @harun আপনার কমেন্টে রিপ্লাই অপশন দেখছি না দেখে এখানে লিখছি। একটা জিনিস লেখার জন্যই লগ ইন করা। ধর্ম, ন্যাশনালিটি, এথনিসিটি এসবগুলির মধ্যেই কিছু একটা ব্যাপার আছে যেটা মানুষকে পশুতে পরিণত করতে পারে। এর মধ্যে ধর্মের প্রভাবটাই সবচেয়ে গাঢ়, কারণ ধর্মের সম্পর্ক আমাদের সাথে বহু পুরনো। এটা হলো ধর্মের সাথে মানুষের জেনেরিক সম্পর্ক, যে ধর্মেরই হোক না কেন। মুসলিমরা এর বাইরে না। আমাদের দুর্ভাগ্য যে তারা ইসলামকে তাদের প্রাক-ইসলামিক চিন্তাধারা-কর্মপদ্ধতির অভ্যাস থেকে বের করে আনতে পারে নি। ফলে সত্য দ্বারা মুক্ত হবার বদলে সত্যকেই নিজস্ব সীমিত পরিসরে আবদ্ধ করেছে। ইসলামের ইতিহাস পড়ে দেখতে পারেন, নবীজীর মৃত্যুর পরমুহূর্ত থেকে কোরানের বাক্যগুলির ইন্টারপ্রিটেশন পলিটিসাইজড হয়ে গেছে, ফলে পড়া বা বোঝার চলই তৈরি হয় নি। কাজেই টেক্সটটা যদিও দেড় হাজার বছর পুরানো, দেড় হাজার বছর ধরে মানুষ আসলে একে বোঝার চেষ্টা করছে না, বরং দেড় হাজার বছর ধরে মূলের উপর স্তরে স্তরে খাদ জমেছে। সেক্সিজম, এলিটিসিজম, রেসিজম থেকে শুরু করে যা যা খাদ আমাদের মনে ছিল সেইগুলার লেন্স দিয়েই আমরা কোরান পড়েছি। এর মানে এই না যে প্রফেসিতে খাদ ছিল। যাই হোক, আপনাকে ইসলামে কনভিন্স করা আমার উদ্দেশ্য না। আমার উদ্দেশ্য এটা জানানো যে হিন্দুর মূর্তিপূজাকে ব্যাঙ্গ করা মুসলিমের কোরান পড়াকে ব্যাঙ্গ করা দুইটাই অন্যায়। একটা দ্বারা আরেকটা জাস্টিফাই হয় না। ভুলবেন না মুসলিমরা, সবার মতোই, একটা ডাইভার্স পপুলেশন। যে জিনিসগুলিকে আপনি খারাপ মনে করেন (হিন্দু/খ্রীষ্টান/ইহুদীদের প্রতি ঘৃণা ইত্যাদি) সেগুলিকে আরো অনেকেই খারাপ মনে করে। বাজে জিনিসটাকে গাল দিতে গিয়ে সবাইকে গাল দেওয়াটা অন্যায়। অনেকেই এই গালি ডিজার্ভ করে না।
        আবার অনেকেই ডিজার্ভ করলেও, এখান থেকে হয়তবা তাদের উত্তরণের সম্ভাবনা আছে। যেকোন ধর্মের মানুষকে তার ধর্মসমর্থিত/প্রভাবিত অনাচারের অনৈতিকতাটা দেখাতে চাইলে অনাচারটাকেই টার্গেট করতে হয়, ধর্মকে টার্গেট করলে আপনার বক্তব্য আড়াল হয়ে যাবে আপনার সেলফ-রাইচেয়াসনেসের পেছনে। অবভিয়াস টার্গেটে হিট করা আপনার উদ্দেশ্য, না কি একটা সহনশীল, শ্রদ্ধাশীল সমাজ তৈরি করা আপনার উদ্দেশ্য, সেটা ভেবে দেখতে পারেন। আপনার কথায় আপনার উদ্দেশ্য পরিষ্কার হবে।এছাড়া আর সব কিছুর মতই আমাদের বিশ্বাস নিয়েও সত্যিকারের তর্কবিতর্ক হতেই পারে। তাতে আমি অন্তত বিপন্ন বা অপমানিত বোধ করব না বা করলেও তার দায় আপনার ঘাড়ে দেব না, এবং প্রার্থনা করি সেরকম একটা সমাজ যেন তৈরি হতে পারে।

    • “দুই দলের বুদ্ধিশুদ্ধি কি দিন দিন সমান হয়ে যাচ্ছে? ” – বুদ্ধিশুদ্ধি সমান হয়ে যাচ্ছে কী না জানিনা, কিন্তু যেহেতু তারা দুজনই পড়ে সেহেতু তথ্য তারা সমান জানে। তাদের পার্থক্য তাদের চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে। একগ্রুপ তথ্য জানে এবং মনে করে সব ঠিক আছে আর এক গ্রপ তথ্য জানে এবং মনে করে সেসব অগ্রহণযোগ্য। আর আপনাদের মত যারা দুই দলকেই বয়কটের ভয় দেখায় তাদের না আছে বুদ্ধিসুদ্ধি আর না আছে তথ্য। তাদের বুদ্ধিশুদ্ধি নিয়ে সমানুপাতিক বয়কট থিওরি প্রদাণের ন্যাকামো না করে দিনন না যুদ্ধবিগ্রহ সম্পর্কিত কিছু জুরিস্প্রুডেন্স তথ্য!

      • যারা আগে থেকেই মারমারকাটকাট করার উদ্দেশ্যে আয়াত খুঁজে, তারা এগুলি হাতে পেয়েই লাফাতে শুরু করে। আবার যারা আগে থেকেই রিএক্ট করার উদ্দেশ্যে আয়াত খুঁজে তারাও কয়েকটা আয়াত বের করে লাফাতে শুরু করে। এভাবে কোরান বা হাদীসে কি আছে তা জানা আর হয় না, কেবল উদ্দেশ্যপূরণ হয় মাত্র।কেউ যখন মার্ক্স পড়ে কিছুই না বুঝে বলা শুরু করে ঐটাতো ফালতু, সেটা কি টেক্সটের দোষ না কি পাঠকের নির্বুদ্ধিতা/অনাগ্রহ? দুটা লিঙ্ক দিলাম, ইচ্ছা থাকলে পড়ে দেখবেন, একটা সাধারণ ইউকি লিঙ্ক, আর একটা একাডেমিক থিসিস। আর যদি পড়তে ইচ্ছা না করে পইড়েন না, তা-ও দয়া করে খামখা আমাদের মনে চোট দিয়েন না। আপনারা এসব কথা বললে আল্লাহর কিছুই আসে যায় না, বা ইসলামেরও কোন ক্ষতি হয় না, কিন্তু আমরা বিপন্ন, অপমানিত বোধ করি। প্রথমতঃ এটা এমনিতেই অন্যায্য, তদুপরি যারা আর একটু কম বুদ্ধি ধরে তারা এই ক্রাইসিসের ফিলিংটাকে কাউন্টার করে আরো গোঁড়াভাবে, একগুঁয়েভাবে ধর্মের (তারা যেভাবে বোঝে) ঢুকে গিয়ে, তাদের এই বিপন্নতা ইসলামিস্টরা রিক্রুট করার জন্য ব্যবহার করে। এই আগুনে আর বাতাস দিয়েন না। সাম্প্রদায়িকতা এভাবে দূর হবে না।
        etheses (dot) bham (dot) ac (dot) uk (slash) 382
        wiki (dot) answers (dot) com (slash) q (slash) why_do_some_claim_Quran_includes_some_verses_calling_for_killing_the_infidels

      • @ মতিপাঠক November 8, 2013 at 5:53 pm

        আপনি তাদের সাপোর্ট করতে আসেননি বটে কিন্তু নিচে একটা মন্তব্যে দেখলাম আপনি বলেছেন “ধর্মের দোষ আছে বলতে আমি ইসলামি কোন ঘাটতি আছে এই কথা বলছি না।” আর কী কোন কথা বাকী থাকে? দেড় হাজার বছর ধরে পড়েও ইসলাম বোঝা যায়নি তারপরও তারা কেন ফাল দেয় তা আপনি জানেননা। আমার প্রশ্ন দেড় হাজার বছরে যদি একটি পাঠের বক্তব্য সম্পর্কে কেউ না বুঝে থাকে তাহলে আপনি কী বুঝে বললেন যে ধর্মে ঘাটতি নেই? ঘুরেফিরে সেই একই কথা! হিন্দু বলবে উহারা দুষ্ট হিন্দু, উহার বেদের মর্ম বোঝেনি। মুসলমান বলবে উহারা দুষ্ট মুসলমান, কুরানের মর্ম বোঝেনি। চলতে থাকবে এরকম। কেউ স্বীকার করবেনা আসলে দুষ্টতা কোথায়।

        “কিন্তু আমরা বিপন্ন, অপমানিত বোধ করি। প্রথমতঃ এটা এমনিতেই অন্যায্য” – মূর্তি পূজা বেঠিক বললে হিন্দুরাও “বিপন্ন, অপমানিত বোধ” করে। খৃষ্টানদের বাইবেল বিকৃত হয়ে গিয়েছে, তাই বাতিল বা আধুনিক কুরান এসেছে বলে বাইবেল বাতিল বললে তারাও “বিপন্ন, অপমানিত বোধ” করে। মুসার লোকজন অভিশপ্ত বললে তারাও “বিপন্ন, অপমানিত বোধ” করে। নাস্তিকদের ফাঁসি চাই বললে তারাও “বিপন্ন, অপমানিত বোধ” করে। কাদিয়ানীদের মসজিদে জোর করে মসজিদ নয়, উপাসনালয় বোর্ড টাঙ্গিয়ে দিলে তারাও ““বিপন্ন, অপমানিত বোধ”। এগুলো কী ন্যায্য?

        “খামখা আমাদের মনে চোট দিয়েন না।“ – উপরে উল্লেখিত চোটগুলো কাদের দেয়া?

        “যারা আর একটু কম বুদ্ধি ধরে তারা এই ক্রাইসিসের ফিলিংটাকে কাউন্টার করে আরো গোঁড়াভাবে, একগুঁয়েভাবে ধর্মের (তারা যেভাবে বোঝে) ঢুকে গিয়ে, তাদের এই বিপন্নতা ইসলামিস্টরা রিক্রুট করার জন্য ব্যবহার করে।“ – না। যাদের রিক্রুট হওয়ার, তারা উপযুক্ত হুজুর দ্বারা দীক্ষাপ্রাপ্ত হয়ে ইয়েমেন পর্যন্ত গিয়ে দেশের জন্য জিহাদি সুনাম বয়ে আনছে। বরং ধর্ম সংক্রান্ত আলোচনার ফলে যারা কনফিউসড তার চিন্তা করার তাগাদা বোধ করবে। জিহাদী সিডের ভবিষ্যত যোগান কমে আসবে।

        আপনার লিংক পড়েছি। প্রাসঙ্গিক লিংকই উল্লেখ করে দিলাম, যেহেতু আপনিও লিংকই দিয়েছিলেন – newenglishreview . org / custpage . cfm / frm / 10467 / sec_id / 10467

        আরেকখান কথা- আমার কথা, আমার। মতিকন্ঠের না।

        শেষকথা, মনে বেদনা নিয়েননা। লেখালেখি করে একজন আর একজনের কাছে মনের কথা ব্যক্ত করে। এতে যদি বেদনা নিয়ে জিহাদি হয়ে যান তাহলে আরো অনেকের সাথে সাথে আমিও কষ্ট পাব।

  12. আই উয়ান্ট ইউর পুসি ইউ ন্যাস্টেক…

  13. যে মাদারচোদ লিখছস এসব কথা তারে কি দিনের আলোতে ভূতে পোন মারতেসে নাকি।
    নাকি ২ রানের চিপায় চুলকাইতেছে।শূয়রের বাচ্চা তো নাই আমার কাছে তাই সামনে পাইলে তোরে কুত্তার বাচ্চা দিয়া চোদাইতাম।

  14. khanki magir put!!! chodanir put!!! jekhan dia aisos sekhan dia voira dimune!!!!!!!!!! kuttar baccha!!!! bangla chodon khaicos????? islam er name gujob choras na??????? togo mare chudi!!!!!! 14do gustik chudi!!!!!!!!

