Archive for March 5th, 2013

March 5, 2013

অসময়ে সফরের কারনে প্রনবকে খালেদার তিরস্কার

নিজস্ব মতিবেদক

অসময়ে বাংলাদেশ সফরে আসার কারনে ভারতের রাস্ট্রপতি ও বাংলাদেশের জামাই বাবু প্রনব মুখপাধ্যায়কে তিরস্কার করেছেন বৃহত্তর জামায়াতে ইসলামীর বিএনপি শাখার মহিলা আমীর আপোষহীন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া।

আজ নিজ বাস ভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ তিরস্কার করেন।

বেগম জিয়া বলেন, ভারতের রাস্ট্রপতি প্রনব মুখার্জীর আক্কেল পসন্দ বলতে কিছু নাই। বাংলাদেশে একটা গন্ডগল চলে, এর মধ্যে তিনি শ্বশুর বাড়ি বেড়াতে এসেছেন। এ কি বেড়ানর জন্য উপযুক্ত সময়?

প্রনব মুখপাধ্যায়ের সময় জ্ঞানের কঠোর সমালোচনা করে খালেদা জিয়া বলেন, বৃহত্তর জামায়াতের মুল বংশ বর্ধনকারী ইসলামের বাগানে ফুটন্ত গোলাপ আল্লামা সাঈদীকে বাকশালী সরকার ফাসি দিল। আমরা আছি চরম বিপদে। এর মধ্যে জনাব প্রনব এসেছেন জামাই আদরের খোজে।

দেশের পরিস্থিতি খারাপ উল্লেখ করে খালেদা বলেন, বাকশালী সরকার সাঈদীকে ফাসি দিয়ে গনহত্যা করছে। প্রতিবাদে আমরা হিন্দু বাড়িতে হামলা করছি, হিন্দু নারী ধর্ষন করছি, মন্দিরে আগুন দিচ্ছি, মসজিদে কার্পেট পুড়াচ্ছি, সেতু ধ্বংস করছি, রেল লাইন উপড়াচ্ছি, শহীদ মিনার ভাংছি, থানা পুলিশের টোটা বন্দুক লুট করছি, আওয়ামী লীগের নেতা মারছি, পুলিশ জবাই করছি। পাশাপাশি আমায় সিংগাপুর ও লনডনে আইএসআই ও আল কায়দার সংগে মিটিং করতে হয়। হাতে এখন কত কাজ। এর মধ্যে আমি কিভাবে জনাব প্রনবের সংগে খোশগল্প করতে হোটেলে যাব?

প্রনবকে টাটা জানালেন খালেদা

আবেগঘন কণ্ঠে বেগম জিয়া বলেন, ভদ্র ঘরের ঝি-বৌরা হোটেলে যায় না। প্রনব সাহেবের যদি এতই শখ হয় আমার সংগে দেখা করার, তিনি কেন আমার বাসভবনে এলেন না? তাকে কি এক কাপ চা আর চারটি নাবিস্কু বিস্কুট খেতে দিতাম না?

জামায়াতের হরতালে বাইরে যাওয়া বিপদজনক উল্লেখ করে খালেদা বলেন, হরতালে বাইরে যাওয়া ডেঞ্জারাশ। প্রনব সাহেবের হোটেলে বোমা মেরেছে জামাতিরা। আমি সেখানে গেলে তারা বোমা মেরে আমায় বেনজীর বানাবে না তার কি নিশ্চয়তা? হরতালে রাস্তায় নেমে এই অল্প বয়সে জান মাল হারানর ইচ্ছা আমার নাই।

