Archive for March 16th, 2013

March 16, 2013

সংলাপ কিসের, আমি কি অপু বিশ্বাস? : খালেদা

নিজস্ব মতিবেদক

সরকারের কাছ থেকে সংলাপের প্রস্তাব পেয়ে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েছেন বৃহত্তর জামায়াতে ইসলামীর বিএনপি শাখার মহিলা আমীর বেগম খালেদা জিয়া।

আজ মানিকগঞ্জের সিংগাইরে বাকশালী সরকারের বিরুদ্ধে বক্তৃতা দিতে গিয়ে তিনি কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন।

বেগম জিয়া বলেন, সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারের পরহেজগার মেয়ে আমি। ইসলামী চেতনা ও জাতীয়তাবাদী আদর্শকে সমুন্নত রাখার কাজের চাপে নিয়মিত নামাজ পড়তে পারি না। রোজা রাখলে মাথা ঘুরে তাই রমজানে গ্লুকোজ বিস্কুট ও এটা সেটা খাই। আয় রোজগার নাই বলে যাকাত দিতে পারি না। তবে বছরে তিন চারবার উমরাহ করি। সৌদী ভাইদের সংগে কুশল বিনিময় করি। জমজমের পানি ও খোরমা এনে নেতাকর্মীদের মাঝে অকাতরে বিলিয়ে দেই। সেই আমায় কি না সরকার সংলাপের প্রস্তাব দেয়।

সংলাপের প্রস্তাবে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন আপোষহীন নেত্রী

বাকশালী সরকারের প্রতি তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে খালেদা জিয়া বলেন, আমায় কি তরা অপু বিশ্বাস পাইলি যে সংলাপ দিব? সালা ঘোচু।

সংলাপের সম্ভাবনা নাকচ করে দিয়ে বেগম জিয়া বলেন, নো সংলাপ। ওনলি আন্দুলন। এই সরকারকে হঠাতে হবে। তাতে আরও কিছু লাশ পড়বে। কিন্তু তা আমাদের মেনে নিতে হবে। আমি আবার ক্ষমতায় যেতে না পারলে বড় গনতন্ত্র ও ছোট গনতন্ত্র বিপন্ন হবে। ইতিমধ্যে সিংগাপুর হতে ছোট গনতন্ত্রের টেকাটুকা বাকশালী সরকার ফিরত এনেছে। তারা যদি একে একে ভিয়েতনাম, মালয়েশিয়া, কাম্পুচিয়া, সৌদী আরব ও ইংলেন্ড হতেও গনতন্ত্রদের সব টেকাটুকা ফিরত আনা শুরু করে, আমায় রাজনীতী বাদ দিয়ে টক শো করে জীবন যাপন করতে হবে। তা হতে দেওয়া যায় না। হায়াত মউত আল্লাহর হাতে। আল্লাহ যদি কিছু লোকের মউতের বিনিময়ে আমায় গদিতে বসান, হুয়াটস দি প্রবলেম?

বৃহত্তর জামায়াতকে তিরষ্কার করে বেগম জিয়া বলেন, মানিকগঞ্জের গোবিন্দল গ্রামে তারা আরও একটি মন্দির ক্ষতিগ্রস্থ করেছে। এই মন্দির রিপেয়ারের টেকাও এখন আমায় দিতে হবে। একটা মন্দির ভাংতে পারিস না আবার বৃহত্তর জামায়াত করিস। আর সব টেকা দিতে হয় আমায়। যত সব রাশকেল বাশটাড।

বৃহত্তর জামায়াতের কেডারদের কমপ্লান সরবরাহের জন্য বেগম জিয়া বিএনপি শাখার ভাঁড়প্রাপ্ত নায়েবে আমীর ফখা ইবনে চখাকে নির্দেশ দিয়ে বলেন, আমরা শক্তি আমরা বল আমরা ছাত্র দল। মন্দির ভাংচুরের আগে বেশি করে ছোলা, ডিম ও কমপ্লান ভক্ষন করতে হবে। যাতে রিপেয়ারের ঠেলা আমায় সামলাতে না হয়। নিম্নমানের গান পাউডার বেবহারের কারনে মন্দিরগুলি এখনও খাড়া আছে। আন্তর্জাতিক মান সম্পন্ন গান পাউডার বেবহার করতে হবে।