    • আপনিও ইসলামের ধারক-বাহক। আপনার ভাষা-ও বলে দিছছে

    • সুভানাল্লাহ! এই তো মুমিনের জজবা! পাবনায় একশানের সময় ছিলেন তো না কী যাবেন?

  15. বাংলাদেশে ইসলামের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে কেউ টিকতে পারবে না । সাঁথিয়ার হিন্ধু পল্লিতে যা হইছে আমরা সবাই তা সমর্থন ও করি না কিন্তু মতিকন্ঠের জানা উচিত ফান করার ও একটা লিমিট থাকে । মতিকন্ঠের অবস্থান জানতে চাই আপনারা কি পাকিবাদীদের বিরোধী, না কি সমস্ত মুসলিমেরই বিরোধী ? মুসলিম বিরোধী হইলে বুক ফুলাইয়া বলে ফেলেন তেমন হইলে আমাদের মত পাঠক মতিকন্ঠের দরকার হবে না কেননা আমরা কোন দিনই ধর্মের বিপক্ষে যাবো না । আর সাঁথিয়ায় যা হয়েছে তার জন্য ধর্ম না রাজনীতি দায়ী তাই অজথা বেকুবের মত ধর্ম নিয়া টানাটানি করবেন না ।

    • vai ami apnar sathe ekmot. ashole ei deshe jara dayittoprapto bekti onader chokhe aisob pore na. aitai amar dukho. ai jonnoi to pabnar emon ghotona ghote. jodi aisober bichar hoito tahole r aisob lekhar sahos petona.

    • ধর্মের দায় কিন্তু আছে। রাজনীতির ঘাড়ে সব দোষ চাপিয়ে লাভ নেই। যারা সাথিয়ায় এই ঘটনা ঘটিয়েছে তারা সবাই কি ভাড়াটে ক্যাডার? অনেকেই গেছে ধর্মের কারণে। ‘প্রতিশোধ’ নেবার জন্য। রাজনীতিবিদরা আমাদের নাচায়, কিন্তু আমরাও তো নাচি। ধর্মকে যখন কুকাজে ব্যবহার করা হয়, তখন ধর্মের গায়ে কালিমাও লেগে যায়। আমাদের দায়িত্ব যারা এই কালিমা টেনে আনল তাদের চিহ্নিত করা। তা না করতে পারলে এইভাবে বারবার অপমানিত হতে হবে। তবে মতিকন্ঠের কাছ থেকে তা আশা করা যায় না। মতিকন্ঠ কি বাইরের একজন হয়ে অপমান করবে, না কি আমাদের সমাজেরই একজন হয়ে সমালোচনা করবে? কোরানের আয়াত মানুষ ভুল ব্যাখ্যা করলে মানুষেরই সেটা দোষ। কোরান উদ্ধৃত করার দরকার ছিল না।

    • ধর্মের তরফদারি করেন অথচ এটা জানেন না যে এতদিন যেসব “পিওর বিনুদুন” নিয়ে হাসাহাসি করেছেন সেগুলো সবই ধর্মবিরুদ্ধ। কারো নাম বিকৃত করা, বানিয়ে বানিয়ে হাস্যরস করা এসবই ইসলামে নিষিদ্ধ। যদি মতিপাঠ করে বেশী পিওর বিনুদুনে আট্টহাস্য করে থাকেন তাহলে সেটাও সুন্নাহ অনুযায়ী ঠিক হয়নি। ধর্মবিরোধী মতিপাঠ বাদ দিয়ে ধর্মপাঠ শুরু করুন।