প্রনব মুখপাধ্যায়ের সংগে সাক্ষাত না করায় পর রাস্ট্র মন্ত্রী দীপু মনির সমালোচনার জবাবে খালেদা জিয়া বলেন, আমরা বাংলা পরিক্ষার সময় বাংলা পরিক্ষা দেই, ইংরাজি পরিক্ষার সময় ইংরাজি, উর্দু পরিক্ষার সময় উর্দু। বাংলা পরিক্ষা চলা কালে উর্দু নকল কেন উড়নায় গিট দিয়ে সংগে নিলাম না, এ প্রশ্ন করছে হাসিনার চামচি দীপু মনি। আমি তাকে বলতে চাই, উর্দুতে আমি হায়েষ্ট মার্ক পেয়েছিলাম। আমায় উর্দু শিখাবি না টাকলি।

প্রনব মুখপাধ্যায়কে বর্ষা কালে বাংলাদেশ সফরের আহ্বান জানিয়ে খালেদা বলেন, আষাড় শ্রাবন মাসে আসবেন। শীত কালে মন্দির পেগডায় আগুন দেওয়ার সিজন। বেস্ত থাকি। বুঝেনই ত।

March 5, 2013

শান্তি কমিটির নামে এ কি বেলাল্লাপনা?

নিজস্ব মতিবেদক

বৃহত্তর জামায়াতে ইসলামীর বিএনপি শাখা কতৃক আহুত হরতালের ভোরেই রাজপথে নজিরবিহীন বেলাল্লাপনা দিয়ে শুরু হল দিন।

আর এ বেলাল্লাপনায় নেতৃত্ব দিলেন বৃহত্তর জামায়াতের বিএনপি শাখার নায়েবে আমীর রুহুল কবীর রিজভী।

নয়া পল্টনে বিএনপি শাখার কার্যালয়ের সামনের ফুটপাতে চা খেতে এসে সদ্য ঘোষিত নয়া পল্টন শান্তি কমিটির আন্য সদস্যদের সংগে খোশগল্পের এক ফাকে উত্তেজিত হয়ে পড়েন রুহুল কবীর রিজভী।

আর এ উত্তেজনা পর্যবসিত হয় নজিরবিহীন বেলাল্লাপনায়।

রাজপথে নজিরবিহীন বেলাল্লাপনা

হরতালে রাস্তাঘাট তুলনা মুলক ভাবে ফাকা থাকলেও রুহুল কবীর রিজভীর বাধ ভাংগা বেলাল্লাপনার অনিচ্ছুক সাক্ষী হতে বাধ্য হন অনেক পথচারী। এদের মাঝে পুলিশও ছিলেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক প্রত্যক্ষ দর্শী বলেন, সারা জীবনে অনেক কিছু দেখেছি। পর্দায়, বাস্তবে। কিন্তু এমন আর দেখিনি। আস্তাগফিরুল্লাহ, এসব কি হচ্ছে?

নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক পুলিশ বলেন, উনি (রিজভী) অনেকদিন ধরে বিএনপি শাখার কার্যালয়ে বসবাস করছেন। সেখানে জীবনের অনেক চাহিদা মিটান সম্ভব হলেও কিছু চাহিদা মিটান কঠিন।

পুলিশ সদস্য মনে করেন, না মিটান চাহিদার ক্রমবর্ধনমান চাপেরই বহিপ্রকাশ এই নজিরবিহীন বেলাল্লাপনা।

এ বেপারে রুহুল কবীর রিজভীর মুঠোফোনে যোগাযোগ করে তাকে পাওয়া যায়নি।

রুহুল কবীর রিজভীর বড় ভাই ও প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনার উপদেষ্টা গওহর রিজভীর সংগে যোগাযোগ করা হলে তিনি মতিকণ্ঠকে বলেন, আমি এখন কিভাবে মানুষের কাছে মুখ দেখাব? রুহুইল্লার না হয় নিজের লজ্জা শরম নাই, কিন্তু বংশের কথা ত তাকে চিন্তা করতে হবে?

আবেগঘন কণ্ঠে তিনি বলেন, সবই মেনে নিলাম, তাই বলে রাস্তায়?