শাহবাগ আন্দোলনের সমালোচনা করে খালেদা জিয়া বলেন, তারা প্রকৃত তরুন যুবক নয়। তারা সব নকল তরুন। এই শাহবাগীরা কিছু নকল তরুন ভাড়া করে এনে অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে। সরকার তাদের খানা সাপ্লাই দিচ্ছে, সিটি করপরেশন তাদের পায়খানার গাড়ি সাপ্লাই দিচ্ছে। সেই পায়খানার দেওয়ালে তারা আমার পোষ্টার টাঙ্গিয়ে রেখেছে। তারা এমন নাস্তিক।

March 16, 2013

খালেদার আবেদন ৫০ শতাংশ মঞ্জুর করেছে জনগন: মতিয়া

নিজস্ব মতিবেদক

বাকশালী সরকারের কৃষি মন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী বলেছেন, জনগন বৃহত্তর জামায়াতে ইসলামীর বিএনপি শাখার মহিলা আমীর বেগম খালেদা জিয়ার আকুল আবেদনে সাড়া দিয়ে তার ৫০ শতাংশ মঞ্জুর করেছে।

আজ এক সংবাদ সম্মেলনে মতিয়া চৌধুরী এ কথা বলেন।

অগ্নি কন্যা মতিয়া বলেন, খালেদা জিয়া লৌহজং এর জনসভায় বলেছেন, এইসব মঞ্চ ফঞ্চ বন্ধ করেন। আর পারি না আর পারি না আমার ভিষন ক্লান্ত লাগে।

আবেগঘন কণ্ঠে মতিয়া চৌধুরী বলেন, আমাদের দেশের জনগন ভাল মানুষ। তারা বিরোধী দলীয় নেত্রীর আকুল আবেদনে ৫০ শতাংশ সাড়া দিয়েছে। আজ থেকে দেশে আর কুন ফঞ্চ হবে না।

বাংলাদেশে ফঞ্চ নির্মান ও ফঞ্চ ভিত্তিক আন্দোলন জনগন বন্ধ করে দিয়েছে, এমন ঘোষনা দিয়ে মতিয়া চৌধুরী বলেন, তবে মঞ্চ চলবে। খালেদার ক্লান্ত লাগলে তিনি কমপ্লান খেয়ে নিলেই পারেন। মির্জা ফখরুলের বাসায় প্রচুর কমপ্লান আছে।

মতিয়া চৌধুরী বলেন, কমপ্লেন না করে কমপ্লান খান, বড় শরবতের উপর চাপ কমান।

March 16, 2013

গদিতে গেলে প্রকৃত যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করব: ফখা

নিজস্ব মতিবেদক

বর্তমান আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালকে ‘বিতর্কিত’ ও ‘কুন কামের না’ আখ্যা দিয়ে বৃহত্তর জামায়াতে ইসলামীর বিএনপি শাখার ভাঁড়প্রাপ্ত নায়েবে আমীর মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, গদিতে গিয়া প্রকৃত যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করব।

আজ এক আলচনা অনুষ্ঠানে ফখা ইবনে চখা এ প্রতিশ্রুতি দেন।

বক্তব্যে মির্জা ফখরুল বলেন, এই ট্রাইবুনালের বিচার রাজনৈতিক বিচার। আমরা গদিতে গেলে অরাজনৈতিক বিচার হবে। আমাদের বিচার হবে স্বচ্ছ, নিরপেক্ষ ও আন্তর্জাতিক মানের।