  16. এ সূরাটি পর্যালোচনা করার আগে বদরের যুদ্ধ এবং তার সাথে সম্পর্কিত অবস্থা ও ঘটনাবলীর ঐতিহাসিক বিশ্লেষণ প্রয়োজন। নবী (সা.) তাঁর দাওয়াতের প্রথম দশ-বারো বছর মক্কা মুয়াযময়ায় অবস্থান করেছিলেন। এ সময় তাঁর দাওয়াত যথেষ্ট পরিপক্বতা ও স্থিতিশীলতা অর্জন করেছিল। কারণ এর পেছনে সশরীরে উপস্থিত ছিলেন ইসলামী দাওয়াতের পতাকাবাহী উন্নত চরিত্র ও বিশাল হৃদয়বৃত্তির অধিকারী এক জ্ঞানী পুরুষ। তিনি নিজের ব্যক্তিসত্তার সমস্ত যোগ্যতা ও সামর্থ্য এ কাজে নিয়োজিত করেছিলেন। তাঁর কার্যধারা থেকে এ সত্যটি পুরোপুরি সুস্পষ্ট হয়ে উঠেছিল যে, এ আন্দোলনকে তার সাফল্যের চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছিয়ে দেবার জন্য তিনি দৃঢ়সংকল্প। এ লক্ষে উপনীত হবার জন্য পথের যাবতীয় বিপদ আপদ ও সংকট-সমস্যার মোকাবিলায় তিনি সর্বক্ষন প্রস্তুত। অন্যদিকে এ দাওয়াতের মধ্যে ছিল এমন এক অদ্ভুত ও তীব্র আকর্ষণী ক্ষমতা যে, হৃদয়-মস্তিষ্কের গভীরে তার অনুপ্রবেশ কার্য চলছিল দ্রুত ও অপ্রতিহত গতিতে। মূর্খতা ও অজ্ঞতার অন্ধকার এবং হিংসা ও সংকীর্ণ স্বার্থপ্রীতির প্রাচীন তার পথ রোধ করতে পারছিল না। এ কারণে আরবের প্রাচীন জাহেলী ব্যবস্থার সমর্থক শ্রেণী প্রথম দিকে একে হালকাভাবে এবং অবজ্ঞার চোখে দেখলেও মক্কী যুগের শেষের দিকে একে একটি গুরুতর বিপদ বলে মনে করেছিল। একে নিশ্চিহ্ন করার জন্য তারা নিজেদের পূর্ণ শক্তি নিয়োগ করতে চাচ্ছিল। কিন্তু তখনো পর্যন্ত এ দাওয়াতের মধ্যে কোন কোন দিক দিয়ে বেশ কিছুটা অভাব রয়ে গিয়েছিল। একঃ তখনো একথা পুরোপুরি প্রমাণ হয়নি যে, এমন ধরনের যথেষ্ট সংখ্যক অনুসারী এ দাওয়াতের পতাকা তলে সমবেত হয়েছে যারা শুধু তার অনুগতই নয় বরং তার নীতিকে মনেপ্রাণে ভালও বাসে তাকে বিজয়ী ও প্রতিষ্ঠিত করার সংগ্রামে নিজেদের সর্বশক্তি ও সকল উপায় উপকরণ ব্যয় করতে প্রস্তুত এবং এ জন্য নিজেদের সব কিছু কুরবানী করে দিতে, সারা দুনিয়ার সাথে লড়াই করতে এমন কি নিজেদের প্রিয়তম আত্মীয়তার বাঁধনগুলো কেটে ফেলতে ও উদগ্রীব। যদিও মক্কার ইসলামের অনুসারীরা কুরাইশদের জুলুম-নির্যাতন বরদাশত করে নিজেদের ঈমানের অবিচলতা ও নিষ্ঠা এবং ইসলামের সাথে তাদের অটুট সম্পর্কের পক্ষে বেশ বড় আকারের প্রমাণ পেশ করেছিল, তবুও একথা প্রমাণিত হওয়া তখনো বাকী ছিল যে, ইসলামী আন্দোলন এমন একদল উৎসর্গীত প্রাণ অনুসারী পেয়ে গেছে যারা নিজেদের উদ্দেশ্য ও লক্ষ্যের মোকাবিলায় অন্য কোন জিনিসকেই প্রিয়তর মনে করে না। বস্তুত একথা প্রমাণ করার জন্য তখনো অনেক পরীক্ষারও প্রয়োজন ছিল। দুইঃ এ দাওয়াতের আওয়াজ সারাদেশে ছড়িয়ে পড়লেও এর প্রভাবগুলো ছিল চারদিকে বিক্ষিপ্ত ও অসংহত। এ দাওয়াত যে জনশক্তি সংগ্রহ করেছিল তা এলোমেলো অবস্থায় সারাদেশে ছড়িয়ে ছিল। পুরাতন জাহেলী ব্যবস্থার সাথে চূড়ান্ত মোকাবিলা করার জন্য যে ধরনের সামষ্টিক শক্তির প্রয়োজন ছিল, তা সে তখনো অর্জন করেনি। তিনঃ এ দাওয়াত তখনো মাটিতে কোথাও শিকড় গাড়তে পারেনি। তখনো তা কেবল বাতাসেই উড়ে বেড়াচ্ছিল। দেশের অভ্যন্তরে এমন কোন এলাকা ছিল না যেখানে দৃঢ়পদ হয়ে নিজের ভূমিকাকে সুসংহত করে সে সামনের দিকে এগিয়ে যাবার জন্য প্রচেষ্টা চালাতে পারতো। তখনো পর্যন্ত যেখানেই যে মুসলমান ছিল, কুফর ও শিরকে নিমজ্জিত সমাজ ব্যবস্থার মধ্যে তার অবস্থান ছিল ঠিক খালি পেটে গেলা কুইনিনের মত। অর্থাৎ খালি পেটে কুইনিন গিললে পেট তাকে বমি করে উগরে দেবার জন্য সর্বক্ষণ চাপ দিতে থাকে এবং কোথাও তাকে এক দণ্ড তিষ্টাতে দেয় না। চারঃ সে সময় পর্যন্ত এ দাওয়াত বাস্তব জীবনের কার্যাবলী নিজের হাতে পরিচালনা করার সুযোগ পায়নি। তখনো সে তার নিজস্ব সভ্যতা-সংস্কৃতি প্রতিষ্ঠায় সক্ষম হয়নি। নিজস্ব অর্থনৈতিক, সামাজিক ও রাজনৈতিক ব্যবস্থা রচনাও তার পক্ষে সম্ভব হয়নি। অন্যান্য শক্তির সাথে তার যুদ্ধ ও সন্ধির কোন ঘটনাই ঘটেনি। তাই যেসব নৈতিক বিধানের ভিত্তিতে এ দাওয়াত সমগ্র দেশ ও সমাজকে প্রতিষ্ঠিত ও পরিচালিত করতে চাচ্ছিল, তার কোন প্রদর্শনীও করা যায়নি। আর এ দাওয়াতের বানী বাহক ও তার অনুসারীরা যে জিনিসের দিকে সমগ্র দুনিয়াবাসীকে আহবান জানিয়ে আসছিলেন তাকে কার্যকর করার ব্যাপারে তারা নিজেরা কতটুকু নিষ্ঠাবান, এখনো কোন পরীক্ষার মানদণ্ডে যাচাই বাছাই করার পর তার সুস্পষ্ট চেহারাও সামনে আসেনি। মক্কী যুগের শেষ তিন-চার বছরে ইয়াসরেবে ইসলামের আলো ছড়িয়ে পড়েত থাকে অপ্রতিহত গতিতে। সেখানকার লোকেরা আরবের অন্যান্য এলাকার গোত্রগুলোর তুলনায় অধিকতর সহজে ও নির্দ্বিধায় এ আলো গ্রহণ করতে থাকে। শেষে নবুয়াতের দ্বাদশ বছরে হজ্জের সময় ৭৫ জনের একটি প্রতিনিধি দল রাতের আঁধারে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সাথে সাক্ষাত করলো। তারা কেবল ইসলাম গ্রহণই করেননি বরং তাঁকে ও তাঁর অনুসারীদেরকে নিজেদের শহরে স্থান দেয়ারও আগ্রহ প্রকাশ করলেন। এটি ছিল ইসলামের ইতিহাসের একটি বৈপ্লবিক পটপরিবর্তন। মহান আল্লাহ তাঁর নিজ অনুগ্রহে এ দুর্লভ সুযোগটি দিয়েছিলেন এবং নবী (সা.) ও হাত বাড়িয়ে তা লুফে নিয়েছিলেন। ইয়াসরেববাসীরা নবী(সা.) কে শুধুমাত্র একজন শরণার্থী হিসেবে নয় বরং আল্লাহর প্রতিনিধি এবং নেতা ও শাসক হিসেবেও আহবান করেছিলেন। আর তাঁর অনুসারীদেরকে তারা একটি অপরিচিতি দেশে নিছক মুহাজির হিসেবে বসবাস করার জন্য আহবান জানাচ্ছিলেন না। বরং আরবের বিভিন্ন এলাকায় ও বিভিন্ন গোত্রের মধ্যে যেসব মুসলমান ছড়িয়ে ছিটিয়ে ছিল, তাদের সবাইকে ইয়াসরেবে জমা করে ইয়াসরেবী মুসলমানদের সাথে মিলে একটি সুসংবদ্ধ সমাজ গড়ে তোলাই ছিল এর উদ্দেশ্য। এভাবে মূলত ইয়াসরেব নিজেকে “মদীনাতুল ইসলাম” তথা ইসলামের নগর হিসেবে উপস্থাপিত করলো। নবী(সা.) তাদের আহবানে সাড়া দিয়ে সেখানে আরবের প্রথম দারুল ইসলাম গড়ে তুললেন। এ ধরনের উদ্যোগ গ্রহণের অর্থ কি হতে পারে সে সম্পর্কে মদীনাবাসীরা অনবহিত ছিল না। এর পরিষ্কার অর্থ ছিল, একটি ছোট্ট শহর সারাদেশের উদ্যত তরবারি এবং সমগ্র দেশবাসীর অর্থনৈতিক, সামাজিক, ও সাংস্কৃতিক বয়কটের মোকাবিলায় নিজেকে দাঁড় করিয়ে দিয়েছিল। কাজেই আকাবার বাইআত গ্রহণ করার সময় সেদিনের সেই রাত্রীকালীন মজলিসে ইসলামের প্রাথমিক সাহায্যকারী (আনসারগণ) এ পরিণাম সম্পর্কে পুরোপুরি জেনে বুঝেই নবী (সা.) এর হাতে নিজেদের হাত রেখেছিলেন। যখন এ বাইআত অনুষ্ঠিত হচ্ছিল ঠিক তখনই ইয়াসরেবী প্রতিনিধি দলের সর্বকনিষ্ঠ যুব সদস্য আস’আদ ইবনে যুরারাহ (রা.) উঠে বললেনঃ —————————– “থামো, হে ইয়াসরেব বাসীরা! আমরা একথা জেনে বুঝেই এঁর কাছে এসেছি যে, ইনি আল্লাহর রসূল এবং আজ এখান থেকে বের করে নিয়ে যাওয়া মানে হচ্ছে সমগ্র আরববাসীর শত্রুতার ঝুঁকি নেয়া। এর ফলে তোমাদের শিশু সন্তানদেরকে হত্যার করা হবে এবং তোমাদের ওপর তরবারি বর্ষিত হবে। কাজেই যদি তোমাদের এ আঘাত সহ্য করার ক্ষমতা থাকে তাহলে এঁর দায়িত্ব গ্রহণ করো। আল্লাহ এর প্রতিদান দেবেন। আর যদি তোমরা নিজেদের প্রাণকে প্রিয়তর মনে করে থাকো তাহলে দায়িত্ব ছেড়ে দাও এবং পরিষ্কার ভাষায় নিজেদের অক্ষমতা জানিয়ে দাও। কারণ এ সময় অক্ষমতা প্রকাশ করা আল্লাহর কাছে বেশী গ্রহণযোগ্য হতে পারে”। প্রতিনিধি দলের আর একজন সদস্য আব্বাস ইবনে উবাদাহ ইবনে নাদলাহ (রা.) একথারই পুনরাবৃত্তি করেন এভাবেঃ ——————————- “তোমরা কি জানো, এ ব্যক্তির হাতে কিসের বাইআত করছো? (ধ্বনিঃ হাঁ আমরা জানি) তোমরা এঁর হাতে বাইআত করে সারা দুনিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার ঝুঁকি নিচ্ছো।কাজেই যদি তোমরা মনে করে থাকো, যখন তোমাদের ধন-সম্পদ ধ্বংসের মুখোমুখি হবে এবং তোমাদের নেতৃস্থানীয় লোকদের নিহত হবার আশংকা দেখা দেবে তখন তোমরা এঁকে শত্রুদের হাতে সোপর্দ করে দেবে, তাহলে আজই বরং এঁকে ত্যাগ করাই ভাল। কারণ আল্লাহর কসম, এটা দুনিয়ায় ও আখেরাতের সবখানেই লাঞ্চনার কারণ হবে। আর যদি তোমরা মনে করে থাকো, এ ব্যক্তিকে তোমরা যে, আহবান জানাচ্ছো, নিজেদের ধন-সম্পদ ধ্বংস ও নেতৃস্থানীয় লোকেদের জীবন নাশ সত্ত্বেও তোমরা তা পালন করতে প্রস্তুত থাকবে, তাহলে অবশ্যি তাঁর হাতে আঁকড়ে ধরো। কারণ আল্লাহর কসম, এরই মধ্যে রয়েছে দুনিয়া ও আখেরাতের কল্যাণ”। একথায় প্রতিনিধি দলের সবাই এক বাক্যে বলে উঠলেনঃ ————————————- “আমরা এঁকে গ্রহণ করে আমাদের ধন-সম্পদ ধ্বংস করতে ও নেতৃস্থানীয় লোকদের নিহত হবার ঝুঁকি নিতে প্রস্তুত”। এ ঘটনার পর সেই ঐতিহাসিক বাইআত অনুষ্ঠিত হয়। ইতিহাসে একে আকাবার দ্বিতীয় বাইআত বলা হয়। অন্যদিকে মক্কাবাসীদের কাছেও এ ঘটনাটির তাৎপর্য ছিল সুবিদিত। ইতিপূর্বে কুরাইশরা মুহাম্মাদ (সা.) এর বিপুল প্রভাবশালী ব্যক্তিত্ব ও অসাধারণ যোগ্যতার সাথে পরিচিত হয়েছিল এবং এখন সেই মুহাম্মাদই (সা.) যে, একটি আবাস লাভ করতে যাচ্ছিলেন তা তারা বেশ অনুধাবন করতে পারছিল। তাঁর নেতৃত্বে ইসলামের অনুসারীরা যে একটি সুসংগঠিত দলের আকারে অচিরেই গড়ে উঠবে এবং সমবেত হবে একথাও তারা বুঝতে পারছিল। আর ইসলামের এ অনুসারীরা সংকল্পে কত দৃঢ়, নিষ্ঠা ও আত্মত্যাগে কত অবিচল, এতদিনে সেটা তাদের কাছে অনেকটা পরীক্ষিত হয়ে গিয়েছিল। এহেন সত্যাভিসারী কাফেলার এ নব উত্থান পুরাতন ব্যবস্থার জন্য মৃত্যুর ঘন্টা স্বরূপ। তাছাড়া মদীনার মত জায়গায় এই মুসলিম শক্তির একত্র সমাবেশ কুরাইশদের জন্য আরো নতুন বিপদের সংকেত দিচ্ছিল। কারণ লোহিত সাগরের কিনারা ধরে ইয়ামন থেকে সিরিয়ার দিকে যে বাণিজ্য পথটি চলে গিয়েছিল তার সংরক্ষিত ও নিরাপদ থাকার ওপর কুরাইশ ও অন্যান্য বড় বড় গোত্রের অর্থনৈতিক জীবন নির্ভরশীল ছিল। আর এটি এখন মুসলমানদের প্রভাবাধীনে চলে যাওয়া প্রায় নিশ্চিত। এ প্রধান বাণিজ্য পথটি দখল করে মুসলমানরা জাহেলী ব্যবস্থার জীবন ধারণ দুর্বিষহ করে তূলতে পারতো। এ প্রধান বাণিজ্য পথের ভিত্তিতে শুধু মাত্র মক্কাবাসীদের যে ব্যবসায় চলতো তার পরিমাণ ছিল বছরে আড়াই লাখ আশরাফী। তায়েফ ও অন্যান্য স্থানের ব্যবসায় ছিল এর বাইরে। কুরাইশরা এ পরিণতির কথা ভালভাবেই জানতো। যে রাতে আকাবার বাইআত অনুষ্ঠিত হলো সে রাতেই এ ঘটনার উড়ো খবর মক্কাবাসীদের কানে পৌঁছে গেলো। আর সাথে সাথেই সেখানে হৈ চৈ শুরু হয় গেলো। প্রথমে তারা চেষ্টা করলো মদীনাবাসীদেরকে নবী (সা.) এর দল থেকে ভাগিয়ে নিতে। তারপর যখন মুসলমানরা একজন দুজন করে মদিনায় হিজরত করতে থাকলো এবং কুরাইশদের দৃঢ় বিশ্বাস জন্মে গেলো