নিজস্ব মতিবেদক
জাতিসংঘ পরমানু শক্তি কমিশনের সাবেক প্রধান ও শান্তিতে নোবেল বিজয়ী আল বারুদীকে মিশরের অন্তর্বর্তী কালীন প্রেসিডেন্ট পদে অভিষিক্ত হওয়ার জন্য সাবাশি জানিয়ে সদ্য গঠিত রাজনৈতিক দল বাবুনাগরিক শক্তির আমীর, বাংলাদেশের একমাত্র নোবেল বিজয়ী অর্থনীতীবীদ ও গ্রামীন বেংকের বিতাড়িত মালিক ড. মুহম্মদ ইউনূস বাবুনগরী বলেছেন, মিশর লাইনে এসেছে।
আজ এক সংবাদ সম্মেলনে বাবুনগরী এ কথা বলেন।
কয়েক দিন পুর্বে মিশরের সেনা প্রধান জেনারেল আবদুল ফাত্তাহ আল শিশি নির্বাচিত রাস্ট্র পতি মোহাম্মদ মুরসিকে সরিয়ে ক্ষমতায় আসেন। এরই ধারাবাহিকতায় শান্তিতে নোবেল বিজয়ী আল বারুদী অন্তর্বর্তী কালীন প্রেসিডেন্ট পদে অভিষিক্ত হলেন।
ইউনূস বাবুনগরী বলেন, পৃথীবিতে নানা সময়ে নানা শিশ্টেম চালু হয়েছে। কিছু শিশ্টেম কাজ করে টিকে গেছে, কিছু শিশ্টেম কাজ না করে বিলুপ্ত হয়েছে। কিছু শিশ্টেমওয়ালা শিশ্টেমের সংগে টিকে গেছেন, কিছু শিশ্টেমওয়ালা শিশ্টেমের সংগে বিলুপ্ত হয়েছেন। সবই শিশ্টেমের বেপার।
মিশর, বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের উদাহরন দিয়ে বাবুনগরী বলেন, এইসব দেশে গনতন্ত্র আপনা আপনি টিকতে পারে না। গনতন্ত্রকে ক্ষুদ্র ঋন দিয়া দিয়া টিকাইয়া রাখতে হয়। কিন্তু এইভাবে ত একটা দেশ চলতে পারে না। কারন এইভাবে চালাইতে গেলে এক সময় দেশের চাল খুলে ক্ষুদ্র ঋন দাতাকে দিয়া দিতে হবে।
আবেগঘন কণ্ঠে বাবুনগরী বলেন, সুস্ঠুভাবে দেশ চালানর জন্য প্রয়জন তিনটি জিনিস। হাবেল, কাবেল ও নোবেল। হাবেল কাম করবে, কাবেল কাম করাবে এবং নোবেল শান্তি বজায় রাখবে। মিশরে হাবেলরা শুধু হাবেলের কামই নহে, কাবেল ও নোবেলের কামও দখল করিয়া লইছিল। এভাবে দেশ চলতে পারে না। তাই হাবেলকে হটাইয়া কাবেল জেনারেল আল শিশি ও নোবেল আল বারুদী এখন তখতে বসিয়াছেন। এখন মিশর লাইনে এসেছে। এখন এভাবেই চলতে হবে।
একটি দেশের প্রতি ইংগিত করে ইউনূস বলেন, পৃথীবির একটি দেশে বাকশালী দুঃশাসন চলছে। সেখানে কাবেলদের কেন্টনমেন্টে বন্দী করে রাখা হয়, কুন ক্ষমতা দেওয়া হয় না। তারা শুধু মাঝে মধ্যে ভাংগা বিলডিং হতে মানুষ টানিয়া বাহির করে আর বন্যার পর গম বিতরন করে। সে দেশে নোবেলকে শান্তিতে থাকতে দেওয়া হয় না, বাকশালের বেটীরা তাকে ঘেটী ধরে খেদাইয়া দেয়। দেশটির নাম আমি বলব না, কিন্তু শুধু একটি কথাই বলতে চাই, সে দেশেও কাবেল ও নোবেলকে একযোগে কাজ করতে হবে।
হাবেলদের চেলেঞ্জ দিয়ে বাবুনগরী বলেন, যুগে যুগে কাবেলরা হাবেলদের একাই টাইট দিয়াছে। এখন সাথে নোবেলও আছে। সাবধান শেখের বেটী।