ফখা ইবনে চখা বিচারের ত্রুটি উল্লেখ করে বলেন, আমাদের মহিলা আমীর আজি হতে শত বর্ষ আগেই বলেছিলেন, পাগল ও শিশু ছাড়া কেউ নিরপেক্ষ নহে। এই ট্রাইবুনালে পাগলও নাই, শিশুও নাই। আমরা গদিতে গেলে ট্রাইবুনালের চেয়ারমেন হিসাবে একজন পাগল ও একজন শিশুকে নিয়োগ দিয়া এর নিরপেক্ষতা নিশ্চিত করব।

ট্রাইবুনালের স্বচ্ছতা প্রসংগে ফখা বলেন, এই ট্রাইবুনালের স্বচ্ছতা সরকার নিশ্চিত করতে না পারলেও বৃহত্তর জামায়াত ঠিকই নিশ্চিত করেছে। তারা সাক্ষীদের ঠিকানা সংগ্রহ করে তাদের বাড়িতে গিয়া হুমকি দিয়াছে। একজন সাক্ষীকে তারা ইতিমধ্যে ফুটুশ করে দিয়েছে। আরেক সাক্ষীর ভাইকে ফুটুশ করেছে। ট্রাইবুনাল যতই ঢাকার চেষ্টা করুক, আমরা সব গুপন বেপার জেনে গেছি।

আন্তর্জাতিক মানের প্রশ্নে বৃহত্তর জামায়াতের অটল থাকার কথা নিশ্চিত করে ফখা বলেন, পাকিস্তান হতে আমরা আন্তর্জাতিক মানের উকিল আমদানী করে এই ট্রাইবুনাল চালাব। দেশী মুরগি ডাইল বরাবর।

প্রকৃত যুদ্ধাপরাধী মখা ও মোশার বিচার করব: ফখা

গদিতে গেলে প্রকৃত যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হবে উল্লেখ করে ফখা ইবনে চখা বলেন, এ দেশে প্রকৃত যুদ্ধাপরাধী দুইজন। তারা হচ্ছেন শেখ হাসিনার বেয়াই খন্দকার মোশাররফ হোসেন ও স্বরাস্ট্র মন্ত্রী মখা আলমগীর। এরা দুইজন মিলেই ১৯৭১ সালে তিন লক্ষ মানুষকে হত্যা করেছে।

আবেগঘন কণ্ঠে ফখরুল বলেন, পচিশে মার্চ ফরিদপুর হতে মোশা ভাই ও ময়মনসিংহ হতে মখা ভাই ঢাকায় এসে হাজির হয়। পাকিস্তানী সেনাবাহিনীকে তারাই পথ দেখিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, পিলখানা ও রাজারবাগে নিয়ে যায়। পরবর্তীতে মখা ভাই নকল দাড়ি লাগাইয়া গোলাম আজমের ছদ্মবেশে টিক্কা খানের সংগে দেখা করে। অপরদিকে মোশা ভাই একে একে নিজামী, মুজাহিদ, সাঈদী, কামারুজ্জামানের ছদ্মবেশে আলবদর বাহিনী গঠন করে।

ক্ষমতায় গিয়ে এদের উভয়কেই ট্রাইবুনালের মাধ্যমে ফাঁসি দেওয়ার অংগীকার করে মির্জা ফখরুল বলেন, আমরাও বিচার চাই। কিন্তু সে বিচারে মখা-মোশার ফাঁসি হতে হবে। নাহলে উহা বিচার নহে, ছলনা।

ঐ বিচারের প্রতিবাদে শাহবাগের মত কোন আন্দোলনের জন্ম হলে কি করবেন, এমন প্রশ্নের জবাবে হাসতে হাসতে মির্জা ফখরুল বলেন, হেফাজতে ইসলাম তখন শাহবাগে তাঁবু ফেলবে। প্রকৃত যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের জন্য দশ বিশ হাজার বডি ফেলতে হলে আমরা ফেলব। আমাদের অভ্যাস আছে।