যে, এখন মুহাম্মাদ (সা.) সেখানে স্থানান্তরিত হয়ে যাবেন তখন তারা এ বিপদকে ঠেকিয়ে রাখার জন্য সর্বশেষ উপায় অবলম্বনে এগিয়ে এলো। রসূলের (সা.) হিজরতের মাত্র কয়েক দিন আগে কুরাইশদের পরামর্শ সভা বসলো। অনেক আলোচনা পর্যালোচনার পর সেখানে স্থির হলো, বনী হাশেম ছাড়া কুরাইশদের প্রত্যেক গোত্র থেকে একজন করে লোক বাচাই করা হবে এবং এরা সবাই মিলে মুহাম্মাদ (সা., কে হত্যা করবে। এর ফলে বনী হাশেমের জন্য এ সমস্ত গোত্রের সাথে একাকী লড়াই করা কঠিন হবে। কাজেই এ ক্ষেত্রে তারা প্রতিশোধের পরিবর্তে রক্ত মূল্য গ্রহণ করতে বাধ্য হবে। কিন্তু আল্লাহর মেহেরবানী এবং নবী (সা.) এর আল্লাহর ওপর নির্ভরতা ও উন্নত কৌশল অবলম্বনের কারণে তাদের সব চক্রান্ত ব্যর্থ হয়ে গেলো। ফলে রসূলুল্লাহ (সা., নির্বিঘ্নে মদীনায় পৌঁছে গেলেন। এভাবে হিজরত প্রতিরোধ ব্যর্থ হয়ে কুরাইশরা মদীনার সরদার আবদুল্লাহ ইবনে উবাই কে (যাকে হিজরতের আগে মদীনাবাসীরা নিজেদের বাদশাহ বানাবার প্রস্তুতি নিয়েছিল এবং রসূলের মদীনায় পৌঁছে যাবার এবং আওস ও খাযরাজদের অধিকাংশের ইসলাম গ্রহণের ফলে যার বাড়া ভাতে ছাই পড়ে গিয়েছিল) পত্র লিখলোঃ তোমরা আমাদের লোককে তোমাদের ওখানে আশ্রয় দিয়েছো। আমরা এ মর্মে আল্লাহর কসম খেয়েছি, হয় তোমরা তার সাথে লড়বে বা তাকে সেখান থেকে বের করে দেবে। অন্যথায় আমরা সবাই মিলে তোমাদের ওপর আক্রমণ করবো এবং তোমাদের পুরুষদেরকে হত্যা ও মেয়েদেরকে বাদী বানাবো। কুরাইশদের এ উস্কানির মুখে আবুদুল্লাহ ইবনে উবাই কিছু দুষ্কর্ম করার চক্রান্ত এঁটেছিল। কিন্তু সময় মত নবী (সা.) তার দুষ্কর্ম রুখে দিলেন। তারপর মদীনার প্রধান সাদ ইবনে মুআয উমরাহ করার জন্য মক্কা গেলেন। সেখানে হারম শরীফের দরজার ওপর আবু জেহেল তার সমালোচনা করে বললোঃ ——————————- “তোমরা আমাদের ধর্মত্যাগীদের আশ্রয় দেবে এবং তাদেরকে সাহায্য-সহযোগীতা দান করবে আর আমরা তোমাদেরকে অবাধে মক্কায় তাওয়াফ করতে দেবো ভেবেছ? যদি তুমি আবু সফওয়ান তথা উমাইয়া ইবনে খলফের মেহমান না হতে তাহলে তোমাকে এখান থেকে প্রাণ নিয়ে দেশে ফিরে যেতে দিতাম না”। সাদ জবাবে বললেনঃ ————————————– “আল্লাহর কসম, যদি তুমি আমাকে এ কাজে বাধা দাও তাহলে আমি তোমাকে এমন জিনিস থেকে রুখে দেবো, যা তোমার জন্য এর চাইতে অনেক বেশী মারাত্মক। অর্থাৎ মদীনা দিয়ে তোমাদের যাতায়াতের পথ বন্ধ করে দেবো”। অর্থাৎ এভাবে মক্কাবাসীদের পক্ষ থেকে যেন একথা ঘোষণা করে দেয়া হলো যে, বায়তুল্লাহ যিয়ারত করার পথ মুসলমানদের জন্য বন্ধ। আর এর জবাবে মদীনাবাসীদের পক্ষ থেকে বলা হলো, সিরিয়ার সাথে বাণিজ্য করার পথ ইসলাম বিরোধীদের জন্য বিপদসংকুল। আসলে সে সময় মুসলমানদের জন্য উল্লেখিত বাণিজ্য পথের ওপর নিজেদের কর্তৃত্ব মজবুত করা ছাড়া দ্বিতীয় কোন উপায় ছিল না। কারণ এ পথের সাথে কুরাইশ ও অন্যান্য গোত্রগুলোর স্বার্থ বিজড়িত ছিল। ফলে এর ওপর মুসলমানদের কৃতিত্ব বেশী মজবুত হলে তারা ইসলাম ও মুসলমানদের ব্যাপারে নিজেদের শত্রুতামূলক নীতি পুনর্বিবেচনা করতে বাধ্য হতে পারে বলে আশা করা যায়। কাজেই মদীনায় পৌছার সাথে সাথেই নবী (সা.) সদ্যজাত ইসলামী সমাজে প্রাথমিক নিয়ম-শৃঙ্খলা বিধান ও মদীনার ইহুদী অধিবাসীদের সাথে চুক্তি সম্পাদন করার পর সর্বপ্রথম এ বাণিজ্য পথটির প্রতি নজর দিলেন। এ ব্যাপারে তিনি দুটি গুরুত্বপূর্ণ ব্যবস্থা অবলম্বন করলেন। প্রথমত মদীনা ও লোহিত সাগরের উপকূলের মধ্যবর্তীস্থলে এ বাণিজ্য পথের আশেপাশে যেসব গোত্রের বসতি ছিল তাদের সাথে তিনি আলাপ-আলোচনা শুরু করে দিলেন। এভাবে তাদেরকে সহযোগিতামূলক মৈত্রী অথবা কমপক্ষে নিরপেক্ষতার চুক্তিতে আবদ্ধ করা ছিল মূল উদ্দেশ্য। এ ক্ষেত্রে তিনি পূর্ণ সফলতা লাভ করলেন। সর্বপ্রথম নিরপেক্ষতার চুক্তি অনুষ্ঠিত হলো সাগর তীরবর্তী পার্বত্য এলাকার জুহাইনা গোত্রের সাথে। এ গোত্রটির ভূমিকা এ এলাকায় ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তারপর প্রথম হিজরীর শেষের দিকে চুক্তি অনুষ্ঠিত হলে বনী যামরার সাথে। এ গোত্রটির অবস্থান ছিল ইয়াম্বু ও যুল আশীরার সন্নিহিত স্থানে এটি ছিল প্রতিরক্ষামূলক সহযোগিতার চুক্তি। দ্বিতীয় হিজরীর মাঝামাঝি সময়ে বনী মুদলিজও এ চুক্তিতে শামিল হলো। কারণ এ গোত্রটি ছিল বনী যামরার প্রতিবেশী ও বন্ধু গোত্র। এ ছাড়াও ইসলাম প্রচারের ফলে এ গোত্রগুলোতে ইসলামের সমর্থক ও অনুসারীদের একটি বিরাট গোষ্ঠী সৃষ্টি হয়ে গিয়েছিল। দ্বিতীয়ত কুরাইশদের সওদাগরী কাফেলাগুলোকে ভীত-সন্ত্রস্ত করে তোলার জন্য বাণিজ্য পথের ওপর একের পর এক ছোট ছোট ঝটিকা বাহিনী পাঠাতে থাকলেন। কোন কোন ঝাটিকা বাহিনীর সাথে তিনি নিজেও গেলেন। প্রথম বছর এ ধরনের ৪ টি বাহিনী পাঠানো হলো। মাগাযী (যুদ্ধ ইতিহাস) গ্রন্থগুলো এগুলোকে সারীয় হামযা, সারীয়া, উবাইদা ইবনে হারেস, সারীয়া সাদ ইবনে আবী ওয়াক্কাস ও গাযওয়াতুল আবওয়া নামে অভিহিত করা হয়েছে। ১ দ্বিতীয় বছরের প্রথম দিকের মাসগুলোর একই দিকে আরো দুটি আক্রমণ চালানো হলো। মাগাযী গ্রন্থগুলোয় এ দুটিকে গাযওয়া বুওয়াত ও গাযওয়া যুল আশারী নামে উল্লেখ করা হয়েছে। এ সমস্ত অভিযানের দুটি বৈশিষ্ট্য উল্লেখযোগ্য। এক, এ অভিযানগুলোয় কোন রক্তপাতের ঘটনা ঘটেনি এবং কোন কাফেলা লুণ্ঠিতও হয়নি। এ থেকে একথা পরিষ্কার হয়ে যায় যে, এর মাধ্যমে কুরাইশদেরকে বাতাসের গতি কোন দিকে তা জানিয়ে দেয়াই ছিল আসল উদ্দেশ্য। দুই, এর মধ্য থেকে কোন একটি বাহিনীতেও নবী (সা.) মদীনার একটি লোককেও শামিল করেননি। মক্কা থেকে আগত মুহাজিরদেরকেই তিনি এসব বাহিনীর অন্তর্ভুক্ত করেন। কারণ এর ফলে যদি সংঘর্ষ বাধে তাহলে তা যেন এর সাথে চড়িয়ে পড়ে এ আগুনকে চারদিকে ছাড়িয়ে না দেয়। ওদিকে মক্কাবাসীরাও মদীনার দিকে লুটেরা বাহিনী পাঠাতে থাকে। তাদেরই একটি বাহিনী কুরয ইবনে জাবের আল ফিহরীর নেতৃত্বে একেবারে মদীনার কাছাকাছি এলাকায় হামলা চালিয়ে মদীনাবাসীদের গৃহপালিত পশু লুট করে নিয়ে যায়। এ ব্যাপারে কুরাইশরা এ সংঘর্ষের মধ্যে অন্যান্য গোত্রদেরকেও জড়িয়ে ফেলার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিল। তাছাড়া তারা কেবল ভয় দেখিয়েই ক্ষান্ত হচ্ছিল না, লুটতরাজও শুরু করে দিয়েছিল। এ অবস্থায় ২য় হিজরীর শাবান মাসে (৬২৩ খৃষ্টাব্দের ফেব্রুয়ারি বা মার্চ মাস) কুরাইশদের একটি বিরাট বাণিজ্য কাফেলা সিরিয়া থেকে মক্কার পথে অগ্রসর হয়ে এমন এক জায়গায় পৌঁছে গিয়েছিল যে জায়গাটি ছিল মদীনাবাসীদের আওতার মধ্য। এ কাফেলার সাথে ছিল প্রায় ৫০ হাজার আশরাফীর সামগ্রী। তাদের সাথে তিরিশ চল্লিশ জনের বেশী রক্ষী ছিল না। যেহেতু পণ্যসামগ্রী ছিল বেশী এবং রক্ষীর সংখ্যা ছিল কম আর আগের অবস্থার কারণে মুসলমানদের কোন শক্তিশালী দলের তাদের ওপর অতর্কিত আক্রমণ করার আশংকা ছিল অত্যন্ত প্রবল, তাই কাফেলা সরদার আবু সুফিয়ান এ বিপদসংকুল স্থানে পৌঁছেই সাহায্য আনার জন্য কোন এক ব্যক্তিকে মক্কা অভিমুখে পাঠিয়ে দিল। লোকটি মক্কায় পৌঁছেই প্রাচীন প্রথা অনুযায়ী নিজের উটের কান কেটে ফেললো, তার নাক চিরে দিল, উটের পিঠের আসন উল্টে দিলে এবং নিজের জামা সামনের দিকে ও পিছনের দিকে ছিড়ে ফেলে এই বলে চিৎকার করতে থাকলোঃ ——————————- ১.ইসলামের ইতিহাসের পরিভাষায় সীরিয়া বলা হয় এমন ধরনের ছোটখাট বাহিনীকে যাকে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কোন সাহাবীর নেতৃত্বে পাঠিয়েছিলেন, আর যে বাহিনীতে তিনি নিজে গিয়েছিলেন তাকে বলা হয় গাযওয়া। “হে কুরাইশরা! তোমাদের বাণিজ্য কাফেলার খবর শোনো। আবু সুফিয়ানের সাথে তোমাদের যে সম্পদ আছে, মুহাম্মাদ তার সঙ্গীসাথীদের নিয়ে তার পেছনে ধাওয়া করেছে। তোমাদের তা পাবার আশা নেই। সাহায্যের জন্য দৌড়ে চলো! সাহায্যের জন্য দৌড়ে চলো”।! এ ঘোষণা শুনে সারা মক্কার বিরাট আলোড়ন সৃষ্টি হয়ে গেলো। কুরাইশদের বড় বড় সরদাররাই সবাই যুদ্ধের জন্য তৈরী হলো। প্রায় এক হাজার যোদ্ধা রণসাজে সজ্জিত হয়ে পূর্ণ আড়ম্বর ও জাঁক-জমকের সাথে যুদ্ধ ক্ষেত্রে রওয়ানা হলো। তাদের মধ্যে ছিল ৬শ বর্মধারী এবং একশ জন অশ্বারোহী। নিজেদের কাফেলাকে শুধু নিরাপদে মক্কায় ফিরিয়ে নিয়ে আসাই তাদের কাজ ছিল না বরং এই সংগে তারা নিত্য দিনের এ আশংকা ও আতংক বোধকে চিরতরে খতম করে দিতে চাচ্ছিল। মদীনায় এ বিরোধী শক্তির নতুন সংযোজনকে তারা গুড়িয়ে দিতে এবং এর আশপাশের গোত্রগুলোকে এর দূর সন্ত্রস্ত করে তুলতে চাচ্ছিল যার ফলে ভবিষ্যতে এ বাণিজ্য পথটি তাদের জন্য সম্পূর্ণ নিরাপদ হয়ে যায়। নবী (সা.) চলমান ঘটনাবলীর প্রতি সবসময় সজাগ দৃষ্টি রাখতেন। তিনি উদ্ভূত পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটই অনুভব করলেন যেন চূড়ান্ত মীমাংসার সময় এসে গেছে। তিনি ভাবলেন এ সময় যদি একটি সাহসী পদক্ষেপ গ্রহণ না করা হয় তাহলে ইসলামী আন্দোলন চিরকালের জন্য নিষ্প্রাণ হয়ে পড়বে। বরং এরপর এ আন্দোলনের জন্য হয়ত আবার মাথা উঁচু করে দাঁড়াবার আর কোন সুযোগই থাকবে না। মক্কা থেকে হিজরত করে এ নতুন শহরে আসার পর এখনো দু’টি বছরও পার হয়ে যায়নি। মুহাজিররা বিত্ত ও সরঞ্জামহীন, আনসাররা অনভিজ্ঞ, ইহুদী গোত্রগুলো বিরুদ্ধবাদিতায় মুখর খোদ মদীনাতেই মুনাফিক ও মুশরিকদের একটি বিরাট গোষ্ঠী উপস্থিত এবং চারপাশের সমস্ত গোত্র কুরাইশদের ভয়ে ভীত। আর সেই সঙ্গে ধর্মীয় দিক দিয়েও তাদের প্রতি সহানুভূতিশীল। এ অবস্থায় যদি কুরাইশরা মদীনা আক্রমণ করে, তাহলে মুসলমানদের এ ক্ষুদ্র দলটি নিশ্চিহ্ন হয়ে যেতে পারে। কিন্তু যদি তারা মদীনা আক্রমণ না করে শুধুমাত্র নিজেদের শক্তি প্রয়োগ করে বাণিজ্য কাফেলাকে উদ্ধার করে নিয়ে যায় এবং মুসলমানরা দমে গিয়ে ঘরের কোনে-হাত পা গুটিয়ে বসে থাকে, তাহলেও সহসাই মুসলমানদের প্রতিপত্তি এমনভাবে আহত হবে এবং তাদের প্রভাব এত বেশী ক্ষুন্ন হবে, যার ফলে আরবের প্রতিটি শিশুও তাদের বিরুদ্ধে দুঃসাহসী হয়ে উঠবে। সারা দেশে তাদের কোন আশ্রয়স্থল থাকবে না। তখন চারপাশের সমস্ত গোত্র কুরাইশদের ইঙ্গিতে কাজ করতে থাকবে। মদীনার ইহুদী, মুনাফিক ও মুশরিকরা প্রকাশ্যে মাথাচাড়া দিয়ে উঠবে। মদীনায় জীবন ধারণ করাও সে সময় দুঃসাধ্য হয় পড়বে। মুসলমানদের কোন প্রভাব-প্রতিপত্তি থাকবে না। ফলে তাদের ধন-প্রাণ-ইজ্জত-আব্রুর উপর আক্রমণ চালাতে কেউ ইতস্তত করবেনা। এ কারণে নবী (সা.) দৃঢ় সংকল্প নিলেন যে, বর্তমানে যতটুকু শক্তি-সামর্থ্য আমাদের আছে তাই নিয়েই