হাওয়ার উপর হাওয়াগিরি করলেন ফেরদৌস

নিজস্ব মতিবেদক

হাওয়া ভবনের উপর ‘হাওয়াগিরি’ করে বিপুল অর্থ উপার্জন করেছেন প্রধান মন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ফেরদৌস।

বৃহত্তর জামায়াতে ইসলামীর বিএনপি শাখার মহিলা আমীর ও জাতীয়তাবাদী শক্তির মালিক জননেত্রী আপোষ হীন নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার অপর সন্তান আরাফাত কোকোর সিংগাপুরের বেংক হতে বিপুল পরিমান অর্থ বাংলাদেশে ফিরিয়ে আনার কাজে সহায়তা করার জন্য দুদক ফেরদৌসকে আরাফাত কোকোর টাকার টেন পারসেন্ট বখশিশ দেয়।

দুদকের সদ্য নিয়গপ্রাপ্ত আমীর বদিউজ্জামান মতিকণ্ঠকে বলেন, এই ফেরদৌস একটা মাল। সারা বাংলাদেশের উপর ডান্ডা ঘুরাইয়া টেন পারসেন্ট খাইত যে হাওয়া ভবন, সেই হাওয়া ভবনের ছুট ভাই কোকোর কাছ থিকা সে টেন পারসেন্ট খাইল। এ ত পুরাই খোদার উপর খোদকারী, শয়তানের সংগে শয়তানী, হাওয়ার উপর হাওয়াগিরি। আমি পুরাই মাননীয় স্পীকার হইয়া গেলাম।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে দুদকের এক কর্মকর্তা মতিকণ্ঠকে বলেন, ফেরদৌস দুদকের সাবেক আমীর গোলাম রহমানের নিকট কোকোর টেকাটুকার ৩০ শতাংশ দাবী করে চিঠি দিছিল। গোলাম রহমান তাকে বললেন, এই দেশে খোদ বড় গনতন্ত্র কমিশনের রেট ঠিক করিয়া গেছে টেন পারসেন্ট। তুমি কেন থাটি পার্সেন্ট খাইতে চাও? একদাম টেন পারসেন্ট, এর বেশী দেওন যাইত না।

ফেরদৌস

কোকোর সিংগাপুরের টাকার টেন পারসেন্ট হিসাবে ১ কোটি ৩ লক্ষ টাকা উপার্জন করে আনন্দিত ফেরদৌস মতিকণ্ঠকে বলেন, খুব ভাল লাগতেছে। অন্য কুন রহিম করিমের টেকার টেন পারসেন্ট খাইলে এত আনন্দ পাইতাম না। কিন্তু হাওয়া ভবনের ছুট ভাইয়ের টেকার টেন পারসেন্ট পাইয়া ঈদের আনন্দ পাইতেছি। আপনারা আমার জন্য দুয়া করিয়েন।

তাতক্ষনিক প্রতিক্রিয়ায় বিএনপি শাখার ভাঁড়প্রাপ্ত নায়েবে আমীর মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, কোকোর টেকা সব ফিরাইয়া আনার কারনে দুইদিন পর পর আমায় বেংকক গিয়া তারে টেকাটুকা দিয়া আসতে হয়। বুড়া বয়সে এই খাটনি আর ভাল লাগে না।

Leave a comment