নিজস্ব মতিনিধি
পাবনার সাঁথিয়া উপজেলায় হিন্দুদের মাত্র গোটা চারেক মন্দির আর গোটা চল্লিশেক বাড়ি ভাংচুর ও পুড়ায়ে দেওয়ার ঘটনায় এত চিল্লা হল্লা শুরু হওয়ায় বিস্ময় প্রকাশ করেছে স্থানীয় তৌহীদী জনতা। তারা বলেছে, আরে, এইটা তো প্রিতি মেচ। দুধ ভাত। আসল মেচ তো শুরু হয়ই নাই।
গুজবের উপর ভিত্তি করে সংখ্যালঘুদের আক্রমন করা উচিৎ কিনা, এই প্রশ্নের জবাবে একজন বলেন, জিবরাইল ফেরেশতা আমাদের নবিজীরে ওহি আইনা দিসে, সেইটার কুন প্রমান আছে? নাই। পুরাটাই শুনা কথা। আমরা সেই শুনা কথায় বিশ্বাস করে অভ্যস্থ। তাই কুন গুজব যদি মালাউনগোরে এটাক করার সুযুগ কইরা দেয়, আমরা সেই গুজবেও বিশ্বাস করি। আর ভাংচুরের কথা বলতেসেন? ধর্ম-ভাং খেয়ে চুর থাকলে ভাংচুর করতে সুবিধা, বুজেনই ত।
ভাং-চুর কন্ঠে আরেক জন বলেন, আমরা বেশরীয়তী কাজ করি নাই। হিন্দুপুন্দন আমাদের ধর্মিয় অধীকার। ইসলামি খুৎবা, জলসা, ওয়াজ বা ইছালে ছওয়াবে মালাউনদের ধর্ম আর দেব দেবি নিয়া রঙ্গ রস মশকরা করলে বা গাইল দিলে কুন অপরাধ নাই। কারন অমুসলিমগুলারে পুন্দান ইসলামে যায়েজ। অনেক সুরায় তা উল্যেখও আছে। যেমন সুরা আল আনফালে আল্লাহপাক ষ্পস্ট নির্দেশ দিয়েছেন, ‘আমি কাফেরদের মনে ভীতির সঞ্চার করে দেব। কাজেই গর্দানের উপর আঘাত হান এবং তাদেরকে কাট জোড়ায় জোড়ায়।’ আল্লাহর কথন না যায় খন্ডন।
তৌহীদী জনতার এক প্রতিনিধি আশাঘন কন্ঠে বলেন, তাই আল্লাহ চাহে ত অচীরেই তার নির্দেশ পালন করার সুযগ আসবে, যেদিন সংখ্যা লঘুদের গুরু পুন্দন দেওয়া হবে। শুরু হবে আন্ত ধর্ম কৃকেট মেচ। সেইটার নাম – মুসলিম ওয়াশ। কুন মুসলিমের এই সময় উচিৎ হবে না নন-ষ্ট্রাইকার থাকা। তখন আমরা মালাউনদের আউট ফিল্ড দখল করব, আমাদের সকলের জন্যে থাকবে ফ্রি হিটের বেবস্থা, ষ্ট্রাইক রেট হবে রেকর্ড পরিমান, ষ্টাম্প ভাঙা হবে, উইকেট পড়বে দমাদ্দম, তাদের বাড়ি-মন্দির হবে এশেজ। কুন মেইডেন অর্থাত গনিমতের মাল পেলে আমরা আমাদের থার্ড লেগ ইনসুইং করে ফুল লেংথ পুশ করিয়ে আউট করব ইনশাল্লা। মুসলিম ওয়াশ, জিন্দাবাদ!