আমরা বের হয়ে পড়বো। দুনিয়ার বুকে বেঁচে থাকার ও টিকে থাকার ক্ষমতা কার আছে এবং কার নেই ময়দানেই তার ফায়সালা হয়ে যাবে। এ চূড়ান্ত পদক্ষেপ নেবার সংকল্প করেই তিনি আনসার ও মোহাজিরদের একত্র করলেন। তাদের সামনে পরিস্থিতি পরিষ্কার তুলে ধরলেন। একদিকে উত্তরে বাণিজ্য কাফেলা এবং অন্যদিকে দক্ষিণে এগিয়ে আসছে কুরাইশদের সেনাদল। আল্লাহর ওয়াদা, এ দু’টির মধ্য থেকে কোন একটি তোমরা পেয়ে যাবে। তিনি জিজ্ঞেস করলেনঃ বলো, এর মধ্য থেকে কার মোকাবিলায় তোমরা এগিয়ে যেতে চাও? জবাবে বিপুল সংখ্যক সাহাবী মত প্রকাশ করলেন, কাফেলার ওপর আক্রমণ চালানো হোক। কিন্তু নবী (সা.) এর সামনে ছিল অন্য কিছু অভিপ্রায়। তাই তিনি নিজের প্রশ্নের পুনরাবৃত্তি করলেন। একথায় মোহাজিরদের মধ্য থেকে মিকদাদ ইবনে আমর (রা.) উঠে বললেনঃ ——————————- “হে আল্লাহর রসূল! আপনার রব আপনাকে যেদিকে যাবার হুকুম দিচ্ছেন সেদিকে চলুন। আপনি যেদিকে যাবেন আমরা আপনার সাথে আছি। আমরা বনী ইসরাঈলের মত একথা বলবো নাঃ যাও, তুমি ও তোমার আল্লাহ দু’জনে লড়াই করো, আমরা তো এখানেই বসে রইলাম। বরং আমরা বলছিঃ চলুন আপনি ও আপনার আল্লাহ দু’জনে লড়ুন আর আমরাও আপনাদের সাথে জানপ্রাণ দিয়ে লড়াই করবো। যতক্ষণ আমাদের একটি চোখের তারাও নড়াচড়া করতে থাকবে ততক্ষণ পর্যন্ত।” কিন্তু আনসারদের মতামত না জেনে লড়াইয়ের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা সম্ভবপর ছিল না। কারণ এ পর্যন্ত যেসব সামরিক পদক্ষেপ নেয়া হয়েছিল তাতে তাদের সাহায্য গ্রহণ করা হয়নি এবং প্রথম দিন তারা ইসলামকে সমর্থন করার যে শপথ নিয়েছিল তাকে কার্যকর করতে তারা কতটুকু প্রস্তুত তা পরীক্ষা করার এটি ছিল প্রথম সুযোগ। সুতরাং রসূলুল্লাহ (সা.) সরাসরি তাদেরকে সম্বোধন না করে নিজের কথার পুনরাবৃত্তি করলেন। একথায় সা’দ ইবনে মু’আয উঠে বললেন, সম্ভবত আপনি আমাদের সম্বোধন করে বলছেন? জবাব দিলেনঃ হাঁ। একথা শুনে সা’দ বললেনঃ —————————- “আমরা আপনার ওপর ঈমান এনেছি। আপনি যা কিছু এনেছেন তাকে সত্য বলে ঘোষণা করেছি। আপনার কথা শুনার ও আপনার আনুগত্য করার দৃঢ় শপথ নিয়েছি। কাজেই হে আল্লাহর রসূল! আপনি যা সংকল্প করেছেন তা করে ফেলুন। সেই সত্তার কসম! যিনি আপনাকে সত্য সহকারে পাঠিয়েছেন, আপনি যদি আমাদের নিয়ে সমুদ্রে ঝাঁপ দেন তাহলে আমরাও আপনার সাথে সমুদ্রে ঝাঁপিয়ে পড়বো। আমাদের একজনও পিছনে পড়ে থাকবে না। আপনি কালই আমাদের দুশমনের সাথে যুদ্ধ শুরু করুন। এটা আমাদের কাছে মোটেই অপছন্দনীয় নয়। আমরা যুদ্ধে অবিচল ও দৃঢ়পদ থাকবো। মোকাবিলায় আমরা সত্যিকার প্রাণ উৎসর্গীতার প্রমাণ দেবো। সম্ভবত আল্লাহ আমাদের থেকে আপনাকে এমন কিছু কৃতিত্ব দেখিয়ে দেবেন, যাতে আপনার চোখ শীতল হবে। কাজেই আল্লাহর বরকতের ভরসায় আপনি আমাদের নিয়ে চলুন।” এ আলোচনা ও বক্তৃতার পরে সিদ্ধান্ত হলো, বাণিজ্য কাফেলার পরিবর্তে কুরাইশ সেনা দলের মোকাবিলা করার জন্য এগিয়ে যাওয়া উচিত। কিন্তু এটা কোন যেনতেন সিদ্ধান্ত ছিল না। এ সংক্ষিপ্ত সময়ে যারা যুদ্ধ করতে এগিয়ে এলেন, তাদের সংখ্যা ছিল তিনশ’র কিছু বেশী (৮৬ জন মোহাজির, ৬১ আওস গোত্রের এবং ১৭০ জন খাযরাজ গোত্রের, । এদের মধ্যে মাত্র দু’তিন জনের কাছে ঘোড়া ছিল। আর বাকি লোকদের জন্য ৭০ টির বেশী উট ছিল না। এগুলোর পিঠে তারা তিন চারজন করে পালাক্রমে সওয়ার হচ্ছিলেন। যুদ্ধাস্ত্রও ছিল একেবারেই অপ্রতুল। মাত্র ৬০ জনের কাছে বর্ম ছিল। এ কারণে গুটিকয় উৎসর্গীত প্রাণ মুজাহিদ ছাড়া এ ভয়ংকর অভিযানে শরীক অধিকাংশ মুজাহিদই হৃদয়ে উৎকণ্ঠা অনুভব করছিলেন। তারা মনে করছিলেন, যেন তারা জেনে বুঝে মৃত্যুর মুখে এগিয়ে যাচ্ছেন। কিছু সুবিধাবাদী ধরনের লোক ইসলামের পরিসরে প্রবেশ করলেও তারা এমন ইসলামের প্রবক্তা ছিল না যাতে ধন-প্রাণের সংশয় দেখা দেয়। তারা এ অভিযানকে নিছক পাগলামী বলে অভিহিত করছিল। তারা মনে করছিল, ধর্মীয় আবেগ-উচ্ছ্বাস এ লোকগুলোকে পাগলে পরিণত করেছে। কিন্তু নবী ও সাচ্চা-সত্যনিষ্ঠা মুমিনগণ একথা অনুধাবন করতে পেরেছিলেন যে, এটিই প্রাণ উৎসর্গ করার সময়। তাই আল্লাহর ওপর ভরসা করে তাঁরা বের হয়ে পড়েছিলেন। তারা সোজা দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে এগিয়ে গেলেন। এ পথেই কুরাইশদের বাহিনী মক্কা থেকে ধেয়ে আসছিল। অথচ শুরুতে যদি বাণিজ্য কাফেলা লুট করার ইচ্ছা থাকতো, তাহলে উত্তর পশ্চিমের পথে এগিয়ে যাওয়া হতো। ১ রমযান মাসের ১৭ তারিখে বদর নামক স্থানে উভয় পক্ষের মোকাবিলা হলো। নবী (সা.) দেখলেন, তিনজন কাফেরের মোকাবিলায় একজন মুসলমান দাঁড়িয়েছে এবং তাও আবার তারা পুরোপুরি অস্ত্র সজ্জিত নয়। এ অবস্থা দেখে তিনি আল্লাহর সামনে দোয়া করার জন্য দু হাত বাড়িয়ে দিলেন। অত্যন্ত কাতর কণ্ঠে ও কান্না বিজড়িত স্বরে তিনি দোয়া করতে থাকলেনঃ ————————————— ১) উল্লেখ্য, বদরের যুদ্ধের ব্যাপারে ইতিহাস ও সীরাত লেখকরা যুদ্ধ কাহিনী সংক্রান্ত হাদীস ও ইতিহাস গ্রন্থগুলোয় উদ্ধৃত বর্ণনাসমূহের ওপর নির্ভর করেছেন। কিন্তু এই বর্ণনাগুলোর বিরাট অংশ কুরআন বিরোধী ও অনির্ভরযোগ্য। শুধুমাত্র ঈমানের কারণেই আমরা বদর যুদ্ধ সংক্রান্ত কুরআনী বর্ণনাকে সবচেয়ে বেশী নির্ভরযোগ্য বলে মনে করতে বাধ্য হইনা বরং ঐতিহাসিক দিকে দিয়েও যদি আজ এ যুদ্ধ সংক্রান্ত সবচাইতে নির্ভরযোগ্য কোন বর্ণনা থেকে থাকে, তাহলে তা হচ্ছে এ সূরা আনফাল। কারণ যুদ্ধের অব্যবহিত পরেই এটি নাযিল হয়েছিল। যুদ্ধে যারা শরীক ছিলেন এবং যুদ্ধের স্বপক্ষের বিপক্ষের সবাই এটি শুনেছিলেন ও পড়েছিলেন। ‘নাউযুবিল্লাহ’ এর মধ্যে কোন একটি কথাও যদি সত্য ও বাস্তব ঘটনা বিরোধী হতো, তাহলে হাজার হাজার লোক এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতো। “হে আল্লাহ! এই কুরাইশরা এসেছে, তাদের সকল ঔদ্ধত্য ও দাম্ভিকতা নিয়ে তোমার রসূলকে মিথ্যা প্রমাণ করতে। হে আল্লাহ! এখন তোমার সেই সাহায্য এসে যাওয়া দরকার, যার ওয়াদা তুমি করেছিলে আমার সাথে। হে আল্লাহ! যদি আজ এ মুষ্টিমেয় দলটি ধ্বংস হয়ে যায়, তাহলে এ পৃথিবীতে আর কোথাও তোমার ইবাদত করার মত কেউ থাকবে না।” এ যুদ্ধের ময়দানে মক্কার মোহাজিরদের পরীক্ষা ছিল সবচেয়ে কঠিন। তাদের আপন ভাই-চাচা ইত্যাদি তাদের বিরুদ্ধে ময়দানে সারিবদ্ধ হয়ে দাঁড়িয়েছিল। কারোর বাপ, কারোর ছেলে, কারোর চাচা, কারোর মামা, কারোর ভাই দাঁড়িয়েছিল তার প্রতিপক্ষে। এ যুদ্ধে নিজের কলিজার টুকরার ওপর তরবারী চালাতে হচ্ছিল তাদের। এ ধরনের কঠিন পরীক্ষায় একমাত্র তারাই উত্তীর্ণ হতে পারে, যারা পরিপূর্ণ নিষ্ঠা ও আন্তরিকতা সহকারে হক ও সত্যের সাথে সম্পর্ক জুড়েছ এবং মিথ্যা ও বাতিলের সাথে সকল প্রকার সম্পর্ক ছিন্ন করতে পুরোপুরি উদ্যোগী হয়েছে। ওদিকে আনসারদের পরীক্ষাও কিছু কম ছিল না। এতদিন তারা মুসলমানদেরকে শুধুমাত্র আশ্রয় দিয়ে কুরাইশ ও তাদের সহযোগী গোত্রগুলোর শত্রুতার ঝুঁকি নিয়েছিল। কিন্তু এবার তো তারা ইসলামের সমর্থনে তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে যাচ্ছিল। এর মানে ছিল, কয়েক হাজার লোকের একটি জনবসতি সমগ্র আরব দেশের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে প্রস্তুত হয়ে গেছে। এ ধরনের দুঃসাহস একমাত্র তারাই করতে পারে, যারা সত্য আদর্শের ওপর ঈমান এনে তার জন্য নিজের ব্যক্তিগত স্বার্থকে পুরোপুরি জলাঞ্জলি দিতে প্রস্তুত হতে পারে। অবশেষে তাদের অবিচল ঈমান ও সত্যনিষ্ঠা আল্লাহর সাহায্যের পুরষ্কার লাভে সফল হয়ে গেলো। আর নিজেদের সমস্ত অহংকার ও শক্তির অহমিকা সত্ত্বেও কুরাইশরা এ সহায়-সম্বলহীন, জানবাজ সৈনিকদের হাতে পরাজিত হয়ে গেলো। তাদের ৭০ জন নিহত হলো, ৭০ জন বন্দী হলো এবং তাদের সাজ-সরঞ্জামগুলো গনীমতের সামগ্রী হিসেবে মুসলমানদের দখলে এলো। কুরাইশদের যেসব বড় বড় সরদার তাদের মজলিস গুলজার করে বেড়াতো এবং ইসলাম বিরোধী আন্দোলনে যারা সর্বক্ষণ তৎপর থাকতো, তারা এ যুদ্ধে নিহত হলো। এ চূড়ান্ত বিজয় আরবে ইসলামকে একটি উল্লেখযোগ্য শক্তিতে পরিণত করলো। একজন পাশ্চাত্য গবেষক লিখেছেন, “বদর যুদ্ধের আগে ইসলাম ছিল শুধুমাত্র একটি ধর্ম ও রাষ্ট্র। কিন্তু বদর যুদ্ধের পরে তা রাষ্ট্রীয় ধর্মে বরং নিজেই রাষ্ট্রে পরিণত হয়ে গেলো।” আলোচ্য বিষয় কুরআনের এ সূরাটিতে এ ঐতিহাসিক যুদ্ধের ঘটনাবলী পর্যালোচনা করা হয়েছে। কিন্তু দুনিয়ার রাজা-বাদশাহরা যুদ্ধ জয়ের পর যেভাবে নিজেদের সেনাবাহিনীর পর্যালোচনা করে থাকেন, এ পর্যালোচনার ধারাটি তা থেকে সম্পূর্ণ ভিন্নতর। মুসলমানরা যাতে তাদের নৈতিক ত্রুটিগুলো দূর করার জন্য প্রচেষ্টা চালাতে পারে, সে উদ্দেশ্যে এখানে সর্বপ্রথম সে সব নৈতিক ত্রুটি নির্দেশ করা হয়েছে। যেগুলো তখনো পর্যন্ত মুসলমানদের মধ্যে বিরাজমান ছিল। তারপর তাদের জানানো হয়েছে, এ বিজয়ে আল্লাহর সাহায্য ও সমর্থন কি পরিমাণ ছিল। এর ফলে তারা নিজেদের সাহসিকতা ও শৌর্য-বীর্যের মিথ্যা গরীমায় স্ফীত না হয়ে বরং এ থেকে আল্লাহর প্রতি নির্ভরতা এবং আল্লাহ ও রসূলের আনুগত্যের শিক্ষা গ্রহণ করতে সক্ষম হবে। এরপর যে নৈতিক উদ্দশ্যে মুসলমানদের হক ও বাতিলের এ সংঘাত সৃষ্টি করতে হবে তা সুস্পষ্ট করে তুলে ধরা হয়েছে। এই সঙ্গে এ সংঘাতে যেসব নৈতিক গুণের সাহায্যে তারা সাফল্য লাভ করতে পারে সেগুলো বিশ্লেষণ করা হয়েছে। তারপর মুনাফিক, মুশরিক ও ইহুদিদের এবং এ যুদ্ধে বন্দি অবস্থায় আনীত লোকদের সম্বোধন করে অত্যন্ত শিক্ষণীয় বক্তব্য তুলে ধরা হয়েছে। অতঃপর যুদ্ধের ফলে যেসব সম্পদ দখলে এসেছিল, সেগুলো সম্পর্কে মুসলমানদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সেগুলোকে যেন তারা নিজেদের নয় বরং আল্লাহর সম্পদ মনেকরে আল্লাহ তার মধ্য থেকে তাদের জন্য যতটুকু অংশ নির্ধারিত করেছেন ঠিক ততটুকুই যেন তারা কৃতজ্ঞতা সহকারে গ্রহণ করে নেয় এবং আল্লাহ নিজের কাজের জন্য এবং নিজের গরীব বান্দাদের সাহায্য করার জন্য যতটুকু অংশ নির্দিষ্ট করেছেন, সন্তোষ ও আগ্রহ সহকারে যেন তা মেনে নেয়। এরপর যুদ্ধ ও সন্ধি সম্পর্কে কতিপয় নৈতিক বিধান দেওয়া হয়েছে। ইসলামী দাওয়াতের এ পর্যায়ে এগুলো ছিল একান্ত জরুরী। এর মাধ্যমে নিজেদের যুদ্ধ-বিগ্রহ ও সন্ধির ক্ষেত্রে মুসলমানরা জাহেলী পদ্
    • হালায় বলদ নাকি?
      ৭ খন্ডের রামায়ন পাঠ করা শুরু কইরা দিসে।
      এই পোস্টেতো স্পষ্ট সূরার আয়াত কোট করসে, অল্প কথায় পারলে ক, না পারলে আঁতলামি না কইরা ফুট এইখান থেইকা