March 5, 2013

জামাত শিবির সংখ্যালঘু, যাতায়াত ভাতা ও ক্ষতিপুরন দিতে হবে: খালেদা

নিজস্ব মতিবেদক

বৃহত্তর জামায়াতে ইসলামীর খানকির পোলায়ে নায়েব, বিশিষ্ঠ ইসলামী চিন্তাবিদ, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনেলের নির্মম বলি, ইসলামের বাগানে ফুটন্ত গোলাপ আল্লামা দেলাওয়ার হোসেন সাঈদীর ফাসির রায়ের পর সারা দেশে বৃহত্তর জামায়াতে ইসলামীর খানকির পোলা নেতা কর্মীদের তান্ডবের জন্য যাতায়াত ভাতা ও ক্ষতিপুরন দেওয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বৃহত্তর জামায়াতে ইসলামীর বিএনপি শাখার মহিলা আমীর বেগম খালেদা জিয়া।

সোমবার রাতে এক সংবাদ সম্মেলনে বেগম জিয়া এ আহ্বান জানান।

বেগম জিয়া বলেন, হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টানরা দেশের জনসংখ্যার দশ ভাগের এক ভাগ। অপর পক্ষে জামাত শিবিরের সংখ্যা দেশের পচিশ ভাগের এক ভাগ। অতএব তারাই প্রকৃত সংখ্যা লঘু। হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টানরা নিজেদের অন্যায় ভাবে সংখ্যা লঘু দাবী করে। তাদের সংখ্যালঘুত্ব আন্তর্জাতিক মানের নয়।

প্রকৃত সংখ্যালঘুদের যাতায়াত ভাতা ও ক্ষতিপুরন দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে খালেদা জিয়া বলেন, পেয়ার কর উসসে জো ইসকে কাবিল হো।

বৃহত্তর জামায়াতের কর্মীদের সমস্যা তুলে ধরে খালেদা বলেন, দুর দুরান্ত থেকে তাদের পায়ে হেটে, বাসে উঠে হিন্দুদের এলাকায় দল বেধে আসতে হয়। একটি হিন্দু মন্দির পুড়াতে যে কেরাসিন ও গান পাউডার লাগে, তার খরচও তাদের দিতে হয়। হিন্দু নারীদের ধর্ষন, তাদের গহনা লুট, তাদের গৃহস্থালী ধ্বংস করার কাজেও অনেক মেহনত। এ ছাড়া রেল লাইন ধ্বংস, সেতু ধ্বংস, শহীদ মিনার ভাংচুর, সরকারী অফিসে হানা, থানা দখল ইত্যাদি মেহনতি কাজেও সংখ্যা লঘু জামাত শিবির ভাইদের অনেক কষ্ট হয়েছে। তাই তাদের যাতায়াত ভাড়া ও ক্ষতি পুরন দিতে হবে।

একদাম পাচ হাজার টেকা: খালেদা

মাথা পিছু পাচ হাজার টাকা ক্ষতি পুরনের দাবী জানিয়ে খালেদা বলেন, এক দাম পাচ হাজার টেকা। না দিলে লাগাতার আন্দুলন।

সরকার জামাত শিবিরের উপর গনহত্যা চালাচ্ছে দাবী করে খালেদা বলেন, সংখ্যা লঘুদের উপর অত্যাচার আর চলবে না।

কিভাবে সরকার গনহত্যা করছে, এমন প্রশ্নের জবাবে খালেদা বলেন, আল্লামা সাঈদী জামাত শিবিরের প্রধান সংখ্যা বৃদ্ধিকারী। জামাত শিবির কর্মীদের ঘরে ঘরে কমপক্ষে একটি সাঈদীর সন্তান রয়েছে। সরকার তাকে ফাসি দিয়ে তার মেশিন বন্ধ করে দিতে চায়।

সাঈদীকে হালদা নদীর মা-মাছের সংগে তুলনা করে খালেদা বলেন, একটি মেশিনে দুর্ঘটনা, সারা জামাতে কান্না।