      • সুরার আয়াত এভাবে কোট করার মাধ্যমে কিছুই প্রমাণিত হয় না। আয়াতগুলি আউট অফ কনটেক্সট পড়লে ভুল বোঝার সম্ভাবনা ব্যপক, কখনো কখনো দুর্বোধ্যও মনে হতে পারে। আরবি ভাষার শব্দ ব্যকরণ, সিনট্যাক্স ইত্যাদি অনুসারে বিভিন্ন জিনিস বোঝাতে পারে। আর অনুবাদে তো প্রচুর সমস্যা তৈরি করে। একটু আয়াতটা বাংলায় যেটা লিখেছে খেয়াল করেন ” ‘আমি কাফেরদের মনে ভীতির সঞ্চার করে দেব। কাজেই গর্দানের উপর আঘাত হান এবং তাদেরকে কাট জোড়ায় জোড়ায়।’ আবার ইংরেজিতে একজন দিয়েছে সেটা পড়েন “I am with you, so strengthen those who have believed. I will cast terror into the hearts of those who disbelieved, so strike [them] upon the necks and strike from them every fingertip.” যে যা অর্থ করতে মন চায়, সেটাই করতে পারবে। আসলে জানতে হয় এখানে কী প্রসঙ্গে কোন ব্যাপারে বলা হচ্ছে। শুধুমাত্র আক্রান্ত হলে এবং বিশ্বাসঘাতকতার ক্ষেত্রে ইসলাম ফার্স্ট স্ট্রাইক অনুমোদন করে, নচেৎ না। যাই হোক, এসব কারণে ইসলামের প্রথম যুগ থেকেই এক শ্রেণীর লোক কোরানের আয়াত ব্যবহার করে মানুষকে ভুল পথে চালিত করেছে, আবার এখন আর একদল লোক ঐভাবেই আয়াতগুলিকে ব্যবহার করে ভুল বুঝছে ও বোঝাচ্ছে এবং নিজের অল্পজ্ঞানের ভয়ঙ্করিতার কারণে সাধারণ মানুষের মধ্যে সেকুলারদের ব্যাপারে রাগ, ক্ষোভ, ঘৃণার সঞ্চার করছে। দুঃখ লাগে, কিন্তু ট্রেন এক্সিডেন্টের মত তাকিয়ে তাকিয়ে দেখছি।

    • A lot lies to prove another lie!

    • darun ekta lekha…. kintu purota keo (মৌলবাদী আর মতিকন্ঠ) pore dekhechhe ki????

    • So do you mean that the Holy Quran is applicable for a limited time and place? Not for everywhere and not for eternity?

    • @ Sazzad
      এইটা কী? সুন্নতি কপি পেস্ট? কত সোয়াব পার কপি পেস্টে?

      @মতিপাঠক
      কী তামাশা! দেড় হাজার বছর পার হয়ে গেলেও এখনও কেউ ঠিক মত কোরান পড়ে বুঝতে পারেনা। তারপরও তের দফা চায় বলগ দিয়ে ইন্টারনেট চালানেওয়ালা হেফাজত, খিলাফতের খিলাল চিবায় হিজবুত, আল্লহার আইন চায় জামাত, ইসা চায় শরীয়তের শাসন!!! কী বুঝে তারা এইসব চায়? দেড় হাজার বছর পড়েও যা তারা বোঝেনি, যা বোঝাতে পারেনি তার ভিত্তিতে তারা ফাল দেয় কেন?

      • তারা কেন ফাল দেয় সেটা তারাই জানে। তাদের ডিফেন্ড করার জন্য আমি এখানে আসি নি। মতিকন্ঠ তাদের পঁচায় দেখেই মতিকন্ঠ পড়ি। কিন্তু এখন দেখি মতিকন্ঠ আমাকেও পঁচাতে লেগেছে। আমার আর তাদের মধ্যে পার্থক্য করতে পারল না মতি?

  17. ভাই, আপনার এই খবর নিয়া তো একাত্তর একটা খবর ই বানাইয়া ফেলসে!! একটু সাবধানে থাইকেন।

  18. কতিপয় মুমিন ভাইয়ের গালি পড়ে বুঝলাম ইসলামে গালাগালি জায়েজ।

  19. মতিকন্ঠের পোস্টটি অনেকটাই নাস্তিকদের কথার মত লাগল। নিজস্ব বিশ্বাস নিজের কাছে রাখাই ভাল। এই ধরনের পোস্ট আর করবেন না।

    • “মতিকন্ঠের পোস্টটি অনেকটাই নাস্তিকদের কথার মত লাগল। নিজস্ব বিশ্বাস নিজের কাছে রাখাই ভাল। – হা হা হা !!!!!!!!!!! আপনি নিজে কী আপনার বিশ্বাসটা নিজের কাছেই রাখলেন না কী মন্তব্যের ঘরে প্রকাশ করে দিয়ে গেলেন!!

      “এই ধরনের পোস্ট আর করবেন না।” – আপনি এই ধরণের পোস্টে আর কমেন্ট করবেননা।

      • @Harun সব কিছুর ই একটা জায়গা আছে। মতিকন্ঠ সে জায়গা না। এটা ফেইসবুক পেজে করতেন। সমস্যা হত না। মতিকন্ঠ লেখকগন নাস্তিক হতেই পারেন তাদের ব্যক্তিগত ব্যপার কিন্তু এমন পোস্ট দেয়া উচিত না। আচ্ছা এখানে তিনি কি বোঝাতে চেয়েছেন যে ইসলাম অন্য ধর্মালম্বীদের হত্যার নির্দেশ দেয়? তা হলে নবী মুহাম্মদ (স) এর ১৪ জন স্ত্রীর ৩ জন স্ত্রী কিভাবে অমুসলীম হলেন? তাদের তো তিনি হত্যা করে ফেলতেন। মতিকন্ঠ যদি এটা বুঝিয়ে থাকে যে জামাত কিভাবে ইসলাম বিকৃত করে তা হলে ভালই আর ইসলামকে বিকৃত উপস্থাপনের চেষ্ঠা করলে সেটা ঠিক না।

  20. vai apngo ek khana like dicilam. kintu apnagore asol rup khana beriye poray like khana soriye nilam (jodio amar moto ekkhana like bapar na!!!)……Tobe ek khana onurodh kori “dowa kore dhormo shomporke na jene dhormo niye kicu bolben na…..”

  21. কিছু কমেন্ট পড়ে বুঝলাম, এদের কাছে মানুষের চেয়ে ধর্ম বড়। ধর্মানুভূতি আহত হলে এরা যত সক্রিয় হয়, ভিন্ন ধর্ম ও গোত্রের মানুষ আক্রান্ত হলে এরা ততটাই নিষ্ক্রিয় ও উদাসীন থাকে। ভন্ডের দল!

  22. togor laiga Allahr gojob chara kisui nai!

  23. I usually enjoy reading your articles and the brilliant humor. But as a number of the comments correctly point out I am also surprised to read this article, especially the almost biased attack on the religion. I sure hope this was not an attempt to popularize your articles, which is already growing in popularity; in fact, if anything this might negatively affect your articles.

    I am not a very knowledgeable person, but I believe that it is the responsibility of the enlightened/knowledgeable ones to enlighten those who are less literate or have limited access to it. But if the intellectuals ( I am tempted to say , seemingly intellectuals) start acting like those of the manipulators or bigots then that is not only sad but also destructive to the society. Let me explain why I said that. You seem to have done some reading of The Quran or a translation and you decided to quote the lines that can be very easily misunderstood when quoted out of context. What do you think the manipulators use to influence the uneducated mass – the exact same line or the similar ones! So please take a moment to reflect upon your actions and its impact, especially when there are a lot of people who follow you.

    • আল্লাহ ইকরা বলার পরেও যারা কুরান পড়েনি তারা মতিকন্ঠ পড়ে ইসলাম শিখবে? কী বলেন!

      আপনার ধারণা ইন্টেলেকচুয়ালরা ধর্মের ভাব বুঝবে মাস পিপলকে বুঝিয়ে বলবে। ইন্টেলেকচুয়াল যদি ধর্মের ভাব বুঝে বলে যে এই ভাব খারাপ, তখন মাস পিপলের উত্তরনকামী আপনি কী ঐ ইন্টেলেকচুয়ালকে আর ইন্টেলেকচুয়াল হিসেবে মেনে নেবেন? নেবেন না। আপনার চাহিদা জাকির নায়েক, যার ভাবভঙ্গি দেখে মনে হবে “জিতেছে রে জিতেছে, ইসলাম জিতেছে”। মাস পিপলের মঙ্গল বিষয় না, বিষয় ইসলামের একটি “দুধভাত” ইমেজ যা আপনার চাহিদার সাথে মিলবে।

  24. না হেসে পার লুম না…. আরো হাসি পেলো comments পরে….সবচে হাসি পেলো @moti konther jommm এর comment পরে।

  25. dislike dilam. valo lage nai.

  26. .. ai prothom motikontho er kono post dislike korlam..

  27. @Sazzad, Pavel, ashique619, Boyzx Shakil, and মতিপাঠক:

    Let’s call a spade a spade. Why roundabout, tiresome, and meaningless explanation of the simplest line “…so strike [them] upon the necks..”

    • no roundabouts. there are many lines in the koran that make no sense to me. i simply don’t know what they mean. the lines that i find repulsive at first usually leads me to a personal research, which is when i find out there is more to each line than what may seem from a simple and casual quote. if i ever come across something which appears objectionable even after studying, i will not gloss it over.
      that said, i understand motikontho’s intention of blatantly pointing out how our religion creates a certain mindset, but in the end it is counterproductive as a strategy i.e. worse than simple failure.

  28. বাহ দলে দলে ছাগু আইসা দেহি মতি-প্রাঙ্গন লেদায়া ভইরা ফালাইসে!
    অ্যাডমিন কাকুরা, ছাগু-দের কমেন্ট সব এপ্রুভ হয়, আর ছাগু পোন্দানি কমেন্ট করলে সুলেমানি ব্যান, এইডা কি “স্বচ্ছ, নিরপেক্ষ এবং আন্তর্জাতিক মানের” একটা সিস্টেম হইলো ??!!!

  29. ভাই, দয়া কইরা ১৫৯ বিডিআরের ফাঁসি – প্রহসনের বিচারের উপর কিছু একটা লেখেন…. ৫৭ সেনা খানকির পোলা অফিসারের জন্য ১৫৯ জন বিডিআরের ফাঁসি… এই দ্যাশ কার?

  30. ধর্মের দায় কিন্তু আছে (You should correct this one. You should not say that religion is responsible rather say that some unwise, aggressive Muslims were responsible. There are many wise Muslims around the world who is following Islam correctly as much they can. There are good & bad followers in every religion including Islam).
    রাজনীতির ঘাড়ে সব দোষ চাপিয়ে লাভ নেই। যারা সাথিয়ায় এই ঘটনা ঘটিয়েছে তারা সবাই কি ভাড়াটে ক্যাডার? অনেকেই গেছে ধর্মের কারণে। ‘প্রতিশোধ’ নেবার জন্য। রাজনীতিবিদরা আমাদের নাচায়, কিন্তু আমরাও তো নাচি। ধর্মকে যখন কুকাজে ব্যবহার করা হয়, তখন ধর্মের গায়ে কালিমাও লেগে যায়। আমাদের দায়িত্ব যারা এই কালিমা টেনে আনল তাদের চিহ্নিত করা। তা না করতে পারলে এইভাবে বারবার অপমানিত হতে হবে। তবে মতিকন্ঠের কাছ থেকে তা আশা করা যায় না। মতিকন্ঠ কি বাইরের একজন হয়ে অপমান করবে, না কি আমাদের সমাজেরই একজন হয়ে সমালোচনা করবে? কোরানের আয়াত মানুষ ভুল ব্যাখ্যা করলে মানুষেরই সেটা দোষ। কোরান উদ্ধৃত করার দরকার ছিল না।(I agreed mostly. Those people should be criticized who did this like nonsense. They should be punished as well. This is never allowed in Islam and it can be obviously demonstrated as evil in the light of Islam. If they know Islam properly then they would have found the claimed person, judge him with proof. If sufficient proof found then punish the guilty only not his relatives or groups. And if no proof found then leave him as innocent and start finding the root of the rumor. But I can see that your criticism was not pointing always only to this group of nonsense people. You should criticize the people who should be criticized not the religion.)

    • ধর্মের দোষ আছে বলতে আমি ইসলামি কোন ঘাটতি আছে এই কথা বলছি না। কিন্তু মানুষের ধর্মবোধই ঐধরণের আক্রমণকে পরিচালিত করে – এটা মেনে নিতে হবে। কোরান এবং হাদীস মানুষ ভুল বোঝে, এবং এর বাইরেও অনেক কিছুকে ধর্মীয় বিধান বলে মেনে নেয় – ফলে তাদের ধর্মবোধ এবং ধর্মাচরণ – দুইই এমন রূপ লাভ করে যা আসলে হয়ত আল্লাহর আদেশের বিপরীত। কিন্তু ধর্ম (বা ধর্মবোধ) এর ভূমিকাটা আমরা অস্বীকার করতে পারবো না। আর ঐ লোকগুলিকে ‘সেইসব দুর্বৃত্ত’ বলে লাভ নাই, তারা আমাদেরই লোক, তারা আমাদেরই পতাকাবাহী। তাদের আচরণের দায় আমাদের নিতেই হবে। যতদিন আমরা ‘ঐসব লোক’ ‘ঐসব কাজ’ বলে দায় এড়ায়ে যাবো ততদিন এগুলা হতেই থাকবে। কেন আমরা এত বড় অনাচার দেখে রাগে ক্ষোভে ফেটে পড়িনা? ভেবে দেখেন, এর পিছনেও ঐ ধর্মীয় ভাতৃত্ববোধই কাজ করে। এই মানসিকতা থেকে বের হতে হবে। অন্যের মন্দির ভেঙ্গে দেয়া অন্যায়, অন্যায়, অন্যায়। জুলুম। আমরা মানুষ হয়ে, মুসলিম হয়ে চুপ করে থাকি কেন? আমাদের প্রবলেমটা কোথায়?

  31. ইসলাম সন্মন্ধে না জেনে নিজেদের স্মারটনেস দেখানোটা এখনকার এক সাধারন রোগ…
    কারণ ধর্ম না থাকলে নিজের খুশিমত লাইফ লিড করা যায়…ইচ্ছামত ফেবু আর অনলাইন এ বয়ান দিয়া স্মারট হওয়া যায়…
    যে ভাইয়েরা মুখ খারাপ করলেন তাদের উদ্দেশে বলি…ভাই আমাদের ধর্ম এটা শেখায় নি…তাদেরকে আপনার ধর্মকে অপমান করার আরেকটা সুযোগ করে দেবেন না…
    মতিকন্ঠ পড়তাম ভালো লাগত…কিন্তু এরপর থেকে আপনাদের সাথে থাকা সম্ভব না…
    এদের জ্ঞান দাও প্রভু…এদের ক্ষমা কর…

    • ইসলাম সম্পর্কে না জেনে তরফদারি করা দেড় হাজার বছর পুরাতন রোগ
      খৃষ্টান ধর্ম সম্পর্কে না জনে তরফদারি করা আড়াই হাজার বছর পুরাতন রোগ
      ইহুদি ধর্মের তরফদারি করা আরো বেশি সময় পুরাতন রোগ
      হিন্দু ধর্মের তরফদারি করা তার চেয়েও বেশি সময় পুরাতন রোগ

      সাম্প্রতিক কালে এই রোগের প্রাদুর্ভাব টের পাওয়া যায় অনলাইনের সারবত্তাহীন ধর্মীয় ডায়লগবাজির ছড়াছড়ি দেখে। এদের ধর্ম পাঠের তৌফিক হোক। এদের অন্তরের অন্ধকার কেটে যাক।

  32. ধর্ম-ভাং খেয়ে চুর থাকলে ভাংচুর করতে সুবিধা…. চরম চরম,
    ওস্তাদ আপনেরে সিজদা করলাম।

  33. মতিকন্ঠের এযাবৎ কালের সেরা লেখা।
    ইসলামকে হেফাজত করার দায়িত্ব যেখানে স্বয়ং আল্লাহতালা নিজে নিয়েছেন সেখানে কে নবীর নামে কি বলল, ইসলামের নামে কি বলল তা নিয়ে ইসলাম বেচে খাওয়া লোকরা এত পেরেশান কেনো?
    স্রেফ এক ইনসানের জবানে যদি ইসলাম ধূলিসাৎ হয়ে যায় তবে মুমিন বান্দাদের উচিৎ এ ধর্ম ত্যাগ করা। এত নাজুক নুনু নিয়ে তাদের চলা উচিৎ না। মনে রাইখেন – আজ ইন্দুদের দুর্বল পেয়ে পুন্দাইতেছেন মাগার সারা দুনিয়ায় মুসলমান রা কিন্তু সংখ্যালঘু তার উপর শিয়া, সুন্নি তো আছেই। এখন ইহুদি-খ্রীষ্ঠান মিইল্যা যদি ঠাপ দেয় তাইলে কই যাইবেন?
    সারা দুনিয়ায় যেখানে মুসলিম সেখানেই পুন্দাপুন্দি। স্বজাতিরা সেইখানে ইহুদি চক্রান্ত পেয়ে তৃপ্তির ঢেকুর তুইল্যা চলে যায়… মাগার নিজেদের ভাইদের পুঙ্গার কাপড় তুইল্যা পুন্দাপুন্দির সময় তা খেয়াল থাকে না।
    সবশেষে বলি ধর্ম হইল প্রাইভেট জিনিস। প্রাইভেট জিনিসের প্রাইভেসি মেইনটেইন করতে হয়। নাঙ্গা হয়ে রাস্তায় নামলে তাতে নিজের ইজ্জতই যায় মাত্র।

  34. Islam is a religion of peace. If you want to test it, just tell a bad word against our Prophet (pbuh). You will get peace, along with your whole community in your area. Ke mara gese, koyta basa purse, egula kono bepar na…We are just interested to know what you told with your bad mouth or which page you gave a like in facebook. That is all what matters. Because we believe in peace. Manus marle ki jay ase…sobai morbe, today or tomorrow..basa purle basa banay nibe abar….bepar nohe…Islam means peace, that is what we establish only…

  35. মতিরে মুমিনের পুন্দে আর আগুন দিস না, খাঙ্কির পোলা সাঈদী যখন পবিত্র ধর্মের মুফাসসিরে কোরান হয় তখন এগো ইসলামনুনুভুতি আঘাত পায় না, কিন্তু মতির পোস্ট পরলে মাথা খারাপ হয়া যায়।

  36. সংখ্যাগুরু হইলে গুজবে হুজুগ তোলাই যায়। আইজকা এইদেশে যদি ৮৫% ক্রিস্টান থাকতো তাইলে গুজব মুখেসোনা নিয়ে গিলে ফেলতে হইত। পারলে দুই একজন ছাগু ফিলিস্তিনে যাও, অইখানে আসলেই তোমাগেরে ইমানি জজবা দরকার। এইখানে আইসা মুখখারাপ কইরা কোন নেকি কামাইতাস?

    • শাহবাগে তো প্রচুর মুসলিম ছিল, খোঁজ নিলে দেখা যাবে বেশিরভাগই মুসলিম ছিল। কোরানের আয়াত না বুঝে কোট করার কারণে যদি সেই মানুষরা খারাপ বোধ করে, তাহলে তারা ছাগু হয়ে যায়?
      ছাগু হওয়ার জন্য যে মানসিকতা লাগে (অন্য ধর্মের ও বাঙ্গালিত্বের প্রতি ঘৃণা, আরবীয় ও পাকিস্তানি কালচারের প্রতি প্রেম) সেটা না থাকলেও, শুধুমাত্র মুসলিম পরিচয় দানকারী যে কেউ ছাগু হয়ে যায় না। বাঁশেরকেল্লা/আমাদের সময়-ওয়ালারা দাবী করে আমরা সবাই না কি যুদ্ধাপরাধের বিচার চাওয়ার ছলে আসলে ইসলাম-বিদ্বেষী, মুসলিম-বিদ্বেষী। আজকে এই পোস্টের কারণে মতিকন্ঠকে তারা প্রমাণ হিসাবে ব্যবহার করতে পারবে। পাকিপ্রেমী, না কি যে কোন মুসলমান (যে-ই হোক না কেন)- আসলে কাকে পঁচাতে চায় মতিকন্ঠ? এটা তাদের ভেবে ঠিক করতে হবে। মুসলিম হলেই যে পাকি/জামাতি হয়ে যায় না – এটা তারা প্রতিষ্ঠা করবে, না কি করবে না।
      অবশ্যই সাথিয়া এবং আর সব ঘটনার দায় আমাদের মুসলিমদের নিতে হবে। আমাদের ধর্মগ্রন্থ যদি অপব্যবহৃত হত আমাদের সে দায় নিতে হবে। কিন্তু এ উপায়ে সে রাস্তায় ওঠা যাবে না।

  37. মতি কন্ঠ প্রতিনিধি: আল্লাহ ও তাঁহার সম্পর্কে কোরান ও সহীহ হাদিসে বিস্তারিত ভাবেই উল্লেখ রয়েছে ! সুতরাং সাবধানে কথা বলুন! দিন দিন অন্তরের ব্যাধি কি বেড়েই চলছে ??? দুনিয়াতে আসার একটা সিরিয়াল আছে, কিন্তু যাওয়ার কোন সিরিয়াল নেই ! যুক্তি সহকারে কথা বলতে শিখুন !

  38. ইসলামের নামে ভাংচুর হলে কোন সমস্যা নাই। কিন্তু তারে নিয়া ব্যংগ করলেই সমস্যা। এই হইল মুসলমানের পরিচয়। আরে বেটারা খারাপ লাগলে হেগো বিরুদ্ধে লাগ, যারা ইসলামের নামে ভাংচুর করতাছে। লেখা চরম হইছে

  39. কিছু ছাগু(বেনামে কুত্তা) দেখলাম সেইরাম ঘেউ ঘেউ করতাছে। এবং এরা সেই যায়গায় ল্যাদায় যেখানে মনে করে আমরা বেশি লোক। আরে জাউরা, সারা দুনিয়াতে ইসলাম কোনোদিনই সংখাগুরু ছিলোনা, থাকবেও না। বরং শুধু ইসলাম নয়, সব ধর্মই বিলুপ্তির পথে। যদি ঈমানের জোশ এতই বেশি হইয়া থাকে তাইলে যাওনা ইসরাইলে ইহুদিদের পুটু মারতে, ইন্ডিয়া যাও হিন্দু পুন্দাইতে। পারবা????? আমি জানি তোরা তা পারবিনা। ওইখানে গেলে সমস্ত লালা শুকাইয়া যাইবো। তখন তোদের মুখে কিছু মুখস্ত জবান থাকবে:
    ১। ইসলাম শান্তির ধর্ম।
    ২। ধর্মে কোনো বাড়াবাড়ি নাই।
    ৩। তোমার লাইগ্যা তোমার ধর্ম, আমার লাইগ্যা আমার টা।
    ৪। আমি সংখ্যালঘু, নিরিহ। এদের কখনও মারতে হয়না।

  40. Keep up, Bhai Motikontho

  41. ক্লাসিক কথন ১- “জিবরাইল ফেরেশতা আমাদের নবিজীরে ওহি আইনা দিসে, সেইটার কুন প্রমান আছে? নাই। পুরাটাই শুনা কথা। আমরা সেই শুনা কথায় বিশ্বাস করে অভ্যস্থ। ”

    ক্লাসিক কথন ১- ভাং-চুর কন্ঠে আরেক জন বলেন, আমরা বেশরীয়তী কাজ করি নাই। হিন্দুপুন্দন আমাদের ধর্মিয় অধীকার। ইসলামি খুৎবা, জলসা, ওয়াজ বা ইছালে ছওয়াবে মালাউনদের ধর্ম আর দেব দেবি নিয়া রঙ্গ রস মশকরা করলে বা গাইল দিলে কুন অপরাধ নাই। কারন অমুসলিমগুলারে পুন্দান ইসলামে যায়েজ।

    তুমুল মতিকণ্ঠ, তুমুল!!! তুমি এগিয়ে যাও।

Leave a reply to shakij Cancel reply